বডি ডিজাইন ও প্রাইভেসি
ল্যাপটপটির বডি ডিজাইনে প্রিমিয়াম একটি লুকিং দেওয়া হয়েছে। প্রথম দেখায় আপনার কাছে এই ল্যাপটপটির ডিজাইন অ্যাপলের বডি ডিজাইন এর মত বলে মনে হতে পারে। সম্পূর্ণ বডি ডিজাইন অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি যার কারণে বডি ম্যাটেরিয়াল উন্নত মানের এবং টেকসই। বডি ডিজাইনে অবস্থিত কিবোর্ডে থাকছে স্টাইলিশ লেআউট। আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এই ল্যাপটপটিতে যে হিঞ্চ ব্যবহার করা হয়েছে সেটা আপনারা চাইলেই এক আঙ্গুলের মাধ্যমে উঠাতে পারবেন। ল্যাপটপটি 17.9 মিলিমিটার চওড়া এবং ওজনে 1.80 কেজি। মার্কেটে এই ল্যাপটপটিকে Star Gray কালারে রিলিজ করা হয়েছে। আর বডি ডিজাইনের সাথে ল্যাপটপটিতে সিকিউরিটি এবং প্রাইভেসি হিসেবে পাওয়ার বাটন দেওয়া হয়েছে যেটিকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। ল্যাপটপ গুলোতে কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণ প্রাইভেসি প্রয়োজন হয়ে থাকে আর সে কথা মাথায় রেখে কোম্পানিটি এখানে প্রাইভেসি সিস্টেম রেখেছে। ( redmibook pro 15 specs )
অপারেটিং সিস্টেম এবং মেমরি পারফরমেন্স
ল্যাপটপটির অপারেটিং সিস্টেমের উপর আমরা যদি একটু নজর দেই তাহলে দেখতে পেয়ে যাবো এটিকে রান করানো হয়েছে Windows 10 Home এর মাধ্যমে। এই ল্যাপটপটিতে প্রসেসর হিসেবে থাকছে AMD Ryzen 7। গ্রাফিক্সের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে AMD Radeon Graphics। আমরা যারা অনলাইন গেমসগুলো খেলতে পছন্দ করে থাকি তাদের জন্য এই ল্যাপটপটি কিন্তু ভালো পারফরম্যান্স দিতে সক্ষম হবে। প্রসেসর এবং গ্রাফিক্স ভালো থাকার কারণে গেম প্লে করার সময় কোনরূপ সমস্যা চোখে পড়বে না। এবার আলোচনা করা যাক এই ল্যাপটপটির মেমোরি পারফরম্যান্স নিয়ে। ল্যাপটপটিতে 16 জিবি রেম এবং এর পাশাপাশি রোম হিসেবে থাকছে 512 জিবি। মেমোরি পারফরমেন্স এবং প্রসেসর মোটামুটি ভালো থাকার কারণে অনলাইন ভিত্তিক গেমস গুলো আমরা কিন্তু খুব সহজেই উপভোগ করতে পারবো। গেমিং লাভারদের জন্য এই ল্যাপটপটি অনেকটাই উপকারী হতে পারে। এছাড়াও ব্যাটারি ক্যাপাসিটিতে ব্যবহার করা হয়েছে 70 Whr পাওয়ার যেটা আমাদেরকে সম্পূর্ণ চার্জে মোটামুটি ব্যবহারে 18 থেকে 20 ঘন্টা ব্যাকআপ দিতে পারবে।
ডিসপ্লে এবং নেটওয়ার্ক
ল্যাপটপটির অন্যতম আরো একটি মূল আকর্ষণ হল এর ডিসপ্লে। ভালো বা আকর্ষণীয় মানের ডিসপ্লে এই ল্যাপটপটিতে আমরা দেখতে পেয়েছি। 15.6 ইঞ্চি সাইজের একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যে ডিসপ্লেটি যথেষ্ট পরিমাণ মানসম্মত। 3.2k সুপার অ্যামোলেড রেটিনা টাইপের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যেখানে থাকছে 300 নিটস ব্রাইটনেস। ব্রাইটনেসের পরিমাণ খুব ভালো এটা বলা যাবে না তবে মোটামুটি লেভেলে রয়েছে। ডিসপ্লে সেকশনে 90 Hz রিফ্রেশ রেট এর উপস্থিতি অনেকটাই ভালো লেগেছে। কেবলমাত্র এখানেই কিন্তু শেষ নয় ডিসপ্লেটিতে এইচডি রেজুলেশন সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে, যেখানে থাকছে 2000×3200 পিক্সেল। ডিসপ্লেটিতে পিক্সেল দেনসিটির পরিমাণ রয়েছে 242 পিপিআই। এছাড়াও নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে থাকছে ওয়াইফাই, 3.5mm হেডফোন জ্যাক, ব্লুটুথ , ইউ এসবি টাইপ সি ছাড়াও ইত্যাদি। আর আমার কাছে পার্সোনালি যে বিষয়টি খুব ভালো লেগেছে সেটি হল এখানে ব্যাংকলিট কিবোর্ড ব্যবহার করা হয়েছে যেটা আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
প্রাইস বা মূল্য
আকর্ষণীয় এবং মানসম্মত এই ল্যাপটপটি ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে কত টাকা খরচ করতে হবে ? সে বিষয়ে একটি প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। আন্তর্জাতিক মার্কেটে শাওমি এই ল্যাপটপটিকে তাদের গ্রাহকদের জন্য মিডিয়াম বাজেটে রেখে মোটামুটি ভালো পারফরম্যান্স দিতে পেরেছে। এখন আপনি যদি বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেস থেকে এই ল্যাপটপটিকে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে 62,500 টাকা। বাজেট এবং পারফরমেন্স মোটামুটি ঠিকঠাক রয়েছে। ইন্ডিয়ান মার্কেটপ্লেসে শাওমি তাদের নতুন ল্যাপটপটির মূল্য নির্ধারণ করেছে 49,999 রুপি। আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে এই ল্যাপটপটি ব্যবহার করার জন্য আপনাদেরকে প্রায় $800 খরচ করতে হতে পারে। তো ল্যাপটপটির ওভার অল পারফরম্যান্স এর পাশাপাশি এর বাজেট সম্পর্কে আমরা এখন জানতে পারলাম তো ল্যাপটপটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সে বিষয়টি আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ( redmibook 15 pro price in bd )
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন