Ads

শাওমি কোম্পানির মার্কেটপ্লেস দিন দিন বড় হতে চলেছে । ব্রান্ডটি কাস্টমারদের চাহিদা মিটিয়ে মার্কেটে রিলিজ করছে একের পর এক নতুন মডেল । শাওমি লাভারদের জন্য কোম্পানিটি নতুন করে মার্কেটে নিয়ে আসলো নতুন আকর্ষণ Xiaomi Redmi 10 prime । এমআই সিরিজের নতুন মডেল রেডমি 10 প্রাইম ভারতের মার্কেটপ্লেসে রিলিজ করা হয়েছে । মোবাইলটিকে ভারতের মার্কেটসহ বিভিন্ন দেশের মার্কেটপ্লেসগুলোতে রিলিজ হয়েছে । মডেলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে দুর্দান্ত ফিচার ও আকর্ষণীয় লুক । ক্যামেরা প্লাস গেমিং পারফরম্যান্সের জন্য মোবাইলটি অনেকটাই সুপরিচিত । শাওমির নতুন এই মোবাইলটিতে আকর্ষণীয় কি কি এই ? নির্ধারিত বাজেট অনুযায়ী মোবাইলটির পারফরম্যান্স কেমন ? ফোনটে ব্যবহারে কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা মুখোমুখি হতে হবে , ফুল স্পেসিফিকেশনসহ আলোচনা করা হলো ।



এমআই নোট 10 প্রাইম | Xiaomi Redmi 10 Prime Price in Bangladesh


এলসিডি প্যানেল কোয়ালিটি এবং ডিজাইন


পাঞ্চ হোল কাটিংয়ের একটি এলসিডি প্যানেল রয়েছে যার রিফ্রেশ রেট থাকবে 90 হার্জ । ডিসপ্লে 
কোয়ালিটিতে ব্যবহার করা হয়েছে আইপিএস এলসিডি ক্যাপাচিতিভ টার্চ স্ক্রীন যেখানে সাপোর্ট করবে 16 মিলি কালার । এলসিডি প্যানেলের সাইজ 6.5 ইঞ্চি , যারা বড় আকারের ডিসপ্লে পছন্দ করে থাকেন এই মডেলটির ডিসপ্লে তাদের কাছে অনেকটাই ভাল লাগতে পারে । স্কিন টু বডির রেটিও রেট ব্যবহার করা হয়েছে 
~83.7% । ডিসপ্লেতে ফুল এইচডি রেজুলেশন থাকছে 
1080×2400 পিক্সেল । ডিসপ্লের ঘনত্ব লক্ষ্য করা যায় 405 পিপিআই ডেনসিটি । এছাড়াও ডিসপ্লে ফিচারে পাওয়া যাবে মাল্টিটাচ এর উপস্থিতি । ডিসপ্লের প্রটেকশনের কথা মাথায় রেখে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিল্লা গ্লাস 3 । প্রটেকশন গ্লাসটি মোবাইলটিকে আঘাতের হাত থেকে সুরক্ষা রাখতে অনেকটা ভূমিকা পালন করে থাকবে । 


নেটওয়ার্ক সিস্টেম


2 জি , 3 জি নেটওয়ার্ক স্পিড এর পাশাপাশি 4 জি নেটওয়ার্ক সংযোগে মোবাইলটিকে রাখা যাবে । নেটওয়ার্ক টেকনোলজিতে থাকছে জিএসএম , 
এইচএসপিএ এবং এলটিই নেটওয়ার্ক কানেকশন । 2 জি ব্যান্ডে প্রতি সেকেন্ডে সর্বনিম্ন 850 এবং সর্বোচ্চ 1900 এমবিপিএস নেটওয়ার্ক স্পিড উপভোগ করা যাবে । থ্রিজি ব্যান্ড চালু রেখে প্রতি সেকেন্ডে সর্বনিম্ন 850 এবং সর্বোচ্চ 2100 mbps পর্যন্ত নেটওয়ার্ক স্পিড পাওয়া যাবে ‌‌। ফাস্টেস্ট নেটওয়ার্ক স্পিড 4 জি ব্যবহার করা যাবে প্রতি সেকেন্ডে 42.2 এমবিপিএস । ফোরজি নেটওয়ার্ক এর ভার্সনগুলো হল 1,3,5,8,40,41 । তারবিহীন নেটওয়ার্কগুলো যেমন wifi-direct , ওয়াইফাই dual-band , হটস্পট , জিপিএস , 4.2 মডেলের ব্লুটুথ , এফএম রেডিও ব্যবহার করা যাবে । সুযোগ থাকছে না এনএফসি ব্যবহার করার । ইউএসবি ক্যাবল রয়েছে ইউএসবি type-c 2.0 মডেল । nano-sim এর সাথে চালু রাখা যাবে হাইব্রিড ডুয়েল সিম ।


ব্যাটারি পাওয়ার


হাই কোয়ালিটি পাওয়ার এর ভিতরে মিডিয়াম টাইপের ব্যাটারি পারফরম্যান্স ব্যবহার করা হয়েছে । non-removable লিথিয়াম পলিমার টাইপের ব্যাটারি ক্যাপাসিটিতে থাকছে 6000mAh শক্তিশালী পাওয়ার । শাওমির রিলিজ করা অন্যান্য মডেল গুলোর মধ্যে এই মডেলটিতে ব্যাটারি পারফরমেন্স একটু ভালো দেখা 
যায় । স্মার্টফোনটির সাথে যে চার্জার বক্স দেওয়া হয়েছে সেটি দিয়ে 33 ওয়াট দ্রুত গতিতে চার্জ দেওয়া যাবে । এছাড়াও এই মোবাইলটিতে থাকছে রিভার্স চার্জিং সিস্টেম অর্থাৎ এই স্মার্টফোনটি থেকে অন্য একটি স্মার্টফোনে চার্জ আদান-প্রদান করা যাবে । এই স্মার্টফোনটিকে যখন গ্লোবাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে রিলিজ করা হয়েছিল তখন এর ব্যাটারি ক্যাপাসিটিতে ছিল 5000 mAh কিন্তু এই ডিভাইসটি যখন ভারতের মার্কেটপ্লেসে রিলিজ করা হয় তখন এখানে দেওয়া হয় 6000 mAh পাওয়ার । এছাড়াও এই স্মার্টফোনটিতে আপনি 9 ওয়াটের রিফাত চার্জিং সিস্টেম পেয়ে যাবেন । অর্থাৎ এই স্মার্টফোনটি থেকে আপনি অন্য একটি স্মার্টফোনে পাওয়ার ডেলিভারি করতে পারবেন ।


ক্যামেরা সেটআপ


স্মার্টফোনের ক্যামেরা পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব এখানে ব্যবহার করা হয়েছে কোয়াদ ক্যামেরা ফাংশন । প্রাইমারি সেন্সরের ওয়াইড ফাংশনে দেওয়া হয়েছে 50 মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা । প্রাইমারি ক্যামেরাটির ফিচারে থাকছে পিডিএফ । আল্ট্রা ওয়াইড ফাংশনে 8 মেগাপিক্সেল এর উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায় । আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা ফাংশন থেকে 120 ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ইমেজ তোলা যাবে । 2 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরার পাশাপাশি থাকছে 2 মেগাপিক্সেলের ডেপ্ট সেন্সর ‌‌। ফুল এইচডি 1080 পিক্সেলে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে । প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে সংযুক্ত রাখা হয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশ লাইট । সামনের ক্যামেরায় পাওয়া যাবে এক মেগাপিক্সেল , যা দিয়ে ভালো মানের ছবি তোলা সম্ভব । ফ্রন্ট ক্যামেরার ফিচারে পাওয়া যাবে এইচডিআর এবং পানোরামা এর সুবিধা । ক্যামেরা পারফরম্যান্সের দিকে আরেকটু নজর দিলে হয়তো ভালো হতো ।


স্টোরেজ এবং প্রসেসর


স্টোরেজের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে দেখতে পাওয়া যাবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে microSDXC ডেডিকেটেড স্লট । ইন্টার্নাল মেমোরিতে থাকছে দুইটি ভেরিয়েন্ট , রেম হিসেবে পাওয়া যাবে 4/6 জিবি । অপরদিকে রোম ব্যবহার করা হয়েছে 64/128 জিবি । মেমোরি পারফরম্যান্স মিডিয়াম থাকার কারণে ফোনটিকে মোটামুটি ভালো স্পিডে ব্যবহার করা যাবে । এছাড়াও থাকবে প্রয়োজনীয় সকল কিছু সংগ্রহ করে রাখার সুবিধা । অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যানড্রয়েড ভার্সন 11 । চিপসেটে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক এর নতুন মডেল । প্রসেসর প্লাটফর্মে অক্টাকোর এর উপস্থিতি দেখা যায় । গেমিং গ্রাফিক্স এর জন্য থাকছে Mali - G52 । এই স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেমে যে বিষয়টি আমাদের কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগবে সেটি হল এই স্মার্টফোনটিতে একেবারে নতুন‌ চিপসেট দেখা যাবে ।


সিকিউরিটি সিস্টেম


আমাদের মোবাইল ফোনের সুরক্ষার জন্য প্রায় সকলেই সিকিউরিটি সিস্টেম অনুসরণ করে থাকি । তার মধ্যে বর্তমান সময়ে বহুল ব্যবহৃত সিকিউরিটি ব্যবস্থাটি হল মাল্টিপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর । এই মডেলটিতেও মাল্টিপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এর উপস্থিতি দেখা যায় । মোবাইল ফোনটির rear-mounted এ সেট করার ফলে খুব সহজেই ব্যবহারকারী সেন্সরটিকে ব্যবহার করতে পারবে । খুবই দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে শনাক্তকরণে সেন্সর এর ভূমিকা অনস্বীকার্য । ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর এর পাশাপাশি আরও থাকছে অ্যাক্সেলেরোমিটার , প্রক্সিমিটি , কম্পাস , গায়েরো ইত্যাদি পদ্ধতি । সিকিউরিটি পদক্ষেপগুলো অদ্বিতীয় ভাবে শনাক্ত করতে সফলতা লাভ করবে । এই স্মার্টফোনটির সিকিউরিটি সিস্টেমে জনপ্রিয় মাল্টিপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিস্টেম । সিকিউরিটি সিস্টেম গুলো অনেকটাই ফাস্ট এবং দ্রুত গতিতে আনলক করতে সফল । ডিভাইসটির ডান পাশে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর । 


বডি লুক এবং ডিজাইন


মোবাইলটির ফুল বডি পলি কার্বন দিয়ে ঘেরা । বডির সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে গরিল্লা গ্লাস । 192 গ্রাম ওজনের মোবাইলটিকে কালো , সাদা এবং নীল ভিন্ন তিনটি কালারে পাওয়া যাবে । ধুলোবালি এবং পানিরোধক সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে মোবাইলটির সুরক্ষার জন্য । ডান পাশে থাকবে গুগোল অ্যাসিস্ট্যান্ট বাটন এবং ভলিউম বাটন আবার বাম পাশে রয়েছে সিম কার্ড স্লট । মোবাইলটির নিচের দিকে রয়েছে 3.5 এমএম হেডফোন জ্যাক এর সাথে পাওয়া যাবে লাউডস্পিকার । স্মার্টফোনটির একেবারে নিচের দিকে আমরা পেয়ে যাব ডুয়েল স্পিকার এবং 3.5 এমএম হেডফোন জেক । বডির ব্যাক সাইটে রয়েছে রেডমি কোম্পানির লোগো । বডির ডানপাশে রয়েছে পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম আপ-ডাউন বাটন । বডির একেবারে সামনে রয়েছে ফ্রন্ট ক্যামেরা কাটাউট । বডি ডিজাইন এবং বডি কোয়ালিটি আমাদের সকলেরই পছন্দ হওয়ার কথা ।


অনলাইন থেকে ক্রয় করা যাবে কিনা ?


এখন ঘরে বসে শপিং করাটা স্বপ্নের মতো লাগলেও এটা কিন্তু বাস্তবে পরিণত হয়েছে ‌‌। একটি মোবাইল অথবা ল্যাপটপ দিয়ে খুব সহজেই কিন্তু অনলাইন থেকে যেকোনো পণ্য সামগ্রী ক্রয় করা যায় । এই 
মোবাইলটিকে আমরা খুব সহজেই অনলাইন থেকে অর্ডার করতে পারব । তবে এখন আমরা অনেকেই হয়তো ভাবতে পারি যে অনলাইনে এই স্মার্টফোনটি পাওয়া যাবে কিনা আর থাকলেও আমরা ঠিক কীভাবে এই পণ্যটিকে অনলাইনের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারবো । এমআই এর বিভিন্ন শহর ছাড়াও আমাদের দেশে রয়েছে এমআই কোম্পানির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট । অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে শুধু আমরা এই মডেলটা নয় এর সাথে সাথে এমআই কোম্পানির রিলিজ করা প্রতিটি মডেল অর্ডার করতে পারব । এই স্মার্টফোনটিকে এমআই কোম্পানির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অর্ডার করার জন্য আপনাকে হয়তো কিছুটা বেশি খরচ করতে হতে পারে ।


রিলিজের সময় এবং প্রাইস


Xiaomi Redmi 10 Prime মোবাইলটিকে 7 সেপ্টেম্বর , 2021 দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো রিলিজ করা হয় । মার্কেটে আসার পর থেকেই কাস্টমারদের আকর্ষণ তুলনামূলকভাবে একটু বেশি । শাওমি লাভারদের জন্য অত্যন্ত সুখবর নিয়ে মার্কেটে চলে আসলো এই মডেলটি । মার্কেটে মোবাইলটির বর্তমান বাজার মূল্য ৳18,000 টাকা । এখন আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে এই স্মার্টফোনটি মিডিয়াম রেঞ্জের ভেতরে রয়েছে । তাহলে কি আমরা এই স্মার্টফোনটি দিয়ে হাই কোয়ালিটির পারফরমেন্স পাবো । শাওমি কোম্পানিগুলো তাদের রিলিজ করা স্মার্টফোনগুলোতে বেশিরভাগ সময়ে মিডিয়াম রেঞ্জের ভেতরে রেখে থাকে । যাতে করে উচ্চমানের লোকের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ও তাদের স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার করার সুবিধা পেতে পারে । এই স্মার্টফোনটির পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে আমরা অবশ্যই দেখতে পাবো এখানে প্রায় প্রতিটি অংশই আপডেট রয়েছে । 









Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads