অসাধারণ পারফরম্যান্স ও দারুণ লুক নিয়ে এলো আমাদের মাঝে Realme।Realme মানে ভালো এবং দামে কম হওয়ায় ব্র্যান্ডটির প্রতি আমাদের আকর্ষণ বর্তমানে একটু বেশি । মার্কেটপ্লেসগুলোতে আমরা নিত্যনতুন Realme এর নতুন মডেল আপডেট করতে দেখতে পাই । তার মূল কারণ হলো জনগণের চাহিদা অনেক বেশি হওয়ার কারণে কোম্পানিটি তাদের গ্রাহকদের জন্য একই সিরিজের ভিতরে ভিন্ন ভিন্ন মডেল রিলিজ করে থাকে । যেখানে আমরা অন্যতম মডেল হিসেবে গণনা করতে পারি Realme c 30 । এছাড়াও দেখতে পেয়েছি আমরা Realme কোম্পানি নতুন ডিভাইসটির ভিতরে নেটওয়ার্ক কানেকশনে Gprs।যেটা থেকে আমরা ভালো মানের নেটওয়ার্ক সার্ভিস পেয়ে যাবো। যেখানে নকিয়া কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের সর্বোচ্চ 4G নেটওয়ার্ক পর্যন্ত সাপোর্ট দিচ্ছে তাদের নতুন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। এছাড়াও আমরা ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই সেকশন দেখতে পেয়েছি ডিভাইসটির ভিতর যেটা থেকে আমরা ফুল ওয়াইফাই এবং ফুল ব্লুটুথ নেটওয়ার্ক সাপোর্টের দেখা পেয়েছে । তবে এবার দেখা যাক Realme কোম্পানির এই সুবিধা গুলোর সাথে আর কি কি সুবিধা দিচ্ছে তাদের গ্রাহকদের।
বডি ডিজাইন
মোবাইলটির দৈর্ঘ্য 171.1 মিমি এবং প্রস্থ 77.6 mm। মোবাইলটিকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিক ফ্রেম এবং গ্লাস ফ্রন্ট দিয়ে । যার ফলে মোবাইল ফোন কি অসাধারণ লেভেল মনে হতে পারে। এখানে আমাদের মোবাইলটির ওজন 182 গ্রাম ওজন মনে হতে পারে । মোবাইলটিকে কালো , লাল বিভিন্ন কালারে পাওয়া যাচ্ছে বর্তমান মার্কেটপ্লেস গুলোর ভিতরে । স্মার্টফোনটি বডি কোয়ালিটি অনেকটাই গর্জিয়াস এবং প্রিমিয়াম ডিজাইনের । তার কারণ হলো বিল্ড ম্যাটারিয়ালে রয়েছে গ্লাস ফ্রন্ট এবং প্লাস্টিক ব্যাক । ডিভাইসটির সম্পূর্ণ বডি গ্লাসের আবর দ্বারা আবদ্ধ । স্মার্টফোনটির ডিজাইনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি ভালো লেগেছে সেটি হলো ডিভাইসটির পিছনে দেওয়া হয়েছে প্যাটার্ন লুক । যা সকলের কাছেই ভালো লাগবে বলে আশা করা যায় । স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে আমাদের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা যাবে । ভলিউম এবং পাওয়ার বাটনের অবস্থান ঠিক জায়গায় রয়েছে যেগুলো হাতের নাগালে থাকায় খুব সহজেই ব্যবহার করা যাবে । এছাড়াও এই ডিভাইস টির অসাধারণ একটি বিষয় হলো এই নোকিয়া কোম্পানির নতুন ডিএসপিকে আমরা ওয়াটারপ্রুফ হিসেবে পেয়ে যাব।
ডিসপ্লে এবং প্রসেসর
মোবাইলের ডিসপ্লে সাইজ 6.5 ইঞ্চি। বড় ধরনের ডিসপ্লে যাদের পছন্দ তাদের কাছে এই মডেলটি জনপ্রিয় মনে হবে আশা করা যায় । মোবাইলটির অপারেটিং সিস্টেম অথবা এন্ড্রয়েড ভার্সন 11 ব্যবহার করা হয়েছে । ডিসপ্লের পিক্সেল ডেন্সিটি রয়েছে 264 পিপিআই । নকিয়া কোম্পানি নতুন ডিভাইসটির স্ক্রিন ডিসপ্লে আকারে কিছুটা বড় । যার কারণে অধিকাংশ গ্রাহকদের কাছে মোবাইলটির ডিসপ্লে সাইজ ভিডিও প্লেব্যাক এবং গেমিং এর জন্য পারফেক্ট বলে মনে হতে পারে । স্মার্টফোনটিতছ থাকছে এইচডি রেজুলেশন 720×1600 পিক্সেল । এইচডি ডিসপ্লে থাকা সত্ত্বে এখানে আমরা এখানে রেজুলেশনের হাই কোয়ালিটি দেখতে পাব ভিডিও প্লেব্যাক এর ক্ষেত্রে । তবে এই স্মার্টফোনটিতে যেহেতু বড় মাপের ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে সেহেতু এখানে ফুল এইচডি রেজুলেশন দেওয়ার প্রয়োজন ছিল । একটি আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে এই স্মার্টফোনটির ডিসপ্লেতে 16 মিলিয়ন কালার সাপোর্ট করবে । মিডিয়াটেক হেলিও G70 মডেলের চিপসেটের পাশাপাশি গেমিং গ্রাফিক্স এর জন্য থাকছে মালি G52 । এছাড়াও অক্টাকোর এর মতো জনপ্রিয় প্রসেসর তো আছেই । এছাড়াও এর মোবাইল ফোনের ডিসপ্লেতে ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং বইলা গ্লাস সেভেন । যেটা কিনা নোকিয়া কোম্পানি তাদের নতুন ডিভাইসটি প্রটেকশন হিসেবে ব্যবহার করেছে। তো বুঝতেই পারতেছেন এখানে নকিয়া কোম্পানি কতটা খেয়াল রেখেছে।
ক্যামেরা এবং ব্যাটারি ফিচার
এই মোবাইল ফোনের ব্যাক সাইডে আইফোনের কপি করে ক্যামেরার সিস্টেম বা সেটআপ করেছে নোকিয়া কোম্পানি এমনটা জানা গেছে তাদের সংস্থা থেকে। যেখানে আমরা কোয়াটার ক্যামেরা সেট করতে দেখেছি। যেখানে প্রধান ক্যামেরা সেন্সর হিসেবে দেখতে পেয়েছি 8 মেগাপিক্সেলের সেনসর,5 মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা হোয়াইট ক্যামেরা সেন্সর,2মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা সেন্সর, 2 মেগাপিক্সেলের ভেক্টর ক্যামেরা সেন্সর। এতেই শেষ নয়়। সেলফি তোলার সুবিধার জন্য সামনের ক্যামেরায় আমরা পেয়ে যাব 5 মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা সেন্সর।এটা খুব সহজে বলা যেতে পারে যে এই মোবাইল ফোনটি দিয়ে আমরা ভালো মানের ক্যআমএরআ পারফরম্যান্স পেয়ে যাব।এ ছাড়াও মোবাইল ফোনটির ভিতরে আমরা ব্যাটারির ক্যাপাসিটি তে পাওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে 5,000 MAH পাওয়ার। এছাড়াও আমরা মোবাইল ফোনটির এডআপ্টআরএ পেয়ে যাব 44W।যেটা দিয়ে মোবাইল ফোনটি পরিপূর্ণ চার্জ হতে সময় নেবে 40 মিনিট পর্যন্ত প্রায়।
Realme c 30 দাম
বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি Realme এর নতুন এই মডেলটিকে বাংলাদেশের বাজারেও অফিশিয়াল ভাবে পাওয়া যাচ্ছে । Realme আর c সিরিজের মধ্য দিয়ে কোম্পানিটি তাদের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মিডিয়াম বাজেটের ভিতরে এক আভিজাত্য প্রযুক্তিটি।আর এই ডিভাইসটি পারফরমেন্সের তুলনায় স্মার্টফোনের মূল্য কিন্তু বেশি নয় যেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি বর্তমান বাংলাদেশ মার্কেট প্লেস এই 9,999 টাকা। আর ইন্ডিয়ার মার্কেটপ্লেইজে 6,999€। এমন পারফরমেন্সে একটি স্মার্টফোন আমরা হাতে পেয়ে যাব তাও আবার মিডিয়াম বাজেটে , বিষয়টি অনেকটাই অবাক করার মত । মিডিয়াম বাজেটের ভিতরে একটি ভালো মানের স্মার্টফোন ব্যবহার করার তীব্র আগ্রহ যাদের রয়েছে ইতিমধ্যে তারা কিন্তু অনেকেই এই স্মার্টফোনটি মার্কেটপ্লেস থেকে সংগ্রহ করে নিয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে এই স্মার্টফোনটি সম্পর্কে ইতিবাচক তথ্য পাওয়া যায় । আপনিও যদি মিডিয়াম বাজেটে ভিতরে একটি ভালো স্মার্টফোন খুঁজে থাকেন তাহলে এই ডিভাইসটি আপনার জন্য মার্কেটের সেরা হতে পারে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন