Ads

বর্তমান দেশের মার্কেটপ্লেসে আমরা যে ডিভাইস গুলো লঞ্চ হতে দেখি  সাধারণত দুইটি ভেরি এন্ডে রয়েছে সেগুলো হল আনঅফিসিয়াল এবং অন্যটি হলো অফিসিয়াল। অর্থাৎ বাইরে দেশগুলো থেকে যে ডিভাইস গুলো আমাদের মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায় তাদেরকে অফিসিয়াল বলা হয়। আর দেশীয় যে ডিভাইস গুলো আমরা বর্তমান মার্কেটে যে পেয়ে যাই তা মূলত আনঅফিসিয়াল। তবে আমাদের মাঝে অফিসিয়াল ভাবে আরো কয়েকটি ল্যাপটপ লঞ্চ করে দিল Acer কোম্পানিটি। তারমধ্যে অন্যতম একটি মডেল হলো Acer Swift 3। অবশ্য ল্যাপটপটি আকর্ষণীয় কয়েকটি কালারে লঞ্চ করেছে । তবে কেবলমাত্র মোটামুটি বাজেটের‌ ভিতরে নয় হাই কোয়ালিটি ফিচারগুলো দেখতে পেয়ে যাব। যাইহোক কথা না বাড়িয়ে এবার চলে যাওয়া যাক ল্যাপটপটির বিস্তারিত আলোচনায়।


Acer swift 3 price in bangladesh | acer swift 3 বাংলা ভিডিও


 ডিসপ্লে সাইজ



Acer Swift 3 মডেলটির ডিসপ্লের কথা বলতে গেলে সবার প্রথমে আমাদের চোখ পড়বেই এই ডিভাইসের ডিসপ্লের সাইজের দিকে। এই দুর্দান্ত পারফরমেন্সের ল্যাপটপটির ডিসপ্লে সাইজ হলো  13.5 ইঞ্চি। যেই সাইজটি আমরা মেক্সিমাম সময় সচরাচর ল্যাপটপগুলোতে দেখে থাকি। আরো থাকছে এই ল্যাপটপটি ডিসপ্লে তে HD IPS LED কোয়ালিটি ডিসপ্ল। যার কারণে এই ডিভাইস  ব্যবহার করার সময় আমারা  তেমন কোন অসুবিধা দেখতে পাবো না
এবং ডিসপ্লের কালার সেকশনে মোটামুটি উন্নত মানের লেন্স ব্যবহার করেছে এই কোম্পানিটি। তাছাড়া আরো পেয়ে যাব ফুল এইচডি রেজুলেশনে 
2256×1504 পিক্সেল। যা ব্যবহারের কারণে এই ল্যাপটপ কি দিয়ে আমরা যখন ভিডিও কল কিংবা ভিডিও দেখার সময় কোন রেজুলেশনের ঘাটতি দেখতে পাবো না।

বডি ডিজাইন 


এই ল্যাপটপ  যে শুধু ডিসপ্লে উন্নত মানের  তেমনটা নয় বডি ডিজাইনে লুকিং দেখলে যে কারো পছন্দ হয়ে যেতে পারে। এক কথায় বলতে গেলে এর ল্যাপটপটির ডিজাইন খুব মনোরমভাবে গড়ে তুলেছে কোম্পানিটি। আকর্ষণীয় ল্যাপটপটি‌ আমরা কয়েকটি আকর্ষণীয় কালারের পেয়ে যাব যেমন steel and black। যেখানে হয়তো আপনি আপনার পছন্দের কালারটি বেছে নিতে পারেন।
এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটি যেহেতু বডি ডিজাইন হাই কোয়ালিটির লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে  সেহেতু ল্যাপটপটির ওজন আমাদের কাছে একটু বেশি মনে হতে পারে 1.19 kg। এই ল্যাপটপে বডির সামনে সাইডের মাঝখানে Acer লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা মূলত ব্লাক কালার। এই আকর্ষণিয় ল্যাপটপটির আরও পেয়ে যাব ফুল সাইজের একটি কিবোর্ড। যেটা আমরা খুব ন্যারো দেখতে পেয়েছি। এবং তার কিছুটা নিচে ডান পাশ বরাবর টাচ পেট ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা আমরা খুব স্লিম ভাবে দেখতে পেয়েছি। ল্যাপটপটির বাম সাইডে টাইপ সি পোর্ট চার্জিং সিস্টেম এবং ডানপাশে 3.5mm হেডফোন জেক রয়েছে তার কিছুটা নিচে ইউ এস বি এ পোর্ট পেয়ে যাব।

স্টোরেজ এবং ব্যাটারি 


এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটি ব্যাটারি ব্যাকআপের কথা না বললেই নয় । যেখানে এই মডেলের ব্যাটারিতে ব্যবহার করা হয়েছে 65 w 3 cell পাওয়ার টাইপ সেন্সর। যেখানে আমরা হাই ইউজাররা ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ছয় ঘন্টা  ব্যবহার করতে পারব এবং নরমাল ব্যবহার গ্রাহকরা মোটামুটি নয় থেকে দশ ঘন্টা ব্যবহার করতে পারবেন খুব ইজিলি ভাবে। এই আকর্ষণিয় ল্যাপটপ টির  চার্জিং এড্রপ টায়ারের পাওয়ার পেয়ে যাব  3 pin  65w AC । এই আকর্ষণীয় ল্যাপটপটির স্টোরেজে আমরা পেয়ে যাব 8 জিবি রেম । যা মূলত ব্যবহার করা হয়েছে 3200MAH টাইপের প্রসেসর। তবে এই আকর্ষণীয় ডিভাইসের আরেকটি মনোরম বিষয় হলো এখানে আপনারা ব্যবহার করতে পারছেন ইন্টার্নাল স্টোরেজ হিসেবে 512 জিবি। যা আমি বলব আমাদের স্টোরেজে এক্সট্রা ভাবে কোন মেমোরি  ভরা লাগবে না । এই কোম্পানির এই দিকটিক দেখে অন্যান্য কোম্পানিগুলো এই মডেলের ল্যাপটপটিকে স্টোরেজ কিং  নামে আখ্যায়িত করেছে।

বর্তমান মার্কেট প্রাইস


অনেকের প্রশ্ন জাগতে পারে এই ল্যাপটপটি ব্যবহার করতে হলে কি রকম টাকা ব্যয় করতে হবে ? এই কোম্পানিটি হাই লেভেলের ফিচার এনে টা স্বল্পমূল্যে বাজারে রিলিজ করে থাকে। তবে এই মডেলটিতেও কিন্তু অন্য কিছু ঘটায় নি।
এই অফিসিয়াল ডিভাইস বর্তমান মার্কেটে আমরা পেয়ে যাব 84,500 টাকায়।
এবং তার সাথে দুই বছরের ওয়ারেন্টি সব সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি আমার কাছে আরও একটু রেয়ার টাইপ লেগেছে। যেখানে অন্যান্য কোম্পানি  মার্কেটে তাদের ডিভাইস বিক্রি করার জন্য কিংবা তাদের নিজের কোম্পানিকে উপরের লেভেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছুদিনের অফার দিয়ে থাকে। সেখানে এই কোম্পানিটি আমাদের সকলের কথা ভেবে সব সময়ের জন্য দুই বছরের ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। তবে আমার কাছে এই ল্যাপটপটির বিস্তারিত সমস্ত  ফিচারগুলো অনুযায়ী  প্রাইস এর দিকটা মোটামুটি কাছাকাছি বলে মনে হয়েছে। আপনাদের কাছে কি রকম লেগেছে তা অবশ্যই আপনাদের একটি মূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। এবং ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads