আপনি কি চাচ্ছেন আপনার শখের স্মার্টফোনটি সব সময় ফাস্ট চলুক ? তাহলে এই কাজ গুলো অবশ্যই করে নিতে হবে তাহলেই কেবল মোবাইল ফোন ফাস্ট ভাবে চালানো যাবে আর না হয় কখনোই সম্ভব নয় ।
স্মার্টফোনের গতি কিভাবে বাড়াবো ?
বেশিরভাগ মানুষেরই এই বিষয় ধারণা নেই যে কিভাবে স্মার্টফোনের গতি বাড়াতে হয় অথবা কি করলে বা কোন ফোনগুলো কিনলে স্মার্টফোনের গতি সব সময় ফাস্ট কাজ করবে কখনো স্লো হবে না । স্মার্টফোনের গতি সব সময় ফাস্ট রাখতে হলে এই কাজগুলো দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে হোক সেটা অ্যান্ড্রয়েড কিংবা আইফোন । যে ফোনের রেম বেশি থাকে ওই ফোন কখন স্লো কাজ বা হ্যাংক করেনা সব সময় ফাস্ট কাজ করে থাকে এজন্য বেশি রেম ওলা ফোন কেনার চেষ্টা করতে হবে । যদিও এই ধরনের মোবাইল ফোন গুলো মোটামুটি দামের মধ্যে হয়ে থাকে । আর যাদের বাজেট কম যারা কম মূল্যের স্বল্প রেম ও স্টোরেজ এর মোবাইল গুলো কিনে থাকেন আসলে তাদের সমস্যা বলতে গেলে আজীবন রয়ে যাবে ।
রেম কি জিনিস ও এর কাজ কি ?
রেম এর পূর্ণরূপ হচ্ছে - রেনডম এক্সেস মেমোরি । সহজে বিষয়টা বুঝে নিন বাংলা ভাষায় একে বলা হয়ে থাকে (স্থায়ী স্মৃতি) অর্থাৎ স্মার্ট মোবাইল ফোনের হার্ডওয়ার । তবে এটিকে কখনো মোবাইল ফোনের সাধারন কোন অ্যাপ কিংবা সফটওয়্যার বলা যাবে না । রেম হচ্ছে স্মার্টফোনের বা যে কোন ফোনের ফিজিক্যাল অংশ । যারা ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন তারা বেশিরভাগ মানুষই এটি জেনে থাকবেন ল্যাপটপে কিংবা কম্পিউটারে আলাদাভাবে রেম বসানো যায় । এতে করে কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের স্পিড অনেক বেশি বেড়ে যায় । তবে এখন পর্যন্ত মোবাইলে এই সিস্টেমটি চালু হয়নি এটি হলে আলাদাভাবেও মোবাইল ফোনের স্পিড বাড়ানো যেত । মোবাইল ফোনের রেম যত বেশি হবে ওই মোবাইল ফোনটির গতি তত বেশি বাড়বে এবং আরো অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাবে ।
বড় রেম মোবাইল ফোনে থাকা কেন জরুরি ?
এই বিষয়ে বলতে গেলে সহজ ভাষায় বলতে হয় যে মোবাইল ফোন গুলোতে বেশি রেম রয়েছে সেই মোবাইল ফোন গুলোতে সাধারণত কখনো স্লো কাজ করে না, যে কোন কাজ সহজ ভাবে করিয়ে নেওয়া যায় কারণ মোবাইল ফোনে বেশি রেম থাকাতে পারফরর্মেন্স ও ক্ষমতা অনেক বেশি থাকে তাই ।
অন্যভাবে মোবাইল ফোনের স্পিড বাড়ানোর উপায় আছে কি ?
অনেক আলগা পন্ডিত বলে থাকেন বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের স্পিড বাড়ানো যায় । সত্যি কথা বলতে কী এই ধরনের কাজগুলো করলে মোটেই আপনার ফোনে স্পিরিট কখোনই বাড়াবে না । এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন অন্য কথা । বিশেষজ্ঞগণ বলে থাকেন ফোনের স্পিড ভালো পাওয়ার জন্য অবশ্যই ফোন কিনার সময় রেমের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে । কারণ যত রেম হবে ফোনের পারফরম্যান্স তত বেশি ভালো পাওয়া যাবে ।
অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখা
গুগোল কিন্তু প্রতিনিয়তই তাদের মডেল গুলোকে আপডেট করে থাকে । আমরা যারা আমাদের এই স্মার্টফোনের গতিকে সচল রাখতে চাই তাদেরকে অবশ্যই অপারেটিং সিস্টেম আপডেট দিয়ে রাখতে হবে । রীতিমতো অপারেটিং সিস্টেম আপডেট এর মাধ্যমে ফোনের গতির কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না । আর আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কিনা অপারেটিং সিস্টেম গুলোকে কখনো আপডেট দিয়ে রাখে না ঠিক তাদের ডিভাইসগুলোই অনেকটাই স্লো কাজ করে । অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করার সাথে সাথে আপনার স্মার্টফোনটি কেবলমাত্র দ্রুত গতিই ফিরে পাবেনা এর পাশাপাশি আপনিও ফিরে পাবেন হাই কোয়ালিটি সফটওয়্যার এবং অ্যাপসগুলোকে রান করানোর
সুযোগ । এজন্য আপনি যদি আপনার স্মার্টফোনটিকে দ্রুতগতিতে ব্যবহার করতে চান তাহলে কিন্তু আপনাকে সর্বদাই অপারেটিং সিস্টেমগুলো আপডেট দিয়ে রাখতে হবে ।
অপারেটিং সিস্টেম আপডেট রাখার পরেও যখন আপনার স্মার্টফোনটি স্লো কাজ করে তখন কিন্তু আপনাকে ফ্যাক্টরি রিসেট দেওয়া সর্বোত্তম । তবে ফ্যাক্টরি রিসেট মারার পূর্বে আপনাকে জেনে নিতে হবে ফ্যাক্টরি রিসেট মারার পর আপনার হ্যান্ডসেটটি একেবারে আগের পর্যায়ে চলে যাবে যার কারণে আপনার স্মার্টফোনে থাকা ডাটা গুলো ডিলিট হয়ে যাবে । আর এজন্যই আপনাকে আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখতে হবে যাতে ফ্যাক্টরি রিসেট মারার পরেও আপনি ডাটাগুলোকে পরবর্তীতে ব্যবহার করতে পারবেন । আপনার স্মার্টফোনে যত ফাইল ডকুমেন্ট রয়েছে সেগুলোকে সংক্ষেপে ডাটা বলা হয়ে থাকে । ডাটা শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে তথ্য । আপনার স্মার্টফোনে থাকা ছবি , ভিডিও বা প্রয়োজনীয় তথ্য এসব কিছুই কিন্তু তথ্য বলে পরিচিত ।
ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা অ্যাপ বন্ধ করতে হবে
স্মার্টফোন অথবা ডিভাইসগুলোতে আমরা বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি । গুগল অ্যান্ড্রয়েড , অ্যাপেল , আইওএস এবং হারমনি অ্যাপ গ্যালারি থেকে প্রায় সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে । সেই সুযোগ নিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরনের হাই কোয়ালিটি সম্পন্ন অ্যাপস বা সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি । সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করার সময় আমরা অনেকেই উদাসীন হয়ে পড়ি ।
অনেক সময় দেখা গেছে আমরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস বা সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করার পরে সে গুলোকে বন্ধ করি না । সেগুলো আমাদের ব্যাকগ্রাউন্ডে কিন্তু চলতেই থাকে । এক্ষেত্রে আমরা কেবল স্মার্টফোনটির ধীরগতির মুখোমুখি হই না আমাদের স্মার্টফোনগুলোর ব্যাটারি অনেকভাবেই ড্যামেজ হয়ে । এসব ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ ব্যবহার করা আমাদের বন্ধ করতে হবে যদি আমরা মোবাইল ফোনের স্পিড গতি বাড়াতে চাই ।
ফোনটিকে ক্লিয়ার রাখা
ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করার কারণে স্মার্টফোনগুলো ভাইরাসের মুখোমুখি হতেই পারে । এমন সমস্যার সম্মুখীন আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই হয়েছে । আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষেরই স্মার্টফোনের ভাইরাস সম্পর্কিত বিষয়টি জানে না । অ্যাপ ডাউনলোড , আপডেট এবং ব্যবহার করার জন্য আমাদের স্মার্টফোনটিকে ভাইরাস আক্রমণ করতে
পারে । এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি ? কোন কোন পদক্ষেপ গুলো নিলে আমাদের স্মার্টফোনগুলো মুক্ত থাকবে ভাইরাসের হাত থেকে ।
এজন্য আমাদেরকে স্মার্টফোনগুলো ব্যবহার করার পরে সব সময় ক্লিয়ার করে রাখতে হবে । স্মার্টফোনগুলোর মেমোরি যদি সময়মতো কিলিয়ার না করা হয় তাহলে কিন্তু একটা পর্যায়ে মোবাইল ফোনের গতি অনেকটাই কমে যেতে পারে । স্মার্টফোন কিলিয়ার করার জন্য অর্থাৎ ভাইরাস থেকে স্মার্টফোনটিকে বাঁচানোর জন্য আমাদেরকে অবশ্যই ক্লিন মাস্টার বা এরকম অন্যান্য সফটওয়্যার গুলো দিয়ে মোবাইল গুলোর রেম ক্লিয়ার করে নিতে হবে । তবে বর্তমানে এন্ড্রয়েড ভার্সন এর কিছু কিছু স্মার্টফোন রয়েছে যেগুলো অটোমেটিকলি ভাবেই স্মার্টফোন থেকে ভাইরাস নির্গমন করার জন্য ইঙ্গিত দিয়ে থাকে । অনেক সময় দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে স্মার্টফোন গুলো স্লো হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ফোনটিকে সপ্তাহে অন্তত পক্ষে একদিন বন্ধ করে চালু করা উচিত ।
অ্যাপ ম্যানেজিং
স্মার্টফোন ব্যবহারকারী যদি সঠিকভাবে তার ফোনের অ্যাপ ম্যানেজ করতে না পারে তাহলে কিন্তু সফটওয়্যার গুলো তাদের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ব্যর্থ হয়ে পড়ে । যার কারণে আমাদের অ্যাপস এবং সফটওয়্যারগুলো দ্রুতগতিতে রান করানো সম্ভব হয় না । আর ঠিক তখনই কিন্তু আমাদের হাতে থাকা ডিভাইসটি অনেকটাই স্লো হয়ে যায় । নিত্যপ্রয়োজনীয় অথবা জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো কিছুদিন পর পরেই আপডেট চায় যেমন তার মধ্যে রয়েছে টুইটার অথবা ফেসবুকের কথাই বলি । এমন সফটওয়্যারগুলোকে নিয়মিত আপডেট করে রাখতে হবে ।
সবথেকে বেশি ভালো হয় এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো কে ডিলিট করে পুনরায় ইনস্টল করলে । এই সকল অ্যাপসগুলোকে যখন আমরা গুগল থেকে আপডেট করে নেই তখন কিন্তু সফটওয়্যার গুলোর পূর্বের ভার্সন থেকে যায় । আর যদি আপনি এই সফটওয়্যারগুলোকে ডিলিট করে পুনরায় ইনস্টল করে নেন তাহলে কিন্তু আপনার স্মার্টফোনটির কার্যক্ষমতা এবং স্টোরেজ বৃদ্ধি পায় ।
ব্যাটারি পাল্টানো
স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে থাকা পুরনো ব্যাটারি গুলোকে পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার ডিভাইসটিকে দ্রুতগতি দিতে পারবেন । অনেক সময় দেখা যায় যে স্মার্টফোন ধীরগতি দেওয়ার কারণে ব্যাটারি পাল্টিয়ে আপনি ডিভাইসটিতে দ্রুতগতি পেতে পারেন । আপনাদের মধ্যে যাদের স্মার্টফোনগুলো অনেকটাই ধীরগতিসম্পন্ন স্পিড দিলে ব্যাটারি পাল্টিয়ে দেখতে পারেন এক্ষেত্রে লাভবান হওয়ার আশা করা
যায় ।
মেমোরি কার্ড ফরমেট
অনেক সময় দেখা যায় আমরা নতুন স্মার্টফোন গুলোতে ও পুরাতন একটি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে থাকি কোনরূপ ফরমেট ছাড়াই । যার কারণে পুরাতন ফোন গুলোতে থাকা অপ্রয়োজনীয় তথ্য , অ্যাপস এবং ভাইরাস এই নতুন মোবাইলটিতে ট্রানস্ফার হয়ে যায় । যার ফলে নতুন স্মার্টফোনটিও পুরাতন ডিভাইসের মতো ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে । তাই অবশ্যই নতুন স্মার্টফোন গুলোতে পুরাতন মেমোরি ব্যবহার করার পূর্বে ফরমেট মেরে নিতে হবে । তা না হলে কিন্তু ফোনের গতি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে ।
কিছু স্টোরেজ খালি রাখুন
অনেক সময় কিন্তু আমরা দেখতে পারি আমাদের স্মার্টফোনগুলোর মেমোরি স্টোরেজ ফুল হয়ে থাকে । যে কারণে আমরা ভালো মানের স্পিড পাই না এবং আমাদের স্মার্টফোনগুলো অনেকটাই ধীরগতি দিয়ে থাকে । ডিভাইসগুলো স্বাভাবিক স্পিড এর জন্য অবশ্যই কিছু মেমোরি খালি রাখতে হবে বা প্রয়োজন । যদি আপনার স্মার্টফোনগুলো মেমোরি স্টোরেজ এর কারণে ধীরগতি দিয়ে থাকে তাহলেই সর্বপ্রথম আপনি আপনার মেমোরির কিছু জায়গা খালি করে নিন ।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস আনইন্সটল করা
আপনাদের স্মার্টফোন বা ডিভাইস গুলোতে যদি অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার থেকে থাকে তাহলে সর্বপ্রথম সেটিকে আনইন্সটল করতে হবে । তার কারণ হলো অপ্রয়োজনীয়' অ্যাপস বা সফটওয়্যার গুলো আপনার স্মার্টফোনটিকে স্লো করে দিতে পারে । তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস গুলোকে ডিভাইসে না রাখাই উত্তম । প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সফটওয়্যার থাকলে ফোনের গতিশীল নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । প্রয়োজন ছাড়াও অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো কি ফোন থেকে ডিলিট করে দেওয়াই ভালো এতে ফোনের গতিশীলতা বৃদ্ধি পায় ।
very nice
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন