Ads

কথায় বলে যে জিনিসের শুরু আছে সে জিনিসের শেষও রযছে সেই কথাটি যেনো সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হয়ে গেল ই-কমার্স কিংবা এফ কমার্স এর ক্ষেত্রে কিছু কুলাঙ্গারের কোম্পানির কারণে ই-কমার্স কিংবা এফ কমার্স বিজনেস কলুষিত হয়েছিল সেটা আপনারা অনেকেই জানেন এখন এমন একটা সময়ে এসে দাঁড়িয়েছে অনেক মানুষই অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে ভয় পায় ।

মানুষ ভয় পাবে না কেন যদি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারিত হয় তাহলে সেই গাহক আর তার প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ টিও পায় না ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে পারে না কারণ ওই প্রতিষ্ঠানটি যে কোথায় থেকে পরিচালিত হচ্ছে সেটি আসলে কেউ বলতে পারে না শুধু ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তারা বিজনেস করে থাকে ।


এতদিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনির্দিষ্ট কোন ঠিকানা ছিল না ধরেন মানুষ বিজনেস করতো টেকনাফ থেকে বলে দিত তেঁতুলিয়া থেকে পরিচালিত হচ্ছে এমন একটা অবস্থা এই কারণে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হওয়া সত্ত্বেও কোনো রকমের সহযোগিতা কোন জায়গা থেকে পাচ্ছিল না । এই সমস্যার গুলোর একটি সহজ সমাধান নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ।

এখন থেকে ই-কমার্স কিংবা অফ কমার্স কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি যদি বিজনেস করতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে ইউনিক আইডি সংগ্রহ করতে হবে অন্যথায় কখোনই সেই প্রতিষ্ঠান কিংবা সেই ব্যক্তি ই-কমার্স এবং এফ কমাস বিজনেস করতে পারবে না মূলত ডিজিটাল কেনাকাটা কে নিরাপদ করার জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ।


এছাড়াও আসতে চলেছে অনলাইনে দুনিয়ায় কমপ্লেন ম্যানেজমেন্ট নামে সফটওয়্যার কিংবা অ্যাপ্লিকেশন যার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের প্রাপ্য সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবে খুব সহজে এছাড়াও আসতে চলেছে নতুন পেমেন্ট মেথর নতুন আঙ্গিকে ।

আজ বুধবার ১৯ জানুয়ারি 2022 এক অনুষ্ঠানে এসব বিষয় আসতে চলেছে এমনটাই জানিয়েছেন আইটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক উপস্থিত থেকে এই ধরনের কথাগুলো জানিয়েছেন ।



ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ইউনিক আইডি বাধ্যতামূলক করা হলো | এটি করাতে লাভ কার হবে?


ইউনিক আইডি কি?


ধরেন আপনি একটি নতুন স্মার্টফোন কেনার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন কিংবা একটি ল্যাপটপ কেনার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন অথবা যেকোনো পণ্য হতে পারে এখন আপনার পছন্দের পণ্যটি দেখতে পেলেন ফেসবুকে কিংবা গুগলে গিয়ে ওই প্রোডাক্টটি পাওয়া যাচ্ছে আপনি অর্ডার করলেন পণ্যটি পাওয়ার জন্য পেমেন্ট করে দিলেন দেখা গেল ওই পণ্যটি আপনার কাছে এসে পৌঁছালো না আর যদি এসে পৌঁছায় ও মানসম্মত পণ্য আপনি পেলেন না তখন আপনি কি করবেন? ।

নিশ্চয়ই আপনি ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমপ্লেন করবেন কিন্তু আপনার কমপ্লেন কে শুনবে আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের নামে কমপ্লেন করবেন সেই প্রতিষ্ঠানটি কি আসলেই কোন ভেলু রয়েছে? তাদের কি কোন ঠিকানা রয়েছে? যদি ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো ঠিকানা না থাকে তাহলে আপনি কমপ্লেন করেই কি লাভ হবে? ।

এই ধরনের সমস্যা গুলো যাতে ভবিষ্যতে আর না হয় এজন্যই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে অর্থাৎ এখন যদি কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন ব্যক্তি যদি ই-কমার্স অথবা এফ কমার্স বিজনেস চালু করতে চায় কিংবা চালু করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে ইউনিক আইডি নিতে হবে । ইউনিক আইডি কি অনেকে নাও বুঝতে পারেন ইউনিক আইডির কাজটি অনেকটা উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন আইডির মতনই হয়ে থাকবে ।

অর্থাৎ ধরেন আপনার একটি নতুন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে কিংবা আপনি নতুন করে চালু করতে চাচ্ছেন সেটি করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সরকারের পক্ষ থেকে নিতে হবে একটি ইউনিক আইডি যদিও এটি নিতে কোনো রকমের টাকা-পয়সা খরচ হবে না বলে জানানো হয়েছে তবে সেই ইউনিক আইডি টি নিতে হলে অবশ্যই ন্যাশনাল আইডি কার্ড অনুযায়ী সকল ইনফরমেশন দিতে হবে ।

এবং সেই ইউনিক আইডি নম্বর অবশ্যই ওয়েবসাইট এর ভিতরে রাখতে হবে যাতে কাস্টমাররা সেটি দেখতে পায় এখন বিষয়টি বুঝুন একটি মানুষ যখন জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে ভেরিফাই করে একটি ইউনিক আইডি নেবে সেই আইডি নেওয়ার জন্য কিন্তু তাকে পূর্ণাঙ্গ অ্যাড্রেস কিংবা সকল কিছু কিন্তু যাচাই করার পর এই সরকারের পক্ষ থেকে ইউনিক আইডি টি প্রদান করা হয়ে থাকবে সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি যদি কোন রকমের প্রতারণা করে তাহলে অবশ্যই তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে ।

এই ইউনিক আইডি থাকার কারণে যদি আপনি কোন পণ্য কিনে প্রতারিত হন তাহলে ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে আপনি বা আপনারা আমরা অভিযোগ করতে পারব আর তখনি কিন্তু সরকারের যে কমপ্লেন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ্লিকেশনটি রয়েছে কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে সেই কমপ্লেইনের বিপরীতে সমাধান নিয়ে হাজির হবে এবং এই প্রতিষ্ঠানটিকে যেহেতু যাচাই করা যাবে সেহেতু সমাধানটা খুব সহজে পাওয়া যাবে ।



কোন কোম্পানি ভালো সার্ভিস দেবে বুঝবো কিভাবে?



লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন কিংবা এই মুহূর্তে রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় যে বাংলাদেশের তিন হাজারের কাছাকাছি ই-কমার্স বিজনেস ওয়েবসাইট রয়েছে এছাড়াও 50 হাজারেরও বেশি ফেইসবুক ভিত্তিক ব্যবসায়ীক রয়েছে তাহলে বুঝতে পারতেছেন বাজার এর সাইজ কত বড় ।

এই যে ব্যাপক সংখ্যক লোকজন ই-কমার্স ব্যবসা করতাছেন এদের ভিতর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তির কোনো রকমের নিবন্ধন ছাড়াই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এজন্যই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন প্রতারণা করার পরেও এই সব সমস্যার সমাধান করার জন্যই ইউনিক আইডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এটি যে প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানে দেখতে পাবেন সেই প্রতিষ্ঠানটি থেকে পণ্য কিনে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে ।


তবে এটি ভুলে গেলেও চলবে না অনেক প্রতারক প্রতিষ্ঠানঃ হয়তোবা থাকতে পারে তারা ভুয়া আইডি তৈরি করে ওয়েবসাইটে কিংবা ফেসবুকে রেখে মানুষকে বোকা বানাতে পারে এজন্য অবশ্যই ওই ইউনিক আইডিটি যে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে সেটি অবশ্যই যাচাই করে নেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ তারপরে যদি দেখেন ওই প্রতিষ্ঠান যদি সঠিকভাবে ইউনিক আইডি সরকারের পক্ষ থেকে নিয়ে থাকে প্রমাণিত হয় তাহলে কেবল ওখান থেকে পণ্য কেনা যেতে পারে ।


এগুলোর কারণে লাভ হবে কার বেশি?


সরকারের এই নতুন পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার কারণে ব্যক্তিগতভাবে আমার যেটা মনে হয়েছে সেটা হলো জনগণের কিংবা সাধারণ গ্রাহকদের লাভ হবে সবচাইতে বেশি কারণ তারা তাদের ন্যায্য অধিকার অনুযায়ী পণ্য পে থাকবে প্রতারিত হওয়ার কোন ভয় থাকবে না সঠিক সময় গুণগতমান বজায় রেখে পণ্য পেয়ে থাকবে এমনটা আশা করাই যায় ।

তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো কিংবা ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যে লাভবান হবেন না এরকম কিন্তু নয় তারাও পণ্য বিক্রি করে লাভবান হবেন এবং টার্গেট কাস্টমারের কাছে তাদের পণ্যটি পৌঁছে দিতে পারবেন তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ওই সমস্ত কুলাঙ্গারা যারা এতদিন মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ।

সরকারের এই পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে আরও একটি আশার আলো হচ্ছে বিনিময় নামে নতুন একটি পেমেন্ট গেটওয় মাধ্যম আসতে চলেছে যেটির মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে তবে বিকাশ, নগদ সহ বিভিন্ন ব্যাংক টেনাসফার এর মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুবিধা তো থাকছেই । তবে বন্ধুরা বলে রাখা ভাল এই সব কয়টা বিষয়গুলি প্রসেসিংয়ে এখন প্রক্রিয়াধীন পর্যায়ে রয়েছে তবে 2022 ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই সার্ভিসগুলো step-by-step চালু হতে থাকবে ।


বর্তমানে ই-কমার্সের বাজার রয়েছে বাংলাদেশে 2800 কোটি টাকার এবং 2023 সালের দিকে এটি দাঁড়াতে পারে চাইর হাজার পাঁচশ কোটি টাকারও বেশি ।

বন্ধুরা আপনারা যারা অনলাইন থেকে কেনাকাটা করে অভ্যস্ত হয়েছেন তারা কিংবা নতুন করে যারা অনলাইনে কেনাকাটা করার অভ্যাস করতে চাচ্ছেন তাদের কাছে আজকের আর্টিকেলটি কেমন মনে হয়েছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads