Ads

একটা সময় ছিল মানুষ অনলাইনে কাজ করার জন্য কিংবা প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করতো আবার অনেকে মেমোরিতে বিভিন্ন গান সিনেমা কিংবা ইসলামিক গজল ওয়াজ মেমোরিতে ভরার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করত কিংবা অফিস-আদালতে কম্পিউটার ব্যবহার করতে ব্যাপক ভাবে লক্ষ্য করা যায় ।প্রযুক্তির উন্নয়নে এখন সেই কম্পিউটারের চাহিদা অনেকাংশে কমে গিয়েছে কম্পিউটারের জায়গায় চলে এসেছে ল্যাপটপ ল্যাপটপ এর জনপ্রিয়তা বাড়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে ল্যাপটপ সচরাচর ভাবে যেকোন জায়গায় বহন করে নিয়ে নেওয়া যায় তবে কম্পিউটার কিন্তু চাইলেই যে কোন জায়গায় বহন করে নিয়ে নেওয়া যায়না এটা হল একটি বড় কারন । এছাড়াও ল্যাপটপে যেহেতু আগে থেকেই ব্যাটারির ব্যবস্থা থাকে সেহেতু আলাদাভাবে আইপিএস এর প্রয়োজন হয় না কারেন্ট গেলেও এক থেকে দেড় ঘন্টা কিংবা তারও বেশি সময় ধরে চালানো যায় এজন্য ল্যাপটপের চাহিদা আরেক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে ।আর এই ল্যাপটপ রিলিজ করার জন্য Acer কম্পানির অবদান অপরিসীম। এই কোম্পানি আমাদের মাঝে রিসেন্টলি আরো একটি চমৎকার ল্যাপটপ নিয়ে এলো যেখানে আমরা মডেলটি দেখতে পেয়েছি Acer Swift 3x। তবে এখন  আপনাদের মাঝে এই ল্যাপটপটির স্পেসিফিকেশন তুলে ধরা হলো।


Acer সোইফট  থ্রি এক্স দারুণ একটি মোবাইল ফোন |  Acer Swift 3 x price in India


ডিসপ্লে ফিচার এবং স্টোরেজ 


Acer কোম্পানিটি তাদের এই মডেলটিতে Acer Swift 3x একটি খুব আকর্ষণীয় ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যেখানে আমরা বাজেট হিসেবে মোটামুটি ভালোই বলতে পারি। এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটির ডিসপ্লের সাইজ হচ্ছে 14 ইঞ্চি কিংবা 35.36 সেন্টি মিটার। যেটা মূলত Ips টাইপের ডিসপ্লে।
এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লের ব্রাইটনেসে আমরা ফুল এইচডি রেজুলেশন দেখতে পাবো। যার ফলে আমাদের যেকোন ভিডিও কিংবা ভিডিও কলে কথা বলার সময় রেজুলেশনের কোন ঘাঁটি দেখতে পাবো না। এছাড়া এই ডিভাইসটির ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে 1920×1080 পিক্সেল। এই আকর্ষণীয় ল্যাপটপটির স্টোরেজে রয়েছে 16 জিবি রেম ৫১২ জিবি রোম এক্সটার্নাল হিসেবে আমরা কোনো  মেমোরি   ব্যবহার করতে পারব না। যা আমার কাছে একটি সু কার্যকর দিক লেগেছে । এই ল্যাপটপটিতে আরও একটি সু কার্যকর দিক হলো ল্যাপটপ কি দিয়ে আমরাদের  স্টোরেজে কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।

বডি ডেকোরেশন

এই আকর্ষণীয় ল্যাপটপটি বেশ কিছু কালারে বর্তমান মার্কেটে আমরা পেয়ে যাব। যার ভিতরে থাকছে golden and steel কালার। যেখানে হয়তো আপনার পছন্দের কালার টি থাকতে পারে। এই ল্যাপটপটি যেহেতু বডি ডিজাইন একটু হাই রেঞ্জের সেহেতু এই ল্যাপটপটির ওজন 1.37 kg কেজি একটু কম ওজন মনে হতে পারে। তবে কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে হয়তো খাপ খাইয়ে নিতে পারবো। এ আকর্ষণীয় ডিভাইসটির বডির মাঝখানে Acer কোম্পানিটির লোগো ব্যবহার করেছে। যেটার কারণে এই ল্যাপটপটিকে আরো স্ট্যান্ডার বলে মনে হতে পারে। এই ল্যাপটপটির বডি চার পাশে এলুমিনিয়ামের তৈরি। যার ফলে এই ল্যাপটপটি ব্যবহারের সময় পড়ে গেলে ডিভাইসটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা খোব কম । ল্যাপটপটির মাঝখানে আমরা একটি বড়সড় কিবোর্ড দেখতে পাবে। যেটা আমরা সিলিম ভাবে ব্যবহার করতে পারব।আর এই ল্যাপটপটির কিবোর্ডের কিছুটা নিচে বাম পাশে কোনা বরাব পেয়ে যাব
আমরা টাচপ্যাড । টাচপ্যাড মোটামুটি উন্নত মানের ব্যবহার করা হয়েছে ।
এই ল্যাপটপের বাম সাইডে ইথানেট 2টি পোড এবং স্টিম আই পোড ,3.2পোড
পেয়ে যাব এবং ডান পাশে আরো থাকছে ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট এবং 3.5mm জ্যাক।

ব্যাটারি এবং প্রসেসর


এই ডিভাইসটির ব্যাটারি পারফরম্যান্সের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাবো 4 cell Li- ion 65 Wh টাইপের ব্যাটারি। যা আমরা নর্মাল ইউজাররা
খুব সহজে সহজে ১১ থেকে ১২ ঘন্টা ব্যবহার করতে পারব। আর যারা আমরা একটু হাই ইউজার তারা সাত থেকে আট ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে যাবে।এই কোম্পানি এই ডিভাইসটা যে টাইপের ব্যাটারি ব্যবহার করেছে , তার ফলে অনেকেই এই কোম্পানিটিকে ব্যাটারি কিং নামে আখ্যায়িত করেছে‌। এই আকর্ষণীয় ল্যাপটপটির  আমরা পেয়ে যাব 3 pin 68 w ac adopter
বা এডোপ্টার ‌। এটা খুব উন্নত মানের এডোপ্টার ইউজ করেছে এই ডিভাইসটিতে।এই আকর্ষণীয় ল্যাপটপটির অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়েছে Windows 10 ভার্সন । তবে আমি বলব অপারেটিং সিস্টেমে আর একটু হাই লেভেলের প্রসেসর ব্যবহার করলে ভালো হতো। তবে এইটা দিও আমরা মোটামুটি মানিয়ে নিতে পারব।

Acer Swift 3x দাম 

গ্রাহকরা সাধারণত তাদের বাজেটের উপর নির্ধারণ করে ল্যাপটপ ব্যবহার করার চিন্তা ভাবনা চালায়। তবে নির্দিষ্ট বাজেটে যদি তারা ভাল মানের ডিভাইস পেয়ে যায় তাহলে ওই ডিভাইসটিই ক্রয় করার আগ্রহ আরো একটু বেশি হয়ে যায়। এই আকর্ষণীয় ল্যাপটপটি বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে আমরা পেয়ে যাব
89,000 টাকার আশেপাশে  । যেহেতু এই প্রাইস আনঅফিশিয়াল ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে সেহেতু প্রাইসটা কমে কিংবা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার অন্যদিকে এই সেম ল্যাপটপটি আমরা যদি ইন্ডিয়া থেকে ব্যবহার করতে চাই তাহলে আমরা পেয়ে যাব €68,000 রুপির আশেপাশে। এই ল্যাপটপটি আপনি
বাংলাদেশের যেকোনো মার্কেটপ্লেইজে পেয়ে যাবেন কিংবা অনলাইন ও পেয়ে যাবেন। তবে আমি সাজেশন দিব যে এই স্মার্ট ল্যাপটপটি শোরুম থেকে কিনলে বেশি সুবিধা জনক বলে মনে হবে। কারণ শুরুম থেকে ক্রয় করলে আমরা এক্সট্রা ভাবে পেয়ে যাব দুই বছরের ওয়ারেন্টি। যায় একটি অসাধারণ বিষয়। তবে আপনাদের কাছে এই ল্যাপটপটি কার্যকর কিংবা ফিচারগুলো কিরকম লেগেছে তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads