বডি ডিজাইন
স্মার্টফোনটির ডিজাইন এর উপর যদি আমরা একটু লক্ষ্য করি দেখতে পারব এখানে বেশ নজরকাড়া বডি ডিজাইন দেওয়া হয়েছে । স্মার্টফোনটির বডি ডিজাইন দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন symphony কোম্পানির উন্নতি । স্মার্টফোনটির বডি সম্পূর্ণ প্লাস্টিকের আবরণের তৈরি । তবে দেখতে কিন্তু অনেকটাই ভালো । 200 গ্রামের স্মার্টফোনটি এক হাতে ব্যবহার করা যাবে খুব সহজেই । স্মার্টফোনটি 9.5 মিলিমিটার চওড়া তবে যথেষ্ট পরিমাণ চিকন । বডির ডান পাশে আমরা google assistant বাটন এবং ভলিউম বাটন এর উপস্থিতি দেখতে পাব । বডি ডিজাইনে যে বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে সেটা হলো এখানে ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট সেট করা হয়েছে । যেটা আমরা এই বাজেটে খুব কম স্মার্টফোনে দেখতে পাই ।
ক্যামেরা পারফরমেন্স
ক্যামেরা পারফরমেন্সে আমি অনেকটাই অবাক হয়েছি । তার কারণ হলো এই বাজেটে থাকা স্মার্টফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরা ফাংশনে 108 মেগাপিক্সেল দেওয়া হয়েছে যেটা আসলেই মেঘ না চাইতে বৃষ্টি । এছাড়াও এখানে আল্ট্রা ওয়াইড ফাংশনে 8 মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা আমরা দেখতে পাই । ক্যামেরা পারফরম্যান্স আমি বলব এক কথায় জাস্ট ওয়াও । এছাড়াও সেলফি তোলার জন্য সামনের ক্যামেরায় 8 মেগাপিক্সেলের একটি ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে । 8 মেগাপিক্সেল বাজেট হিসেবে কিন্তু মানিয়ে নেওয়ার মতো । প্রাইমারি এবং সেলফি ক্যামেরায় আমরা বিভিন্ন ধরনের ফিচার দেখতে পেয়ে যাব । এছাড়াও আপনি যেকোনো ক্যামেরার মাধ্যমে 1080 পিক্সেলে যে কোন ভিডিও ক্যামেরা বন্দি করতে পারবেন ।
ব্যাটারি পাওয়ার এবং সিকিউরিটি সেন্সর
স্মার্ট ফোনটির ব্যাটারি ব্যাকআপের কথা না বললেই নয় তার কারণ হলো এখানেও কিন্তু আমরা 5,000 মিলিয়্যাম্পিয়ার পাওয়ার এর একটি ব্যাটারি দেখতে পাব । মিডিয়াম বাজেট লেভেলে এটাও কিন্তু আমরা অনেকটাই ভালো মানের পেয়েছি এটা বলা যায় । তবে আপনি যদি হাই ইউজার হয়ে থাকেন তাহলে ফুল চার্জে একদিন ব্যবহার করতে পারবেন । তবে স্মার্টফোনটির ব্যাটারির সাথে আমরা কিন্তু ফার্স্টেস্ট চার্জিং সিস্টেম পাইনি যেটা দিলে হয়তো অনেকটাই ভালো হতো বলে হয়েছে আমার কাছে । এবার আমরা আলোচনা করব স্মার্টফোনটির সিকিউরিটি সিস্টেম অর্থাৎ ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর নিয়ে । আন্ডার ডিসপ্লেতে প্রাইমারি ক্যামেরাগুলোর ঠিক সাথেই ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সরটি অবস্থিত । তবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটির অবস্থান আমার কাছে কিছুটা উঁচুতে বলে মনে হয়েছে । তবে এটা বলা যায় যে সঠিকভাবে কাজ করতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি যথেষ্ট পরিমাণ সাকসেসফুল হবে ।
অপারেটিং সিস্টেম ও মেমোরি
গুগলের এন্ড্রয়েড ভার্সন 11 এর মাধ্যমে এই স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে । স্মার্টফোনটিতে একটি অক্টা কোর প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে । জিপিওতে স্পিড সাপোর্ট করবে 900 মেগাহার্জ । মেমোরি পারফরমেন্স ও আমরা একটি ভালো পারফরম্যান্সের দেখা পেয়েছি । 6 জিবি রেম এর সাথে থাকছে 128 জিবি রোম ব্যবহারের সুবিধা । মেমোরি পারফরম্যান্সের জন্য medium বাজেটের স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে আমি এই স্মার্টফোনটিকে বাজেট কিং বলতেই পারে । এখানে আপনি আলাদাভাবে একটি মেমোরি কার্ড স্লট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন । তবে সর্বোচ্চ 256 জিবি পর্যন্ত রোম বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে ।
ডিসপ্লে এবং নেটওয়ার্ক
একটি আইপিএস এলসিডি ক্যাপাসিটিভ touch স্ক্রিন ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যেটার সাইজ 6.67 ইঞ্চি । এছাড়াও আমরা এখানে ফুল এইচডি রেজুলেশন এর দেখা পাব । ডিসপ্লে কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ কালারফুল । তবে বিশেষ করে নীল এবং হলুদ কালার গুলোকে বেশি ব্রাইট করতে পারে । ব্রাইটনেসের পরিমাণ খুব ভালো তবে একটু বেশি আলোতে কিছুটা সমস্যা হতে পারে । স্মার্টফোনটিতে আমরা দুইটি সিম একই সাথে ব্যবহার করতে পারব । এই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ ফোরজি নেটওয়ার্ক পর্যন্ত উপভোগ করতে পারবো । এছাড়াও তার বিহীন যে নেটওয়ার্কগুলো রয়েছে সেখানেও গুড নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের দেখা আমরা কিন্তু পেয়ে যাব ।
প্রাইস
মোটামুটি মিডিয়াম বাজেটের স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে এই স্মার্ট ফোনটিতে আমরা তুলনামূলকভাবে একটু বেশি ফিচারের উপস্থিতি দেখেছি । যদি আপনি 15,000 টাকা বা তার আশেপাশের বাজেট থেকে একটি স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চান তাহলে এই স্মার্টফোনটি আমার পক্ষ থেকে ব্যবহার করার সাজেশন রইল । আপনি যদি বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেস থেকে স্মার্টফোনটি ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে 14,490 টাকা । স্মার্টফোনটির প্রাইসটি জানার পর অনেকেই চোখ কপালে উঠে গেছে বলে আমি মনে করি , তার কারণ হলো স্মার্ট ফোনটির স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার অনুযায়ী বাজেট অনেকটা কম । স্মার্টফোনটি বাজেট এবং স্পেসিফিকেশন আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা জানাতে পারেন একটি কমেন্টের মাধ্যমে । ইন্ডিয়ায় যারা রয়েছেন তারা বাংলাদেশ থেকে কিছুটা কম দামে স্মার্টফোনটি ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন