Acer কোম্পানিটিকে সচরাচর আমরা প্রায় সকলেই চিনে থাকি। কারণ এই কোম্পানিটির ল্যাপটপ গুলো বর্তমান মার্কেটপ্লেইজে ক্রেতার মন জয় করেছে বললেই চলে। যার কারনে এই Acer ব্রান্ড টি বর্তমান মার্কেট প্লেযে ল্যাপটপের দিকে একটু বেশি কেয়ার দিয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই এই কোম্পানিটি মোটামুটি বাজেটের ভিতরে আরও একটি ল্যাপটপ নিয়ে হাজির হলো আমাদের মাঝে।Acer কোম্পানিটির নিউ মডেলটি হলো Acer predator Helios 300। বর্তমান মার্কেটে রিলিজ হওয়া এই স্মার্ট ল্যাপটপটি প্রায় সকলের মনে জায়গা করে নিয়েছে বললেই চলে। কারণ এতে থাকছে উন্নতমানের এডাপ্টার, ব্যাটারি পাওয়ার, ডিসপ্লে এবং বডি ডেকোরেশন। তবে এই ল্যাপটপটির একটি অপূর্ণ দিক হলো এই ল্যাপটপটি আমরা শুধু একটি কালারই মার্কেটে পেয়ে যাব। যেখানে হয়তো আপনার পছন্দের কালার রয়েছে। তবে আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাবো এবার এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটির ফিচারগুলোর দিকে।
এই আকর্ষণীয় লেপটপটি আমরা বর্তমান মার্কেটপ্লে যে একটি কালারে পেয়ে যাব সেটি হলো black বা কালো কালারে। তবে এই কালারটি একটা স্ট্যান্ডার কালার বলে মনে হয়েছে আমার পার্সোনাল ভাবে। এই আকর্ষণীয় ল্যাপটপটির ওজন হলো 2.2 kg । তবে যে ওয়েটের ল্যাপটপ আমরা সচরাচর ব্যবহার করে থাকি তার থেকে একটু বেশি ওজন মনে হতে পারে এই ল্যাপটপটিতে। এই ল্যাপটপের কিবোর্ড সেকশনে আমরা পেয়ে যাব ফুল সাইজের একটি কিবোর্ড ।
এবং টাচপ্যাডটা পেয়ে যাব কিবোর্ড সেকশন এর কিছুটা নিচে বাম পাশ কর্নার বরাবর । তবে এই ল্যাপটপটির কিবোর্ড সেকশনে আমরা আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় দেখতে পেয়েছি যেটি হলো এই ল্যাপটপটির কিবোর্ড এ হালকা লাইটিং গ্লিস মারবে। তবে দিনে মোটামুটি ভাবে দেখা গেল ও রাত্র হলে স্পষ্ট ভাবে লাইটিং লিস্ট টা দেখা যাবে। এই ল্যাপটপটির বডি বাম পাশে থাকছে USB টাইপ c পোর্ট চার্জিং সিস্টেম , তার সাথে থাকছে ইথানেট পোর্ট, এবং ডিসপ্লে প্রোটো পেয়ে যাব। এই ডিভাইসটির বডি ডান পাশে পেয়ে যাব আমরা 3.5mm হেডফোন জেক। যা এই ল্যাপটপটিকে মনোরমভাবে গড়ে তুলেছে।
এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লে তে ব্যবহার করা হয়েছে 15.6 ইঞ্চি সাইজের ডিসপ্লে। এ ডিসপ্লে টি মূলত Ips টাইফ এর ডিসপ্লে। যে সাইজটিকে আমরা মূলত স্ট্যান্ডার একটি সাইজ বলতে পারি। তাছাড়া এই ল্যাপটপটি ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেটে ব্যবহার করা হয়েছে 144 Hz। যার কারণে এই ল্যাপটপটি দিয়ে যেকোন ভিডিও দেখার সময় কালারের কোন ঘারতি দেখতে পাবো না আমরা। এই ডিভাইসটির ডিসপ্লে তে ব্যবহার করা হয়েছে 1920×1080 মেগাপিক্সেল। যা আমরা খুব সহজেই বলতে পারি এখানে ফুল এইচডি রেজুলেশন এর ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লে তে আরো থাকছে ব্রাইটনেস সেকশনে হাই ব্রাইটনেস ব্যবহার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজভাবে ঘরের ভিতরে কিংবা ঘরের বাইরে ব্যবহার করতে পারব লেপটপটি। ল্যাপটপটির অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়েছে windows 10 ভার্সন। যা আমরা সচরাচর এই বাজেটের ল্যাপটপগুলোতে দেখে থাকি । তবে এই ল্যাপটপটি ডিসপ্লে কিংবা প্রসেসরে তেমন কোন ঘাটতি আমরা দেখতে পাবো না।
এই ল্যাপটপের ব্যাটারির ক্যাপাসিটির ব্যবহার করা হয়েছে 3815 mah পাওয়ার এর ব্যাটারি। এই ডিভাইসটিতে লিলেন টাইপের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। যা মূলত 4 cell টাইপের। এটা খুব সহজে বলা যেতে পারে যে আমরা যারা নরমাল ভাবে এই ল্যাপটপটিক ইউজ করতে চাই তাদেরকে এই ল্যাপটপের ব্যাটারি সর্বোচ্চ ছয় থেকে সাত ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়ে থাকবে। আর যারা আছি এই ডিভাইস থেকে একটু হাই ভাবে ইউজ করতে চাই তাদেরকে এই ল্যাপটপটির ব্যাটারি সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়ে থাকবে। যা আমার কাছে পার্সোনাল ভাবে মনে হয়েছে এনাফ।
এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটির ইন্টার্নাল স্টোরেজ হিসেবে পেয়ে যাব 16 GB Ram। আর এক্সটার্নাল স্টোরেজ হিসেবে পেয়ে যাব 512GB Rom। যা আমার কাছে দৈনন্দিন কাজের জন্য পারফেক্ট বলে মনে হয়েছে।
এই আকর্ষণীয় ল্যাপটপটি আমরা যদি বর্তমান বাংলাদেশ মার্কেট প্লেস থেকে ব্যবহার করতে চাই তাহলে আমাদেরকে খরচ করতে হবে 98,000 টাকা। আর ইন্ডিয়ান মার্কেটপ্লেস থেকে আমরা এই ল্যাপটপটি ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে খরচ করতে হবে €119,490 । এই ল্যাপটপটির কোম্পানিটি
আমাদের সকলের কথা মাথায় রেখে এক বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছে সব সময়ের জন্য। যা অন্যান্য কোম্পানীরা কিছুদিনের জন্য দিয়ে থাকে তাদের ডিভাইস গুলো দ্রুত পরিবারে বিক্রি হওয়ার কারণে । আর এই এচার কোম্পানিটি সবসময় জন্য এক বছরের ওয়ারেন্টি জারি রেখেছে। যা একটি দুর্দান্ত বিষয় বলে আমার মনে হচ্ছে । তবে এই ল্যাপটপটির ফিচারগুলো অনুযায়ী বাজেট বা প্রাইজটা কাছাকাছি রয়েছে বলে আপনি মনে করছি। তবে আপনাদের কাছে কি রকম লেগেছে তা অবশ্যই আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন ছোট্ট একটি কমেন্টের মাধ্যমে। আর ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন তাদের দেখার সুযোগ করে দিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন