ব্যাটারি এবং বডি ডিজাইন
ওয়ালটন বাজেট হিসেবে তাদের স্মার্ট ফোনগুলোতে মোটামুটি ভালো মানের বা আকর্ষণীয় বডি ডিজাইন দিয়ে থাকে। বিশেষ করে এই স্মার্টফোনটির বডি ডিজাইনে আমরা প্লাস্টিকের আবরণ দেখতে পেয়েছি এবং সামনের দিকে থাকছে গ্লাস। নীল এবং সবুজ কালার ছাড়াও স্মার্টফোনটিকে আরো বেশ কয়েকটি কালারে পাওয়া যাবে। স্মার্টফোনটির ওজন 213 গ্রাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। স্মার্টফোনটিতে যে স্পিকার ব্যবহার করা হয়েছে সেটা বডির নিচের দিকে ব্যবহার করা হলে অনেকটাই ভালো হতো। আমরা যদি এখন স্মার্টফোনটির ব্যাটারি পারফরম্যান্সের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে কিন্তু অনেকটাই ভালো ব্যাকআপ দেখতে পেয়ে যাব। এখানে নন রিমুভেবল লিথিয়াম পলিমার টাইপের ব্যাটারি backup দেখতে পাওয়া যাবে যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে 6,000 মিলি এম্পিয়ার পাওয়ার। ব্যাটারি ব্যাকআপ আমরা কিন্তু খুবই ভালো পেয়েছি এটা কিন্তু বলা যেতে পারে।
অপারেটিং সিস্টেম এবং মেমোরি পারফরম্যান্স
স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেমে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 11 ব্যবহার করা হয়েছে। স্মার্টফোনটির বাজেট হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ডিমেনসিটি প্রসেসর। এছাড়াও গেমিং গ্রাফিক্সের জন্য খুবই ভালো মানের এবং আকর্ষণীয় মানের জিপিইউ ব্যবহার করা হয়েছে। এই স্মার্টফোনটিতে যে প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে মোটামুটি মিডিয়াম বাজেটে থাকা অন্যান্য স্মার্টফোনগুলোতে আমরা এই প্রসেসরের দেখা পেয়ে যাই। স্মার্টফোনটিতে সিম কার্ড স্লট এর সাথে আমরা আলাদাভাবে একটি মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ পাবো। ইন্টারনাল মেমোরি পারফরম্যান্স হিসেবে এই স্মার্টফোনটিতে দেওয়া হয়েছে 3 জিবি রেম। এছাড়াও এক্সটার্নাল মেমোরি পারফরম্যান্স হিসেবে থাকছে 32 জিবি রোম। এই স্মার্টফোনটির মেমোরি পারফরম্যান্স আমরা সর্বোচ্চ 128 জিবি বাড়িয়ে ব্যবহার করা যাবে তবে আপনারা চাইলে এর বেশিও ব্যবহার করতে পারবেন তবে সে ক্ষেত্রে আপনার স্মার্টফোনটি লেক করার সম্ভাবনা থেকে যায়। ( Walton primo HM7 Battery life )
ডিসপ্লে এবং নেটওয়ার্ক
স্মার্টফোনটিতে আমরা খুবই আকর্ষণীয় মানের আইপিএস এলসিডি প্যানেল দেখতে পেয়েছি। 6.52 ইঞ্চি সাইজের ডিসপ্লেটি আকারে অনেকটাই পছন্দ হওয়ার মত। 720×1600 পিক্সেলের এইচডি রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্মার্টফোনটির ডিসপ্লের পিক্সেল ডেনসিটির পরিমাণ 270 পিপিআই। স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে প্রোটেকশন এর জন্য এখানে কিন্তু আমরা কর্নিং গরিলা গ্লাসের দেখা পাইনি তবে কোম্পানির দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে প্রোটেকশন গ্লাস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে 2.5D Curved Glass। ডিসপ্লে মোটামুটি ভালো মানের কালারফুল তবে রোদে ব্যবহার করার সময় আমাদেরকে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। এবার কথা বলা যাক স্মার্টফোনটির নেটওয়ার্ক সম্পর্কে। স্মার্টফোনটির নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে আমরা ব্যবহার করতে পারব 3g ,4g সহ 5 জি নেটওয়ার্ক সম্পন্ন গতি। এছাড়াও তার বিহীন যে নেটওয়ার্কগুলো রয়েছে সেগুলোর প্রায় প্রতিটা আমরা খুব ভালোভাবেই ব্যবহার করে নিতে পারব।
ক্যামেরা ফিচার এবং সিকিউরিটি সেন্সর
মোবাইল ফোনের ক্যামেরা হাউজিংয়ে বা প্রাইমারি ক্যামেরা ফিচারে আমরা ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ দেখতে পেয়েছি। প্রাইমারি ক্যামেরার ওয়াইড সেন্সরে আমরা 13 মেগাপিক্সেল দেখতে পেয়েছি এবং ডেপট সেন্সরে রয়েছে দুই মেগাপিক্সেল। ক্যামেরা গুলোর ফিচারে এইচডিআর, পানোরামা, নাইট মোড সহ বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় ফিচার আমরা দেখতে পেয়ে যাব। এছাড়াও সেলফি তোলার জন্য সামনের ক্যামেরা মডিউলে 8 মেগাপিক্সেলের একটি আকর্ষণীয় ক্যামেরা রাখা হয়েছে। আকর্ষণীয় একটি বিষয় হচ্ছে ক্যামেরাগুলোর মাধ্যমে আমরা 1080 পিক্সালে যে কোন ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। স্মার্টফোনটির রেয়ার মাউন্ট্যাডে আমরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরের দেখা পেয়ে যাব যেটা ভালোভাবে কাজ করতে পারবে বলে ধারণা করা যায়।
প্রাইস বা দাম
মোবাইল ফোনটির সম্পর্কে আপনাদেরকে আরও একটি তথ্য দিয়ে রাখি বর্তমান এই সময়ে ওয়ালটনের এই মডেলটি মার্কেটে এখন পর্যন্ত রিলিজ হয়নি। আর স্মার্ট ফোনটি সম্পর্কে আমরা কোম্পানিটির দেওয়া অ্যানাউন্সমেন্ট থেকে ধারণা নিয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। তবে ধারণা করা হচ্ছে স্মার্টফোনটিকে মিডিয়াম বাজেটের মধ্যে রাখা যেতে পারে। মিডিয়াম বাজেটের মধ্যে যারা একটি স্মার্টফোনের এক্সপেক্ট করে আছেন এই মডেলটি তাদের জন্য ভালো একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। আর এই স্মার্টফোনটি যখন মার্কেটে রিলিজ হবে তখন কিন্তু আমরা স্মার্টফোনটির সকল স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে খুব সহজে জানতে পারবো। দেশীয় ব্রান্ড হিসেবে স্মার্টফোন দিয়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা আমাদেরকে জানাতে পারেন আপনার একটি মূল্যবান কমেন্ট এর মাধ্যমে। ( Walton primo HM7 price 2022 )
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন