বর্তমানকালে ল্যাপটপ প্রচুর ব্যবহার হচ্ছে মানুষের বিভিন্ন কাজ-কর্মের প্রয়োজনে। । প্রধানত ডেক্সটপ কম্পিউটারের থেকে ল্যাপটপ আজ অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মূলত তার পারফরম্যান্স এবং অসাধারণ কর্ম দক্ষতার কারণে।পড়াশোনা থেকে খেলাধুলা ওয়েব ব্রাউজিং মাল্টিমিডিয়া,গেমিং , দৈনিক টুকিটাকি সমস্ত কাজ আজ মানুষ ল্যাপটপ দিয়ে করতেই বেশি পছন্দ করেন। ল্যাপটপ এর ব্যাবহার আজ শুধু আর বিসনেস বা প্রফেশনাল ক্ষেত্রে আটকে নেই।বরং আজ ল্যাপটপ ব্যাবহারে আজ আমাদের বাড়ির ছোট বড়ো সকলেই দক্ষ হয়ে উঠেছে তা সাধারণ মুদির দোকানের হিসাব ই হোক বা আমাজন থেকে অনলাইন অর্ডার সব জায়গাতেই আজ ল্যাপটপ এর জয় বিকাশ সাধন হয়েছে। আর এই ল্যাপটপ নামের ডেক্সটপটি আমাদের মাঝে নিয়ে আসার জন্য Lenovo কোম্পানির অবদান অপরিসীম রয়েছে। আর লেনোভো কোম্পানিটি সাধারণত আমাদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করার ফলেই তারা অতি শীগ্রই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আর তারা মানুষের মনে জায়গা করে নিতে আরও একটি ল্যাপটপ নিয়ে হাজির হলো। যেখানে আমরা মডেলটি দেখতে পেয়েছি Lenovo thinkpad e 15। তবে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই মডেলের ল্যাপটপটির মাধ্যমে লেনোভো কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের মনে কি রকম জায়গা দখল করতে পারবে আর কিধরনের ফিচার গুলো দিয়েছে এই ল্যাপটপের মডেলের ভিতরে।
বডি ডিজাইন
Lenovo কোম্পানিটি সাধারণত তাদের নতুন নতুন ডিভাইসে আকর্ষণীয়ময় বডি ডিজাইন ব্যবহার করে থাকে। যাতে গ্রাহকের নজর তাদের ডিভাইস গুলোতে লাগে। তবে এই ল্যাপটপটির ক্ষেত্রেও ভিন্ন কিছু ঘটে নি। এই নিউ মডেলের ল্যাপটপটির বডি ডিজাইন যেহেতু হাই ক্যাটাগরির সেহেতু বডির ওয়েব টা একটু বেশি বলে মনে হবে 2.2 কেজি। এই আকর্ষণের ডিভাইসটি আমরা মার্কেটপ্লেসে একটি কালারে পেয়ে যাব । যেটা হলো black । তবে এখানে আরো বেশ কয়েকটি কালার দিলে হয়তো মার্কেটে আরো একটু ধামাকা হতো। তবে black কালার প্রায় আমাদের সকলের পছন্দের কালার। এই ল্যাপটপটি কিবোর্ড সাইডে আমরা ফুল সাইজের একটি কিবোর্ড দেখতে পাবো।টাচ পেটটা আমরা ল্যাপটপটির মাজ বরাবরই পেয়ে যাব। তাছাড়া ল্যাপটপটির বাম পাশে ইথাই নেট পোর্ট , এইচডিএম আর পোর্ট এবং ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে। ল্যাপটপটির ডান পাশে দুইটা ইউএসবি টাইপ থ্রি পোর্ট । এই দুর্দান্ত পারফরমেন্সের ল্যাপটপটির বডির চারোপাশে প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে। যার কারণে এই ল্যাপটপটি দেখতে আরো একটু স্ট্যান্ডার করে তুলেছে । এই ল্যাপটপটি বডির ডান পাশ কর্নার বরাবর Lenovo লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা মূলত বেশিরভাগ ল্যাপটপ গুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায়
ডিসপ্লে এবং প্রসেসর
এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লেতে 60Hz এর সুপার এমোলেট টাইপের এলইডি রয়েছে। ল্যাপটপটির ডিসপ্লে সাইজ হলো 15.6 ইঞ্চি। যা আমরা মোটামুটি সাইজের বলতে পারি। এছাড়া এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লের রেজুলেশন এ রয়েছে1920×1080 পিক্সেল। তাছাড়া এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লের ব্রাইটনেসে আমরা পেয়ে যাব 250 নিটস। যেখানে আমরা এই ল্যাপটপটি ইনডোর কিংবা আউটডোরে ব্যবহার করতে কোন সমস্যা বোধ করব না । এবার আসা যাক এই ল্যাপটপটি প্রসেসরের দিকে। এই ল্যাপটপের এডাপ্টারের ইউজ করা হয়েছে135 W Slim টাইপের। এছাড়া অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয়েছে Windows 11। তাছাড়া গ্রাফিক্স সেকশনে থাকছে 4 জিবি । যা আমরা উন্নত মানের গ্রাফিক সেকশন বলে আখ্যায়িত করতে পারি। তবে বলায় যেতে পারে এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লে এবং প্রসেসরের দিকে Lenovo কোম্পানিটি একটু বেশি কেয়ার দিয়েছে বলে আমি আশাবাদী ।
ব্যাটারি এবং স্টোরেজ
এই ল্যাপটপ টির ব্যাটারি সেকশনে 4 call টাইপের ব্যাটারি ব্যবহার করেছে।এছাড়া এই ল্যাপটপটির ব্যাটারির ক্যাপাসিটি পাওয়ার পাওয়া যাবে 45 Wh ।এছাড়া বলাই যেতে পারে আমরা যদি নরমাল ইউজার হই তাহলে এই ল্যাপটপের ব্যাটারি আমাদেরকে সর্বোচ্চ 8 থেকে 9 ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়ে থাকবে। আর আমরা যদি একটু হাই ইউজার হই তাহলে এই ল্যাপটপটির ব্যাটারি আমাদেরকে সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়ে থাকবে। যা আমাদের জন্য পারফেক্ট বলে আমার মনে হচ্ছে।এবার আসা যাক এই ল্যাপটপটি স্টোরেজের দিকে । এই ল্যাপটপটির স্টোরেজে ইন্টারনাল সেকশনে পেয়ে যাব 256 জিবি রেম। এবং এক্সটার্নাল হিসাবে স্টোরেজ পেয়ে যাব 8 জিবি রেম । যা আমি আশা করি আমাদের ব্যবহার করা লাগবে না । কারণ 256 জিবি আমাদের জন্য একটু বেশি বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া আরও একটি ভেরিয়েন্ট রয়েছে 16 জিবি রেম এবং এক্সটার্নাল হিসাবে থাকছে 512 জিবি রুম ।এই ল্যাপটপটির এই দিকটি আমার কাছে দুর্দান্ত বলে মনে হয়েছে। আপনি যদি এই ফিচারগুলো নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন তাহলে এই মডেলটি আপনার জন্য পারফেক্ট হতে পারে।
Lenovo thinkpad e 15 প্রাইস
68,000 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বর্তমান বাংলাদেশের যে কোন বাজারে। ইন্ডিয়া থেকে ক্রয় করতে হলে আমাদেরকে ব্যয় করতে হবে 47,100€। আর আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা এই ল্যাপটপের ডলারের মাধ্যমে বা গ্লোবাল বাজার করতে চাচ্ছেন তাদেরকে খরচ করতে হবে মোবাইল ফোনের পেছনে 1058 $। তবে এই ল্যাপটপটি যদি আপনারা বাংলাদেশ থেকে ক্রয় করেন তাহলে অবশ্যই যে কোন শোরুম থেকে ক্রয় করার মাধ্যমে আপনারা কিছু ডিসকাউন্ট পেয়ে যাবেন। এবং তার সাথে কিছুদিনের গ্যারান্টি ওয়ারেন্টিও পেয়ে যাবেন তবে নির্দিষ্ট করে কোন সময় দেয়নি লেনোভো কোম্পানি। তবে এটা আপনারা শুরুম থেকে কিনার মাধ্যমে এই সুযোগটা পাবেন। তো অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন বন্ধুরা আপনারা কোন দেশ থেকে এ ল্যাপটপটি ক্রয় করতে চাচ্ছেন এবং রিভিউটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদের দেখার সুযোগ করে দিন ।✓
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন