আমাদের বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ যদিও আগেকার মানুষগুলো তেমন একটা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের উপর নির্ভরশিল ছিল না কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে প্রায় প্রতিটা মানুষের কাছেই রয়েছে একটি স্মার্টফোন আর এই স্মার্টফোনের পাশাপাশি আবার অনেকের কাছে রয়েছে ল্যাপটপ। আবার এমন অনেকেই আছে যারা নতুন ল্যাপটপ কিনবেন বলে ভাবছেন।কিন্তু কোন কোম্পানির ল্যাপটপ কিনবেন বা কোন কোম্পানির ল্যাপটপ সবচেয়ে ভালো এই নিয়ে কনফিউশনে ভুগছেন অনেকেই। তাই আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম hp কোম্পানির একটি চমৎকার ল্যাপটপ সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার জন্য। বর্তমান সময়ে এইচপি বাংলাদেশের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় একটি ল্যাপটপ কোম্পানি। কোম্পানির নতুন মডেলের ল্যাপটপটি হলো HP pavillion 15।বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংসহ অন্যান্য কাজ করার জন্য এসপির এই নতুন মডেলের ল্যাপটপ কেমন হবে সেটা যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন তাহলে আমি বলব ফ্রিল্যান্সিং সহ অন্যান্য কাজের এর জন্য hp কোম্পানির নতুন মডেলের ল্যাপটপটি সবচেয়ে বেস্ট চয়েজ হতে পারে আপনার জন্য। তাই আজ আমি আপনাদের সাথে এসপির নতুন ল্যাপটপটি নিয়ে আলোচনা করব, ল্যাপটপটি যদি আপনার বাজেটের মধ্যে হয়ে থাকে বা ফিচারগুলো পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে আপনি কিনতে পারেন।তো চলুন বন্ধুরা ল্যাপটপটি স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
বিল্ড ডিজাইন
যদি ডিজাইনের কথা বলি তাহলে hp এখানে চমৎকার একটি বডি ডিজাইন দিয়েছে । গুড লুকিং একটি বডি ডিজাইন এখানে আমরা দেখতে পেয়েছি । পিছনের দিকটা দেখতে আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে তার কারণ হলো যে ক্যামেরা মডিউল দেওয়া হয়েছে সেটি কিন্তু এটাচ অবস্থায় রয়েছে । স্মার্টফোনটি একটু বড়োসড়ো হলেও দেখতে অনেকটাই স্লিম । যা খুব সহজেই ব্যবহারযোগ্য । Hp pavillion 15 মডেলটির পুরো বডির ওজন হল 1.74 কেজি। তবে এই মডেলের ল্যাপটপটি আমরা শুধু সিলভার কালারে মার্কেটগুলোতে দেখতে পেয়েছি। এখানে একাধিক কালার চয়েস করার অপশন এইচপি কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের দেয় নি। এ মডেলের ল্যাপটপটির ডানদিকে থাকছে গুগোল অ্যাসিস্ট্যান্ট বাটন এবং ঠান্ডার পোর্ট বামদিকে আমরা দেখতে পাবো মেমোরি কার্ড স্লট । উপরের দিকটা সম্পূর্ণ ক্লিয়ার রাখা হয়েছে । নিচের দিকে আমরা দেখতে পারবো স্পিকার , 3.5 এম এম অডিও জ্যাক এবং micro-usb । Hp পরবর্তীতে অবশ্যই এখানে আপডেট আনবে । বডির চারদিকের আবরণ প্লাস্টিকের তৈরি । যার ফলে ল্যাপটপটি প্রায় সকলেরই নজর কেড়ে নিতে সক্ষম হবে।
ডিসপ্লে ফিচার
Hp কোম্পানি নতুন এই ল্যাপটপটিতে মূল ক্লাইম্যাক্স দেওয়া হয়েছে ডিসপ্লেতে । কোম্পানিটি এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লের উপর এন্টারটেইনমেন্ট রেখেছে ।15.6 ইঞ্চি সাইজের 90 Hz রিফ্রেশ রেট আমরা হয়তো এই বাজেটের মধ্যে অন্য কোন ল্যাপটপে খুব কম দেখে থাকি। এছাড়াও থাকছে এইচডি রেজুলেশন এর সাথে 267 পিপিআই পিক্সেল দেন্সিটি । পাশাপাশি আমরা ব্রাইটনেস এর পরিমাণও ভালো পেয়েছি তবে সূর্যের আলোতে সামান্য স্ট্রাগল করতে পারে । তবে ডিসপ্লে পারফরম্যান্স আশানুরূপ এবং কালারফুল বলা যায় । ডিসপ্লের টপ সেন্টারে আমরা দেখতে পেয়েছি ওয়াটার ড্রপ নচ । চিন বা বেজেলের পরিমাণ পারফেক্ট বলেই মনে হয়েছে । ডিসপ্লের যে বিষয়টি না বললেই নয় এখানে আমরা ডিসপ্লে প্রটেকশন এর ব্যবহার দেখতে পাইনি । আমার পক্ষ থেকে সাজেস্ট থাকবে অবশ্যই আলাদাভাবে প্রটেকশন ব্যবহার করে নেওয়া । নরমালি আমরা এই বাজেটের মধ্যে এর চেয়ে বেটার কিছু অন্য ল্যাপটপে খুব কম দেখে থাকি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন