xiaomi কোম্পানিতে প্রায় আমাদের সকলের মাঝে পরিচিত । কারণ এই ব্র্যান্ডটি নিত্য নতুন ভাবে একের পর এক আকর্ষণীয় স্মার্টফোন লঞ্চ করে যাচ্ছে । মোটামুটি ডাউন বাজেটের ভিতরে হাই লেভেলের ক্যাটাগরির স্মার্টফোন লঞ্চ করে থাকে। এবার শাওমি কোম্পানী নিয়ে এসেছে Poco c 55 স্মার্টফোন। যা আশা করা যায় এই বাজেটের ভিতরে বর্তমান বাজারে ধামাকাডার ফোন হতে চলেছে। স্মার্টফোনটি কয়েকটি কালারে এনেছে এই শাওমি কোম্পানিটি। যেখানে আমরা পেয়ে যাব হাই কোয়ালিটি ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং ক্যামেরা পারফরম্যান্স। তার সাথে তো হাই পারফরমেন্সের ডিসপ্লে থাকছেই । তো চলুন এবার দেখা যাক এই আকর্ষণীয় স্মার্টফোনটির স্পেসিফিকেশন এর পারফরম্যান্স কি রকম হতে চলেছে তা জানতে অবশ্যই পুরো রিভিউ জুড়ে চোখ রাখুন ।
ডিসপ্লে সাইজ ব্যাটারি
আমরা অনেকেই রয়েছি যারা একটু বড় সাইজের স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পছন্দ করি। তাদের কথা মাথায় রেখে xiaomi কোম্পানিটি এই নিউ মডেল টিতে ব্যবহার করেছে 6.52 ইঞ্চির ডিসপ্লে। যা মোটামুটি বড়সড় সাইজে ডিসপ্লে হিসেবে আমাদের মাঝে পরিচিত। তবে এই স্মার্ট ফোনটিতে
ডিসপ্লের সুরক্ষার জন্য কর্নিং গরিলা গ্লাস থাকছেনা। যার ফলে এই ডিভাইসটি
ব্যবহার খুব সাবধানে করতে হবে। তবে এই স্মার্টফোনটি ডিসপ্লেতে আমরা পেয়ে যাব 400 নিটস ব্রাইটনেস । যা আমরা সাধারণত ইনডোরে কিংবা আউটডোরে ব্যবহার করতে পারব তাতে কোন সমস্যা হবে না। তবে রোদে গেলে কিছুটা আনইজি ফিল হতে পারে। তবে এই ডিভাইসটির ডিসপ্লেতে কোন ইন ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করা হয়নি। এই বাজেটের ভিতরে সাধারণত যে কোন স্মার্টফোনের কোম্পানি খুব কম ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে থাকে। এই অসাধারণ ডিভাইসটির ডিসপ্লে তে আমরা পেয়ে যাব 720×1600 মেগা পিক্সেল যা আমরা এইচডি কোয়ালিটিতে পেয়ে যাব । যা আরো হাই লেভেলের স্মার্টফোনগুলোতে দেখতে পেয়ে থাকি। স্মার্টফোনটির ব্যাটারি পাওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে 5,000 মিলি এম এ এইচ । যেখানে থাকছে 10W
এর মোটামুটি মানের ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম। স্মার্টফোন দিয়ে ফুল চার্জ হতে সময় নিবে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা প্রায়। স্মার্টফোনটি একবার ফুল চার্জ হয়ে গেলে তা আমরা এক থেকে দেড় দিন পর্যন্ত নরমাল ভাবে ফোনটিকে ব্যবহার করতে পারবে। যেহেতু স্মার্টফোনটির ব্যাটারি ব্যাকআপ আমাদেরকে মোটামুটি লং টাইম দিচ্ছে । যারা মোটামুটি ভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য হতে পারে সেরা একটি স্মার্টফোন।
বডি ডিজাইন এবং প্রসেসর
এই স্মার্টফোনটির আরো একটি আকর্ষণীয় দিক হলো এই ডিভাইসটির বডি ডিজাইন। এই স্মার্টফোনকে বডির ব্যাক সাইটে ব্যবহার করা হয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা সেট। যার চার পাঁশটা আমরা ন্যারো টাইপ দেখতে পেয়েছি। যার জন্য এই স্মার্টফোনের ক্যামেরা সেটআপ টা আরো অসাধারণভাবে তুলেছে। এই ডিভাইসটির ফুল বডির ওজন হলো 192 গ্রাম। যেইটা হয়তো আমাদের কাছে একটু বেশি বলে মনে হবে বাট বেশ কিছুদিন ইউজ করলে হয়তো তার আনকনফিউটেবল হবে না। Green and royal blue এই দুইটি আকর্ষণীয় কালারে লঞ্চ করা হবে এই স্মার্টফোনটি। এই স্মার্টফোনের মডেলটির ডিমের সিটিতে আমরা পেয়ে যাব 164.9×76.8×9.1 mm টাই লেন্স। এই স্মার্টফোনটির চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাস্টিকের ফ্রেম। এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটির ডান পাশে পেয়ে যাব আমরা পাওয়ার বাট। এবং আর কিছুটা উপরে পেয়ে যাব ভলিউম আপ ডাউন বাটন। যা আমরা সচরাচর স্মার্টফোনগুলোতে দেখতে পাই। স্মার্ট ফোনের বডির নিচে থাকছে স্পিকার ট্রে, তার সাথে পেয়ে যাব টাইপ সি পোর্ট চার্জিং সিস্টেম। এবং সিম কার্ড ট্রে স্লট।
3.5mm অডিও জ্যাক তো থাকছে। এই আকর্ষণীয় স্মার্টফোনটিকে রান করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এন্ড্রয়েড 12 ভার্সন । এই বাজেটে আমরা প্রায় সব ফোনে দেখতে পেয়ে থাকি। এই মডেলের আরও ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক হেলো টাইপের processor।
ক্যামেরা এবং স্টোরেজ
এই আকর্ষণিয় ডিভাইসটি ব্যাকসাইডে ক্যামেরার সেনসোরে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ করা হয়েছে। যেখানে থাকছে 50 মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরার সঙ্গে 2 মেগাপিক্সেলের হোয়াইট ক্যামেরা সেন্সর রয়েছে। যেখান থেকে আশা করা যায় আমরা মোটামুটি ভালোই পারফরম্যান্স পাব। তাছাড়া এই স্মার্টফোন টির সেলফি ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে 5, মেগাপিক্সেল। এই দিকটা আমার কাছে একটু আনইজি লেগেছে কারণ 5 মেগাপিক্সেল এর জায়গায় হয়তো 8
মেগাপিক্সেল হলে আর একটু ভালো হতো। স্মার্ট ফোনটির ক্যামেরায় আরো থাকছে এলইডি ফ্ল্যাশ ,HDR। আমার কাছে ক্যামেরার এই দিকটা পারফেক্ট বলে মনে হয়েছে। এবার যদি আমরা এই স্মার্টফোনটির স্টোরেজের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পেয়ে যাব আকর্ষণীয় একটি বিষয়। যেখানে থাকছে এই স্মার্টফোনকে তিনটি ভেরিয়েন্ট অর্থাৎ মার্কেটে আমরা এই স্মার্ট ফোনে তিনটি ভেরিয়েন্টে পেয়ে যাব। যেখানে থাকছে 4/64 জিবি 4/128 এবং 6/128 জিবি।
বর্তমান মার্কেট প্রায়স
এই আকর্ষণিয় ডিভাইসটি আমরা যেহেতু তিনটি ভেরিয়েন্টে পেয়ে যাব যেহেতু
এই ডিভাইসটি ভেরিয়েন্ট অনুযায়ী প্রাইস হবে তা আমরা প্রায় সকলেই জানি। তবে এবার আসা যাক স্মার্টফোনটি প্রাইস কিরকম হতে চলেছে । এই আকর্ষণীয় স্মার্ট ফোনটি আমরা 4 GB Ran /64 GB Rom ক্যাটাগরির
11,000 টাকার আশেপাশ । 4GB Ram /128 GB Rom ভেরিয়েন্টের স্মার্টফোনটি আমরা পেয়ে যাব 12,000 টাকার আশেপাশে। আর সর্বহাই যে ভেরিয়েন্ট টি 6GB Ram /128 GB Rom হলো আমরা পেয়ে যাব 15,000 টাকার আশেপাশে বর্তমান বাংলাদেশ মার্কেট প্লেসগুলোতে । তবে বলা যেতে পারে এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটির ফিচারগুলোর অনুযায়ী প্রাইস পারফেক্ট আছে। তবে এই ডিভাইসটির তিনটি ভেরিয়েন্ট এর ভিতরে আপনার যেটা পারফেক্ট মনে হবে সেটাই বেচে নিতে পারেন। এই স্মার্টফোনটির পারফরমেন্স যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে তাদের দেখার সুযোগ করে দিন
এবং আপনাদের কিরকম লেগেছে তা মূল্যবান কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন