Ads

দিন যত এগোচ্ছে প্রযুক্তির উন্নয়ন ঠিক সেভাবেই এগোচ্ছে। নিত্য নতুন প্রযুক্তির ফলে আমাদের জীবনযাত্রার মান কিন্তু অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে বলা যায়। আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন বা মুঠোফোনে যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য আমরা বিভিন্ন অপারেটরের সিম কার্ড ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু কেমন হবে যদি সেই সিম কার্ড ব্যবহার না করে আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে পারি। কি আপনারা অনেক আশ্চর্য হলেন, বিষয়টি আশ্চর্যজনক হলেও বর্তমানে এটাই বাস্তব। চমকে যাওয়ার মত ঘটনা হলেও ফিজিক্যাল সিম এর পরিবর্তে ই-সিম ব্যবহার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রায় অনেক দেশের মানুষ জন। এছাড়াও ধারণা করা হয়েছে 2025 সালের মধ্যে ই-সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে 3.4 বিলিয়ন। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনেকেই আছে যারা এই ই-সিম সম্পর্কে জানেনা বা এখন পর্যন্ত নামই শুনেনি। আজকের এই রিভিউ এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ই-সিম কি ? এখানে আমরা কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা পাবো ? কোন কোন স্মার্টফোনগুলোর মাধ্যমে আমরা ই-সিম ব্যবহার করতে পারব? সে বিষয়গুলো জানার জন্য সম্পূর্ণ রিভিউ জুড়ে থাকুন। ( ই-সিম কি ? )


ই-সিম কার্ড কি? | ই-সিম কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা




ই-সিম কি ?


আমরা যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করি আর সেখানে যোগাযোগ করার জন্য অবশ্যই আমাদের প্রয়োজন হয়ে  সিম কার্ড। সিম এর পূর্ণরূপ হল সাবস্ক্রাইব আইডিন্টিটি মডিউল। অর্থাৎ আপনার স্মার্টফোনে যদি কোন সিমের নাম্বার থেকে কল আসে তাহলে আপনারা সহজে কিন্তু বুঝে যান যে আসলে কে কল দিয়েছে। আর সেজন্য প্রতিটি স্মার্ট ফোনে সিম কার্ড ব্যবহার করার জন্য সিম কার্ড স্লট রয়েছে যেখানে আপনারা সিম কার্ড ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু আপনি যদি এই ই-সিম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনাকে আর আলাদাভাবে সিম কার্ড স্লট এর ব্যবহার করতে হবে না। এখন আপনারা বলতে পারেন ভাই এটা আবার কিভাবে সম্ভব ? হ্যাঁ বর্তমানে এই সময়ে প্রযুক্তির উন্নয়নে এটাও কিন্তু সম্ভব হয়েছে। ই-সিমে ব্যবহারে অভ্যস্ত প্রায় প্রতিটি দেশেই দ্রুত সময়ে ছড়িয়ে পড়বে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। এছাড়াও এর ব্যবহার বিধিটাও আমাদের জানা প্রয়োজন আপনি যে অপারেটরের ই-সিম ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সে অপারেটর থেকে কিউআর কোর্ড স্ক্যানিং এর মাধ্যমে ই-সিমটি আপনার স্মার্টফোনে কানেক্ট করে নিতে পারবেন। আর তবে আপনার স্মার্ট ফোনে এই ই-সিম ব্যবহারের সুবিধা থাকতে হবে অন্যথায় কিন্তু আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। ( ই সিম মানে কি? )


ই-সিম এর পূর্ণরূপ হল (এমবেডেড সাবস্ক্রাইবার মডিউল)। এটা ফিজিক্যাল সিম কার্ডের মত নয় এটা অনেকটা অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার এর মত কাজ করে থাকে। ই-সিম হল একটি স্মার্টফোনে ইন্সটল করা ভার্চুয়াল সিম। এখন আপনারা একটি প্রশ্ন করতে পারেন ভাই সিম কার্ডের মাধ্যমে আমরা যে সুবিধা গুলো পেয়ে থাকি আমরা ই-সিম এর মাধ্যমে কি একই সুবিধা পাওয়া যাবে? ই-সিমে কলিং এবং ম্যাসেজিং সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজকর্ম আমরা করতে পারবো। সিম কার্ড মূলত যেমন একটা পদার্থ কিন্তু ই-সিম পদার্থ নয় এটা ভার্চুয়াল সিম। এটা আপনার স্মার্টফোনে ইন্সটল করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালাতে পারবেন। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এবং ই-সিম সম্পর্কে একটি ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। ই-সিম ব্যবহারের ফলে আপনার স্মার্ট ফোনে আলাদাভাবে কোন জায়গার প্রয়োজন হবে না এটা হচ্ছে ই-সিমের সবচেয়ে আকর্ষণীয় একটি সুবিধা। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেই ই-সিমের প্রসারতা অনেকটা বৃদ্ধি পাবে বলে জানা গেছে। ( Full Meaning of E-Sim )


ই-সিমের সুবিধা


ই-সিমের বেশ কয়েকটি সুবিধা আমাদের চোখে পড়েছে আর সেখান থেকে আপনাদের মাঝে কিছু সুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। ই-সিমের সবচেয়ে বড় এবং মূল্যবান যে সুবিধাটি সেটি হচ্ছে আপনি যদি অপারেটর চেঞ্জ করেন তাহলে কিন্তু সে ক্ষেত্রে আপনাকে ই-সিমের নাম্বার পরিবর্তন করতে হবে না। এক্ষেত্রে আপনার সিম কার্ড হারিয়ে যাওয়ার কোন ভয় থাকছে না। এছাড়াও দেখা গেল আপনার স্মার্ট ফোনটি পানিতে ভিজে গেল বা হাত থেকে পড়ে গেল সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ই-সিমের প্রতি তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না। বিশেষ করে আপনাদেরকে স্মার্টফোন খোলার সময় বারবার সিম কার্ড খুলতে হবে না এক্ষেত্রে ই-সিমের নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক কম। আবার অনেকেই একটি সমস্যায় পড়ে সেটি হচ্ছে আপনাকে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন অপারেটরের সিম কার্ডের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে হয়ে থাকে এক্ষেত্রে দেখা গেল যারা প্রবাসী রয়েছে তারা একটি সিম কার্ড নাম্বার ব্যবহার করে থাকে এবং অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করার ফলে সে কিন্তু এই সিম কার্ডটিকে আর সচল রাখতে পারে না কিন্তু আপনারা যদি ই-সিম ব্যবহার করে থাকেন তাহলে কিন্তু এটা প্রতিটা দেশেই ব্যবহার করতে পারবেন এক্ষেত্রে প্রবাসীদের অনেকটা সুবিধা হবে বলে আশা করি। ই-সিমের ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনারা একই সাথে অনেকগুলো নাম্বার ব্যবহার করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাদেরকে আলাদা সিম কিনতে হচ্ছে না সুতরাং আপনাদের অনেকটা খরচ বেঁচে যাচ্ছে। iphone, samsung, motorola কোম্পানী সহ আরো বিভিন্ন কোম্পানির রয়েছে যাদের বিভিন্ন সিরিজের মাধ্যমে ই-সিম ব্যবহার করতে পারবেন। আর আপনি যদি ই-সিম ব্যবহার করতে চান তাহলে নতুন স্মার্টফোন ক্রয় করার পূর্বে অবশ্যই জেনে নিবেন স্মার্টফোনটিতে ই-সিম ব্যবহারের সুবিধা আছে কি না। ( ই-সিম ব্যবহারের সুবিধা


ই-সিমের অসুবিধা


ই-সিমের সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে আর সেগুলো কিন্তু আমাদের জানা প্রয়োজন। ই-সিম নেটওয়ার্কে আপনারা কিন্তু চাইলে একসাথে অনেকগুলো নাম্বার ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তু একটি নাম্বারে যখন ফোন বা কল আসবে তখন কিন্তু বাকি নাম্বার গুলো বন্ধ দেখাবে। ই-সিমের অন্যতম একটি অসুবিধা হলো আপনি চাইলেই একটি স্মার্টফোন থেকে অন্য একটি স্মার্টফোনে স্থানান্তর করতে পারবেন না। দেখা গেল আপনি একটি নতুন স্মার্টফোন কিনলেন এবং আপনার পুরনো সিম কার্ডটি আপনি সেই নতুন স্মার্টফোনে ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু এই ই-সিমের ক্ষেত্রে আপনি কিন্তু সেই সুবিধাটি পাবেন না। দেখা গেল আপনি যে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করেন সেটি নষ্ট হয়ে গেল বা হারিয়ে গেল তখন কিন্তু আপনারা পুনরায় তাৎক্ষণিকভাবে নাম্বারটি পাবেন না পরবর্তী সময়ে ই-সিম অপারেটরের কাছ থেকে কিউআর কোড স্ক্যানিং এর মাধ্যমে কানেক্ট করে নিতে পারবেন নতুন স্মার্টফোনের সাথে। ( Disadvantages of E-Sim )



উপরের আলোচনায় আমরা ই-সিম সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখান থেকে আপনারা কিছুটা হলেও একটি ধারণা পেয়েছেন। ই-সিম এর বেশ কিছু সুবিধা এবং বেশ কিছু অসুবিধা আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে সেখান থেকে আপনারা জানতে পেরেছেন ই-সিম ব্যবহার করার সময় কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা হতে পারে। আর এই ই-সিম ব্যবহার করার ফলে আমরা কিভাবে উপকৃত এবং অপ্রকৃত হব সে বিষয়গুলো আমাদেরকে জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads