Ads

বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেসগুলোতে আরো একটি জনপ্রিয় কোম্পানি হলো হুয়াওয়ে । হাই কোয়ালিটি স্মার্টফোনের পাশাপাশি লো কোয়ালিটির ভিতরে বিভিন্ন মডেল তারা মার্কেটপ্লেসগুলোতে রিলিজ করে থাকে । সিরিজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বলা হয় নোভা সিরিজকে । মার্কেটপ্লেসে আসার পর থেকেই স্মার্টফোনটি ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায় গ্রাহক অথবা কাস্টমারদের কাছে । সিরিজগুলো খুবই স্বল্প দামের ভিতরে খুব ভালো মানের মোবাইল ফোন উদ্ভাবন করে থাকে । Huawei Nova 8SE মডেলটি তার একটি প্রমাণ স্বরূপ । হুয়াওয়ের নতুন মডেলটির মূল আকর্ষণ হচ্ছে মেমোরি পারফরম্যান্স এবং বডি ডিজাইন । নতুন এই মডেলটি আমাদের মাঝে কেমন পারফরম্যান্স নিয়ে আসবে ? বাড়ির ডিজাইন এবং বডি স্টাইলে নিত্যনতুন কি যুক্ত থাকছে ? নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করা ঠিক হবে কিনা ? আসুন এক নজরে জেনে নেয়া যাক ।




হুয়াওয়ে নোভা 8 SE বাংলা ডিটেলস | Hauwei Nova 8 SE Youth Full Specifications



বডি লুক এবং ডিজাইন


স্মার্টফোনের বডিতে পাঞ্চ হোল স্টাইল দেওয়া হয়েছে । আকর্ষণীয় এক ডিজাইনের সাজে সজ্জিত করে রাখা হয়েছে মোবাইলটির ফুল বডিকে । গ্লাস ফ্রন্ট এবং গ্লাস ব্যাক রয়েছে বডি মেটারিয়ালে । মোবাইলটির বডির সুরক্ষার জন্য যা অনেকটাই কাজে আসবে বলে মনে হয়। এমন অনেক হ্যান্ডসেট আছে যা আমাদের হাত থেকে পড়ে গিয়ে ভেঙে যায় অথবা আঘাত পায় । কিন্তু এই ফোনটির ক্ষেত্রে আঘাত পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই । মোবাইলটি আকারে অনেকটা হাতের সাথে মানিয়ে নেওয়ার মতো । স্মার্টফোনটি ওজনে 179 গ্রাম হওয়ায় ব্যবহারে ততটা অসুবিধা মনে হবে না । কালো এবং সিলভার কালারে মার্কেটে পাওয়া যাবে । মোবাইলটির নিচের দিকে 3.5 এমএম হেডফোন জ্যাক এর সাথে থাকবে লাউডস্পিকার । স্মার্টফোনটির বডি ডিজাইন এবং ফিনিশিং খুবই দারুণ এবং আকর্ষণীয় । বডি ডিজাইনের জন্য হুআওয়ে কোম্পানির বিশেষ খ্যাতি রয়েছে ।


ব্যাটারি এবং সিকিউরিটি ব্যবস্থা


non-removable লিথিয়াম পলিমার টাইপের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে মোবাইলটিতে । ব্যাটারি ফ্রিকুয়েন্সি ততোটা খারাপ ব্যবহার করা হয়নি । ব্যাটারি ক্যাপাসিটি তে পাওয়া যাবে 4000mAh পাওয়ার । ব্যাটারি পাওয়ার একটু কম হয়ে গেছে এখানে আরেকটু নজর দিলে ভালো হতো বলে মনে হয় । কোন তারবিহীন চার্জিং সিষ্টেম রাখা হয়নি । তবে যে চার্জার বক্স পাওয়া যাবে মোবাইলটির সাথে সেটি দিয়ে 40 ওয়াট দ্রুতগতিতে চার্জ দেওয়া সম্ভব । মাত্র 60 মিনিটে ফোনটিকে ফুল চার্জ করে নেওয়া যাবে । আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই ফোনের ভিতরে সিকিউরিটি অপশন চালু করে রাখি । মাল্টিপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর আমাদের সবারই চেনা , যার উপস্থিতি লক্ষ করা যাবে এই মোবাইলটিতে । পাশাপাশি থাকবে এক্সেলেরোমিটার , প্রক্সিমিটি , গায়রো , কম্পাস ইত্যাদি । যা দ্রুত ভাবে শনাক্তকরণে সহায়তা করবে ।


প্রাইমারি এবং সেলফি ক্যামেরা


মোবাইলটির প্রাইমারি ক্যামেরায় ত্রিপল রেয়ার ক্যামেরা কালেকশন দেখা যায় । প্রাইমারি ক্যামেরার ওয়াইড ফাংশনে 48 মেগাপিক্সেলের উপস্থিতি দেখা যাবে , ম্যাক্রো ক্যামেরা ফাংশনে থাকছে 2 মেগাপিক্সেল এবং ডেপ্ট ক্যামেরায় দেওয়া হয়েছে 2 মেগাপিক্সেল । অটোফোকাস , এইচডিআর , নাইট মোড , ডিএসএলআর মোড , স্ক্রীন ফ্লাশ সহ আরো অনেক মোডে ছবি ক্লিক করা সম্ভব । ফ্রন্ট ক্যামেরায় থাকছে 16 মেগা পিক্সেলের একটি আকর্ষণীয় ক্যামেরা । ফ্রন্ট ক্যামেরা দিয়ে এইচডিআর এবং পানোরামা মোডে ছবি তোলা যাবে । এলইডি ফ্ল্যাশ লাইট এর উপস্থিতি প্রাইমারি ক্যামেরা সাথে । 1080 পিক্সেলে যেকোন ভিডিও রেকর্ডিং এবং দেখা যাবে । স্মার্টফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরায় থাকছে ট্রিপল রেয়ার আইটেম । ক্যামেরা তিনটের পাশাপাশি ফ্রন্ট ক্যামেরায় থাকছে 16 মেগা পিক্সেলের একটি আকর্ষণীয় মানের ক্যামেরা কাটাউট ।



স্টোরেজ অথবা মেমোরি


মোবাইলটিতে আলাদা ভাবে কোন মেমোরি কার্ড স্লট ব্যবহার করা হয়নি । ইন্টার্নাল মেমোরিতে 8 জিবি রেম পাওয়া যাবে । রোম হিসেবে পাওয়া যাবে 128 জিবি । মেমোরি পারফরম্যান্স আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনেকটাই ভালো লেগেছে । অনেকটা পরিমাণের স্টোরেজ ব্যবহার করার কারণে ফাস্টেস্ট গতিতেই মোবাইলটিকে ব্যবহার করা যাবে । যেকোন ভার্সনের অ্যাপস অথবা সফটওয়্যার খুব সহজেই এখানে সাপোর্ট করবে । এছাড়াও প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই এখানে সংগ্রহ করে রাখা যাবে । স্মার্ট ফোনের মেমোরি পারফরম্যান্স নিয়ে কারো কোন প্রশ্ন নেই । তার মূল কারণ হলো এই স্মার্টফোনটির অভ্যন্তরীণ মেমরি স্টোরেজে রয়েছে বিপুল পরিমাণ জায়গা এবং এছাড়াও আলাদাভাবে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে স্টোরেজে বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ । সব মিলিয়ে এই স্মার্টফোনটির মেমোরি পারফরম্যান্স অথবা স্টোরেজ ডেকোরেশন অনেকটাই ভালো যা দিয়ে দ্রুত গতিতে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করা যাবে ।


গেমিং পারফরম্যান্স


বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় প্রথম সারির গেম গুলো যেমন ফ্রী ফায়ার এবং পাবজি এই মোবাইলটি দিয়ে ততটা ভাল পারফরম্যান্স করবে না । কেননা মোবাইলটিতে আলাদাভাবে কোন গেমিং প্রসেসর ব্যবহার করা হয়নি । যার কারণে গেম খেলা গেলেও পাওয়া যাবেনা ভালোমানের গ্রাফিক্স । অফলাইন গেম গুলো খেলা যাবে ভালোভাবেই । একটি স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইনে গাড়ির গেম গুলোকে খেলতে হলে অবশ্যই সেই স্মার্টফোনটিতে নিম্নতম 3 জিবি রেম থাকা প্রয়োজন কিন্তু এই দিক বিবেচনা এই স্মার্টফোনটিকে আমরা পেয়ে যাব 8 জিবি রেম ব্যবহারের সুযোগ । যার কারণে অনলাইন গেম গুলোকে ফেলার জন্য খুব ভালো মানের মুভমেন্ট পাওয়া যাবে । কিন্তু মূল সমস্যা হলো এই স্মার্টফোনটিকে অনেকেই রয়েছে যারা লাইভ স্ট্রিম করতে চাইবে তাদের জন্য এই স্মার্টফোনটি ততটা ভালো মানের ফিচার দিতে পারবে না । 


ডিসপ্লে টাইপ এবং অপারেটিং সিস্টেম


সুপার আইপিএস এলসিডি ক্যাপাচিতিভ টাইপ ডিসপ্লে প্যানেল রয়েছে । ডিসপ্লে প্যানেলটিতে থাকছে 16 মিলি কালার সাপোর্টেড । 6.6 ইঞ্চি আকৃতির বৃহৎ আকৃতির ডিসপ্লে রয়েছে । যা দিয়ে ভিডিও প্লেব্যাক দেখতে সুবিধা হবে । ডিসপ্লে প্যানেলটিতে রয়েছে 399 পিপিআই ডেনসিটি । 1080×2400 পিক্সেল এর ফুল এইচডি ভিডিও রেজুলেশন রয়েছে । ডিসপ্লেতে রয়েছে multi-touch এর মত সুবিধা । অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যানড্রয়েড ভার্সন 10 । গেমিং ভিডিও গ্রাফিক্সের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে মালি G51 MP4 । মোবাইলটি প্রসেসরে লক্ষ্য করা যায় অক্টাকোর এর মত জনপ্রিয় প্রসেসর । স্মার্টফোনটি রেজুলেশনের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাব এখানে রয়েছে ফুল এইচডি টাইপের এলইডি প্যানেল । যার কারণে যে কোন ভিডিও অথবা কনটেন্ট দেখার জন্য আমাদের কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না ।


নেটওয়ার্ক কানেকশন


মোবাইলটির নেটওয়ার্ক টেকনোলজিতে টুজি এবং থ্রিজি নেটওয়ার্কের পাশাপাশি ব্যবহার করা যাবে দেশের নাম্বার ওয়ান ফাস্টেস্ট নেটওয়ার্ক স্পিড 4 জি । ফোরজি নেটওয়ার্কে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ 42.2 এমবিপিএস নেটওয়ার্ক স্পিড উপভোগ করা যাবে । ফোরজি নেটওয়ার্ক এর কিছু ভার্সন রয়েছে সেগুলো হলো 1,2,3,4,5,6,8,9,18,19,26,34,38,39,40,41 । 5.1 ভার্সন এর ব্লুটুথ, ওয়াইফাই , হটস্পট ব্যবহার করা গেলেও এখানে পাওয়া যাবেনা এনএফসি । আপনি যদি এই স্মার্টফোনটি দিয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এর পাশাপাশি ব্রাউজিং করতে চান তাহলে এই স্মার্টফোনটি আপনার জন্য অনেকটাই ভালো মানের ফিচার দিতে সক্ষম হবে । দেশের যেকোনো জায়গা থেকে বেশি স্মার্ট কোনটির মাধ্যমে আপনি দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন । ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ধীরগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট মুখোমুখি কখনোই হতে হবে । স্মার্টফোনটি দিয়ে দুটি সিম অর্থাৎ ডুয়েল সিম কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ থাকছে ।


অনলাইন থেকে অর্ডার করা যাবে কিনা ?


এই সময়ে অনলাইন থেকে কেনাকাটা করার জন্য ই-কমার্স একটি জনপ্রিয় সাইট । তাছাড়া আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকেই অনলাইন থেকে পণ্য সামগ্রী কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ অনুভব করে । প্রতিটা মানুষই এখন ই-কমার্স সেবা গ্রহণ করে অনলাইন থেকে কিছু না কিছু পণ্য সামগ্রী ক্রয় করে থাকে । হুয়াওয়ে কোম্পানির নতুন মডেলটিকেও ই-কমার্স সেবার মাধ্যমে অনলাইন থেকে অর্ডার করা যাবে । তবে এ ক্ষেত্রে মূল্যটা একটু বেশি দিতে হতে পারে । বর্তমান সময়ে মার্কেটে গিয়ে স্মার্টফোনগুলো ক্রয় করার আগ্রহ অনেকের মধ্যেই দেখা যায় না । আমাদের দেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে এখন মানুষ ঘরে বসে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে স্মার্টফোনগুলো অর্ডার করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করে থাকে ।  বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস ছাড়াও এই স্মার্টফোনটিকে আমরা অনলাইন থেকে অর্ডার করে নিতে পারবো ।


রিলিজের সময় এবং বাংলাদেশি প্রাইস


হুয়াওয়ে কোম্পানির নতুন মডেলটিকে আন্তর্জাতিক মার্কেট এর পাশাপাশি বাংলাদেশে রিলিজ করা হয় আগস্ট , 2021 । কোম্পানিটির তথ্য অনুযায়ী পাওয়া যায় মার্কেটপ্লেসগুলোতে এই মোবাইলটিকে অফিশিয়াল ভাবে পাওয়া যাবে । বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেসগুলোতে এই মোবাইলটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৳25,000 টাকা । হুয়াওয়ে কোম্পানিগুলো মিড রেঞ্জের ভিতরে অনেক মডেল মার্কেটে রিলিজ করে থাকে সেগুলোর মধ্যে এই মডেলটি একটি অন্যতম এবং গ্রাহকদের কাছে ব্যাপকভাবে পরিচিত । তবে এই স্মার্টফোনটির মূল্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হতে পারে । স্মার্টফোনটির মূল্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হতে পারে । এটা নির্ভর করবে আপনি যে দেশ থেকে ফোনটি কিনতে চাচ্ছেন সেই দেশের কারেন্সির উপর । আর ঠিক এই জন্যেই বহিরাগত দেশগুলোতে স্মার্টফোন গুলোর মূল্য কিছুটা কম পাওয়া যায় । স্বল্পমূল্যের ভিতরে হুয়াওয়ে একটি ভাল মানের স্মার্টফোন মার্কেটে রিলিজ করেছে । 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads