Ads

বর্তমান বিশ্ব বাজারে ল্যাপটপ রিলিজ করার জন্য hp কোম্পানি টি উন্নত মানের অন্যতম ১০ টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানি হিসেবে গণনা করা যায়। যার কারণ হলো hp কোম্পানিটি বেশ কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের আকর্ষণীয় স্মার্ট ল্যাপটপ  বিশ্ববাজারে লঞ্চ করেই যাচ্ছে । যার মধ্যে একটি অন্যতম মডেল হল Hp envy  x360  । Hp  কোম্পানিতে তাদের এই নতুন রিলিজ হওয়া ডিভাইসটির  ভেতরে GSM টেকনোলজি ব্যবহার করেছে যার মাধ্যমে স্মার্ট ল্যাপটপটির  নেটওয়ার্ক খুব ফাস্ট কাজ করবে এমনটা জানা গেছে তাদের সংস্থা থেকে। যা আমরা ল্যাপটপ টির  অন্যতম একটি সুবিধা জনক বিষয় হিসেবে গণনা করতে পারি। Hp  কম্পানিটিকে সাধারণত দেখা যায় তাদের ডিভাইসগুলোতে ভালো মানের ফিচারগুলো এনে থাকে কম  বাজেটের মধ্যে  তবে দেখা যাক এই নতুন ল্যাপটপটির ফিচারগুলো কিরকম এনেছে । আর আপনাদের যদি এ বিষয়টি জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই রিভিউটি একবার মনোযোগ সহকারে পড়ে যাবেন।

Hp envy  x360 পুরো পুরি বিস্তারিত সম্পর্কে আলোচনা |  hp envy x360 full specification


ডিসপ্লে এবং প্রসেসর


আমাদের মাঝে প্রায় অনেকেই রয়েছে যারা মিডিয়াম সাইজের ডিসপ্লে ওয়ালা ল্যাপটপ  ব্যবহার করতে চাচ্ছেন বা পছন্দ করেন। তাদের কথা মাথায় রেখে Hp কোম্পানিটি নিউ ল্যাপটপটির  ডিসপ্লের সাইজে ব্যবহার করেছে ১৩.৩ ইঞ্চি। ল্যাপটপটির  ডিসপ্লে মূলত AMOLED টাইপের ডিসপ্লে। এটাকে আমরা উন্নত মানের ডিসপ্লে বলতে পারি। তাছাড়া ডিসপ্লেতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস 5। যেটাকে মূলত ল্যাপটপ টি পড়ে যেয়ে ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রটেক্ট করার জন্য Hp  কোম্পানিটি ব্যবহার করেছে। তাছাড়া 120 Hz রিফ্রেশ রেট ব্যবহার করা হয়েছে ল্যাপটপটির ডিসপ্লেতে। ল্যাপটপটির ডিসপ্লে তে আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হলো 1440 x 3216 পিক্সেল ব্যবহার করা হয়েছে যেটাকে আমরা উন্নতমানের রেজুলেশন এর পিক্সেল বলতে পারি খুব সহজেই ।1300 নিটস ব্রাইটনেস পেয়ে যাব আমরা এই ল্যাপটপটির  ডিসপ্লে তে । যার ফলে  ল্যাপটপটি আমরা ইনডোর আউটডোর কিংবা পুরোপুরি রোদে গেলেও ল্যাপটপের  ব্রাইটনেসের কোন অভাব দেখতে পাবো না । এ বিষয়টি আমার কাছে একটি দারুন বিষয় বলে মনে হয়েছে। তাছাড়া ল্যাপটপটির  অপারেটিং সিস্টেমকে রান করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে 11 ভার্সন। তবে আমরা চাইলে দুটি আপডেটের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেমকে নিয়ে যেতে পারবো Windows 13 ভার্সন ব্যবহার করতে পর্যন্ত। যা একটি অত্যন্ত ভালো দিক বলে মনে করা যায়।


বডি ডিজাইন


এই ডিভাইসটির ব্যাক সাইডে প্লাস্টিকের বদলে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করেছে Hp কোম্পানিটি। যার ফলে ল্যাপটপটির ব্যাক সাইডের লুকিং আরো বেশি সৌন্দর্যময় করে গড়ে উঠি এছে বলে মনে করা যায়। এই ল্যাপটপটির আরো একটি অন্যতম দিক হলো এই ল্যাপটপটির ব্যাকসাইডেও কর্নিং গ্লাস ব্যবহার GSM করেছে। এটা মূলত ল্যাপটপটির ব্যাকসাইডকে প্রোটেক্ট করার জন্য ব্যবহার করেছে HP কোম্পানিটি। এ ল্যাপটপটির  পুরো বডির ওজন হল 1.32 kg। যার সাথে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত। এই ল্যাপটপটির উচ্চতা হল18.6 মিলিমিটার। যার মাধ্যমে  ল্যাপটপটির ব্যবহারের সময় আমাদের তেমন কোন আনইজি ফিল হবে না বলে আশা করা যায়। তাছাড়া এই ল্যাপটপটির বডির নিজের সাইডে আমরা পেয়ে যাব দ্রুত চার্জিং সিস্টেমের জন্য USB টাইপ C পোর্ট চার্জিং সিস্টেম,3.5 mm হেডফোন জ্যাক এবং অডিও জ্যাক। বাম দিকে থাকছে  পাওয়ার বাটন। তবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার এড করা হয়েছে ডিসপ্লের সঙ্গে। যায় একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক বিষয় বলে আশা করা যায়। এছাড়াও ল্যাপটপটির কিবোর্ডে আমরা ফুল সাইজের একটি কিবোর্ড দেখতে পেয়েছি। যেখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে পারব ইজি ভাবে। তাছাড়াও টাচপ্যাড টা আমরা প্রায় জায়গার মতোই দেখতে পেয়েছি।


ব্যাটারি এবং ক্যামেরা ফিচার


 আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা কিনা একটি ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপের ল্যাপটপ খুজতেছি তো তাদের জন্য আমি বলব এই ল্যাপটপটি অসাধারণ ল্যাপটপ হতে চলেছে। কারণ এই ল্যাপটপের ভিতরে এইচপি কোম্পানি ব্যাটারির ক্যাপাসিটি তে ব্যবহার করেছে 52w এর পাওয়ার যেখানে ব্যাটারিটা আমরা দেখতে পেয়েছি 4 cell সিস্টেমের। যেটাকে আমরা পুরোপুরি নতুন ব্যাটারি টাইপ বলতে পারি খুব সহজেই। তাছাড়া ব্যাটারির সাথে যে এডাপ্টার রয়েছে সেটার ভিতর আমরা পাওয়ার দেখতে পেয়েছি  45w। যেটার মাধ্যমে এই ল্যাপটপটি ফুল চার্জ হতে সময় নেবে প্রায় এক ঘন্টার কাছাকাছি সময়। আর এই ল্যাপটপটি  আমরা যারা মিডিয়াম ভাবে ব্যবহার করব তাদেরকে ল্যাপটপের ব্যাটারি সর্বোচ্চ 7 ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম হবে। আর যারা লোভাবে ব্যবহার করব তাদেরকে নয় থেকে 10 ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিতে সক্ষম হবে ল্যাপটপের ব্যাটারিটি। তো এটা খুব সহজে বলা যাচ্ছে যে ল্যাপটপের ব্যাটারি নিয়ে আমাদের কোন দুশ্চিন্তা করতে হবে না। এছাড়াও আমরা ক্যামেরার ভিতরে দেখতে পেয়েছি ওয়েব ক্যাম ভিজিট আই টাইপের দেখতে পেয়েছি যেটা থেকে আমরা ল্যাপট দিয়ে ভিডিও কলে কথা বলার সময় স্পষ্ট দেখতে পাবো এমনটা আশা করা যায়।

Hp envy x360  প্রাইস 


আমাদের সর্বপ্রথম এই ল্যাপটপের প্রাইস জানার আগে জেনে নিতে হবে এই ল্যাপটপের স্টোরেজ সম্পর্কে। যেখানে আমরা র্যাম হিসেবে পেয়ে যাব 8 জিবি র‍্যাম । এবং রোম হিসেবে পেয়ে যাব 512 জিবি রুম। তবে এখানে রেমকে আমরা এক্সট্রা করে ৮ জিবি থেকে 16 জিবি পর্যন্ত নিতে পারব মেমোরি কার্ড স্লডের মাধ্যমে। বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে এই ল্যাপটপটি আমাদের ক্রয় করতে হলে ব্যয় করতে হবে 118,000 টাকা। এবং, 86,303€রূপি নির্ধারণ করা হয়েছে বর্তমান ইন্ডিয়ার মার্কেটপ্লেস গুলোর ভিতর । তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা এই ল্যাপটপটিকে বিশ্ব বাজার থেকে বা গ্লোবাল বাজার থেকে ক্রয় করতে চাচ্ছে তো তাদেরকে খরচ করতে হবে 949.98$। তবে আমরা ল্যাপটপের ফিচারগুলো অনুযায়ী প্রাইস টা  কিছুটা কমই দেখতে পেয়ে। তবে এটিই শেষ নয় এইচপি কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে এই ল্যাপটপের সাথে এক বছরের ওয়ারেন্টি রেখেছে সব সময়ের জন্য। তবে এই ল্যাপটপের প্রাইস অফিশিয়াল ভাবে নির্ধারণ করে রেখেছে hp company যাতে তাদের ডিভাইসের কাস্টমার বা গ্রাহক বৃদ্ধি পায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads