আপেল ব্র্যান্ডের নাম শুনেই আমাদের মনে চলে এসেছে আইফোনের সিরিজ গুলোর কথা । স্মার্ট ফোন তৈরির যে কয়টি ব্র্যান্ড অথবা কোম্পানি রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবার মধ্যে এবং নাম্বার ওয়ান পজিশনে কিন্তু আমরা আইফোনের দেখা পেয়ে যাই । তো এখন আপনি বুঝে নিন নাম্বার ওয়ান কোম্পানির রিলিজ করা স্মার্টফোনগুলো কেমন পারফরমেন্স এর হতে পারে এবং এগুলোর মূল্য কিছুটা বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক । অন্যান্য কোম্পানি এবং ব্রান্ডগুলো থেকে আমরা এখানে এক ধরনের ভিন্ন পারফরম্যান্স পেয়ে যাই বলেই স্মার্টফোনটির কোম্পানিটি আজ নাম্বার ওয়ান পজিশনে । আর এই পেস্ট পারফরম্যান্স থাকার কারণেই maximum মানুষের মধ্যেই কিন্তু iphone ব্যবহারের একটি আগ্রহ দেখতে পাওয়া যায় । তো আইফোনের বেশ কয়েকটি মডেল আমরা মার্কেটে লঞ্চ হতে দেখেছি আজকের রিভিউতে আমরা যে মডেলটি নিয়ে আলোচনা করব সেটি হল iPhone 14 series । ( আইফোন 14 সিরিজ মোবাইল রিভিউ )
6.1 ইঞ্চি সাইজের খুবই সুইটেবল একটি ডিসপ্লে এখানে থাকবে যেটি মূলত 15.49 সেন্টিমিটার । ডিসপ্লেটিতে ৪৬০ পিপিআই পিক্সেল ডানসিটি রয়েছে । এছাড়াও এখানে আমরা ফুল এইচডি একটি রেজুলেশন পাব যেটার পরিমাণ 1170×2532 পিক্সেল । iphone এর ডিসপ্লে বলে কথা এখানে অনেকটা আপডেট থাকবে এটাই কিন্তু স্বাভাবিক । Super Ratina XDR OLED টাইপের একটি চমৎকার ডিসপ্লে এখানে দেওয়া হয়েছে অন্যান্য মডেল গুলোতে কিন্তু আমরা এমন ডিসপ্লের উপস্থিতি কখনো দেখতে পাইনি যেটা আইফোন আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে । এজন্য আইফোনকে অবশ্যই ডিজিটাল বাংলা রিভিউস এর তরফ থেকে মেনি মেনি থ্যাংকস । এখানে ক্যাপাসিটিভ টাইপের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যেখানে মাল্টি টাচ এর সুবিধা আমরা পাব । ডিসপ্লেতে বেজেল এবং চিন এর পরিমাণ ঠিকঠাক রয়েছে ।
স্মার্টফোনটির ক্যামেরা হাউসিং নিয়ে কিছু না বললেও চলবে কারণ আইফোনের ক্যামেরা হাউসিং আমাদের সকলেরই চেনা । iphone 14 স্মার্টফোনটিতে ডুয়েল ক্যামেরা হাউসিং দেওয়া হয়েছে এবং যেগুলোর ডিজাইন আমার কাছে পার্সোনালি ভালো লেগেছে তবে আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে । প্রাইমারি ক্যামেরার মেইন সেন্সরে অর্থাৎ ওয়াইড লেন্সে 12 মেগাপিক্সেলের মত একটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে । এছাড়াও f/2.4 ফাংশন তৃতীয় কিন্তু আমরা ১২ মেগাপিক্সেলের আরো একটি ক্যামেরা দেখতে পাবো । সচরাচর আইফোনের ক্যামেরা লেন্স অনেকটা পাওয়ারফুল হয়ে থাকে । প্রাইমারি ক্যামেরা গুলোর সাথেই কিন্তু আমরা ডুয়েল ফ্লাসলাইটের অবস্থান দেখতে পাবো । ক্যামেরা পারফরমেন্সের দিকে যদি আমরা একটু নজর দেই তাহলে বলব ওয়াও । প্রাইমারি ক্যামেরা গুলোর ফিচারে থাকবে হাই ডায়নামিক রেঞ্জ এবং ডিজিটাল জুম এর মত পারফরমেন্স । এছাড়াও থাকছে অটো ফ্লাশ , ফেস ডিটেকশন ইত্যাদি ইত্যাদি । ফ্রন্ট ক্যামেরায় সেলফি তোলার জন্য ১২ মেগাপিক্সেলের আরো একটি ক্যামেরা কাটাউট রয়েছে সেখানেও কিন্তু আমরা থ্রিডি এর মত ফিচার দেখতে পাবো ।
অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর
আমাদের সকলেরই হয়তো জানার কথা অপারেটিং সিস্টেমে আইফোনকে কিন্তু গুগলের উপর নির্ভর করতে হয় না তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম থাকার কারণে তারা কিন্তু সেটিকেই ব্যবহার করে থাকে । iphone 14 স্মার্টফোনটিতে iosv15 অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে যেটা মূলত তাদের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম । অক্টাকোর এর পরবর্তী ভার্সন Hexacore iphone এর এই মডেলটিতে ব্যবহার করা হয়েছে । ডিভাইসটির প্রসেসরে ব্যবহার করা হয়েছে Apple A15 Bionic । এটি খুবই শক্তিশালী একটি প্রসেসর যেটির কার্যক্ষমতা অনেকটাই ফাস্ট । 5 ন্যানোমিটারে স্মার্টফোনটির প্রসেসর থেকে তৈরি করা হয়েছে যেটা খুবই পাতলা এবং দারুন পারফরমেন্সের । গেমিং গ্রাফিক্স এ ব্যবহার করা হয়েছে Apple CPU 4 core গ্রাফিক্স । অপারেটিং সিস্টেমে আমরা কিন্তু অন্যান্য কোম্পানিগুলো থেকে একেবারেই ডিফারেন্ট একটি ফিচার এখানে দেখতে পেয়েছি যেটা তাদের সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি অপারেটিং সিস্টেম ।
আইফোনের সিরিজ গুলোর বডি ডিজাইন কেমন হতে পারে সেটা কিছুটা হলেও আপনার জানা আছে বলে আমি আশা করি । তাদের অন্যান্য সিরিজ গুলোর মত এই ডিভাইস দিতেও কিন্তু একটি অসাম এবং চমৎকার বডি ডিজাইন দেওয়া হয়েছে এক কথায় বলতে গেলে যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না । 7.4 ঠিক নেসের এই মডেলটির ওজন কিন্তু মাত্র ১৬৪ গ্রাম । এখন আমাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে আর সেটি হল কোম্পানি কিভাবে এত পারফরম্যান্স দেওয়ার পরেও স্মার্টফোনটির ওজন এতটা কমের মধ্যে রাখতে পারল ? 5 ন্যানোমিটারের প্রসেসর ব্যবহার করার কারণে স্মার্টফোনটির ওজন অনেকটা কম রাখা গেছে বলে আমার পার্সোনালি ধারণা । সম্পূর্ণ বডিটিকে সুরক্ষা রাখার জন্য অনেক গরিলা গ্লাসের একটি ভালো আবরণ এখানে পাওয়া যাবে যা যথেষ্ট মজবুত । ভিন্ন কয়েকটি কালারে এই মডেলটি মার্কেটে চলে এসেছে তো আপনি আপনার পছন্দমত বেছে নিতে পারবেন ।
( iphone 14 design )
স্মার্টফোনটি অন্যান্য দিকগুলোর পাশাপাশি নেটওয়ার্ক অথবা কানেক্টিভিটিতেও ভালো নজর রেখেছিল তার কারণ হলো এই স্মার্টফোনটিতে সর্বোচ্চ ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যাবে । এছাড়াও ফাইভ-জি এবং ফোরজি নেটওয়ার্কগুলোর বেশ কয়েকটি ভার্সন রয়েছে । এছাড়াও এখানে আপনি সিম কার্ড একই সাথে 5g নেটওয়ার্কের আওতায় রেখে ব্যবহার করতে পারবেন । এছাড়াও তার বিহীন নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে থাকছে ওয়াইফাই , ওয়াইফাই হটস্পট , ব্লুটুথ , ইত্যাদি ইত্যাদি । নেটওয়ার্ক অথবা কানেক্টিভিটিতেও আমরা কিন্তু খুব ভালো মানের পারফরমেন্স দেখতে পেয়েছি যার কারণে আপনি ব্রাউজিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ ভোগ করতে পারবেন । এছাড়া ওর নেটওয়ার্কিং সিস্টেমগুলো যদি ভালো থাকে তাহলে কিন্তু আপনি ডাটা স্থানান্তর করেও কমফোর্টেবল ফিল করবেন এটা একটি ভালো দিক । তবে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে কিন্তু আপনি এই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে 5জি নেটওয়ার্ক উপভোগ করতে পারবেন না । আপনার দেশে যদি ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট থেকে থাকে তাহলে আপনি এই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে ৫জি নেটওয়ার্ক উপভোগ করতে পারবেন ।
অন্যান্য কোম্পানিগুলোতে আমরা কিন্তু স্মার্টফোনের সর্বপ্রথম যে জিনিসটির দিকে নজর রাখি সেটি হল এই মেমোরি পারফরমেন্স তবে iphone এর ক্ষেত্রে এই মেমোরি পারফরম্যান্স কেমন হবে সেটা একটু জেনে নেই । মেমোরি পারফরমেন্সে আমরা একটি ভেরিয়েন্ট লক্ষ্য করেছি 4 জিবি রেম এর সাথে থাকছে 64 জিবি রোম । মেমোরি পারফরম্যান্স কোম্পানিটি বাড়তি তেমন কোনো সুযোগ বা সুবিধা দেয়নি তবে যা দিয়েছে সেটি কিন্তু মোটামুটি ভালোই বলা যায় । তবে আমরা খুব কম মানুষ রয়েছি যারা আইফোনের মেমোরি পারফরম্যান্সের দিকে নজর দেই হাতে গোনা কয়েকজন রয়েছে যারা কিনা এই আইফোনের মেমোরি পারফরমেন্সের দিকে গুরুত্ব আরোপ করে থাকে । এখানে যে মেমোরি পারফরম্যান্স দেওয়া হয়েছে সেটির মাধ্যমে কিন্তু টুকটাক কাজগুলো খুব ভালোভাবেই করতে পারবো ।
স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ব্যাটারি ব্যাকআপ একটি অন্যতম দিক এখন সেটি হোক iphone বা অন্যান্য কোম্পানি । আপনি যে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করবেন সেটি কতক্ষণ ব্যবহার করতে পারবেন এবং সেখানে ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন রয়েছে সে বিষয়ে জানার আকুলতা কিন্তু অনেকের মধ্যে থাকতেই পারে । এক নজরে আমরা দেখে নেই আইফোনের নতুন এই মডেলটি ব্যাটারি ব্যাকআপের উপর কেমন নজর দিয়েছে । এখানে নন রিমুভ্যাবল লিথিয়াম পলিমার টাইপের একটি ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে যার ক্যাপাসিটিতে আমরা পেয়ে যাব 3115 মিলি এম্পিয়ার পাওয়ার । তবে এছাড়াও ব্যাটারি পারফরম্যান্সে আরো বেশ কিছু ইউজার রিপ্লেসমেন্ট আনবে বিশেষ করে ব্যাটারি পারফরম্যান্সে । আমরা যারা নরমাল ইউজার রয়েছি তাদের জন্য একটি খুশির খবর হলো এই স্মার্টফোনটিকে আপনি একদিন ব্যাটারি বেকাপ পাবেন অনায়াসেই ।
হাই কোয়ালিটি বাজেটের স্মার্টফোনগুলোতে আপনি হাই লেভেলের পারফরম্যান্স পাবেন এটাই কিন্তু স্বাভাবিক । আপনার যদি হাই কোয়ালিটির পারফরম্যান্সের প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু আপনি হাই রেঞ্জের স্মার্টফোনগুলো ব্যবহার করার চিন্তা ভাবনা নিবেন । ঠিক তেমনি আপনার যদি ভালো মানের এবং এক কথায় বলা যেতে পারে উন্নত মানের স্পেসিফিকেশন প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে কিন্তু এই মডেলটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন । তবে অনেক মানুষই রয়েছে যারা কিন্তু আইফোনকে স্পেসিফিকেশন এবং কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকে না । এক কথায় বলতে গেলে অনেক মানুষ রয়েছে যারা আইফোনকে ব্যবহার করে থাকে ব্র্যান্ড হিসেবে । এছাড়াও অনলাইন ভিত্তিক কাজকর্মগুলো আমরা এই মডেলের মাধ্যমে বেশ ভালোভাবেই করতে পারব । এছাড়াও আমরা যারা অনলাইন গেম গুলো খেলে থাকি তাদের জন্য এই স্মার্টফোনটি একটি ভালো ব্যাকআপ দিতে পারবে বলে আমার ধারণা । তার কারণ হলো এখানে অ্যাপেলের প্রসেসর এর পাশাপাশি জিপিইউ দেওয়া হয়েছে যার কারণে খুব সহজে বলা যেতে পারে অনলাইন গেমসগুলো ভালোভাবেই সাপোর্ট করবে ।
আইফোন 14 স্মার্টফোনটির দাম কত হতে পারে এবং এই মোবাইলটি ব্যবহার করার জন্য কত টাকা খরচ করতে হবে সে বিষয়ে কিন্তু এখন পর্যন্ত নিশ্চিত কোন মতামত দেওয়া মুশকিল । তার কারণ হলো এই মডেলটি এখন আমাদের মাঝে আপকামিং অবস্থায় রয়েছে । স্মার্টফোনটি মার্কেটপ্লেসে এখনো রিলিজ হয়নি তবে আইফোনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে তারা খুব শীঘ্রই এবং এই বছরের (2022) শেষের দিকে তাদের নতুন এই সিরিজটি মার্কেটে আনতে চলেছে । আইফোনের স্মার্টফোনগুলো মার্কেটে লঞ্চ হওয়ার আগেই মানুষের মধ্যে একটি অন্যরকম ফিলিংস জন্ম হয়ে থাকে যে iphone এর হাত ধরে নতুন আরো একটি স্মার্টফোন মার্কেটে আসতে চলেছে সেটির ভিতরে হয়তো অন্য ধরনের স্পেসিফিকেশন আমরা দেখতে পাব । আর কোম্পানিটির বিশেষ ধরনের একটি প্রায়োরিটি থাকার কারণে বছরে সর্বোচ্চ একটি বা দুইটি স্মার্টফোন রিলিজ করে থাকে । ঠিক তাদের প্রিভিয়াস ভার্সন গুলোর মতো এই মডেলটি ও মার্কেটে রিলিজ হওয়ার পরে মানুষের মধ্যে এক অন্য ধরনের জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা যায় । আপনি এই আইফোনটির ফিচার দেখে কতটুকু সন্তুষ্ট হলেন কমেন্ট করে সেটি জানাতে ভুলবেন না । ( iphone 14 price)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন