বর্তমান বিশ্ব বাজারে ওয়ান প্লাস কোম্পানিটি চমক দেখাচ্ছে স্মার্ট ফোনগুলো রিলিজের মাধ্যমে। যেখানে আমরা প্রায় সকল স্মার্টফোনগুলোতে দেখতে পেয়েছি ফিচারগুলোর পারফরম্যান্স অনুযায়ী প্রাইস বা মূল্যটা বরাবরের মতোই কাছাকাছি রেখেছে। তবে ইতিমধ্যে বিশ্ববাজারে ওয়ানপ্লাস কোম্পানিতে আরো বেশ কিছু স্মার্টফোন রিলিজ করে দিয়েছে যার মধ্যে অন্যতম একটি oneplus N 100। আমরা সাধারণত ওয়ান প্লাস কোম্পানিটি কে দেখে থাকি মিডিয়াম বাজেটের ক্যাটাগরি স্মার্টফোন বাজারে একটু বেশি এনে থাকে। তবে এ নিউ মডেলের মোবাইল ফোনটি 4 G সর্বোচ্চ নেটওয়ার্কিং সিস্টেম পেয়ে যাব। যেখানে বাজেট ক্যাটাগরি হিসেবে আমরা আর বেশি আশা করতে পারিনা। তবে বাজেট ক্যাটাগরি হিসেবে আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হবে । তবে ওয়ান প্লাস কোম্পানিটিকে সাধারণত দেখা যায় তাদের ডিভাইস গুলোর ফিচারগুলো উন্নত মানেরই এনে থাকে তবে দেখা যাক নতুন লঞ্চ হওয়া স্মার্টফোনটির ভেতরে কিরকম কে দিয়েছে ওয়ান প্লাস কোম্পানিটি।
ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি এবার একটু বড়সড় টাইপের ডিসপ্লে নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হলো যেখানে থাকছে 6.52 ইঞ্চিস সাইজের একটি ডিসপ্লে । এবং যেটা মূলত আইপিএস এলসিডি কোয়ালিটিজ ডিসপ্লে। যেটাকে আমরা মোটামুটি মানের ডিসপ্লে বলতে পারি। তাছাড়া মোবাইল ফোনটি ডিসপ্লে তে ব্যবহার করেছে কর্নিং গরিলা গ্লাস 3। যেটাকে মূলত স্মার্টফোনটি ডিসপ্লে কে প্রোটেকশন করার জন্য ব্যবহার করেছে ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি। তবে এই বাজেট ক্যাটাগরি হিসেবে আমরা খুব কম স্মার্টফোনগুলোর ভিতরেই কর্নিং গরিলা গ্লাস ব্যবহার করতে দেখে থাকি। তাছাড়া রিফ্রেশ রেটে আমরা পেয়ে যাব 90 Hz। যার ফলে স্মার্টফোনটি দিয়ে আমরা যেকোনো ভিডিও দেখার সময় তেমন কালারের কোন অভাব দেখতে পাবো না বলে আশা করা যায়। তাছাড়া এইচডি রেজুলেশনে থাকছে 720 x 1600 পিক্সেল যেটাকে আমরা সাধারণত মোটামুটি মানে রেজুলেশন বলতে পারি। অ্যান্ড্রয়েড 10 ভাষণ ব্যবহার করেছে ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি এ মোবাইলটির অপারেটিং সিস্টেমকে রান করার জন্য। যেটা মূলত অক্টাকোর টাইপের প্রসেসর। যেটাকে আমরা মোটামুটি মানে প্রসেসর বলতে পারি।
ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি তাদের ডিভাইস গুলোর বডির দিকে একটু বেশি কেয়ার দিয়ে থাকে এমনটা দাবি তাদের সংস্থার। এই আকর্ষণীয় মোবাইল ফোনটির ব্যাকসাইডে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাস্টিকের ম্যাটেরিয়াল ফ্রেম । যেখানে আমরা ফোনটির ব্যাকসাইডে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাব বসতে দেখেছি তবে এখানে সাজেশন থাকবে একটি ব্যাক কাবার ইউজ করার। এই মোবাইল ফোনটির ব্যাকসাইড ও কর্নিং গরিলা গ্লাস 3 ব্যবহার করেছে ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি যেটা মূলত এই স্মার্টফোনটির ব্যাক সাইটকে প্রটেকশন করার জন্য ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি ব্যবহার করেছে। তবে এই মিডিয়াম বাজেট ক্যাটাগরী স্মার্টফোনগুলোর ভিতরে আমরা কর্নিং গরিলা গ্লাস আবার দুনো সাইটে এমনটা খুব কমই দেখতে পেয়ে থাকি।188 গ্রাম ওজন রয়েছে এই আকর্ষণীয় স্মার্টফোনটির । যার সাথে প্রায় আমরা সকলেই পরিচিত। এই মোবাইল ফোনটির নিচে আমরা পেয়ে যাব ফাস্ট চার্জিং সিস্টেমের জন্য USB টাইপ সি পোর্ট,3.5mm হেডফোন জ্যাক এবং সিম কার্ডে ট্রে স্লট যেখানে আমরা দুইটি সিম ব্যবহার খুব ভালোভাবে। মোবাইল ফোনটির ডান পাশে আমরা পেয়ে যাব ভলিউম আপডাউন বাটন এবং পাওয়ার বাটনে দেখা। ডিভাইসের ব্যাক সাইডে পেয়ে যাব ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর।
এই মোবাইল ফোনটির ব্যাকসাইডে ব্যবহার করা হয়েছে তিনটি ক্যামেরা সেটআপ। যার ফলে মোবাইল ফোনটির ব্যাকসাইড কে আরও সৌন্দর্যময় করে উঠি য়েছে বলা যেতে পারে। যেখানে আমাদেরকে ওয়ানপ্লাস কোম্পানিতে অফার করছে 13 মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সেন্সর, 2 মেগাপিক্সেলের আলফা ওয়ার্ড সেন্সর, 2 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা সেন্সর। আর ফ্রন্ট ক্যামেরা হিসেবে আমরা দেখতে পেয়েছি 8 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেন্সর। তবে এটা বলা যেতে পারে যে এই বাজে ক্যাটাগরি হিসেবে ওয়ান প্লাস কম্পানি টি আমাদেরকে যথেষ্ট পরিমাণ অফার দিয়েছে। এবং তার সাথে 5,000 এম এ এইচ পাওয়ার এর ক্যাপাসিটির ব্যাটারি অফার করেছে এই মোবাইল ফোনটির ভিতরে ওয়ানপ্লাস কোম্পানি টি। যেটা মূলত আমরা দেখতে পেয়েছি non removable lipo কুয়ালিটির । এটাকে আমরা মোটামুটি মানের একটি ব্যাটারীটায় বলতে পারি। তারা তাছাড়া ফাস্ট চার্জিং দেওয়ার জন্য আমাদেরকে কেবলে ওয়ান প্লাস কোম্পানিটি অফার করছে 18 w এর দ্রুত চার্জিং সিস্টেম।
যেটা দিয়ে মোবাইল ফোনটি পরিপূর্ণ চাদ হতে সময় নেবে প্রায় 50 মিনিটের কিছুটা বেশি সময়। আবার আমরা ব্যাকআপও পেয়ে যাব এক থেকে দেড় দিন ভালোভাবে ব্যবহার করলে।
এ মোবাইল ফোনটি ভিতরে ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি আমাদেরকে শুধু একটি ভেরিএন্টি অফার করছে যেখানে থাকছে 4 GB Ram /64GB Rom । তবে এখানে একটি দুঃখজনক বিষয় হলো আমরা একটা ভাবে কোন মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবোনা মোবাইল ফোনটির ভিতর। তবে যাদের হয়তো এই স্টোরেজ হয়ে যাবে তারা হয়তো এই মোবাইল ফোনটি বেঁছে নিতে পারে। 24990 টাকা ব্যয় করলে আমরা বর্তমান বাংলাদেশের যেকোনো বাজার থেকে কিনতে সক্ষম হব। এবং ইন্ডিয়া থেকে ক্রয় করতে হলে আমাদেরকে মোবাইল ফোনটির পেছনে খরচ করতে হবে 15,690 €। তাছাড়া বিশ্ববাজারে এই মোবাইল ফোনটি প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে 499.99$। তবে এটা বলাই যেতে পারে যে প্রাইস অনুযায়ী বিচার গুলো পুরোপুরি পারফেক্টলি রয়েছে। তবে বন্ধুরা আপনাদের কাছে কি রকম লেগেছে বা আপনি এই স্মার্টফোনটি চাচ্ছেন কি চাচ্ছেন না ও কোথা থেকে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তা অবশ্য আমাদেরকে একটি ছোট্ট কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন