স্যামসাং প্রেমীদের জন্য Samsung Galaxy M33 হতে পারে সেরা আকর্ষণীয় স্মার্টফোন । যারা কিনা মোটামুটি প্রাইজের ভিতরে স্যামসাংয়ের ভালো মানের একটি স্মার্টফোন খুঁজছেন তাদের জন্য এই ফোনটি হতে পারে খুব আকর্ষণীয় ও মনের মত । কেন স্যামসাংয়ের এই নতুন এম থার্টি থ্রি মোবাইলটি সেরা বলা হচ্ছে ? কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা নতুন নিয়ে আসছে স্যামসাং কোম্পানি । স্যামসাং গ্যালাক্সি এম থার্টি টু-এর তুলনায় এটি কতটুকু হাই কোয়ালিটি হতে চলেছে । কত টাকার ভিতরে মোবাইল ফোনটি রাখা হয়েছে বা বাংলাদেশের বাজারে ফোনটি প্রাইস কত ? তবে এটি বলে রাখা ভাল স্যামসাংয়ের অন্যান্য মোবাইল হ্যান্ড সেট গুলোর তুলনায় নতুন এই স্যামসাং এম থার্টি থ্রি ফোনটিতে হাই কোয়ালিটি কি ব্যবহার ও নতুনত্ব আনা হয়েছে । আজকে আমরা এই রিভিউ তে জানার চেষ্টা করব । স্যামসাংয়ের এই নতুন হ্যান্ডসেট এর ভিতরে কি কি নতুন সুবিধা রাখা হয়েছে ।
Samsung Galaxy M33 মডেলটিতে আকর্ষনীয় ক্যামেরা পারফরম্যান্স লক্ষ করা যায় । ব্যাক ক্যামেরায় রয়েছে 64+8+5+5 মেগাপিক্সেলের কোয়াড ক্যামেরা । প্রাইমারি ক্যামেরাগুলো দিয়ে নাইট মোডে উজ্জল ছবি তোলা সম্ভব । ইমেজ বা ছবিগুলো জোম করার পর ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা কম । ফ্রন্ট ক্যামেরায় 20 মেগাপিক্সেল ব্যবহার করা হয়েছে যা দিয়ে চমকপ্রদ সেলফি ক্লিক ক্লিয়ার ভাবে তোলা যাবে । আলোর সুবিধার জন্য ব্যাক ক্যামেরার নিচে যুক্ত করা হয়েছে এলইডি ফ্লাসলাইট । যেকোন ভিডিও ফুল এইচডি মুডে রেকডিং এবং দেখা যাবে । আন্ডার ডিসপ্লেতে ক্যামেরা চারটিকে স্কয়ার আকারে সাজানো হয়েছে এবং এর ঠিক নিচই দেওয়া হয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ লাইট । প্রাইমারি ক্যামেরায় রখা হয়েছে এইচডিআর এবং পানোরামা এর মতো জনপ্রিয় ফিচার । প্রাইমারি ক্যামেরার পাশাপাশি সামনের ক্যামেরায় রয়েছে উন্নত মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ।
বর্তমান মোবাইলগুলোর মূল আকর্ষণ স্টোরেজ । আর সেই স্টোরেজের কথা মাথায় রেখে মডেলটিতে 6 জিবি রেম এবং 128 জিবি রোম ব্যবহার করা হয়েছে । মোবাইলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ন্যানো মেমোরি আপ টু 256 জিবি । যাদের বেশি স্টোরেজ এবং মেমোরি প্রয়োজন তাদের জন্য এ মডেলটি হতে পারে সেরা । স্টোরেজ বেশি থাকার কারণে মোবাইলটিতে মুভি, নাটক এবং প্রয়োজনীয় সকল ফাইল বা ডকুমেন্ট রাখা যাবে । স্যামসাংয়ের অন্যান্য মডেল গুলো থেকে এই মডেলটির মেমরি স্টোরেজ অনেক উন্নত । মেমোরি স্টোরেজ ভালো হওয়ার কারণে ফুল স্পিডে ব্যবহার করা যাবে যেকোনো সফটওয়্যার এবং অ্যাপস । উন্নতমানের স্টোরেজ থাকার কারণে মোবাইলটগ দ্রুতসম্পন্ন স্পিড দিতে সক্ষম । মেমোরি পারফরমেন্সের জন্য সকলের কাছেই এই মোবাইলটি জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারবে বলে ধারণা করা যায় ।
মোবাইলটি দিয়ে 2G ও 3G নেটওয়ার্কের সাথে 4G নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করবে । 2G নেটওয়ার্কে সর্বনিম্ন 800 এবং সর্বোচ্চ 1900 গতিতে নেটওয়ার্ক উপভোগ করা যাবে । অন্যান্য মোবাইল থেকে এই মোবাইলটি দিয়ে থ্রিজি নেটওয়ার্ক স্পিড বেশি পাওয়া যাবে । মোবাইলটিতে ফোরজি ভার্সন রয়েছে 1,3,5,7,8,20,38,40,41 । 5.0 ভার্সনের । আরও থাকছে ব্লুটুথ, জিপিএস, এফএম রেডিও,ওয়াইফাই এবং হটস্পট তারবিহীন নেটওয়ার্ক চালানো যাবে । ডুয়েল সিমকার্ড ব্যবহার করা যাবে ফুল স্পিডে । ডুয়েল সিম কার্ড ব্যবহার করেও উন্নত মানের নেটওয়ার্ক 4 জি উপভোগ করা যাবে । অনেকে স্মার্টফোনে আমরা দেখতে পাই ভালো নেটওয়ার্ক কানেকশন থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট সংযোগ ভালো পাওয়া যায় না । কিন্তু এই স্মার্টফোনটির ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সংযোগের বিষয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না বলে আমি আশা করি । এনএফসি এফএম রেডিও এবং ইনফারেট পোর্ট এর মত তারবিহীন নেটওয়ার্কগুলো ছাড়া বাকি সবগুলো ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যাবে অনায়াসে । উন্নতমানের নেটওয়ার্ক দেওয়ার জন্য এই স্মার্টফোনটি সর্বদাই
প্রস্তুত ।
স্মার্টফোনটিতে সুপার আ্যমোলেড টাইপ ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। বড় মাপের ডিসপ্লে রয়েছে যার সাইজ 6.5 ইঞ্চি । চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে MediaTek Heilo G95 । মডেলটিতে সিপিইউ রয়েছে Octa - Core(2×2. 0GHz cortex A75 & 6×1.8 GHz cortex-A55) এবং জিপিইউ রয়েছে Mali-G52 MC2 । আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো এই মোবাইলটির অপারেটিং সিস্টেমে এন্ড্রয়েড ভার্সন 12 ব্যবহার করা হয়েছে । মোবাইলটির ফুল বডির ওজন 196 গ্রাম । মোবাইলটির দৈর্ঘ্য 160 মিমি ও প্রস্থ 74 মিমি এবং পুরুত্ব 9 মিমি । মোবাইলটিকে লাল, কালো এবং নীল রঙে পাওয়া যাবে । মোবাইলের ডিসপ্লে প্রটেকশন হিসেবে রয়েছে গরিলা গ্লাস 3 শক্তিশালী গ্লাস । গরিলা গ্লাস থাকার কারণে মোবাইলটির ডিসপ্লেতে আরো মজবুত হিসাবে ব্যবহার করার সুবিধা থাকছে কারণ অনেকেই ভারী কাজ করতে গিয়ে কিংবা সহজে মোবাইল ডিসপ্লে ফাটিয়ে ফেলেন তাদের জন্য এই ফোনটি হতে পারে সেরা আদর্শ কারণ গরিলা গ্লাস সহজে ভাঙে না ।
মোবাইলটির ব্যাটারীতে নন রিমুভাল লিথিয়াম- পলিমার টাইপ ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। হাই কোয়ালিটি ও উন্নত মানের 6000 MAh শক্তিশালী ব্যাটারি রয়েছে ফোনটির সাথে এবং মোবাইলটি 15W দ্রুত চার্জ হবে । দেওয়া হয়নি ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম । ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য সাইড মাউন্টেডে রাখা হয়েছে মাল্টিপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর । যার ব্যবহার নির্ভুল এবং সঠিক । সিকিউরিটি প্রটেকশন আরো রাখা হয়েছে ফেস আনলকিং সিস্টেম । এই স্মার্টফোনটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা পেয়ে যাবে দারুন এবং ভালো মানের একটি ব্যাটারি ব্যাকআপ । তারবিহীন চার্জিং সিস্টেম এর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি তবে ফাস্ট চার্জিং ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । অন্যের হাত থেকে সুরক্ষা করার জন্য এই স্মার্টফোনটিকে নতুন এবং আকর্ষণীয় মানের সিকিউরিটি পদক্ষেপগুলো রাখা হয়েছে । সিকিউরিটি সিস্টেম গুলো অনেকটাই জনপ্রিয় বলে মনে হতে পারে ব্যবহারকারীদের কাছে এবং এগুলো ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী অনেকটাই সুরক্ষিত রাখতে পারবে তাদের স্মার্টফোনটিকে থাকা তথ্যগুলোকে ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর উন্নতির জন্য বর্তমানে অনলাইন থেকে যেকোনো পণ্য ক্রয় এবং বিক্রয় করা যায় । বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আমরা ঘরে বসেই অনলাইন থেকে এই মডেলটি অর্ডার করতে পারব । আমরা যে ওয়েবসাইট থেকে মডেলটি ক্রয় করতে চাচ্ছি সে ওয়েবসাইটটির শর্ততার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে । ডিজিটাল সময়ছ প্রায় প্রতিটা মানুষ অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে থাকে । যদি চান এই ফোন থেকে অনলাইন থেকে অর্ডার করতে তাহলে আপনি কিন্তু পারবেন । এই স্মার্টফোনটিকে অনলাইন থেকে অর্ডার করার সুযোগ রয়েছে । অনেকেই হয়তো জানেনা এই ফোনটিকে অনলাইন থেকে অর্ডার করতে হলে কি করতে হবে । স্মার্টফোনটি আমাদের দেশীয় ব্র্যান্ডের হওয়ার কারণে দেশের মার্কেটে এভেলেবেল ভাবে পাওয়া যাবে । এছাড়াও অনলাইনে ওয়ালটনের অফিশিয়াল পেজ রয়েছে সেখান থেকে আপনি চাইলে অর্ডার করতে পারবেন তবে এখানে কিছুটা খরচ বেশি পড়বে ।
মোবাইলটিতে 6 জিবি রেম এবং 128 জিবি রোম ব্যবহার করা হলেও দেওয়া হয়নি গেমিং প্রসেসর । যার কারণে গেম খেলা গেলেও আধুনিক গ্রাফিক্সের সাথে গেম প্লে করা যাবে না । তবে গেম খেলার মাঝে হ্যাং করার আশঙ্কা খুবই কম । গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য দেশীয় কোম্পানিগুলোর মডেল থেকে এই স্মার্টফোনটি অনেকটাই উন্নত । গেম খেলার জন্য ভালো মানের বিচার পাওয়া যাবে এই স্মার্টফোনটিতে । অনলাইন এবং অফলাইন যেকোনো গেমগুলোকে খেলা যাবে । কিন্তু এখানে নেটের সমস্যা হল অনলাইন জগতের হাই কোয়ালিটি অর্থাৎ প্রথম ধাপের গেম গুলো যেমন রয়েছে পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার আরো অন্যান্য গেয়গুলো খেলা যাবে ভালোভাবেই তবে কিছুটা ঘাটতি দেখা যাবে গ্রাফিক্স এর ক্ষেত্রে । গেম গুলো ভালোভাবে খেলা খেলাও পাওয়া যাবেনা উন্নত মানের গ্রাফিক্স ডিজাইন ।
বাংলাদেশে মোবাইলটি মূল্য
মডেলটিকে যেহেতু এখনো মার্কেটে রিলিজ করা হয়নি সেহেতু মডেলটির দাম এখনো নির্ধারণ করা যায়নি । তবে আশা করা যায় মডেলটির দাম 30,000 বা এর বেশি কম হতে পারে । তবে যতটুকু জানা গেছে অতি শীগ্রই ফোনটি বিশ্ববাজারে যে কোন সময় আসতে পারে । দেশের মার্কেটগুলোতে এখন পর্যন্ত এই মডেলটিকে রিলিজ করা হয়নি তার কারণে নির্ধারিত মূল্য সম্পর্কে কোন ধারণা এখনো কেউ বলতে পারবেনা । তবে এটা আশা করা যায় যে স্মার্টফোনটির মূল্যও 30000 টাকার কাছাকাছি থাকবে । স্মার্টফোনটিকে দেশের বাজারে অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল দুই ভাবেই পাওয়া যাবে । এক্ষেত্রে কোনো দ্বিমত নেই । অফিশিয়ালি স্মার্টফোনটি নির্ধারিত মূল্য ঠিক তখনই বলা যাবে যখন দেশের মাটিতে এই মোবাইল থেকে রিলিজ করা হবে ।
ওয়ালটন প্রেমীরা অবশ্যই মনে করতে পারে যে এই স্মার্টফোনটিকে এত টাকা দিয়ে ক্রয় করে ভালো মানের পারফরম্যান্স পাওয়া যাবে কিনা ? হ্যাঁ অবশ্যই ওয়াল্টনের অন্যান্য মডেলগুলো সচরাচর আমরা ভালো পারফরম্যান্স দেখতে পাই । অন্যান্য মডেল গুলোর পাশাপাশি এই মডেলটিতে ও কিন্তু আমরা পেয়ে যাব ভালো এবং উন্নতমানের পারফরর্মেন্স ও ফিচার । স্মার্টফোনটির প্রাইস মিডিয়াম লেভেলে থাকার কারণে দেশের সাধারন মানুষও ব্যবহার করতে পারবে । স্মার্টফোনটিকে রয়েছে ভালো মানের ডিসপ্লে এবং এর পাশাপাশি থাকছে আকর্ষণীয় মানের বডি ডিজাইন , ব্যাটারি এবং সিকিউরিটি পারফরমেন্স অনেক ভাল , স্টোরেজের কথা বলতে গেলে অনেকটাই উন্নত এই হ্যান্ডসেটটি । তবে গেমিং এর জন্য এই স্মার্টফোনটি কিন্তু নয় । যারা প্রকাশ অন্যভাবে গেম খেলার জন্য এই স্মার্টফোনটি বেছে নিতে চাচ্ছেন তাদের জন্য অনেকটাই দুঃখজনক তথ্য প্রকাশ করাছে ফোনটির গেমিং
গ্রাফিক্স ।
Wow
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন