বডি ডিজাইন
ল্যাপটপটির বডি ডিজাইনে আমরা অনেকটা আপডেট লক্ষ্য করতে পেরেছি । বডি ডিজাইনে মেটাল হাউসিং দেওয়া হয়েছে যেটা দেখতে অনেকটাই চমৎকার এবং নজননন্দিত । ল্যাপটপটির কালার এবং বিল্ড কোয়ালিটি আমার কাছে কিন্তু পার্সোনালি অনেকটাই ভালো লেগেছে । এখানে যে বডি ফিনিশিং দেওয়া হয়েছে সেটা কিন্তু খুবই অসাম । টাইপিং করার জন্য এখানে কিন্তু খুবই ভালো মানের টাইপিং বাটন এবং যে টাচপেড দেওয়া হয়েছে সেটি মূলত মিডেল সেন্টারে অর্থাৎ বডির মাঝ বরাবর অবস্থানে রয়েছে যাতে করে আপনি খুব সহজেই এটিকে ব্যবহার করতে পারবেন । ডান দিকে থাকছে টাইপ সি পোর্ট যেটার মাধ্যমে আপনি ডাটা স্থানান্তর করতে পারবেন । এখানে যে ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে সেটি অবিশ্বাস্য বলতে গেলে তার কারণ হলো টাইপিং বাটনের সাথেই আপনি পেয়ে যাবেন ক্যামেরা কাটাউট ।
অপারেটিং সিস্টেম এবং memory
অপারেটিং সিস্টেমেও কিন্তু আমরা এই ল্যাপটপটিতে আপডেটের স্পর্শ খুঁজে পেয়েছি । এর অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়েছে উইন্ডোস ১১ । এছাড়াও এই ল্যাপটপটিতে যে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে সেটি মূলত শক্তিশালী একটি প্রসেসর Intel core i5 । এই অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসরের একটি ভালো কম্পিউটারের কারণেই কিন্তু এই ল্যাপটপটিকে আপনি ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই অন করতে পারবেন । এটাকে কিন্তু একটি ভালো দিক বলে গণ্য করা যেতে পারে । এছাড়াও আমরা যদি মেমোরির পারফরম্যান্সের কথা বলি তাহলে সেখানে 8 জিবি রেম পাশাপাশি 512 জিবি রোম দেওয়া হয়েছে । ল্যাপটপগুলোতে সাধারণত আমরা যদি একটু বেশি স্টোরেজ পেয়ে যাই তাহলে কিন্তু সেটা অনেক খুশির খবর । তো এটা কিন্তু আমরা বলতে পারি যে এই স্মার্টফোনটি দিয়ে মেমোরি পারফরম্যান্স ভালো থাকার কারণে ব্যবহার করার সময় একটা কমফোর্টেবল ফিচার পাওয়া যাবে ।
ডিসপ্লে
ল্যাপটপটির অন্যতম পজেটিভ দিক হলো এখানে একটি উন্নত মানের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে । ডিসপ্লেটি মূলত একটি আইপিএস এলসিড ক্যাপাসিটিভ টাস স্কিন এর । এখানে রয়েছে full hd রেজুলেশন । যার জন্য কিন্তু আমরা ব্রাইটনেসের পরিমাণও এখানে ভালো পাব যার জন্য অল্প আলোতে কিন্তু ভালই ফিচার পাওয়া যাবে । এখানে কিন্তু মোটামুটি একটি বড় সাইজের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে বড় ডিসপ্ল অনেকেই পছন্দ করে থাকেন তাদের জন্য এটি একটি টার্নিক পয়েন্ট হতে পারে । ডিসপ্লের সাইজ মূলত 15.6 ইঞ্চি আর ডিসপ্লে সাইজ দেখে বুঝতেই পারছি বড় ডিসপ্লেগুলোতে বেজেল এর পরিমাণ অনেকটা ন্যারো থাকে । ( huawei matebook d 15 review )
ব্যাটারি এবং নেটওয়ার্ক
প্রিভিয়াস ভার্সনগুলোতে আমরা দেখতে পেয়েছিলাম ল্যাপটপে কিন্তু একদিন আলাদাভাবে এডাপ্টার দিয়ে দিত যা বয়ে বেড়ানো অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছিল । কিন্তু হুয়াওয়ের এই মডেলটিতে ল্যাপটপের ভিতরে এডাপ্টার সেট করা হয়েছে এবং একটি টাইপ সি চার্জার কেবল সাথী দেওয়া হয়েছে যেটার মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যেই আপনার ল্যাপটপটিকে ফুল চার্জ করে নিতে পারবেন । নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের কথা বলতে গেলে এখানে আমরা ব্লুটুথ , ওয়াইফাই , হটস্পট এক কথায় বলতে গেলে তারবিহীন নেটওয়ার্কগুলো যা রয়েছে সবগুলোই পেয়ে যাবো ।
অনলাইন জব করার জন্য কতটা পারফেক্ট
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছি যারা সরকারি চাকরি অথবা বেসরকারি শুরু করে অনলাইন জবগুলো করার জন্য ল্যাপটপের সাহায্য নিয়ে থাকি । তাদের জন্য খুব একটি সুখবর নিয়ে ল্যাপটপটি মার্কেটে চলে আসলো । আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার বা অন্যান্য চাকরির পাশাপাশি অনলাইন জব গুলো এটার মাধ্যমে খুব ভালোভাবেই করতে পারবেন । এখন আপনি যদি সেই কাজগুলো করার জন্য এই ল্যাপটপটি বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে আমি বলব এটা আপনার জন্য ভালোবাসবো ম্যানেজ করে আনতে পারবে ইনশাআল্লাহ ।
প্রাইস
হুয়াওয়ে মানেই এক অন্য ধরনের পারফরমেন্স যেখানে বাজেটকে অপেক্ষা করে ফিচার এবং স্পেসিফিকেশন দেওয়া হয়ে থাকে । Huawei matebook D15 বর্তমান মার্কেটে একটি নতুন ল্যাপটপ । যেটির মূল্য বাংলাদেশের মার্কেটিং নির্ধারণ করা হয়েছে 74 হাজার টাকা । ল্যাপটপের বাজেট থেকেই আমরা বুঝতে পারছি যারা একটু হাই কোয়ালিটি বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য মার্কেটের এটি একটি অন্যতম ল্যাপটপ হতে পারে । আপনি যদি ইন্ডিয়ান মার্কেটপ্লেস থেকে এই ল্যাপটপটি ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে গুনতে হবে 54,999 রুপি । এবার কথা বলা যাক আন্তজাতিক মার্কেটপ্লেস নিয়ে । সেখান থেকে আপনি যদি এই মডেলটি নিতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে 570$ । এবার আপনার কাছে যদি মনে হয়ে থাকে স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী বাজেট মানানসই রয়েছে তাহলে কিন্তু আপনি মডেলটি ব্যবহার করতে পারেন । ( Huawei Matebook D 15 price )
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন