আমরা সাধারণত infinix কোম্পানির ডিভাইস গুলোর সাথে প্রায় সকলের পরিচিত। কারণ infinix কোম্পানিটি ভালো মানের ডিভাইস গুলো আমাদের মাঝে নিয়ে হাজির হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে আমাদের মাঝে infinix কোম্পানিটি আরে একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে চলে এল স্মার্টফোনের মডেল কি হলো infinix smart 7। যা মূলত smart সিরিজের মধ্য দিয়ে এনেছে। তাছাড়া এই স্মার্টফোনটি আমরা বরাবরের মতো বেশ কয়েকটি কালারও হয়ে যাব। স্মার্টফোন দিয়ে আমরা নেটওয়ার্ক সিস্টেমের সর্বোচ্চ পেয়ে যাব 4G পর্যন্ত। তাছাড়া 2G,3G নেটওয়ার্কিং সিস্টেম তো থাকছেই। তাছাড়া এই স্মার্টফোনটির বর্তমান গ্রাহকের নজর কেড়ে নিচ্ছে বললেই চলে। এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটিতে আরও আমরা পেয়ে যাব ভালো মানের ফিচারগুলো এবং পারফরম্যান্সের সঙ্গে। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়া যাক স্মার্টফোনটি বিস্তারিত সম্পর্কে।
বডি ডিজাইন
এই আকর্ষণীয় মোবাইল ফোনটি ফুল বডির ওজন হলো 207 গ্রাম। যা হয়তো আমাদের জন্য একটুখানি বেশি ওয়েট বলে মনে হতে পারে । তবে তেমন আনইজি ফিল হবে না ব্যবহার করার সময়। তাছাড়া এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটি আমরা তিনটি বিভিন্ন কালারের পেয়ে যাব কালার গুলো হলো কালো, নীল এবং সবুজ কালারে। যেখানে হয়তো আপনি আপনার পছন্দের কালারটি চয়েস করতে পারেন। এই আকর্ষণীয় স্মার্টফোনটির চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাস্টিকের আবরণ । এই মোবাইল ফোনটি ডান পাশে আমরা পেয়ে যাব পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম আপডাউন বাটনে দেখা। তবে এখানে আরো একটি ভালো মানের দিক হলো এই স্মার্টফোনটির পাওয়ার বাটন এর সঙ্গে অ্যাড করা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। যা আমরা খুব ফাস্টেস্ট দেখতে পেয়েছিলাম। তাছাড়া ডিভাইসের বডি নিজের সাইডে আমরা পেয়ে যাব চার্জিং সিস্টেমের এর জন্য ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট ,3.5mm হেডফোন জেক তার সাথে আরও একটি স্পিকার ট্রে। বাম পাশে আমরা পেয়ে যাব সিম কার্ড ট্রি স্লট। যেখানে আমরা দুটি সিমের পাশাপাশি একটি মেমোরি কার্ড ইউজ করতে পারবো খুব ইজি ভাবে।
ডিসপ্লে এবং প্রসেসর
এই মোবাইল ফোনটি ডিসপ্লে সাইডে ব্যবহার করা হয়েছে 6.6 ইঞ্চি সাইজের একটি ডিসপ্লে। যার সাথে মোটামুটি আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত। যা মূলত
TFT LCD টাইপের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে এই মোবাইল ফোনটিতে। তাছাড়া এ মোবাইল ফোনটির ব্রাইটনেস হিসেবে আমরা পেয়ে যাব 500 নিট। যার মাধ্যমে খুব সহজে বলা যেতে পারে আমরা ঘরের ভিতরে খুব ভালোভাবে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে পারব তবে বাহিরে গেলে কিছুটা ঝাপসা ঝাপসা দেখা যেতে পারে স্মার্টফোনটির ডিসপ্লেতে। তাছাড়া স্মার্ট ফোনটির রিফ্রেশ রেটে থাকছে 60 Hz।267 ppi মেগাপিক্সেল ডেনসিটি ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্টফোনের ডিসপ্লে তে। আরো থাকছে 720×1612 রেজুলেশন। যা মোটামুটি এইচডি টাইপের দেখতে পেয়ে যাব আমরা। এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটিকে রান করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে Android 12 ভার্সন। জা আমরা মোটামুটি হাই লেভেল স্মার্টফোন গুলো ভিতরে দেখে থাকি। যা মূলত is টাইপের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।
ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং স্টোরেজ এবং ক্যামেরা
এই স্মার্টফোনটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটি তে ব্যবহার করা হয়েছে 5,000,MaH ব্যাটারি পাওয়ার । যা আমরা মোটামুটি ভালো মানের ব্যাটারি ব্যাকআপ বলতে পারি। যা মূলত Non lipo টাইপের ব্যাটারি। তার সাথে আমরা পেয়ে জাবো 10w এরফাস্ট চার্জিং সিস্টেম । যার মাধ্যমে আমরা এই স্মার্টফোনটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় নেবে আড়াই ঘন্টার মতো। তবে আমাদের ব্যাটারি ব্যাকআপ দিবে দুই দিন পর্যন্ত খুব সহজভাবে। স্মার্টফোনটি স্টোরেজে আমরা পেয়ে যাব 4 GB Ram এবং রুম হিসেবে আমরা পেয়ে যাব 64GB Rom। যা বলা যেতে পারে মোটামুটি মানের স্টোরেজ ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্টফোনটিতে। স্মার্টফোনটির ব্যাকসাইডে ব্যবহার করা হয়েছে ডাবল ক্যামেরার সেটআপ । যেখানে আমরা প্রাইমারি ক্যামেরা হিসেবে পেয়ে যাব 108 মেগাপিক্সেল এবং 2 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরার সেন্সর। তাছাড়া সেলফি ক্যামেরার জন্য আমরা পেয়ে যাব
13 মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা হোয়াইট সেন্সর। এটা বলা যেতে পারে স্মার্টফোনটিতে মোটামুটি মানের ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে।
অফিসিয়াল প্রাইস
Infinix কোম্পানিটিকে দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ে মোটামুটি মানের ফিচারগুলো এনে তা বাজার রে মোটামুটি বাজেটে লঞ্চ করে দেয়। এই স্মার্টফোনের মডেলটি infinix smart 7 ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে বাংলাদেশ টাকায় খরচ করতে হবে 12,000 টাকা। আর যারা আমাদের মাঝে রয়েছে এই স্মার্টফোনটি ইন্ডিয়ান মার্কেট থেকে ক্রয় করতে চায় তাদেরকে ব্যয় করতে হবে
7,299€। তবে এটা খুব সহজে বলা যেতে পারে স্মার্টফোনটির ফিচারগুলো অনুযায়ী প্রাইসটা মোটামুটি কাছাকাছি রয়েছে বললেই চলে। তবে আপনাদের কাছে কি রকম লেগেছে তা আমাদেরকে অবশ্যই আপনাদের কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদের দেখা দেখার সুযোগ করে দিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন