মিডিয়াম বাজেটের মধ্যে বর্তমান মার্কেটপ্লেসের অন্যতম একটি জনপ্রিয় কোম্পানি হল রেডমি । কোম্পানিটির সিরিজ গুলোর বিশেষ চাহিদা থাকার কারণে কোম্পানিটিকে কিন্তু আমরা রেগুলারলি নিত্য নতুন মডেল রিলিজ করতে দেখে থাকি । বাজেট হিসেবে তারা অনেকটা ভালো পারফরমেন্স দিয়ে হয়ে থাকে বলে দিন দিন তাদের গ্রাহকের সংখ্যা কিন্তু বেড়েই চলেছে । redmi কোম্পানির অন্যতম আরো একটি সিরিজ হলো k । আর K সিরিজটি কিন্তু বর্তমান মার্কেটে খুবই ফেভারিট একটি সিরিজ । রেডমি কোম্পানির আরো একটি নতুন মডেল মার্কেটে চলে আসলো এবং সেটির নাম হল Redmi K 60 । অনেক রেডমি লাভার রয়েছে যারা একটি নতুন মডেল রিলিজের অপেক্ষায় বসেছিল তাদের জন্য একটি সুখবর নিয়ে মার্কেটে রেডমি আরও একটি নতুন মডেল নিয়ে চলে আসলো । এই রিভিউর মধ্য দিয়ে আমরা এই মডেলটির যাবতীয় দিকগুলোকে আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো।
ক্যামেরা পারফরমেন্স এবং নেটওয়ার্ক
Redmi k 60 স্মার্টফোনটির ক্যামেরা হাউজিং আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে অনেকটাই ভালো লেগেছে । যার মেইন সেনসরে রাখা হয়েছে 50 মেগাপিক্সেল , আর ঠিক নিচের দিকে অর্থাৎ মেইন সেন্সরের সাথে আল্ট্রা ওয়াইড ফাংশনে দেওয়া হয়েছে 8 মেগাপিক্সেল । 2 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো এবং ডেপট সুটার দেওয়া হয়েছে । এক কথায় কোয়াড ক্যামেরায় কালেকশন দেখার মত বলে মনে হবে । ফ্রন্ট ক্যামেরা সেকশনে 13 মেগাপিক্সেল রাখা হয়েছে । ক্যামেরা ফিচারে আমরা দেখতে পেয়েছি এইচডিয়ার এবং পানোরামা এর পাশাপাশি আরো অন্যান্য ধরনের ফিচারস । এছাড়াও প্রাইমারি ক্যামেরা গুলোর সাথে সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এলইডি ফ্লাশ লাইট । এছাড়াও আমরা কিন্তু খুব সহজেই যেকোনো ভিডিও 1080 পিক্সেলে রেকর্ড করার সুযোগ পাবো । নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে আমরা টুজি , থ্রিজি এবং ফোরজি নেটওয়ার্ক উপভোগ করতে পারবো । এই স্মার্টফোনটির ক্ষেত্রে আমরা ফোরজি নেটওয়ার্কের বেশ কয়েকটি ভার্সন দেখতে পেয়েছি আর সেগুলো হলো 3 , 5 , 7 , 8 , 40 , 41
বডি ডিজাইন এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ
বডি ডিজাইন এর ক্ষেত্রে আমরা এখানে যদিও কোন আপডেট লক্ষ্য করতে পারেনি বাট প্রিমিয়াম একটি লুকিং অবশ্যই দেখতে পেয়েছি । এই স্মার্টফোনটির ক্ষেত্রে আমরা বডি ডিজাইন এর সামনে এবং পিছনে প্লাস্টিকের তৈরি আবরণ দেওয়া হয়েছে । ভিন্ন কয়েকটি কালারে রিলিজ হয়েছে বাট ব্লু কালারটি অনেকটাই প্রিমিয়াম যেটা সকলের কাছে ভালো লাগবে তাছাড়াও রয়েছে সাদা ,কালো কালার। 199 গ্রাম ওজনের এই স্মার্টফোনটি অনেকটাই হ্যান্ডি বল । আকার এবং আকৃতির দিক দিয়ে স্মার্টফোনটি মোটামুটি ছোটই বলা যেতে পারে । এছাড়াও স্মার্টফোনটির ব্যাটারি ক্যাপাসিটিতে নন রিমুভেবল লিথিয়াম পলিমার টাইপের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে । যার ক্যাপাসিটিতে আমরা দেখতে পেয়েছি 5,000 মিলি এম্পিয়ার পাওয়ার । স্মার্টফোনটির ব্যাটারিটিকে কুইক চার্জিং করার জন্য 33 ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং ক্যাবল দেওয়া হয়েছে যেটার মাধ্যমে আপনারা স্মার্টফোনটিকে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যেই ফুল চার্জ করতে পারবেন । ব্যাটারি থেকে আপনারা চার্জ ডেলিভারি করতে পারবেন 3.0 গতিতে । প্রাইস হিসেবে ব্যাটারি পারফরম্যান্স আমরা অনেকটাই অসাম বলতে পারি ।
ডিসপ্লে এবং প্ল্যাটফর্ম ফিচার
এবার Realme নতুন এই মডেলটি ডিসপ্লের ক্ষেত্রে অনেকটাই আলোড়ন সৃষ্টি করে ফেলল আর সেটা হলো তারা এখানে Realme কোম্পানির আকর্ষণীয় একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে আর সেখানে তারা 90 HZ রিফ্রেশ রেট ব্যবহার করেছে । 6.43 ইঞ্চি সাইজের একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে যেখানে এইচডি রেজুলেশন এর সাথে আমরা ব্রাইটনেসের পরিমাণ খুবই ভালো দেখতে পেয়েছি । 700 থেকে 1,000 নিটস পর্যন্ত ব্রাইটনেসের পরিমাণ আমরা বেস্ট বলে দাবি করতে পারে । এছাড়াও ডিসপ্লের প্রটেকশন এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস 3 । 409 পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটির পরিমাণ রয়েছে । গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 11 এর মাধ্যমে রেডমির নতুন এই হ্যান্ডসেটটির অপারেটিং সিস্টেম চালিত করা হয়েছে । এছাড়াও মাত্র 6 ন্যানোমিটারে যে প্রসেসরটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি মূলত একটি কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর । গেমিং গ্রাফিক্সের জন্য জিপিইউতে ব্যবহার করা হয়েছে Adreno 610 । এখানে যে প্রসেসরটি ব্যবহার করা হয়েছে সেটি এই জেনারেশনের প্রিভিয়াস ভার্সন থেকে অনেকটাই আপডেট।
স্মার্টফোনটির প্রাইস ও দাম
Redmi k 60 স্মার্টফোনটির ফুল স্পেসিফিকেশন এর পাশাপাশি আমরা বেশ কিছু জায়গায় আপডেট লক্ষ করতে পেরেছি । গ্রাহকদের জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য সে বিষয়গুলো অনেকটা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে । এবার কথা বলা যাক স্মার্টফোনটির প্রাইস সম্পর্কে । বাংলাদেশের মার্কেটে স্মার্টফোনটি এখন এভেলেবেল বা অফিসিয়াল ভাবেই পাওয়া যাচ্ছে । বাংলাদেশের মার্কেটপ্লেস থেকে এই মডেলটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে 40,000 টাকা । এই মডেলটিকে আপনার যদি ইন্ডিয়ান মার্কেটপ্লেস থেকে ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে গুনতে হবে 29,790€ রুপি । এবার আমরা এক নজরে দেখে নেই এই স্মার্টফোনটির আন্তর্জাতিক বাজারদাম কত নির্ধারণ করা হয়েছে । আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে এই স্মার্টফোনটির মূল্য $480। স্মার্টফোনটির প্রাইস সম্পর্কে আপনারা একটি ধারণা পেলেন । এবার এই স্মার্টফোনের পারফরমেন্স এবং বাজেট আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সে বিষয়টি আমাদেরকে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাতে পারেন ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন