Ads

আমরা অনেকেই চাই শর্ট বাজেটের ভিতরে  ভালো মানের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে। শট বাজেটের ভিতরের ফোনগুলোতে যদি আমরা ভালো মানের ফিচার পেয়ে যায় তাহলে আমাদের নজর ওই স্মার্টফোনটির উপর একটু বেশি পড়ে থাকে। আর এইসব বিষয়গুলোর উপর infinix ব্রেন্ড টি একটু বেশি লক্ষ্য দিয়েছি এই মডেলটিতে infinix note 12i। এই মোবাইল ফোনটি দিয়ে আমরা সর্বোচ্চ নেটওয়ার্ক সিস্টেম পেয়ে যাব 4G পর্যন্ত। তা ছাড়া আর মোটামুটি মানে ডিসপ্লে, বডি ডিজাইন, ক্যামেরা ফিচার, ব্যাটারি ব্যাকআপ তো থাকছেই। এই স্মার্টফোনটির ভালো মনের একটি দিক লক্ষ্য করতে পেরেছি সেটি হল GPRS এই মোবাইল ফোনটিতে আমরা পেয়ে যাব। তবে আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়া যাক infinix এর নতুন মডেলের স্মার্টফোনটির বিস্তারিত সম্পর্কের আলোচনায়।

Infinix note 12i in bangla reviws | infinix note 12i price in india


বডি বিল্ডার

আমরা সর্বক্ষেত্রে দেখে থাকি infinix কোম্পানিটি তাদের ডিভাইস গুলোর বডি ডিজাইনের দিকে একটু বেশি লক্ষ্য করে থাকে। ইতিমধ্যে রিলিজ হওয়া মোবাইল ফোনটি আমরা তিনটি কালার যেখানে থাকছে কালো, সাদা ও নীল কিউট কালার গুলোতে। Infinix এর নতুন লঞ্চিয় স্মার্টফোনটির বডির ব্যাক সাইডে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যালুমিনিয়ামের পরিবর্তে ভালো মানের প্লাস্টিকের
ফ্রেম। যার ফলে এই ডিভাইসটির ওজন হচ্ছে  188 গ্রাম। এটা খুব সহজেই বলা যেতে পারে যে এই স্মার্টফোনটি ওজনের সাথে আমরা প্রায় সকলের পরিচিত।
এই মোবাইল ফোনটির বডির ডান পাশে আমরা পেয়ে যাব পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম আপডাউনের বাটন। তবে এখানে আরো একটি চমৎকার বিষয় হচ্ছে এই মোবাইল ফোনটির পাওয়ার বাটন এর সাথে অ্যাড করা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্টার। যেটা আমরা খুব ফাস্টলি কাজ করতে দেখেছি। তাছাড়া মোবাইল ফোনটির ব্যাক সাইডে ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে। যেটা স্মার্ট ফোন থেকে আরও আকর্ষণীয় মনে করেছে। তবে এই ‌স্মার্টফোনটির বডি নিচের সাইডেই আমরা পেয়ে যাব USB টাইপ C পোর্ট চার্জিং সিস্টেম, 3.5mm হেডফোন জ্যাক এবং স্পিকার ট্রে। তাছাড়া বাম সাইডে আমরা পেয়ে যাব সিম কার্ড ট্রে স্লট। যেখানে আমরা দুইটি সিম কার্ড খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারব।

ডিসপ্লে এবং স্টোরেজ


Infinix কোম্পানিটি এই ডিভাইসটির ডিসপ্লেতে দুর্দান্তময় ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে। যেখানে থাকছে 6.7 ইঞ্চি সাইজের একটি ডিসপ্লে। যেটা মূলত AMOLED টাইপের ডিসপ্লে। তাছাড়া আমরা রেজুলেশনের ক্ষেত্রে পেয়ে যাব
1080×2400  পিকচ্যাল। যেটাকে আমরা ফুল এইচডি রেজুলেশনের একটি ডিসপ্লে বলতে পারি খুব সহজে। ডিসপ্লেতে আমরা আরও পেয়ে যাব 399 ppi
ডেনসিটি। এই ডিভাইসটির ডিসপ্লের রিফ্রেশ রেটে আমরা পেয়ে যাব 90 Hz। যা আমরা এই বাজেট ক্যাটাগরির স্মার্টফোনগুলোর ভিতরে খুব কমই দেখতে পাই। এই মোবাইল ফোনটির স্টোরেজে ব্যবহার করা হয়েছে Micro SDXYE টাইপের স্লট। এই স্মার্টফোনটির ২টি স্টোরেজ ভেরিয়ান্টে আমরা পেয়ে যাব ।যেখানে আমরা ভেতরের র‌্যাম হিসেবে পেয়ে যাব 4GB Ram/ 64GB Rom। এবং রুম হিসেবে আমরা পেয়ে যাব 6GB Ram/ 128 GB Rom। তবে এখানে আমাদের একই সুবিধা মিস করতে হবে সেটি হলো এক্সট্রা হিসেবে আমরা কোন মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারব না। তবে এই বাজেট ক্যাটাগরির ভিতর বলায় যেতে পারে এই স্মার্টফোনটি ডিসপ্লে এবং স্টোরেজ ভালো মানের পারফরম্যান্স আমাদের দিতে চলেছে।

ক্যামেরায় এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ ও প্রসেসর


আমরা যখন নতুন স্মার্টফোন ক্রয় করতে যাই তখন যে স্মার্টফোনটিতে ক্যামেরা ও ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো মানের ব্যবহার করা হয়েছে ওই স্মার্টফোনটির ভিতরে লক্ষ্য একটু বেশি করে থাকি । তবে তাদের কথাই মাথায় রেখে infinix কোম্পানিটি এই মডেলটি নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হলো। এই ডিভাইসটিতে  থাকছে ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যেখানে থাকে 50 মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা ও 2 মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা হোয়াইট সেন্সর এবং 2 মেগাপিক্সেলের  ম্যেক্রো ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে। তাছাড়া সেলফি তোলার জন্য রয়েছে 8 মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। তাছাড়া এই স্মার্ট মোবাইল ফোনটির ভিডিও ধারণ করতে সক্ষম হবে 1080 @30fps। তাছাড়া এই স্মার্টফোনটির ব্যাটারির ক্যাপাসিটি তে ব্যবহার করা হয়েছে 5,000 MAH পাওয়ারের ব্যাটারি। এবং তার সাথে ফার্স্ট চার্জিং সিস্টেম থাকছে 33W। যার ফলে এই ডিভাইসটি ফুল চার্জ হতে মাত্র 40 মিনিট সময় প্রায়। যার ফলে এই মোবাইল ফোনটির ব্যাটারির জন্য আমাদের টেনশন করতে হবে না। তাছাড়া এই স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেমে রান করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে Google এর Android ভার্সন 12। এটা আমরা খুব সহজে বলতে পারি যে এই মোবাইল ফোনটিতে মোটামুটি ভালো মানের ফিচারগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।

Infinix note 12i প্রাইস


যেহেতু এই স্মার্টফোনটিতে  মোটামুটি মানের ফিচারগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেহেতু এই স্মার্টফোনটির প্রাইস টাও একটু মোটামুটি বাজেটের ভিতরে হয়ে থাকবে। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাই এই চমৎকার মোবাইল ফোনটির প্রাইজ বা মূল্যের দিকে।15,000 টাকা ব্যয় করার ফলে আমরা এই চমৎকার মোবাইল ফোনটি ক্রয় করতে পারবো বর্তমান বাংলাদেশ যেকোনো বাজার থেকে। তবে আপনি চাইলে অনলাইন থেকেও ক্রয়  করতে পারেন খুব সহজ। আর 10,799€রুপি ব্যয় করলে আমরা ইন্ডিয়ান বর্তমান মার্কেট গুলো থেকে ক্রয় করতে পারবে। তবে আরেকটি বিষয় হলো এই স্মার্টফোনটির প্রাইস বর্তমান বাজারে আন অফিসিয়াল ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যার ফলে প্রাইজ বা মূল্যটা একটু আপ ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমার কাছে শর্ট রেঞ্জের বাজেটের ভিতরে অন্যান্য মোবাইলের মডেল গুলো থেকে এই মডেলটা পারফেট বলে মনে হয়েছে। তবে আপনাদের কাছে কি রকম লেগেছে তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads