Ads

 চায়না কোম্পানি গুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি কোম্পানি হচ্ছে হুয়াওয়ে । খুব তাড়াতাড়ি সময়ে মার্কেটে নিজেদের জায়গা দখল করতে সক্ষম হয়েছে এই কোম্পানিটি । তাদের কাস্টমারদের জন্য নিত্যনতুন একের পর এক মডেল নিয়ে মার্কেটে হাজির এই কোম্পানিটি । তাদের উদ্ভাবিত মডেলগুলো ভালো সার্ভিস দেওয়ার কারণে মার্কেটে  তাদের আকর্ষণ তুলনামূলকভাবে একটু বেশি । চায়না কোম্পানি গুলোর মধ্যে এটিই একমাত্র কোম্পানি যাদের কিনা গুগল প্লে স্টোর এর মত নিজেদের অ্যাপ স্টোর রয়েছে তার নাম হচ্ছে অ্যাপ গ্যালারি । গুগল প্লে স্টোর থেকে আমরা যেমন সুবিধা পেয়ে থাকি ঠিক তেমন সুবিধা পাওয়া যাবে হুয়াওয়ের  অ্যাপ গ্যালারি থেকে । এছাড়াও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সহজ ভাষায় বলতে গেলে আমরা যেমন গুগলের সার্ভিস অর্থাৎ এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম  ব্যবহার করে যখন যে অপারেটিং সিস্টেম  গুগল নিয়ে আসে ওই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম  ব্যবহার করতে বিভিন্ন কোম্পানি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম  ব্যবহার করে থাকে, ঠিক ওরকমই হয়েছে হুয়াওয়ের বেলায় । কোম্পানি নিজেই এন্ড্রয়েড এর মত একটি আলাদা অপারেটিং সিস্টেম চালু করেছে যেটি এন্ড্রয়েড এর মতো এই মোবাইলটি পরিচালিত হয়ে থাকবে যার নাম হচ্ছে হারমনি (Android VS Harmony) । এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কোনটি সেরা? এ প্রশ্নের উত্তর অন্য কোন আর্টিকেলে দেয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ । কাস্টমারদের কথা চিন্তা করে মার্কেটে যুক্ত করল হুয়াওয়ে পি ফিফটি প্রো মডেলটি । মডেলটিতে কি কি আকর্ষণ রয়েছে ? ফোনটি কেমন পারফরম্যান্স দিবে ? একনজরে বিস্তারিত জানা যাক ফোনটির সম্পর্কে ।


Huawei p50 Pro price in Bangladesh-এটি হতে পারে সেরা স্মার্টফোন


ডিসপ্লের প্রসঙ্গে


পাঞ্চ হোল বেজেল-লেস টাইপের এই ডিসপ্লের সাইজ 6.6 ইঞ্চি । বড় আকৃতির ডিসপ্লে ব্যবহার করার কারণে মোবাইলটি অনেকের কাছেই হতে পারে সেরা । এলসিডির পিক্সেল ডেন্সিটি রয়েছে 450 পিপিআই । আকর্ষণীয় ডিসপ্লের সাথে ব্যবহার করা হয়েছে ওইএলডি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন । যাতে 1 বি কালার সাপোর্ট করবে । 91. 2 পার্সেন্ট স্কিন বডি রেটিও এর সাথে রয়েছে 120 Hz এর রিফ্রেশ রেট । এলসিডি রেজুলেশন রয়েছে 1228×2700 পিক্সেল । ফুল এইচডি ডিসপ্লে রেজুলেশন ব্যবহার করা হয়েছে যে বিষয়টি আমাদের কাছে অনেক ভাল লাগতে পারে । যে ডিসপ্লে সাইজ ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ভিডিও প্লেব্যাক এবং গেম খেলার জন্য পারফেক্ট বলে মনে হয়েছে আমার কাছে । স্বল্প আলোতে ব্রাইটনেস খুবই ভালো পাওয়া যাবে এবং এর পাশাপাশি রোদেও । 


বডি কোয়ালিফিকেশন


মোবাইলটির বডিতে তাকালে আমরা দেখতে পাই এর দৈর্ঘ্য 6.25 ইঞ্চি এবং প্রস্থ 2.17 ইঞ্চি ও 0.33 ইঞ্চি পুরুত্ব রয়েছে । স্মার্টফোনটিকে কালো, সাদা, নীল, সোনালী এবং গোলাপি সহকারে মোট পাঁচটি কালারে পাওয়া যাবে । বডিটিকে গ্লাস ফ্রন্ট, গ্লাস ব্যাক  এবং এ্যালমুনিয়াম ফ্রেমে  সজ্জিত করা হয়েছে । মোবাইলটির ওজন 195 গ্রাম । মোবাইলটি হালকা হওয়ার কারণে যে কেউ এটিকে হাতে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে । একটি আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে স্মার্টফোনটির বডি সম্পূর্ণ ধুলোবালি এবং পানিরোধক । এমন অনেকে স্মার্টফোন আমরা দেখতে পাই যেগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখলেও কোন সমস্যা হয় না । ঠিক তেমন সুবিধা পাওয়া যাবে এই মোবাইলটির ক্ষেত্রে । তবে সব থেকে ভালো হতো যদি স্মার্টফোনটির বডিতে কর্নিং গরিলা গ্লাসের আবরণ দেওয়া হতো । 



অপারেটিং সিস্টেমে যা থাকছে


স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমে হুয়াওয়ের নিজস্ব ভার্সন হারমনি ওএস 2.0 ভার্সনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে । চিপসেট এর ক্ষেত্রে দেখা যায় Qualcomm SM8350 Snapdragon888 4G । মোবাইলটির প্রসেসরে ব্যবহার করা হয়েছে Octa-core ( 1×2.84 GHz Kryo 680 & 3×2.42 GHz kryo 680 & 4×1.80 GHz kryo 680) । জিপিইউতে রয়েছে Adreno 660 । স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেমে খুবই জনপ্রিয় সব মডেলের ব্যবহার করা হয়েছে । প্রসেসরে আমরা অক্টা কোর এর উপস্থিতি দেখতে পাবো । ভালো মানের স্মার্টফোনগুলোতে অক্টাকোর এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে । এই মোবাইলটিকে আলাদাভাবে গুগলের উপর নির্ভর করতে হয় না কারণ অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য রয়েছে তাদের নিজস্ব অ্যাপ গ্যালারি । যেখান থেকে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি নামিয়ে ব্যবহার করতে পারবো এই তথ্যটি কিন্তু আমাদের অনেককেই ক্ষমা করে দিবে ।



নেটওয়ার্ক কানেকশন


এই মোবাইলটি দিয়ে থ্রিজি নেটওয়ার্কের পাশাপাশি 4জি নেটওয়ার্ক সার্ভিস পাওয়া যাবে । থ্রিজি নেটওয়ার্কে প্রতি সেকেন্ডে সর্বনিম্ন 800 এমবিবিএস এবং সর্বোচ্চ 2100 এমবিবিএস গতি উপভোগ করা যাবে । থ্রিজি নেটওয়ার্কের পাশাপাশি 4জি নেটওয়ার্কে প্রতি সেকেন্ডে এর সর্বনিম্ন 5.76 এমবিবিএস এবং সর্বোচ্চ 42.2 গতিতে চালানো যাবে । নেটওয়ার্ক অপশনে ব্যবহার করা হয়েছে জিপিআরএস । ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, এবং হটস্পট এর মত তারবিহীন নেটওয়ার্কগুলো চালানো যাবে । আমাদের আশেপাশে এমন অনেকেই স্মার্টফোন রয়েছে যেগুলো দিয়ে আমরা ভালো মানের নেটওয়ার্ক উপভোগ করতে পারি না তার মূল কারণ হচ্ছে মোবাইল গুলোতে উন্নতমানের নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করে থাকে না । কিন্তু আপনি কিন্তু খুব সহজেই এই মোবাইলটি দিয়ে উন্নত মানের নেটওয়ার্ক উপভোগ করতে পারবেন । দেশের যেকোনো স্থানেই উন্নত মানের নেটওয়ার্কগুলো ব্যবহার করা যাবে ।



ক্যামেরা সেটআপ

মোবাইলটির প্রাইমারি ক্যামেরায় কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ লক্ষ্য করা যায় । ওয়াইড ক্যামেরায় রয়েছে 50 মেগাপিক্সেল, পেরিস্কোপ টেলিফটো ক্যামেরা 64 মেগাপিক্সেল, আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা 13 মেগাপিক্সেল এবং  ডেপ্ট ক্যামেরায় রয়েছে 40 মেগাপিক্সেল । মোবাইলটির প্রাইমারি ক্যামেরা দিয়ে 9000×7000 পিক্সেলে ছবি তোলা যাবে । অটোফোকাস, এইচডিআর এবং ডিএসএলআর মুডে খুব সহজেই ছবি ক্লিক করা যাবে । ফ্রন্ট ক্যামেরায় 13 মেগাপিক্সেল এর একটি ক্যামেরা রয়েছে । যা দিয়ে 4128×3096 পিক্সেলে সেলফি তোলা যাবে । 1080 পিক্সেলে যেকোনো ভিডিও ফুল এইচডি মুডে দেখা যাবে । নাইট মুডেও কিন্তু আমরা ক্যামেরাগুলো দিয়ে খুব ভালো মানের ছবি ক্যাপচার করতে পারবো । ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়েও কিন্তু আপনি চাইলে খুব ভালো মানের ভিডিও এবং এর পাশাপাশি ছবি তুলতে পারবেন আপনার মনের মত করে ।



ব্যাটারি এবং সিকিউরিটি সেন্সর


মোবাইলটিতে মিডিয়াম কোয়ালিটি নন রিমুভেবল লিথিয়াম পলিমার টাইপ ব্যাটারি রয়েছে । ব্যাটারি ক্যাপাসিটিতে থাকছে 4360 এমএইচ পাওয়ার । মোবাইলটির ব্যাটারি 66 ওয়াট গতিতে চার্জ হবে । ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেমে 50 ওয়াট দ্রুত গতিতে চার্জ হবে । ডিসপ্লের নিচে সেট করা হয়েছে মাল্টিপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর । এর পাশাপাশি রয়েছে একসিলোমিটার ,প্রক্সিমিটি , গায়রো স্কোপ ,লাইট সেনসরের মত উন্নত মানের সিকিউরিটি পদক্ষেপ । স্মার্টফোনের ব্যাটারি সিস্টেমে কিন্তু গর্জিয়াস লুক দেওয়ার জন্য ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম চালু রাখা হয়েছে । স্মার্টফোনটির সাথে যে চার্জার বক্স পাওয়া যাবে সেটি যে ব্যাটারিকে দ্রুত গতিতে চার্জ দিয়ে মোবাইলটিকে এক ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ চার্জ দেওয়া
 যাবে । স্মার্ট ফোন ক্রয় করার পূর্বে আমরা সর্বপ্রথম দেখে নেই এখানে ব্যাটারি পারফরমেন্স কেমন রয়েছে এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ কিরকম দেওয়া হয়েছে । তো আপনিও যদি এই মোবাইলটি কেনার পূর্বে সর্বপ্রথম যাচাই করতে চান যে এখানে কি রকমের ব্যাটারি পাওয়া যাবে তাহলে এই মডেলটি আপনার জন্য মার্কেটের সেরা হতে চলেছে । সিকিউরিটি সিস্টেমের জন্য এই মোবাইলটির অবদান অনেকটা এগিয়ে । এখানে পাওয়া যাবে জনপ্রিয় ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিস্টেম এবং এছাড়াও অন্যান্য পদ্ধতি সমূহ । ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর গুলো অদ্বিতীয়ভাবে এবং খুব দ্রুত সনাক্ত করতে সফল হবে ।



স্টোরেজ


ফোনটির মেমোরিতে 8/128 জিবি রেম এবং 128/256 জিবি রোম রয়েছে । ওটিজি ক্যাবল দিয়ে 512 জিবি পর্যন্ত রোম ব্যবহার করা যাবে । স্মার্টফোনটিতে বেশি স্টোরেজ ব্যবহার করার কারনে আপনি চাইলে এই ফোনটিতে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন । ওটিজি ক্যাবল ব্যবহার করে আপনি চাইলেই আপনার প্রয়োজন মত স্টোরেজ বাড়িয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন খুব সহজেই । স্টোরেজে পর্যাপ্ত পরিমাণ মমোরি পারফরম্যান্স থাকায় আপনার ব্যক্তিগত এবং কাজ কর্মের হিসাব সহ প্রয়োজনীয় প্রায় সকল কিছুই এখানে ডকুমেন্ট ফাইল আকারে সংগ্রহ করে রাখতে পারবেন । ভালো মানের মেমোরি পারফরম্যান্স থাকার কারণে স্মার্টফোনটিকে আপনি প্রচুর স্পিডে ব্যবহার করতে পারবেন । ইন্টারনেট কানেকশন এর পাশাপাশি প্রায় প্রতিটা কাজই এই মোবাইলটির দিয়ে ফুল স্পিডে করা যাবে । যারা বেশি স্টোরেজের মোবাইল ফোন খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের জন্য এই মোবাইলটি মার্কেটে নিয়ে আসলো হুয়াওয়ে ।
 


রিলিজ ডেট এবং বাংলাদেশি মূল্য


12 আগস্ট, 2021 প্রথমবারের মতো মার্কেটে মডেলটিকে রিলিজ করা হয় । এক মডেলের স্মার্টফোনটি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে থাকায় ভিন্ন ভিন্ন দাম লক্ষ করা যায় । 8/128 জিবি বাংলাদেশি মূল্য ৳80,000 টাকা । 8/256 জিবি ৳82,000 টাকা এবং 12/512 জিবি ৳88,000 টাকা ।  আপনি যদি সরাসরি মার্কেটপ্লেসগুলোতে না গিয়ে ঘরে বসেই এই স্মার্টফোনটি অর্ডার করতে চান তাহলে অবশ্যই হুয়াওয়ের অফিশিয়াল পেইজ থেকে এই মোবাইলটি অর্ডার করতে পারবেন । তবে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনাকে একটু বেশি খরচ গুনতে করতে পারে ।



গেমিং পারফরম্যান্স


গেম খেলার জন্য আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই রয়েছে যারা স্মার্টফোনগুলোকে টার্গেট করে থাকে । তবে অধিকাংশ মানুষ হয়ে গেম খেলার জন্য স্মার্টফোনগুলো কে বেছে নিয়ে থাকে ‌‌। এদের মধ্যে অনেকেই আবার হুয়াওয়ের নতুন এই মডেলটিকে গেম খেলার জন্য বেছে নিয়েছে । গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য এই মোবাইলটির ফিচার অনেকটাই ভালো । মেমোরি স্টোরেজ বেশী থাকার কারণে এই মোবাইলটি দিয়ে হ্যাঁং অথবা লেক ছাড়াই গেমগুলো খেলা যাবে । অনলাইন জগতের প্রথম সারির যে গেম গুলো রয়েছে যেমন ফ্রী ফায়ার এবং পাবজি হাই কোয়ালিটির গ্রাফিক্সের সাথে খেলা যাবে । গেমিং এর জন্য এই মডেলটির পারফরম্যান্স অনেকটাই ভালো বলে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়েছে । গেমিং পারফরমেন্সের জন্য এই মডেলটির পারফরম্যান্স সবার কাছে পছন্দ হয়ে থাকবে । গেম খেলার জন্য যে স্মার্টফোন গুলো রয়েছে তার মধ্যে এই মডেলটি 
অন্যতম ।





Nex


1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads