Ads

নোকিয়া কোম্পানি অনেক পুরাতন কোম্পানির ভিতরে অন্যতম একটি কোম্পানি। নোকিয়া সর্বপ্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল বাটন ফোন রিলিজ করার মাধ্যমে। তবে সময় বা যোক ডিজিটাল হওয়ার সাথে সাথে নোকিয়া কোম্পানিও এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে প্রায় এমনটাই বলা যাচ্ছে কারণ নোকিয়া কোম্পানিও বর্তমান বাজারে টার্চ স্মার্টফোন এনেছে যে মডেলটি হল Nokia G20 । Nokia ব্র্যান্ড টি তাদের এই মডেলটির ভিতরে HSPA ব্যবহার করেছে যার মাধ্যমে তাদের গ্রাহকরা নেটওয়ার্ক  সার্ভিস খুব ভালো পাবে । তাছাড়াও ভালো মানের ডিসপ্লে, বডি ডেকোরেশন, ক্যামেরা ফিচার, ব্যাটারি ভালো মানের এমনটা আমরা দেখতে পেয়েছি। তাছাড়া ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক স্পিডে 802 পাওয়ার রয়েছে। যার মাধ্যমে তাদের এই স্মার্টফোন ব্যবহারকারী যেকোনো রাউটারের দূর থেকে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে সক্ষম হবে। এছাড়াও প্রসেসরে GPS, GLONASS, BDS কোয়ালিটির প্রসেসরগুলো আমরা দেখতে পেয়েছি। তবে এবার এক নজর ভুলিয়ে দেখে যাওয়া যাক এই মোবাইল ফোনের ফিচারগুলো আমাদেরকে কিরকম পারফরম্যান্স দিতে চলেছে।

Nokia g20 price in  global | nokia g20 Bangla full review and specification


বডি ডেকোরেশন ও নেটওয়ার্ক সিস্টেম 

নোকিয়া কোম্পানি তাদের যে কোন ডিভাইসের বডি ডেকোরেশনের দিকে একটু বেশি লক্ষ্য করে থাকে। যার মাধ্যমে তাদের কোম্পানির জনপ্রিয়তা আরো খ্যাতি বৃদ্ধি পেয়েছে। নোকিয়া কোম্পানির নতুন মোবাইল ফোনটি আমরা হাতে নিয়ে 197 গ্রামের মতো ওয়েটফিল করতে পারব। এছাড়া মোবাইল ফোনটির সম্পূর্ণ বডি দৈর্ঘ্য হল 6.2 মিলিমিটার। এটাকে আমরা সাধারণত মিডিয়ামের সাইজের একটি বডি ডেকোরেশন বলতে পারি। মোবাইল ফোনটির পিছনে বডিবিল্ডে চারটি ক্যামেরা সেট করা হয়েছে যেটা একটি গোল ফ্রেন্ড আকৃতির ভিতরে বন্দী। তবে তার কিছুটা নিচে আমরা দেখতে পাব এলইডি ফ্ল্যাশ । যার মাধ্যমে আমরা টুকটাক লাইট এর কাজ গুলো এই ফোনটির মাধ্যমে করতে পারব। এছাড়াও এই মোবাইল ফোনটির পিছনের বডিবিল্ডে মাছ বরাবর নকিয়া কোম্পানির লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। যাতে গ্রাহকদের বুঝতে সুবিধা হয় এটা নোকিয়া কোম্পানির পণ্য। এছাড়াও ভলিউম আপডাউন বাটন বা যেটাকে আমরা আওয়াজ বাড়ানো কমানো বাটন বলি ও পাওয়ার অন অফ করার বাটন ও পেয়ে যাব স্মার্টফোনের বডির ডান পাশে ।3.5mm হেডফোন জেড থাকছে স্মার্টফোনের বডির উপরের সাইটে। নিচের সাইডে আমরা দেখতে পেয়েছি ফাস্ট চার্জিং সিস্টেমের জন্য ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট চার্জ দেওয়ার জন্য, সিম কার্ড ট্রে স্লট যেখানে আমরা একটি সিমের অপশন দেখতে পেয়েছি, মাইক্রোফোন ও পেয়ে যাব স্মার্টফোনটির নিচে পাইবে। এছাড়া আমরা মোবাইল ফোনটিতে সর্বোচ্চ নেটওয়ার্কের সাপোর্টেড পেয়ে যাব ফোরজি পর্যন্ত । যেটা আমাদেরকে ভাল সার্ভিস দিতে সক্ষম হতে পারবে বলে আশা করা যায়।

ক্যামেরা এবং ব্যাটারি ফিচার 

আমি উপরে আলোচনায় একবার বলেছি যে মোবাইল ফোনটির  ব্যাক সাইডে চারটি ক্যামেরা সেট করা হয়েছে। যা নোকিয়া কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের দারুন অফার দিচ্ছে বললেই চলে। কারণ একই মোবাইল ফোনে পিছনের সাইটে চারটে এবং সামনে সেটাকে একটি মোট পাঁচটি ক্যামেরা সেট করা হয়েছে। যেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি 48 মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা সেন্সর,5 মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওআইট ক্যামেরা সেন্সর,2 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা সেন্সর এবং 2 মেগাপিক্সেলের depth ক্যামেরা সেনসর। আর মোবাইল ফোনটি ডিসপ্লের উপরে একটি ক্যামেরা দেখে পাবো সেখানে থাকছে 8 মেগাপিক্সেলের ফোন ক্যামেরা সেন্সর যেটা মূলত নোকিয়া কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের সেলফি তোলার সুবিধার জন্য ব্যবহার করেছে এমনটা জানা গেছে তাদের সংস্থা থেকে। এই মোবাইল ফোনের ব্যাটারির ক্যাপাসিটি তে নোকিয়া কোম্পানির 5,050 MAH পাওয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করেছে এমনটা আমরা দেখতে পেয়েছি। তবে তার সাথে ফার্স্ট চার্জিং কেবল রয়েছে 10 w। যেই কেবলের মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি পরিপূর্ণ চার্জ হতে 2 থেকে আড়াই ঘন্টা সময় নেবে।

ডিসপ্লে এবং প্রসেসর কোয়ালিটি


IPS LCD কোয়ালিটি ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে নোকিয়া কোম্পানি তাদের এই নতুন মডেলের মোবাইল ফোনটি ভিতরে। যেটার লম্বার পরিমান মূলত 6.52 ইঞ্চি। তবে যারা মিডিয়াম সাইজের ডিসপ্লে ওয়ালা ফোন খুজতেছে তাদের জন্য এই নতুন মোবাইল ফোনটি ধামাকাদার কিছু হতে চলেছে।269 পিপিআই ডেনসিটি ব্যবহার করেছে নোকিয়া কোম্পানি তাদের নিউ মডেলের ভেতরে তাদের গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে।720 x 1600 pixels রেজুলেশনের দেখা পেয়েছি এই মোবাইল ফোনটি ডিসপ্লে তে আমরা। যেখানে এটা কি মোটামুটি মানের রেজুলেশন টাইপ বলা যেতে পারে। এছাড়াও এই নতুন মোবাইল ফোনটির গুগল ভার্সন android 11 ব্যবহার করা হয়েছে অপারেটিং সিস্টেমকে রান করার জন্য। তবে এখানে আরো একটি সুখবর রয়েছে যে আমরা দুটি আপডেট এর মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১৩ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হব ।Mediatek MT6765G Helio G35 চিপসটটি ব্যবহার করেছে মোবাইল ফোনটির প্রসেসরের ভিতরে। যার মাধ্যমে আমরা খুব সহজে বলতে পারি যে এই মোবাইল ফোনটি প্রসেসর থেকে আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি।

মূল্য বা প্রাইস


এই মডেলের মোবাইল ফোনের ভিতরে আমরা ইন্টারনাল মেমরি হিসেবে দুটি স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট দেখতে পেয়েছি যেখানে থাকছে 4GB Ram/64GB Rom,
4GB Ram/128GB Rom। তবে এক্সট্রা ভাবে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সুবিধা আমাদেরকে দিচ্ছে না নোকিয়া কোম্পানি। 4GB Ram/64GB Rom মডেলের ফোনটি বর্তমান বাংলাদেশ যেকোনো বাজারে 16,999 টাকা ব্যয় করলে আমরা ব্যবহার করতে পারব।11,990€ব্যয় করার মাধ্যমে আমরা ইন্ডিয়া যে কোন মার্কেট থেকে এই মোবাইল ফোন ক্রয় করতে সক্ষম হবে।$144.49 ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে মোবাইল ফোনটির বিশ্ব বাজারের প্রাইস। তবে ফিচারগুলো অনুযায়ী প্রাইস টা বেশ কমই বলে মনে করা যাচ্ছে। তবে বন্ধুরা আপনারা এই মোবাইল ফোনটি কি ব্যবহার করতে চান কি চান না তা অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads