Ads

জনপ্রিয় ব্রান্ড রিয়েলমির বেশ কিছু অফিসিয়াল স্মার্টফোন মার্কেটে রয়েছে । রিয়েলমির লেটেস্ট ভার্সন Realme 9 Pro plus অফিসিয়াল ভাবে মার্কেটে চলে আসলো । গ্রাহকদের পাশাপাশি রিয়েলমি লাভারদের জন্য এটি একটি খুবই খুশির খবর । স্মার্টফোনটির ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন নিয়ে জানার একটি আকুলতা রয়েই যায় । ক্যামেরা পারফরমেন্স , বডি ডিজাইন , মেমোরি পারফরম্যান্স সব মিলিয়ে ডিভাইসটির টোটাল পারফরম্যান্স আমরা এই রিভিউতে আলোচনা করার চেষ্টা করবো । স্মার্টফোনটির পারফরম্যান্স হিসেবে বাজেট ডিল কেমন হবে সেটাও আলোচনা করা হবে । রিয়েলমির প্রিভিয়াস যে ভার্সন রয়েছে Realme 9 pro সেখান থেকে আমরা নতুন প্লাস মডেলটিতে কি কি আপডেট পেয়েছি , সে বিষয়েও তুলনামূলকভাবে আলোচনা করা হবে । 



রিয়েলমি ৯ প্রো প্লাস স্পেসিফিকেশন ২০২২



বডি ডিজাইন


বডি ডিজাইনের ক্ষেত্রে রিয়েলমি এখানে বেশ কড়াকড়ি নজর দিয়েছে বলা যায় । বিল্ট কোয়ালিটিতে আমরা দারুন একটি ফিনিশিংয়ের দেখা পেয়েছি । যা দেখতে অনেকটা নজর কারা আমি আশা করি এটা আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে । স্মার্টফোনটি কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ চিকন হওয়া সত্ত্বেও বডির নিচের দিকে 3.5 এম এম হেডফোন জ্যাক রয়েছে । স্মার্টফোনটির ঠিকনেস 7.99 মিলিমিটার যার ওজন ১৮২ গ্রাম । এখানে যে বিল্ড কোয়ালিটি রয়েছে সেটি মূলত কর্ণিং গরিলা গ্লাস ফাইভ দ্বারা প্রটেক্টড । বিল্ট কোয়ালিটি অনেকটা মজবুত তারপরেও সাজেস্ট থাকবে একটি ব্যাক কভারের সাথে ব্যবহার করা । বডি ডিজাইন আমার কাছে পার্সোনালি ভালো লেগেছে এটা আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে । বডির ডান পাশে google assistant বাটন এবং পাওয়ার বাটন রয়েছে যেগুলোর অবস্থান ঠিকঠাক বলেই মনে হয়েছে । এক হাতে ব্যবহার করার সময় খুব ভালো কমফর্টেবল ফিল করা যাবে ইনশাল্লাহ ।

ডিসপ্লে কোয়ালিটি


Realme 9 Pro plus স্মার্টফোনটির ডিসপ্লেতে সুপার এমোলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যেটা আমার কাছে অনেকটাই ভালো লেগেছে । 6.4 ইঞ্চি সাইজের একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যেটা মাঝারি সাইজের মধ্যে রয়েছে । ডিসপ্লেতে থাকছি ৪১১ পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি । ফুল এইচডি ডিসপ্লে রেজুলেশন রয়েছে যার কারণে আমরা প্লেব্যাক দেখার সময় কোন ঝামেলার মধ্যে পড়বো না । ডিসপ্লের প্রটেকশন এর কথা মাথায় রেখে realme এখানে কর্ণিং গরিলা গ্লাস ফাইভ এর প্রটেকশন দিয়ে দিয়েছে । এবার কথা বলা যাক ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেট নিয়ে । এখানে আমরা দেখতে পেয়েছি 90 হার্য রিফ্রেশ রেট । 600 নিটস ব্রাইটনেস রয়েছে যেটার মাধ্যমে আমরা ডিরেক্ট সানলাইটেও ভালো পারফরমেন্স খুঁজে পাবো । 

ব্যাটারি পাওয়ার অ্যান্ড নেটওয়ার্ক


ছোটখাটো ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন হিসেবে রিয়েলমির নতুন এই ভার্সনটিতে আমরা বেশ ভালো মানের ফিচার দেখতে পেয়েছি । 4500 মিলি এম্পিয়ার পাওয়ার এর মোটামুটি ভালো মানের একটি ব্যাটারি ব্যাকআপ দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও থাকছে ৬০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং সিস্টেমের সুবিধা । স্মার্টফোনটি ফুল চার্জ হওয়ার জন্য সময় নিবে মাত্র 44 মিনিটের মতো । এছাড়াও usb ক্যাবল এর সাহায্যে পাওয়ার ডেলিভারি করা যাবে থ্রি পয়েন্ট জিরো গতিতে । নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের কথা যদি বলি তাহলে এই ডিভাইসটিকে ৫জি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে । আপনি এই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে সর্বোচ্চ ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক উপভোগ করতে পারবেন । এছাড়াও তার বিহীন যে নেটওয়ার্কগুলো রয়েছে সেগুলো আমরা কিন্তু সর্বোচ্চ গতিতে ব্যবহার করার সুবিধা পাবো । 

অপারেটিং সিস্টেম এবং মেমোরি


Realme UI 3.0 ভার্সনের গুগলের অ্যান্ড্রয়েড 12 এর আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেমকে । মিডিয়াটেক ডিমেনসিটি 920 প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে । এখানে যে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে সেটা নতুন কোন প্রসেসর নয় এর আগেও আমরা অন্যান্য ফ্লাগশিপ স্মার্টফোনগুলোতে এই প্রসেসরের দেখা পেয়েছি । এটা মূলত একটি অক্টাকোর প্রসেসরগেমিং গ্রাফিক্সের জন্য স্মার্টফোনটি অফার করেছে Mali - G68 । মেমোরি পারফরমেন্সে আমরা দুইটি ভ্যারিয়েন্ট এর দেখা পেয়েছি । 6/ 8 জিবি রেম এর সাথে থাকছে 128/256 জিবি রোম । তবে যে বিষয়টি না বললেই নয় এখানে আলাদাভাবে কোন মেমোরি কার্ড স্লট ব্যবহার করা হয়নি । 

ক্যামেরা ফিচার এন্ড সিকিউরিটি


প্রাইমারি মডিউল গুলোর যে ক্যামেরা ডিজাইন রয়েছে সেটা পারসোনালি আমার কাছে ভালো লেগেছে । ডিভাইসটির ক্যামেরা পারফরম্যান্সে আমরা ত্রিপল রেয়ার আইটেম দেখতে পেয়েছি । যার ওয়াইড সেন্সরে 50 মেগাপিক্সেলের মতো আকর্ষণীয় মানের একটি ক্যামেরা লেন্স রয়েছে । এরপরেই আল্ট্রা ওয়াইড ফাংশনে থাকছে 8 মেগাপিক্সেল । এই বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে আলট্রা ওয়াইট সেন্সরটির উপস্থিতি রাখার জন্য । এর সাথে সাথে ডিভাইসটিতে দুই মেগাপিক্সেলের আরো একটি ডেপট সেন্সর রয়েছে । সেলফি তোলার জন্য সামনের ক্যামেরায় থাকছে ১৬ মেগাপিক্সেল । সিকিউরিটি সিস্টেমের ক্ষেত্রে আমরা আন্ডার ডিসপ্লেতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর উপস্থিতি দেখতে পাবো যেটি যথেষ্ট পরিমাণ ফার্স্টেস্ট এন্ড একুরেট । ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়াও আরো থাকছে প্রক্সিমিটি , কম্পাস ইত্যাদি ইত্যাদি । 

প্রাইস ডিল


স্মার্টফোনটির ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে আমরা সম্পূর্ণ একটি ধারণা পেলাম এবার আমরা জানবো এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করার জন্য আমাদেরকে কত টাকা খরচ করতে হবে । যেহেতু এই স্মার্টফোনটি একটি ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন সেহেতো বলা যেতে পারে এখানে আমরা ছোটখাটো বেশ ভালো ফিচার পেয়ে যাবো । স্মার্টফোনটির অফিশিয়াল ভার্সনটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ মার্কেটে 39,990 টাকা গুনতে হবে । ইন্ডিয়ান মার্কেটপ্লেসে ডিভাইসটির মূল্য 26,999 রূপি এবং বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে ডিভাইসটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 300 ডলার । যেহেতু বাংলাদেশ সরকারের প্রেক্ষাপটে বর্তমান সময়ে প্রতিটি স্মার্টফোনের ক্ষেত্রেই বাড়তি ট্যাক্স বসিয়েছে আর সেহেতু আপনাকে এই ডিভাইসটি ব্যবহার করার জন্য কিছু টাকা বেশি খরচ করতে হবে । তবে আমার কাছে যে বিষয়টি মনে হয়েছে সেটি হল এই ডিভাইসটির মূল্য মার্কেটে যদি ৩২ থেকে ৩৫ হাজারের মধ্যে রাখা যেত তাহলে অনেকেরই সুবিধা হতো । তবে বর্তমান সময়ে আপনি যদি ৪০ হাজারের মধ্যে একটি ভাল মানের অফিসিয়াল ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চান তাহলে Realme 9 Pro plus আপনাকে দারুন পারফরম্যান্স অফার করবে আশা করা যায় । স্মার্টফোনটির ফেসিলিটি অনুযায়ী দামটা ঠিক আছে নাকি কম বেশি রয়েছে সে বিষয়ে যদি আপনাদের মূল্যবান মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন । 



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads