Ads

বাজেট ফ্রেন্ডলি বা এন্ট্রি লেবেলের বাজেটের মধ্যে স্মার্টফোন রিলিজ করার বেশ কয়েকটি কোম্পানি বর্তমান সময়ে আমাদের চোখে পড়ে। সেই কোম্পানিগুলোর মধ্যে টেকনো কোম্পানিটি কমবেশি আমাদের সকলের চেনা। এন্ট্রি লেবেলের বাজেট অ্যারাউন্ডে বেশ কয়েকটি স্মার্টফোন কোম্পানিটি রিলিজ করেছে। আর এই কোম্পানিটির হাত ধরে মোটামুটি এন্ট্রি লেভেলের বাজেটের ভিতরে আরো একটি স্মার্টফোন মার্কেটে চলে আসলো আর সেই মডেলটির নাম হল Tecno Pop 6 pro। নতুন এই স্মার্টফোনটির ফিচার পারফরমেন্স সম্পর্কে জানার আগ্রহ কমবেশি সকলের থাকতে পারে। এছাড়াও স্মার্টফোনটি ব্যবহার করার আগে এর স্পেসিফিকেশন জেনে নেওয়া প্রয়োজন। আর এই স্মার্টফোনটির খুঁটিনাটি দিক গুলো আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হলো এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে। যার কারণে আপনারা স্মার্টফোনটি ব্যবহার করার পূর্বে জেনে নিতে পারবেন এই স্মার্টফোনটিতে কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এখন আমরা সরাসরি স্মার্টফোনটির আলোচনায় চলে যাই।


টেকনো পপ 6 প্রো প্রাইস এন্ড রিভিউ হাইলাইট | Tecno pop 6 pro Price Detail and bangla Review


বডি ডিজাইন এবং ব্যাটারি পাওয়ার


আলোচনার শুরুটা আমরা এই স্মার্টফোনটির বডি ডিজাইনের মাধ্যমে করে ফেলি, স্মার্টফোনটিতে যে বডি ডিজাইন দেওয়া হয়েছে সেটা আসলেই মনোমুগ্ধকর এবং নজর কারা। স্মার্টফোনটির বডি ফ্রেমের চারদিকে প্লাস্টিকের আবরণ দেওয়া হয়েছে যদিও এখানে থাকছে ম্যাড ফিনিশিং। যার কারণে এখানে স্কেচ বা দাগ লাগার সম্ভাবনা রয়েছে এক্ষেত্রে আপনারা একটি ব্যাক কভার ব্যবহার করতে পারেন। বডি ডিজাইনের নিচের অংশে আমরা যদি লক্ষ্য করি তাহলে সেখানে দেখতে পারবো প্রাইমারি হেডফোন, স্পিকার এবং মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট। তবে একটি বিষয় আমার মত অনেককেই ভাবিয়ে তুলতে পারে আর সেটি হল এই সময়ে এসেও মাইক্রো ইউএসবি পোর্ট এর ব্যবহার। বডি ডিজাইন অনেকটা দেখার মতই মনে হবে। বাজেট অ্যারাউন্ডে বডি ডিজাইনকে আমরা ভালোই বলতে পারি। এবার কথা বলা যাক এই স্মার্টফোনটির ব্যাটারি পারফরমেন্স নিয়ে, সেখানে নন রিমুভেবল টাইপের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে এবং যার ক্যাপাসিটিতে দেওয়া হয়েছে 5,000 মিলি এম্পিয়ার পাওয়ার। ব্যাটারি ব্যাকআপে এক্সট্রা কোন ফিচার চোখে পড়েনি তবে এখানে থাকছে 10 ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম।


প্রাইমারি ক্যামেরা এবং মেমোরি


স্মার্টফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরার দিকে আমার যদি একটু লক্ষ্য করি তাহলে সেখানে দেখতে পারবো 8 মেগাপিক্সেলের দুইটি ফাংশন রয়েছে। ডুয়েল ক্যামেরা সেটাপ দেখতে মোটামুটি ভালই লেগেছে। প্রাইমারি ক্যামেরাগুলোর সাথে আমরা দেখতে পেয়ে যাব এলইডি ফ্ল্যাশ লাইট এবং এখানে থাকছে বেশ কিছু ফিচার। তবে একটি কথা আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি এই প্রাইমারি ক্যামেরা গুলোর মাধ্যমে প্রফেশনাল ভাবে ফটোগ্রাফি করার সুযোগ কিন্তু থাকছে না। এছাড়াও সেলফি তোলার জন্য সামনের ক্যামেরায় 5 মেগাপিক্সেলের একটি ফাংশন দেওয়া হয়েছে। প্রাইমারি এবং সেলফি ক্যামেরার মাধ্যমে 1080 পিক্সেলে যে কোন ভিডিও ধারণ করা যাবে। মেমোরি পারফরম্যান্সে ইন্টার্নাল স্টোরেজে রয়েছে 2 জিবি রেম এবং এক্সটার্নাল স্টোরেজে থাকছে 32 জিবি রোম। এখানে একটি ডেডিকেটেড মেমোরি কার্ড স্লট ব্যবহার করার সুযোগ থাকছে। তবে সিকিউরিটি সিস্টেমের ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু এখানে কিছুটা আপডেট দেখতে পেয়েছি। সাইড মাউন্টেডে সেট করা হয়েছে মাল্টিপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। এই বাজেটে আমরা খুব কম স্মার্টফোনে এর ব্যবহার দেখতে পেয়ে থাকি।


ডিসপ্লে এবং অপারেটিং সিস্টেম


6.6 ইঞ্চি সাইজের একটি ডিসপ্লে আমরা এখানে দেখতে পেয়ে যাব। যেখানে আইপিএস এলসিডি টাচ স্ক্রিনের সাথে পাওয়া যাবে এইচডি রেজুলেশন। ডিসপ্লেটির প্রোটেকশন হিসেবে এখানে কোন কিছু ব্যবহার করা হয়নি যার কারণে আপনাদের ব্যবহার করার সময় একটি প্রটেকশন ব্যবহার করা উত্তম। অন্যান্য স্মার্টফোনের মত এখানেও ডিসপ্লের ফিচারে থাকছে মাল্টি টাচ। ডিসপ্লেটি মোটামুটি ভালো মানের কালার দিতে পারবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। আকর্ষণীয় অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে এই স্মার্ট ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম রান করানো হয়েছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 12 এর মাধ্যমে। স্মার্টফোনটির প্রসেসরে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও A22। প্রসেসরটি মূলত 12 ন্যানোমিটারের তৈরি যার কারণে স্মার্টফোনটির ওজন কিছুটা বেশি বলে মনে হয়েছে। এটি মূলত একটি কোয়াড কোর প্রসেসর। তবে আপনারা যদি হাই লেভেলের গ্রাফিক্সের সাথে অনলাইন গেম প্লে করতে চান তাহলে এই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে ভালো পারফরম্যান্স কিন্তু আপনারা খুঁজে পাবেন না। তবে টুকটাক গেম প্লে করার জন্য মোটামুটি ব্যাবহার করা যাবে ডিভাইসটি।


হ্যান্ডসেটটির মূল্য এবং দাম


এবার আমরা চলে আসি মূল বিষয়ে আলোচনার উপর, এই স্মার্টফোনটির স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার গুলো দেখার পর আমাদের অনেকের মনেই কিন্তু একটি প্রশ্ন জাগ্রত হয়েছে আর সেটি হলো এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করার জন্য বা এই স্মার্টফোনটি ক্রয় করার জন্য আমাদেরকে কত টাকা খরচ করতে হবে ? এই স্মার্ট ফোনটি আন্তর্জাতিক বাজার সহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে রিলিজ হয়েছে। বাংলাদেশে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য মার্কেটে রয়েছে 10,400 টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে এই হ্যান্ডসেটটির মূল্য রয়েছে $130। এছাড়াও এই হ্যান্ডসেটটি আপনারা ইন্ডিয়ান মার্কেটপ্লেস থেকে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাদেরকে খরচ করতে হবে 6,999 রূপি। স্মার্টফোনটির ডিটেইলস এবং প্রাইস হাইলাইট সম্পর্কে আমরা ধারণা পেয়েছি তো এখন এই স্মার্টফোনটি সম্পর্কে আপনাদের নিজস্ব কি কি মতামত রয়েছে সেগুলো কিন্তু আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না কমেন্ট করে। এছাড়াও কি কি সুবিধা গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে এবং কি কি আপডেট আনলে ভালো হতো সেটাও জানাতে পারেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads