Ads

Vivo Y 16 স্মার্টফোনটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে লঞ্চ হয়ে গিয়েছে অত্যন্ত একই সাশ্রয়ী মূল্যে। এবার আমরা যদি এই স্মার্টফোনের নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের দিকে লক্ষ্য করি যা মোটামুটি বাজেটের  মধ্যে এই হ্যান্ড সেটটিতে নেটওয়ার্কিং সিস্টেম 4G সাপোর্টে।এই স্মার্টফোনের কোম্পানি এই মডেলটিতে কয়েকটি আকর্ষণীয় কালারের রিলিজ করেছে । যেখানে হয়তো আপনার পছন্দের কালার টাও পেয়ে যেতে পারেন। Vivo y16  স্মার্টফোনের ব্যাক সাইটের কথা যদি আমরা বলি তাহলে সর্বপ্রথম দেখতে  পারবো এই স্মার্টফোনটির ব্যাকসাইড ডিজাইন যেখানে খুব চমৎকার একটি ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও থাকছে 3/32 জিবি র‍্যাম । তবে স্মার্ট ফোন টিতে হয়তো  আরেকটু বেশি  রেম ব্যবহার করলে ভালো হতো । স্মার্টফোনের কোম্পানিটির জনপ্রিয়তার মূল কারণ হলো কম দামে খুব ভালো মানের স্মার্টফোন লঞ্চ করা। তবে বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে কম দামের ভিতরে ভালো মানের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হলে  Vivo কোম্পানির বিকল্প  নেই। তো এবার চলে যাই এই আকর্ষণীয় ডিভাইস দিয়ে ফিচার কিরকম হতে যাচ্ছে।


Vivo y16 price in bangladesh | vivo y 16 বাংলা রিভিউ,


ক্যামেরা এবং গেমিং 


Vivo Y 16 স্মার্ট ফোনটির ক্যামেরা তেমন হাই কোয়ালিটি ব্যবহার করতে পারে নি । এই ডিভাইসটির মডেলে ফোকাস  বা প্রোমোটর লেন্স ব্যবহার করা হয়নি। যার ফলে আপনারা স্মার্টফোনটি ক্যামেরা কিছুটা রেজুলেশনের ঘাটতি দেখতে পাবেন। তবে যারা রয়েছেন  ইউটিউবার এবং ফটো এডিটিং এর জন্য এই স্মার্টফোন কি বেছে নিতে পারে। তবে এই মোটামুটি বাজেটের ভিতরে আমরা এর থেকে বেশি কিছু কিভাবে আশা করে থাকি। তবে যারা স্মার্টফোনটি ক্যামেরার জন্য ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য হয়তো স্মার্ট ফোনটি ভালো
পারফরম্যান্স দিতে পারবে না বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া এই স্মার্টফোন দিয়ে প্রাইমারি ক্যামেরায় থাকছে 13 মেগাপিক্সেল এবং 2 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা লেন্স তো থাকছেই। এছাড়া সেকেন্ডারি ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে
5 মেগাপিক্সেলের হোয়াইট ক্যামেরা। আরো থাকছে স্মার্টফোনটির ক্যামেরায় এলইডি ফ্ল্যাশ । এছাড়া এই স্মার্টফোনটিতে সর্বোচ্চ ভিডিও ধারণ ক্ষমতা হচ্ছে
1080। যেটা আমরা মোটামুটি হাই লেবেলের স্মার্টফোনগুলোর ভিতরে দেখতে পেয়ে থাকি। তবে অনেকের প্রশ্ন  থাকতে পারে   এই স্মার্টফোনটি গেটপ্লের জন্য কিরকম ফিচার এনেছে। আমি বলব তবে এই স্মার্টফোনে আপনি মোটামুটি
লেভেলের গেম প্লে করতে পারবেন তাতে কোন সমস্যা দেখা দেবে না। তবে হাই লেভেলের  যেমন free fire and pubg টাইপের গেমগুলো ব্যবহার করার সময় আমাদের স্মার্টফোনটি লেক এর সমস্যা  দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।


বডি ডিজাইন এবং প্রসেসিং



আপনাদের কথা ভেবে এই  কোম্পানিটি এই মডেলে মোটামুটি লুকিং বডি ডিজাইন ব্যবহার করেছে। স্মার্টফোনটির ব্যাক সাইডে ব্যবহার করা হয়েছে 
মোটামুটি লেভেলের প্লাস্টিক ফ্রেম। তবে এই স্মার্টফোনটি যদি আপনি দীর্ঘদিন সুরক্ষিতভাবে ব্যবহার করতে চান তাহলে একটি বেক কাবার ব্যবহার করুন।
এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটির ওজন হচ্ছে 184 গ্রাম। যা আমরা সচরাচর স্মার্টফোনের ভিতরে দেখতে পেয়েছি। এছাড়া স্মার্টফোনটির ডিমেন্সিটি তে ব্যবহার করা হয়েছে 164×75.6×8.2mm। স্মার্টফোনটির  ডান পাশে পেয়ে যাব
ভলিউম আপডাউন বাটন  এবং পাওয়ার বাটনের দেখা । তবে এখানে আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হলো স্মার্টফোনটি পাওয়ার বাটন এর সাথে সাইট ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে আমরা খুব মোটামুটি ভালোই পারফরম্যান্স দেখতে পেয়েছি। স্মার্টফোনটি নিচের দিকে থাকছে টাইপ
সি পোর্ট এবং তার সাথে থাকছে 3.5mm অডিও হেডফোন জ্যাক। তার সাথে আরো পেয়ে যাব স্পি যেকার ট্রে। স্মার্টফোনটির বামপাশের দিকে লক্ষ্য করলে পেয়ে যাব সিম কার্ড ট্রে সলট। যেখানে আমরা দুটি সিমে পাশাপাশি একটি মেমোরি কার্ড ইউজ করতে পারবো। এ ছাড়া স্মার্টফোনের প্রফেসরের  দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাব স্মার্টফোনটিকে রান করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এন্ড্রয়েড 12। আরো ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটে হেলিও p30 টাইপের চিপস।


ডিসপ্লে সাইজ এবং ব্যাটারি  ও স্টোরেজ



Vivo y 16 স্মার্টফোনটিতে 6.51 ইঞ্চি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে এই স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে রেজুলেশনের দিকে আরেকটু ঘাটতি দেখতে পেয়েছি। যেখানে থাকছে না ফুল এইচডি রেজুলেশন। তবে এই নরমাল বাজেটের ভিতরে আমরা কোন স্মার্টফোনে কলিং গরিলা গ্লাস ব্যবহার করে থাকে না তবে এই স্মার্টফোনটিতেও তার ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। তবে এই স্মার্টফোনটির ব্রাইটনেসে থাকছে 900 নিটস। স্মার্টফোনটি ব্যবহার করার সময়
আমরা ব্রাইটনেসের কোন ঘাটতি দেখতে পাবো না। এই স্মার্টফোনটি করো ব্যবহার করা হয়েছে 270 ppi ডেনসিটি। তবে এই স্মার্টফোনটির রেজুলেশনে ব্যবহার করা হয়েছে 720×1600 পিক্সেল। স্মার্টফোনটির ব্যাটারি ব্যাকআপ এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে 5,000 এম এই এইচ পাওয়ারের ব্যাটারি। এবং তার সাথে তো ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম রয়েছে। এছাড়া স্মার্টফোনটি স্টুরেজের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে 3/32 জিবি। যেখানে আমরা এক্সটার্নাল হিসেবে স্টোরেজ পাচ্ছি না। তবে যাদের জন্য 3/32 জিবি এনাফ তাদের জন্য স্মার্টফোনটি পারফেক্ট।

অফিসিয়াল প্রাইস 


Vivo Y 16 এই স্মার্ট ফোন টি আপনারা প্রায় বাংলাদেশ সকল  জায়গায় পেয়ে যাবেন। এছাড়া আপনি বাংলাদেশের অনলাইন কিংবা শোরুম থেকে নিতে পারেন। তো আমার   রিকমেন্ট থাকছে যে আপনারা শুরুম থেকেই ব্যবহার করতে পারেন খুব সহজে স্মার্টফোন টি। কারণ স্মার্ট ফোনের শোরুম থেকে আমরা ব্যবহার করলে কিছুটা গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি এবং ডিসকাউন্ট পেয়ে যাব। আর আমরা যদি স্মার্টফোনটি অনলাইন থেকে ক্রয়  করতে চাই সেখানে কোন  ধরনের গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি এবং ডিসকাউন্ট পাব না।
স্মার্টফোনটি বাংলাদেশ মার্কেটে নির্ধারণ করা হয়েছে 15,999 টাকা।
এবং স্মার্টফোনটির ইন্ডিয়ান মার্কেটে নির্ধারণ করা হয়েছে  €9,999 রুপি।
যেহেতু স্মার্ট ফোনটির প্রাইস অফিশিয়াল ভাবে ডিসাইড করা হয়েছে সেহেতু স্মার্ট ফোন প্রাইস বর্তমান সময়ে আপডাউন হবে না তবে পরবর্তীতে হয়তো এই স্মার্টফোনটির প্রাইস কিছুটা কমে যেতে পারে  । তো স্মার্টফোনটির ফিচার গুলু  লক্ষ্য করি  তাহলে দেখতে পাবো এই স্মার্টফোনটির প্রাইসটা একটু হাই। যার কারণে হয়তো মার্কেটে তেমন কিছু আশা করা যায় না। তবে স্মার্টফোনটির প্রাইস আরেকটু কিছুটা ডাউন হলে হয়তো মার্কেটে স্মার্টফোনটির চমক অসাধারণ হতো। তো স্মার্ট ফোনটির  ফিচার  গুলো আপনাদের কাছে কি রকম লেগেছে তা অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান একটি কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিবেন। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads