Ads

বর্তমান বিশ্ববাজারে hp কোম্পানিটির জনপ্রিয়তা এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে প্রায় অনেকেই সিদ্ধান্ত করে বসেছে যে তাদের কোম্পানির নিউ ল্যাপটপ  ব্যবহার করার জন্য। বর্তমানে গ্রাহকদের নজর পরে প্রায় যেকোনো ডিভাইসের বডি লুকিং এর দিকে । আর এই দিকটি সম্পূর্ণ করে Hp কোম্পানিটি জনপ্রিয়তা আরো বেশি হাতিয়ে নিয়েছে বললেই চলে। Hp ব্র্যান্ডটির অন্যতম একটি সিরিজ হল s সিরিজ । আর যার হাত ধরে নিয়ে এলো Ho কোম্পানিটি Hp 15 S eq 2171 au মডেলের ল্যাপটপটি । নিউ মডেলটিতে Hp কোম্পানিতে তাদের গ্রাহকদের উন্নত মানের নেটওয়ার্কিং সিস্টেম দিচ্ছে। যা আমরা এই মিডিয়াম বাজেটের ক্যাটাগরি ল্যাপটপ গুলো ভিতরে খুব কমই লক্ষ্য করতে পেরেছি। তাছাড়া আমাদেরকে Hp কোম্পানিটি তাদের নিউ ল্যাপটপটির কালারে দুটি কালার অফার করেছে। যেখানে আমরা একাধিক কালার বেছে নিতে সক্ষম হবো। তবে এবার দেখে নেওয়া যাক যে Hp কোম্পানিটি তাদের এই নিউ ল্যাপটপটির ভিতরে কি শুধু এই ভালো মানের নেটওয়ার্ক সিস্টেম  এবং দুটি কালারি অফার করছে নাকি তার সাথে হাই কিছু অফার করছে তাদের গ্রাহকের জন্য। যদি আপনি ল্যাপটপটির স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি থাকছে আপনার জন্য ।


Hp 15s eq2171au full specification | hp 15s eq2171au বাংলা রিভিউস


বডি ডিজাইন


ল্যাপটপটির বডি বিল্ডিং অ্যালুমিনিয়ামের বদলে প্লাস্টিকের ফ্রেম ব্যবহার করেছে । যার কারণে হয়তো ডিভাইসের ব্যাক সাইডে ফিঙ্গারপ্রিন্টের ছাপ বসে যেতে পারে তবে এখানে প্রটেকশনের জন্য কিছু ইউসের সাজেশন থাকছে। তবে Hp কোম্পানি তাদের গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে ল্যাপটপটির ব্যাকসাইডেও ব্যবহার করেছে কর্নিং গরিলা গ্লাস। যেটা মূলত এই ল্যাপটপটির পড়ে ভেঙ্গে যাওয়া থেকে প্রটেকশন করার জন্য ব্যবহার করেছে। যার ফলে ল্যাপটপটির 1.69 কেজি ওজন একটু বেশি বলে মনে হতে পারে । তাছাড়া এই ল্যাপটপটির উচ্চতা হল 18.8 মিলিমিটার। যাকে মিডিয়াম সাইজের একটি বডি সাইজ বলতে পারি আমরা খুব সহজেই। Selver and  black দুইটি চমৎকার কালারে আমরা পেয়ে যাব ল্যাপটপটি । ফাস্ট চার্জিং সিস্টেমের জন্য USB টাইপ C পোর্ট,3.5mm হেডফোন জেক আমরা দেখতে পেয়েছি ল্যাপটপটির বডির নিচের সাইটে। তাছাড়া বডির বাম পাশে সিম কার্ড ট্রে স্লট থাকছে। যেখানে আমরা দুটি সিম ব্যবহার করতে পারব খুব সহজভাবে। এছাড়াও  ল্যাপটপটির ডান সাইডে ঠআন্ডআর পোর্ট। তাছাড়া ল্যাপটপটির কিবোর্ডে আমরা ফুল সাইজের একটি কিবোর্ড দেখতে পেয়ে। যেখানে এইচপি কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের কে বিভিন্ন ধরনের ভাষা ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে । এ ছাড়াও ল্যাপটপ টির টাচপেটটা  আমরা বরাবর ঠিক জায়গায় দেখতে পেয়েছি।


ডিসপ্লে সাইজ


15.5 ইঞ্চি সাইজের একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে Hp তাদের এই নিউ  ল্যাপটপ টির ভিতরে। এই ল্যাপটপ টির ভিতরে যে ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা মূলত AMOLED টাইপের ডিসপ্লে। যেটা কি আমরা ভালো মানের ডিসপ্লে টাইপ বলতে পারি। এই ছাড়া ল্যাপটপ টির ডিসপ্লেতে আমরা পেয়ে যাব 120 Hz রিফ্রেশ রেট। যার ফলে ল্যাপটপ টি দিয়ে যেকোনো ভিডিও দেখার সময় কালারের কোন ঘাটতি দেখতে পাবো না আমরা। তাছাড়াও ফুল এইচডি রেজুলেশন ব্যবহার করেছো hp তাদের নিউ ল্যাপটপ টির মধ্যে যেখানে থাকছে 1800×2412 পিক্সেল। যা একটি অসাধারণ বিষয় বলে গণনা করা যায়। 394 ppi ডেনসিটি ব্যবহার করা হয়েছে ল্যাপটপ টির ডিসপ্লেতে। এটা খুব সহজেই বলা যায় যে এই ল্যাপটপে যে ডিসপ্লে টাইপ ব্যবহার করেছেন উন্নত মানের ডিসপ্লে টাইপ। যেখানে আমরা আরও পেয়ে যাব 500 নিটস ব্রাইটনেস। যেটা থেকে আমরা ল্যাপটপটি ব্যবহার করার সময় ইনডোরে কিংবা আউটডোরে এই যেভাবে ব্যবহার করতে পারো যেখানে আমাদের কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না।


ব্যাটারি এবং প্রসেসর ফিচার


আমরা যারা কিনা একটি ভালো মানের ব্যাটারি ব্যাকআপের ল্যাপটপ খুঁজতেছে তাদের জন্য হয়তো এই ল্যাপটপ কি হতে চলেছে দুর্দান্ত মানের একটি ল্যাপটপ। এখানে আমরা ল্যাপটপের কোয়ালিটি হিসেবে পেয়ে যাব 3 Cell সিস্টেমের। এটা কি আমরা ভালো মানের একটি ব্যাটারি বলতে পারি । তাছাড়া ওইখান থেকে আমরা ভালো মানের ব্যাটারি পারফরমেন্স পাওয়ার আশা করতে পারি। এই ব্যাটারির ভিতরে ক্যাপাসিটি তে পাওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে 41W। আর এই একচল্লিশ ওয়ার্ড পাওয়ার কে সতেজ রাখতে অ্যাডপ্টারের ভিতরে পাওয়ার ব্যবহার করেছে এসপি কোম্পানি 45W। যার মাধ্যমে ল্যাপটপটি চার্জ হতে সময় নেবে প্রায় এক ঘন্টা থেকে কিছুটা বেশি সময়। আর আমরা ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে যাবো সচরাচরের মতনই ছয় থেকে সাত ঘন্টা পর্যন্ত।AMD Integrated SoC কোয়ালিটি চিপসের ব্যবহার করেছি এইচপি কোম্পানি মডেলটির ভিতরে। এছাড়াও যে প্রসেসরটি এই ল্যাপটপের ভিতর ব্যবহার করা হয়েছে সেটির কোয়ালিটি হলো ইন্টেল টাইপের। যেটা থেকেও আমরা ভালো মানের পারফরমেন্সের আশা করতে পারি। এছাড়া ল্যাপটপটির অফারেটিং সিস্টেমকে রান করার জন্য এইচপি কোম্পানি ব্যবহার করেছে windows 11 ভার্শন।

Hp 15S eq2171 au দাম


অফিশিয়ালভাবে ল্যাপটপটিকে মার্কেটে প্রথমবারের মতো রিলিজ করা হয়েছে । বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলো ছাড়াও hp নতুন মডেলটিকে বিভিন্ন  শোরুমে পাওয়া যাচ্ছে । কম বাজেটের মধ্যে আমরা যারা ভালো কালেকশন পাওয়ার প্রত্যাশী তাদের জন্য এই মডেলটি হতে পারে সেরা । পারফরম্যান্স অনুযায়ী ল্যাপটপটির বাজেট ততটা বেশি নয় । বাংলাদেশের শোরুম এবং মার্কেটপ্লেসগুলোতে মোবাইলটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে  61,000 টাকা । এই ল্যাপটপটির মার্কেটে অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল দুইভাবেই পাওয়া যাবে । তবে আপনি যদি ইন্ডিয়ার মার্কেটপ্লেসগুলোতে কে এই ল্যাপটপটির ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাদের খরচ করতে হবে 30,990$। এছাড়াও আপনারা এই ডিভাইসটি কোন দেশ থেকে ব্যবহার করতে ইচ্ছুক তা আমাদের অবশ্যই আপনার সুন্দর একটি আঙ্গুলের মাধ্যমে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads