স্বল্পমূল্যের উন্নত মানের ফোরজি নেটওয়ার্ক নিয়ে ওয়ালটন নতুন স্মার্ট মোবাইল ফোন বাজারে এলো সাথে থাকছে উন্নত মানের শক্তিশালী 6000mah ব্যাটারি আরও থাকছে স্মার্ট মোবাইল ফোনটির সাথে 32gb রম 2gb রেম সাথে আরো চমকপ্রদক অনেক ফিচার নিয়ে বাজারে চলে আসলো ওয়ালটনের এই নতুন স্মার্ট মোবাইল ফোনটি । স্মার্টফোনটিকে অনেকেই ব্যাটারি কিং বলে অভিহিত করেছে । ওয়ালটন এর নতুন রিলিজ করা মোবাইলটির নাম Walton Primo HM6 । স্বল্পমূল্যের মিড রেঞ্জের ভিতরে 6000 এমএএইচ ব্যাটারি মোবাইলটির চাহিদা বাড়াতে সক্ষম হয়েছে । অন্যান্য কোম্পানির মডেলগুলোতে সচরাচর এই দামের ভিতর ভালো মানের ফিচার দেখা যায় না । এক্ষেত্রেও মোবাইলটির জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । Walton Primo HM6 ডিভাইসটি ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা তুলে ধরা হলো ।
মোবাইল ফোনটিতে ক্যামেরা কত মেগা পিক্সেল থাকছে ?
স্মার্টফোনটির ক্যামেরা কালেকশনে রয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ । ক্যামেরা কালেকশনের জন্য এই মোবাইলটি ভালো মানের ফিচার দিবে না । প্রাইমারি ক্যামেরা 13 মেগাপিক্সেলের এবং 2 মেগাপিক্সেলের বিউটি ক্যামেরা সেটআপ দেওয়া হয়েছে । প্রাইমারি ক্যামেরা গুলোতে পাওয়া যাবে সিঙ্গেল এলইডি ফ্ল্যাশ , এইচডিআর , নাইস শট , পানোরামা এবং ফিল্টার এর মতো আকর্ষণীয় ফিচার পাওয়া যাবে । 1080 পিক্সেলে যেকোন ভিডিও ধারণ করা যাবে । ফ্রন্ট ক্যামেরা ফিচারে পাওয়া যাবে 8 মেগাপিক্সেলের এর সেন্সর । সেলফি ক্যামেরা আইকন তুলনামূলকভাবে অনেকটা বড় । আন্ডার ডিসপ্লেতে ক্যামেরা দুটির অবস্থান পাশাপাশি । সেলফি ক্যামেরা দিয়ে যেকোন ভিডিও ধারণ করা যাবে 1080 পিক্সেলে । এই স্মার্টফোনটি দিয়ে আপনি যদি ভাল মানের ছবি ক্যাপচার করতে চেয়ে থাকেন তাহলে সেটি ভুলে যেতে হবে । এই মেগা পিক্সেলের মাধ্যমে ভালো মানের ছবি ক্যাপচার করাটা অসম্ভব হয়ে পড়বে ।
ফোনটির ডিসপেলে সাইজ কত ইঞ্চি ?
ফোনটিতে 6 দশমিক 52 ইঞ্চি আইপিএস এইচডি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যারা বড় ডিসপ্লে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই মোবাইল ফোনটি হতে পারে দারুন একটি পছন্দের মোবাইল ফোন । এছাড়াও রয়েছে ফুল এইচডি কোয়ালিটি ভিডিও দেখার সুবিধা অর্থাৎ 1080 পিক্সেল এ যেকোনো এইচডি ভিডিও দেখা যাবে । আইপিএস টাইপের এলসিডি প্যানেল দেখা যাবে । ওয়াটার ড্রপ নচ ডিসপ্লে ব্যবহার করার কারণে আমরা এটা বলতে পারি যে স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে অনেকটাই শক্তপোক্ত হবে । এইচডি ডিসপ্লেটির ঘনত্ব 272 পিপিআই ডেনসিটি । ডিসপ্লেটিতে নোটিফিকেশন এলইডির উপস্থিতি দেখা যায়নি । টাচ স্ক্রিনে পাওয়া যাবে 60 হার্জ এর রিফ্রেশ রেট । ডিসপ্লেতে প্রটেকশন এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে 2.5 D গ্লাস । প্যানেলটিতে রেজুলেশন ব্যবহার করা হয়েছে 720×1560 পিক্সেল ।
এই মোবাইল ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েড কত ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে ?
গুগোল প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভার্সনের জন্ম দিয়ে থাকে তারই ধারাবাহিকতায় এন্ড্রয়েড ভার্সন নাইন এর পরে এখন চলতাছে অ্যান্ড্রয়েড টেন । আপনারা জেনে খুশি হবেন এই মোবাইল ফোনটিতে অ্যান্ড্রয়েড টেন ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে । অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে অ্যানড্রয়েড গো ভার্সন । গো ভার্সনের কথা শুনে আমাদের অনেকেরই হয়তো খুশি হওয়ার কথা । কাস্টম ইউআই ব্যবহার করা হয়েছে ওয়ালটন ইউআই । ইউনিসেক চিপসেট এর পাশাপাশি প্রসেসরে ব্যবহার করা হয়েছে অক্টোকোর । স্মার্টফোনটির টেকনোলজি 28 ন্যানোমিটারের উপর বডি বিল্ড করা হয়েছে । এন্ড্রয়েড গো ভার্সন ব্যবহার করার ফলে আপনি প্রতিনিয়তই গুগোল ভার্শন কে আপডেট করে লেটেস্ট ভার্সন পেয়ে যাবেন । সফটওয়্যার আপডেট এবং ইন্সটলের জন্য অবশ্যই প্লে স্টোর ফলো করতে হবে ।
বডি কোয়ালিটি
বডি বিল্ডের কথা বলতে গেলে সবার প্রথমেই চোখে পড়ে যাবে পাঞ্চ হোল টাইপের বডি ডিজাইনের উপর । বডির ফ্রন্টে থাকছে গ্লাস এবং পিছনে রয়েছে প্লাস্টিকের আবরণ । সম্পূর্ণ বডিটিকে প্লাস্টিকের আবরণে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে । স্বল্প আঘাতে ভেঙে যাওয়া এবং ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি । তার মূল কারণ হলো বডিতে কোন প্রটেকশন গ্লাস ব্যবহার করা হয়নি । স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করা হয়নি কোন রেসিস্টেন্ট । অর্থাৎ এখানে পাওয়া যাবেনা ওয়াটার এবং ধুলোবালি রোধক কোন ব্যবস্থা । স্মার্টফোনটি এর ডানপাশে আমরা পেয়ে যাবো গুগোল অ্যাসিস্ট্যান্ট বাটন এবং ভলিউম বাটন অপরদিকে বাম পাশে রয়েছে মেমোরি এবং সিম কার্ড স্লট । নিচের দিকে রয়েছে হেডফোন পোর্ট এবং স্পিকার । মোবাইলটিকে সবুজ এবং নীল কালার সহ আরো অন্যান্য কালারে পাওয়া যাবে ।
মোবাইলটি বাজারে কবে নাগাদ এসেছে ও প্রাইস কত ?
মোবাইল ফোনটি বাজারে এসেছে বেশিদিন হয়নি 2021 সালের এপ্রিল মাসে মোবাইল ফোনটি লঞ্চ করা হয় । বাংলাদেশের বিভিন্ন ওয়ালটন শোরুম এই মোবাইল ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র 8,899 টাকায় । তবে অনলাইনের মাধ্যমে যদি মোবাইল ফোনটি কিনা হয়ে থাকে তাহলে হয়তোবা খরচ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে । আমরা হয়তো এটা দেখতে পেরেছি যে ওয়ালটন তাদের প্রায় প্রতিটি স্মার্টফোনেই স্বল্পমূল্যের ভিতরে অনেকটা ভালো মানের পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে । তারই একটি দৃশ্যমান প্রমাণ আমরা এই স্মার্টফোনটির ক্ষেত্রে দেখতে পাই । ওয়ালটনের এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে ইতিমধ্যে অনেকের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে । মার্কেটপ্লেসে মডেলটির পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফোনটি ব্যবহার করার জন্য । অন্যদিকে স্বল্পমূল্যের ভিতরে থাকায় এই স্মার্টফোনটি অনেকেই হাতের মুঠোয় নিতে পারবে ।
এই মোবাইল ফোনটি থেকে পাবজি গেম খেলা যাবে ?
মোবাইল ফোনটি যেহেতু মিডিয়াম সাইজের প্রাইজের ভিতরে রাখা হয়েছে এবং এই মোবাইল ফোনটির ram 2gb ও রম 32gb ব্যবহার করা হয়েছে । তারপরও বলব পাপজি কিংবা ফ্রি ফায়ার গেম গুলো খেলার জন্য এই ধরনের সেট গুলো আসলে ভালো পারফর্মেন্স কখনোই করবেনা । যারা অল্প দামে বড় ডিসপ্লে ও ভালো কোয়ালিটি চান তাদের জন্য এই মোবাইল ফোনটি বেশি ভালো হবে যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে । পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার এর মতো গেমগুলো খেলার জন্য
অবশ্যই ভালো মানের ডিভাইসের প্রয়োজন হয়ে থাকে । হাই লেভেলের গ্রাফিক্সের সাথে গেম প্লে করার জন্য প্রয়োজন উন্নত মানের স্মর্টফোন । কিন্তু এই মোবাইলটি দিয়ে আপনি চাইলেই ভালো মানের পারফরম্যান্স অথবা ফ্রিজার পারবেন না ফ্রী ফায়ার এবং পাবজি খেলার জন্য । অনলাইন ভিত্তিক প্রথম সারির গেমসগুলোকে খেলার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত একটি ডিভাইস । এই স্মার্টফোনটির গেমিং ডিভাইস গুলোর মধ্যে নেই যার কারণে প্রথম সারির গেমগুলোকে ভালোভাবে খেলা যাবে না ।
মেমোরি পারফরম্যান্স
মেমোরি পারফরম্যান্সের জন্য এই স্মার্টফোনটি ততটা হাই লেভেলের নয় । মোটামুটি মিডিয়াম কোয়ালিটির ভিতরে রয়েছে মেমোরি পারফরম্যান্স । মেমোরি পারফরম্যান্সের ইন্টার্নাল মেমোরিতে 2 জিবি রেম এর পাশাপাশি রয়েছে 32 জিবি রোম । এই স্মার্টফোনটির মেমোরি স্টোরেজ এর ক্ষেত্রে কেবলমাত্র একটি মাত্র ভেরিয়েন্ট রয়েছে । আর ঠিক এই কারণেই এই স্মার্টফোনটিতে ওটিজি ক্যাবল সাপোর্টেড নয় । এই স্মার্টফোনটি দিয়ে ততটা হাই স্পিড আশা করাটা গ্রাহকদের কাছে বোকামীর শামিল । কারন মেমোরি স্টোরেজ কম ব্যবহার করা হলে সেটি দিয়ে দুর্দান্ত স্পিড পাওয়াটা অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত হয়ে পড়ে । মেমোরি পারফরম্যান্সে ব্যবহার করা হয়েছে eMMC 5.1 মডেল । মেমোরি পারফরম্যান্সের জন্য এই মোবাইলটি অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে । তবে আমার মতে বাজেট অনুযায়ী মেমোরি পারফরম্যান্স ঠিকঠাক
রয়েছে ।
অনলাইন থেকে অর্ডার করা যাবে কিনা ?
আমাদের সকলেরই হয় তো জানার কথা ওয়ালটন কোম্পানিটি বাংলাদেশের কোম্পানি । যার কারণে আপনি চাইলেই কিন্তু খুব সহজেই দেশের যেকোন মার্কেটপ্লেস থেকে ফোনটি কালেক্ট করতে পারবেন । তবে আপনি যদি চান যে অনলাইন থেকে ক্রয় করবেন তাহলে সেটি আলাদা বিষয় । এমনিতেও বর্তমানে এই সময়ে আমাদের স্মার্টফোন অথবা প্রয়োজনীয় সবকিছু অনলাইন থেকে অর্ডার করার প্রতি ঝোঁক বেশি । যে কোন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন আপনি অনলাইনে পেয়ে যাবেন । তবে এ ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে ওয়েবসাইট নির্বাচনের ক্ষেত্রে । অর্থাৎ আপনি যে ওয়েবসাইট থেকে ফোন কিনতে চাচ্ছেন সেটির বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে আগে থেকেই জানতে হবে । বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করার পরে ওয়ালটনের অফিশিয়াল পেইজ রয়েছে সেখানে আপনি অনলাইনে প্রতিটা মডেল পেয়ে যাবেন । আপনি সেখান থেকে যে মডেলটি ক্রয় করতে চাচ্ছেন সেট চয়েজ করে অর্ডার করতে পারবেন । তবে অনলাইন থেকেই স্মার্টফোন কেনার জন্য আপনাকে কিছু টাকা বেশি খরচ কত হতে পারে ।
সিকিউরিটি পদক্ষেপ
সিকিউরিটি সিস্টেম বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম বিষয় । সিকিউরিটি সিস্টেম এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে সিকিউরিটি সিস্টেম ছাড়া স্মার্টফোন এবং লবন ছাড়া তরকারি অনেকটা একই রকম বুঝায় । অনেকেই সিকিউরিটি সিস্টেমের উপর লক্ষ্য রেখে স্মার্টফোন বাছাই করে থাকে । এই স্মার্টফোনটিতেও ব্যবহার করা হয়েছে আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয় সকল সিকিউরিটি সিস্টেম । সিকিউরিটি সিস্টেম গুলোর মধ্যে রয়েছে মাল্টিপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর , ফেস আনলকিং সিস্টেম , এক্সিলারোমিটার , প্রক্সিমিটি এবং কম্পাস এর মত আরো অন্যান্য সিকিউরিটি পদক্ষেপ । সিকিউরিটি সেন্সরটি অনেকটাই দ্রুত কাজ করে থাকবে । স্মার্টফোনের রেয়ার মাউন্টেডে সেট করা হয়েছে মাল্টিপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর । ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি ছাড়াও অন্যান্য পদক্ষেপগুলো অদ্বিতীয়ভাবে সনাক করতে সফলতা লাভ করবে । সিকিউরিটি সিস্টেম গুলো সকলেরই পছন্দ হওয়ার কথা ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন