বর্তমান সময়ের যুগ হলো প্রযুক্তিগত যুগ। আর ল্যাপটপ হলো এর অনেক বড় একটি অংশ। আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রায় বেশিরভাগ কাজেই ল্যাপটপের মাধ্যমে করে থাকি। আমাদের মধ্যে প্রায় অনেকে রয়েছে যারা কিনা একটি নতুন ল্যাপটপ কিনার আগ্রহ অনেক রয়েছে কিন্তু তারা কোন ল্যাপটপের মডেল বা কিরকম কিনবে তাই বুঝে উঠতে পারে না। তাদের জন্য আমার সাজেশন থাকছে যে আপনার বাজেট যদি মিডিয়াম বাজেটের ভিতরে হয় তাহলে HP কোম্পানির নতুন মডেলটি আপনি পছন্দ করতে পারেন। এখানে আমরা মডেল দেখতে পেয়েছি HP pavillion x360। এই ল্যাপটপের নেটওয়ার্ক সিস্টেমে আমরা ওয়াইফাই এ 802.11 এবং Bluetooth 4.2 Combo সাপোর্টেড দেখতে পেয়েছি। যার ফলে আমরা খুব সহজে বলতে পারি এই ল্যাপটপটি ব্যবহার করার সময় আপনাদের ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ এ কোন সমস্যা দেখা দেবে না। এছাড়াও ল্যাপটপে স্টোরেজে আমরা ভালো মানের পারফরমেন্সের আশা করতে পারি। তবে এবার দেখে নেওয়া যাক hp কোম্পানী তাদের গ্রাহকদের কে এর সাথে আর কি কি সুবিধা দিচ্ছে তা নিচে তুলে ধরা হলো।
ল্যাপটপের ডিসপ্লের উপর পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই মডেলটিতে ভি টাইপ নচ ডিসপ্লে প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে । আইপিএস এলসিডি টাইপ ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন চোখে পড়ার মতো । টাচ স্ক্রিনে সাপোর্ট করবে 16M কালার । এই স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত ডিসপ্লের সাইজ রয়েছে 14 ইঞ্চি । ডিসপ্লে ল্যাপটপের অনেকটাই ছোটখাটো বলা চলে । ডিসপ্লের রেজুলেশন অপশনে রাখা হয়েছে (1920 x 1080) পিক্সেল । এইচডি রেজুলেশন ব্যবহার করার কারণে আমরা এখানে রেজুলেশনে কোন শার্পনেস এর অভাব দেখতে পাবো না । এলসিডির ঘনত্ব 263 পিপিআই এবং এর সাথে 20:9 অ্যাসপেক্ট রেটিও লক্ষ্য করা যায় । সবদিক ঠিকঠাক থাকলেও ল্যাপটপের ব্রাইটনেসে তুলনামূলক কম পারফরম্যান্স দেখা যায় । যেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি ৩০০ নিটস। ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেমে গুগোল এর লেটেস্ট ভার্সন উইন্ডোজ 10 ব্যবহার করা হয়েছে । মডেলটির চিপসেটের রাখা হয়েছে অক্টোবর টাইপের ।গিগাহার্টজের আকর্ষণীয়মানের প্রসেসর এর সাথে জিপিইউতে রয়েছে PowerVR GE8320 ।
1.58 কেজির এই ল্যাপটপটি হাতে নিয়ে ব্যবহারে করতে একটু পাতলা মনে হতে পারে । হাই কোয়ালিটি বডিবিল্ডের পাশাপাশি পাওয়া যাবে দারুন ফিনিশিং । এই ল্যাপটপটি আমরা শুধু একটি কালারে দেখতে পেয়েছি যেখানে বরাবরের মতনই সিলভার কালার। এছাড়াও ল্যাপটপের বডি ডিজাইন ডিমেনশনে দেখতে পারবেন 1.78 mm। বডির ডানপাশে দেখা মিলবে পাওয়ার বাটন এবং ইথানী থান্ডার পোর্ট । পাওয়ার বাটনে আকর্ষণীয় একটি লুক দেওয়া হয়েছে , পাওয়ার বাটনের ঠিক উপরে অরেঞ্জ কালারের একটি প্রলেপ দেওয়া হয়েছে যা দেখতে অনেকটাই ভালো লেগেছে । বডির উপরের দিকে রয়েছে হেডফোন জ্যাক এবং নিচে দিকে পাওয়া যাবে micro-usb ও লাউডস্পিকার । ল্যাপটপটি আকারে অনেকটা মানিয়ে নেওয়ার মতো যার দৈর্ঘ্যে রয়েছে 172.8 মিলিমিটার এবং প্রস্থ রয়েছে 78.5 মিলিমিটার এবং 9.65 মিলিমিটার পুরুত্ব। ল্যাপটপ টি কিবোর্ডে আমরা ফুল সাইজের একটি কিবোর্ড দেখতে পেয়েছি যেটা আমাদের ব্যবহারযোগ্য বলে মনে হতে পারে। এই ল্যাপটপের টাচ পেটে আমরা সিলিকনের ব্যবহার দেখতে পেয়ে যাব তা থেকে আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি।
ল্যাপটপটিতে non-removable ব্যাটারি টাইপ রয়েছে যার ক্যাপাসিটিতে রয়েছে মোটামুটি ভালো মানের শক্তিশালী পাওয়ার 41w এমএএইচ । এটা জোর দিয়ে বলা যায় যে ল্যাপটপের দাম অনুযায়ী ব্যাটারি পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো । ল্যাপটপ সাথে যে চার্জার রয়েছে সেটি দিয়ে ফুল চার্জ হতে প্রায় 1 ঘন্টা সময় নিতে পারে । ব্যাটারীটির লাইফটাইম অনেকটা ভাল বলা যায় । মোটামুটি কোয়ালিটির ভিতরে অনেকটা ভালো মানের ব্যাটারি পারফরম্যান্স দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপটিতে । ব্যাটারি ফিচার প্রায় সবার কাছেই ভালো লাগবে বলে আশা করা যায় । টকটাইম ব্যবহারে আপ টু 4 থেকে ৫ ঘন্টা দিয়ে থাকবে।মার্কেটে রিলিজ করা প্রায় প্রতিটা ল্যাপটপে আমরা সিকিউরিটি ব্যবস্থা দেখতে পাই । প্রাইভেসির কথা চিন্তা করে ল্যাপটপগুলোতে সিকিউরিটি সিস্টেম চালু করা হয়েছে । সিকিউরিটি ব্যবস্থা গুলোর মধ্যে খুব জনপ্রিয় এবং নির্ভুল ভাবে সনাক্ত করার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর গুরুত্ব অপরিসীম । ল্যাপটপটি সিকিউরিটি পদক্ষেপে চমৎকার পারফরম্যান্স উপলব্ধি করা যায় । ল্যাপটপটির ঠিক রেয়ার মাউন্টেডে সেট করা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর । তবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি একটু স্লো কাজ করতে পারে এবং সেন্সরটি একটু নিচে দিলে ভালো হতো । প্রক্সিমিটি, একসিলেরোমিটার , গায়রো এবং অন্যান্য সিকিউরিটি সিস্টেম গুলো অনেকটাই জনপ্রিয় এবং সঠিকভাবে শনাক্তকরণে সাহায্য করবে বলে আমি আশাবাদী ।
এই ল্যাপটপের স্টোরেজে আমরা র্যাম হিসেবে পেয়ে যাব 8 জিবি এবং এটাকে এক্সট্রা করে আমরা সর্বোচ্চ 16 জি বি রেম করতে সক্ষম হব। আর রুম হিসেবে পেয়ে যাব 512 জিবি রোম। বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে এই ল্যাপটপটির দাম নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে 87,000 টাকা।₹ 62,999 রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ার মার্কেটপ্লেস গুলো ভিতরে। বর্তমান বিশ্ববাজারে এই ল্যাপটপটির প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে 574.98$। তবে বাজেট হিসেবে ল্যাপটপটির ফিচারগুলো HP কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের ভালো পরিমাণে অফার করছে এমনটাই বলা যাচ্ছে। তবে এইচপি কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের জন্য ২ বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছে সব সময়ের জন্য। যা এই ল্যাপটপের বিশেষ কিছু দিকগুলোর মধ্যে অন্যতম ভালো একটি দিক বলা যায় এটি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন