বডি লুকিং
এই মোবাইল ফোনের বিপরীত সাইডে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাস্টিকের ফ্রেম বা আবরণ । যার ফলে স্মার্টফোনটির ব্যাকসাইডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর সাপগুলো স্পষ্ট দেখা যায় তবে এ ক্ষেত্রে সাজেশন থাকবে একটি ব্যাক কভার ইউজে। আমরা সাধারণত দেখে থাকি অন্যান্য কোম্পানি তাদের ডিভাইস গুলোর ডিসপ্লেতেই শুধু কন্ডিং গরিলা গ্লাস ব্যবহার করে থাকে তবে রেডমি কোম্পানি এবার নিয়ে এলো তাদের ডিভাইসের ব্যাকসাইডে প্রোটেকশন দেয়ার জন্য কর্নিং গরিলা গ্লাস থ্রী ব্যবহার করেছে। যা একটি অসাধারণ দিক বলে মনে হয়েছে।এই মোবাইল ফোনটি 179 গ্রাম ওজনে আমরা দেখতে পেয়েছি। Grey, white and blue এই কিউট কালার গুরতে আমরা এই রেডমি নতুন মডেলের স্মার্টফোনটি দেখতে পেয়েছি। যার ফলে গ্রাহকরা তাদের নিজের পছন্দের কালারটি বেছে নিতে সক্ষম হবে। রেডমি কোম্পানিটি বরাবরের মতোই এই মোবাইল ফোনটির রাইট সাইডে রেখেছে ভলিউম আপ ডাউন বাটন এবং পাওয়ার বাট। যেটাকে আমরা তাড়াতাড়ি কাজ করতে দেখেছি। নিচের সাইডে আমরা পেয়ে যাব। USB টাইপ C পোর্ট চার্জিং সিস্টেম।3.5 mm হেডফোন জেক। সিম কার্ড ট্রে স্লট আমরা পেয়ে যাব মোবাইল ফোনটির উপরের সাইটে এবং বাম সাইডে আমরা পুরোপুরি ভাবে প্লেন দেখতে পেয়েছি।
ব্যাটারি এবং ক্যামেরা
এই মোবাইল ফোনটির ব্যাটারির ক্যাপাসিটি তে ব্যবহার করা হয়েছে 5,000 MAH পাওয়ার এর একটি ব্যাটারি। এই মোবাইল ফোনটির ব্যাটারি টাইপ হল লিথিয়াম। যেটাকে আমরা মোটামুটি মালের ব্যাটারি বলতে পারি। রেডমি কোম্পানি তাদের গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে এই মোবাইল ফোনটি চার্জারের কেবলে পাওয়ার দিয়েছে 33 W এর। যার মাধ্যমে এই মোবাইল ফোনটি সম্পূর্ণ বা পরিপূর্ণ চার্জ যদি সময় নেবে 55 মিনিট থেকে কিছুটা বেশি সময়। যা একটি ভালো দিক বলতে পারি আমরা খুব সহজে। তাছাড়া এই স্মার্টফোনটির ব্যাকসাইডে সেট করা হয়েছে 3 টি ক্যামেরা যেখানে মেইন ক্যামেরা সেন্সর হিসাবে থাকছে 50 মেগাপিক্সেল,2 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা লেন্স।ও সামনের ক্যামেরা হিসেবে আমাদের 8 মেগাপিক্সেলের আলট্রা হোয়াইট সেন্সর। যার মাধ্যমে আমরা সেলফি কিংবা ভিডিও কলে কথা বলার সময় কোন রেজুলেশনের ঘাটতি দেখতে পাবো না। এই মোবাইল ফোনটি ভিডিও ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন রয়েছে 1080 সর্বোচ্চ পর্যন্ত।
ডিসপ্লে এবং প্রসেসর
6.43 ইঞ্চি সাইজের একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে রেডমি কোম্পানি এটি তাদের এই নতুন মডেলের স্মার্টফোনটিতে। যেটা হলো এমোলেট টাইপের ডিসপ্লে । এটা কি আমরা মোটামুটি ভালো মানের একটি ডিসপ্লে বলতে পারি খুব সহজে। তাছাড়া ডিসপ্লে প্রোটেকশন করার জন্য রেডমি কোম্পানি তাদের এই নিউ মডেলটিতে ব্যবহার করেছে কর্নিং গরিলা গ্লাস থ্রি । যা একটি অত্যন্ত ভালো মানে ঠিক বলে মনে হয়েছে। তাছাড়া ব্রাইটনেস সেকশনে আমরা পেয়ে যাব 1,000 নিটস ব্রাইটনেস। যার ফলে আমরা এই মোবাইল ফোনটি ঘরের ভিতরে বাইরে কিংবা রোদে গেল ব্রাইটনেসের কোন ঘাটতি দেখতে পাবো না এমনটা আশা করা যায়। তাছাড়া আমরা রিফ্রেশ রেটে পেয়ে যাব 90 HZ। মোবাইল ফোনটি ডিসপ্লেতে আমরা ফুল এইচডি রেজুলেশন দেখতে পেয়েছি যেখানে থাকছে 1080×2400 পিক্সেল পর্যন্ত। তাছাড়া ওপেনিং সিস্টেমে রান করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে Android ভার্সন 11। তবে দুইটি আপডেটের মাধ্যমে আমরা চাইলে Android 13 ভার্সন পর্যন্ত নিতে সক্ষম হব। যা একটি দুর্দান্তময় বিষয় বলে মনে হয়েছে। এই মোবাইল ফোনটির ওক্টআকওর টাইপের
প্রফেসর ব্যবহার করেছি রেডমি কোম্পানিটি।
Redmi note 11 বর্তমান বাজার প্রাইস
Redme কোম্পানিটি এবার আমাদের একই ফোনের ভিতরে চারটি স্টোরেজ ভেরিয়েন্ট অফার করছে । যা হয়তো আমরা এই মিডিয়াম বাজেট ক্যাটাগরির ভিতর খুব কমই দেখতে পেয়েছি। যেখানে থাকছে *4 GB Ram /64 GB Rom অন্যটি হলো 4 GB Ram / 128 GB Rom এবং 6 GB Ram /128 GB Rom ও 8 GB Ram / 128 GB Rom । যেহেতু স্মার্টফোনটি স্টোরেজ ভিন্ন ভিন্ন সেতু প্রাইস ও ভিন্ন ভিন্ন নির্ধারণ করে রেখেছে ভিভো কোম্পানিটি। 4 GB Ram/ 64 GB Rom এই ভেরিয়ান্টে মোবাইল ফোনটি প্রাইজ ও বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে নির্যাতন করা হয়েছে 18,499 টাকা। এবং 4 GB Rem/128 GB Rom এই মডেলটি বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে নির্ধারণ করা হয়েছে 20,499 টাকা,6 GB Ram/128 GB Rom এই মডেলের মোবাইল ফোন কি বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে 2,2499 টাকা। এবং সর্বশেষ 2,4499 টাকা ব্যয় করার ফলে আমরা 8 GB Ram/128 GB Rom মডেলের মোবাইল ফোনটি আমরা ক্রয় করতে সক্ষম হব। ইন্ডিয়ান মার্কেটে বর্তমান 4 GB Ram /128 GB Rom এই মডেলটি প্রাইস নির্ধারণ রাখা হয়েছে 11,999€এবং 6 GB Ram /128 GB Rom এই মডেলের প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে 12,999€।তবে এটা বলায় যেতে পারে স্মার্টফোনটির ফিচার পারফরম্যান্স গুলো অনুযায়ী মূল্যবা প্রাইজটা ঠিকঠাকই বলে মনে হয়েছে তবে আপনাদের কাছে কি রকম লেগেছে তা অবশ্যই ছোট্ট একটি কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন