অনেক সময় কোম্পানিগুলো দারুন ফিচারের সাথে অত্যন্ত সুলভ মূল্যে ল্যাপটপ গুলোকে মার্কেটে রিলিজ করে থাকে । যার কারণে মানুষের মডেল গুলোকে হাতের মুঠোয় পাওয়ার আগ্রহ বেড়ে যায় । বিশেষ করে Asus কোম্পানির রিলিজ করা ল্যাপটপ গুলোর মধ্যে মানুষের জনপ্রিয়তা একটু বেশি দেখা যায় । যার কারণ হলো asus কোম্পানি তাদের ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে ফিচারগুলো ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে থাকে তাও আবার স্বল্প মূল্যে। তবে এরকম ভাবেই একটি নতুন ল্যাপটপ নিয়ে এলো আসুস কোম্পানি যেখানে আমরা মডেল দেখতে পেয়েছি ASUS VivoBook X1500EA। এ ল্যাপটপে জেনারেশনে আমরা 11Th জেনারেশন দেখতে পেয়েছি। এই ল্যাপটপটির ভেতরে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে যেটাকে আমরা Intel Iris Xe Graphics টাইপের দেখতে পেয়েছি। আমরা এই ল্যাপটপটি দিয়ে মোটামুটি ভালো মানের গেম গুলো খেলতে পারব খুব ইজি ভাবে সেখানে আমাদের এই ল্যাপটপের কোন সমস্যা দেখা দেবে না। তাই এই ল্যাপটপটিকে প্রায় অনেকে কোম্পানি গেমিং কিং ল্যাপটপ নামে আখ্যায়িত করেছে। তো এবার চলে যাওয়া যাক ল্যাপটপটির ফুল ফিচার সম্পর্কে যেখানে আসুস কোম্পানি তাদের প্রিয় গ্রাহকদেরকে যে বিশেষ দিকগুলো অফার করছে এই ল্যাপটপের মাধ্যমে।
বডি ডেকোরেশন
ডিভাইসটির সম্পূর্ণ বডি প্লাস্টিকের আবরণের পরিবর্তে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে যার কারণে এটি কে দেখতে অনেকটা প্রিমিয়াম বা গুড লুকিং মনে হাতে পারে । তবে ডিভাইস ব্যবহারেও একটা প্রিমিয়াম ফিল পাওয়া যাবে। ল্যাপটপটির 1.80 কেজি ওজন আমাদের কাছে কিছুটা ভারী বলে মনে হতে পারে তার কারণ আমরা এখানে আইপিএস এলসিডি ব্যবহার করা হয়েছে যেটার ওজন কিছুটা ভারী । ভিন্ন তিনটি কালারে এই ল্যাপটপটি বাজারে পাওয়া যাবে । তবে আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে ব্ল্যাক কালারটি খুবই ভালো লেগেছে । এছাড়া ল্যাপটপটি অন অফ বাটন এবং সাউন্ড স্পিকারও 3.5 এম এম অডিও জ্যাক যেগুলোর অবস্থান ঠিকঠাক বলেই মনে হয়েছে । ল্যাপটপটিতে খুব সহজে দাগ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আর এই জন্য এক্সট্রা ভাবে পিপি ব্যবহার করা সাজেশন থাকছে বা ল্যাপটপটি ঢেকে রাখার সাজেশন থাকছে। তবে এখানে ল্যাপটপের কিবোর্ডে আমরা প্রিমিয়াম লেভেলের একটি কিবোর্ড সাইট পেয়ে যাব যেখানে আমরা কিবোর্ড এর প্রতিটা বাটনই খুব পারফেক্টলি এবং ভালো অবস্থানে রয়েছে এমনটা বলা যেতে পারে। তবে তার মাল বরাবরই আমরা টাচপেট দেখতে পেয়েছি যেটা মূলত সিলিকনের তৈরি। আর টাচপ্যাড থেকেও আমরা ভালো পারফরম্যান্স পেয়ে যাব এমনটা আশা করা যায়।
ডিসপ্লে সাইজ
15.6 ইঞ্চি সাইজের আইপিএস এলসিডি টাইপের একটি ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে মডেলটিতে । যেখানে 60 Hz রিফ্রেশ রেট এর পাশাপাশি screen-to-body রেটিও রেট থাকছে 83.4 । ডিসপ্লেটিকে কি দিয়ে প্রটেক্টেড করা হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি । সেজন্য অবশ্যই সাজেস্ট থাকবে আলাদাভাবে একটি প্রটেক্টেড গ্লাস ব্যবহার করার । ডিসপ্লের টপ সেন্টারে অর্থাৎ মাঝামাঝি ওয়াটার ড্রপ নচ ব্যবহার করা হয়েছে । এছাড়াও ল্যাপটপটির টাকি স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়নি যার ফলে ল্যাপটপটি আমরা ফিঙ্গার দিয়ে ব্যবহার করতে পারবো না । তবে কিবোর্ডের মাধ্যমে খুব ইজি ভাবে ব্যবহার করতে পারব। এমনিতে ডিসপ্লেতে ভালো পরিমাণে কালার পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা যায় । ডিসপ্লে ফিচারে এইচডি রেজুলেশন (1920 x 1080) পিকচ্যেল। লাইটিং পজিশন এর কথা বলতে গেলে দিরেক্ট সানলাইটে কিছুটা ঝামেলা হলেও বাকি পজিশনে অনেকটা দারুণ পারফরমেন্স পাওয়া যাবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন