HP কোম্পানির প্রফেশনাল ভাবে বর্তমান বিশ্ববাজারে নিয়ে এলো Hp probook 44 5g8 ।HP কোম্পানির -নতুন মডেলের ল্যাপটপটি এমন একটি অন্যতম ডিজাইনে তৈরি,যা কিনা প্রচলিত ল্যাপটপের চেয়ে দেখতে অনেক বেশি আলাদা ও আধুনিক বলা যেতে পারে। এটি একটি অল ইন ওয়ান গেমিং পিসি হিসেবে কাজ করে, আর এর দুর্দান্ত স্ক্রিনে ও আমরা ভালো ফিনিশিং দেখতে পেয়েছি। ডিভাইসটির মনিটর অঞ্চলে এর সমস্ত মূল উপাদানগুলো সাজানো হয়েছে যার ফলে এই ডিভাইসটি ব্যবহার করা আমাদের কাছে খুব ইজি হয়ে যাবে। আর এতে সংযুক্ত করা হয়েছে একটি হালকা ওজনের পৃথক আরজিবি কীবোর্ড, যা সহজেই আলাদা করা যায় , আবার লাগানো ও যায়।এই ল্যাপটপটিতে দেয়া হয়েছে একটি শক্তিশালী ইনটেল কোর প্রসেসর এবং এনভিডিয়া আরটিএক্স জিপিইউ ও ব্যবহার করা হয়েছে। আর তাই এর গ্রাফিক্সের থেকে আমরা ভালো পারফরম্যান্স পেয়ে যাব। তবে আমাদের শুধু গ্রাফিক্স ডিজাইনে ভালো পারফরম্যান্স পেলে তো চলবে না তার সাথে সকল ফিচারগুলো ভালো মানের পেতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এই ল্যাপটপের ভিতরে এইচপি কোম্পানি কি কি সুযোগ অফার করছে তাদের গ্রাহকদের।
ডিসপ্লে এবং প্রসেস ফিচার
ল্যাপটপটির ডিসপ্লের উপর পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই মডেলটিতে ভি টাইপ নচ ডিসপ্লে প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে । আইপিএস এলসিডি টাইপ ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন ব্যবহার করার কারণে ডিভাইসটির ডিসপ্লে দেখার মত । টাচ স্ক্রিনে সাপোর্ট করবে 16M কালারস। এই স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত ডিসপ্লের সাইজ রয়েছে 14 ইঞ্চি । মোবাইলটির ডিসপ্লে অনেকটাই ছোটখাটো একটি ডিসপ্লে বলা চলে । ডিসপ্লের রেজুলেশন অপশনে রাখা হয়েছে 1080×1920 পিক্সেল । এইচডি রেজুলেশন ব্যবহার করার কারণে আমরা এখানে কোন রেজুলেশনের অভাব দেখতে পাবো না। এলসিডির ঘনত্ব 263 পিপিআই এবং এর সাথে 20:9 অ্যাসপেক্ট রেটিও লক্ষ্য করা যায় । সবদিক ঠিকঠাক থাকলেও মোবাইলটির ব্রাইটনেসে তুলনামূলক কম পারফরম্যান্স দেখা যায় । যেখানে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন 250 নিটস ব্রাইটনেস। যেটা থেকে আমরা ঘরের ভিতরে খুব স্পষ্টভাবে ল্যাপটপটি থেকে ব্রাইটনেসের ভালো দিক আশা করতে পারি তবে ঘরের বাইরে আমাদের একটু ঝাপসা ঝাপসা বলে মনে হতে পারে। মোবাইলটির অপারেটিং সিস্টেমে গুগোল এর লেটেস্ট ভার্সন উইন্ডোজ 10 ব্যবহার করা হয়েছে । মডেলটির চিপসেটের রাখা হয়েছে অক্টোবর ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রফেসর হিসেবে ইন্টেল টাইপ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে , 2 গিগাহার্টজের আকর্ষণীয়মানের প্রসেসর এর সাথে জিপিইউতে রয়েছে PowerVR GE8320 । এছাড়াও এই প্রসেসরের মডেলটি হল Core i5-1135G7।
বডি ডিজাইন
1.38 কেজির এই ল্যাপটপটি হাতে নিয়ে ব্যবহারে করতে একটু হালকা পাতলা একটু ল্যাপট মনে হতে পারে । হাই কোয়ালিটি বডিবিল্ডের পাশাপাশি পাওয়া যাবে দারুন বডির ফিনিশিং । ল্যাপটপের বডির ভিতরে Hp কোম্পানি অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করেছে যার ফলে আমরা ল্যাপটপটি হাতে নিয়ে প্রিমিয়াম লেভেলের ল্যাপটপ এরকমটা ফিল করতে পারি। এই ল্যাপটপের বডির কালারের ভিতরে বরাবরের মতন সিলভার কালার ব্যবহার করেছে। এছাড়াও বরাবরের মতোই ল্যাপটপের বডির মাঝ বরাবর এইচ পি কোম্পানির লোগো রয়েছে। বডির ডানপাশে দেখা মিলবে পাওয়ার বাটন এবং ঠান্ডার পোর্ট । পাওয়ার বাটনে আকর্ষণীয় একটি লুক দেওয়া হয়েছে , পাওয়ার বাটনের ঠিক উপরে অরেঞ্জ কালারের একটি প্রলেপ দেওয়া হয়েছে যা দেখতে অনেকটাই ভালো লেগেছে । বডির উপরের দিকে রয়েছে হেডফোন জ্যাক এবং নিচের দিকে পাওয়া যাবে micro-usb ও লাউডস্পিকার এবং চার্জ দেয়ার জন্য ইউবি টাইপ সি পোর্ট । ল্যাপটপটির আকার অনেকটা মানিয়ে নেওয়ার মতো যার দৈর্ঘ্যে রয়েছে 172.8 মিলিমিটার এবং প্রস্থ রয়েছে 78.5 মিলিমিটার এবং 9.65 মিলিমিটার পুরুত্ব । যাকে আমরা পারফেক্ট সাইজ বলতে পারি।
ব্যাটারি এবং নেটওয়ার্ক ফিচার
ল্যাপটপটির ভিতরে 3 cell ব্যাটারি টাইপ রয়েছে যার ক্যাপাসিটিতে রয়েছে মোটামুটি ভালো মানের শক্তিশালী পাওয়ার 45 w। এটা জোর দিয়ে বলা যায় যে ল্যাপটপটির দাম অনুযায়ী ব্যাটারি পারফরম্যান্স তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো । ল্যাপটপে এডাপটারে পাওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে 45 ওয়ার্ড। ল্যাপটপটির সাথে যে চার্জার রয়েছে সেটি দিয়ে ফুল চার্জ হতে প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা ঘন্টা সময় নিতে পারে । ব্যাটারীটির পারফরম অনেকটা ভাল বলা যায় । মোটামুটি কোয়ালিটির ভিতরে অনেকটা ভালো মানের ব্যাটারি পারফরম্যান্স দেওয়া হয়েছে ল্যাপটপটিতে । ব্যাটারি ফিচার প্রায় সবার কাছেই ভালো লাগবে বলে আশা করা যায় । আমরা যারা এই ল্যাপটপটি দিয়ে টুকটাক কাজ করি তাদেরকে ল্যাপটপটির ব্যাটারি সর্বোচ্চ ছয় থেকে সাত ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়ে থাকবে। এই ল্যাপটপের নেটওয়ার্ক এর কথা না বললেই নয় যেখানে আমরা সম্পূর্ণ ওয়াইফাই এর নেটওয়ার্ক পাওয়ার পেয়ে যাবে। তার সাথে ব্লুটুথ পাওয়ারে পেয়ে যাব Bluetooth 5। যার ফলে আমরা ব্লুটুথ এর কাজগুলো অতি তাড়াতাড়ি করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও এই ল্যাপটপের ভিতরে যে নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি মূলত Lan টাইপের।
Hp probook 44 5g8 প্রাইস
বিশ্ব মার্কেট প্লেস গুলোতে HP ব্রান্ডের ল্যাপটপ গুলোর বেশ ভালো জনপ্রিয়তা আমরা দেখতে পেয়ে যাই । অনেকদিন যাবৎ আগে থেকেই কোম্পানিটি আমাদের মাঝে তাদের সিরিজ গুলোকে রেগুলারলি আপডেট করে যাচ্ছে । HP probook 44 5g8 রিসেন্টলি আমাদের মাঝে চলে এসেছে এবং বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেস থেকে ল্যাপটপটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 85,000 টাকা । সচরাচর অন্যান্য ল্যাপটপগুলো থেকে এই ল্যাপটপটির প্রাইস আমরা অনেকটাই ডাউন প্রাইস দেখতে পেয়েছি এবং পারফরম্যান্সেও মোটামুটি ভালই মনে হয়েছে । ভারতের মার্কেটপ্লেসে এই ল্যাপটপটির মূল্য রয়েছে 72,498 রূপি । এছাড়াও আপনি যদি ল্যাপটপটিকে আন্তর্জাতিক মার্কেট থেকে ক্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে 650$ । এছাড়াও এই ল্যাপটপটির প্রাইস আপডাউন করার কোন চার্জ নেই কারণ এইচপি কোম্পানি এই ডিভাইসটির প্রাইস অফিসিয়াল ভাবে নির্ধারণ করেছ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন