কম-বেশি আমাদের সবারই একটি পরিচিত ব্রান্ড হল স্যামসাং , কারো কারো কাছে ফেভারেট একই কোম্পানি । তবে বর্তমান সময়ে স্যামসাং পৃথিবীজুড়ে একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের অধিকারী হয়ে উঠেছে । নিজেদের অবস্থানে থেকে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক মডেল মার্কেটে রিলিজ করার এক ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা তাঁদের কাছে রয়েছে । A সিরিজের কয়েকটি স্মার্টফোন মোটামুটি মিড রেঞ্জের মধ্যে রেখে সেখানে একটি অসাধারণ পারফরমেন্স দেওয়ার কারণে কাস্টমারদের এক বিশেষ আকর্ষণ স্যামসাং এর উপর । Samsung A 0 4 মডেলটির মধ্যে দিয়ে এক ভিন্ন রূপে স্যামসাং কাস্টমারদের মাঝে হাজির হলো । এখন আমরা স্যামসাংয়ের নতুন মডেলটির বিস্তারিত আলোচনা করবো । কাদের জন্য ডিভাইসটি প্লাস পয়েন্ট হিসেবে সফলতা দিবে এবং কাদের জন্য ভালো পারফরম্যান্স বয়ে আনতে পারবে না সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো নিচের রিভিউতে।
বডি ডেকোরেশন
samsung কোম্পানিটির জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি দিক হলো তাদের ডিভাইস গুলোর বডি ডেকোরেশন। যার ফলে তারা অন্য কোম্পানিগুলো থেকেও অতি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তবে এই মডেলটি ক্ষেত্রেও samsung কোম্পানি টি অন্য কিছু ঘটাই না। এই মোবাইল ফোনটি আমরা কালো, সাদা, গোল্ডেন, সবুজ এই কালার গরুতে মার্কেটটি পেয়েছি। তাছাড়া মোবাইল ফোনটির বিপরীত সাইটে আমরা পেয়ে যাব প্লাস্টিকের ফ্রেম । যার ফলে এই ডিভাইসটিকে মোটামুটি প্রটেকশনে রাখা সম্ভব। তাছাড়া 195 গ্রামে ওজনে পেয়ে যাব আমরা এই স্মার্টফোনটি। তাছাড়া ভলিউম আপ ডাউন বাটন এবং পার বাটন আমরা স্মার্টফোনের বডি ডাইন সাইডেই পেয়ে যাব। যার সাথে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত। স্মার্টফোনটির বডির নিচে আমরা পেয়ে যাব ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট চার্জিং সিস্টেম ,3.5mm হেডফোন জেক এবং একটি প্রাইমারি মাইক্রোফোন জেক। তবে এই স্মার্টফোনটির একটি দুঃখজনক বিষয় হলো এই মোবাইল ফোনটি থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেনসর রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাজেট ক্যাটাগরি হিসেবে আমাদের পুষিয়ে নিতে হবে।
ডিসপ্লে এবং প্রসেসর
এই মোবাইল ফোনটিতে মিডিয়াম সাইজের একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে থাকছে 6.5 ইঞ্চির ডিসপ্লে। তাছাড়া মোটামুটি মানের এইচডি রেজুলেশন পেয়ে যাবে স্মার্টফোনটিতে। যেখানে থাকছে 720×1600 পিকচ্যেল।
90 Hz রিফ্রেশ রেট পেয়ে যাব এই স্মার্টফোন টিতে। যার ফলে এই মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করার সময় ভিডিওতে রেজুলেশনের তেমন কোন ঘারটি দেখতে পাবো না আমরা। এছাড়াও ব্রাইটনেস সেকশনে থাকবে 400 nits ব্রাইটনেস। এই যার ফলে এই মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করার সময় আমরা ঘরে ঠিকঠাক ভাবেই ব্যবহার করতে পারব কিন্তু বাহিরে বার রোদে গেলে কিছুটা ঝাপসা ঝাপসা বলে মনে হতে পারে। তাছাড়া এই মোবাইল ফোনটি কে অপারেটিং সিস্টেমে রান করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে Android 12 ভার্সন।
যেটা মূলত one UI Core 4 টাইপের প্রসেস। যা আমরা মোটামুটি ভালো মানের
প্রসেসর বলতে পারি খুব সহজে। GPU তবে আমরা পেয়ে যাব Mali G 52। যা একটি অসাধারণ বিষয় বলে আমার মনে হয়েছে। তাছাড়া ডিভাইসটির প্রসেসরে Exynos 850 টাইপের চিপসেট ব্যবহার করা হয়েছে । যার ফলে এই মোবাইল ফোনটি দিয়ে আমরা দৈনন্দিন টুকটা গেমপ্লে করতে পারবো তাতে কোন সমস্যা বালের লেকের দেবে না। আশা করি এদিকে আমাদের সকলের কাছেই ভালো লেগেছে।
ক্যামেরা এবং ব্যাটারি
এই মোবাইল ফোনটির ব্যাক সাইডে আমরা দেখতে পেয়েছি আমরা ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ। যার ফলে স্মার্টফোনটি আরো একটু স্টাইলিশ হয়ে উঠেছে। তবে ত্রিপল ক্যামেরায় আমরা পেয়ে যাব মেইন ক্যামেরা হিসেবে 50 মেগাপিক্সেলের আলট্রা হোয়াইট সেন্সর ,2 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা লেন্স এবং 2 মেগাপিক্সেল দ্বীপ্ট ক্যামেরা সেন্সর। আর সেলফি তোলার জন্য আমরা পেয়ে যাব 5 মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। যার ফলে খুব সহজে বলা যায় স্মার্টফোনটির তোলা ছবিগুলো আমরা যে কোন অনলাইন ভিত্তিক সফটওয়্যার গুলোতে ব্যবহার করতে পারবো। কারণ স্মার্টফোন দিয়ে তোলা ছবিগুলো মনো্যম হতে পারে। তাছাড়া ব্যাটারি ক্যাপাসিটি তে আমরা পেয়ে যাব 5,000 MAH
পাওয়ারের ব্যাটারি ব্যাকআপ। যেটা মূলত Non Removable lilon টাইপের ব্যাটারি। যার ফলে আমরা খুব সহজে বলতে পারি এই ডিভাইসটিতে মোটামুটি মানের ব্যাটারির ব্যাকআপ আমরা পেয়ে যাব। তার সঙ্গে আমরা পেয়ে যাব 45W এর ফার্স্ট চার্জিং সিস্টেম। যার মাধ্যমে আমরা এই স্মার্টফোনটি ফুল চার্জ হতে সময় নেবে প্রায় এক ঘণ্টার কাছাকাছি সময়। তবে ফুল চার্জ হয়ে গেলে আমরা ইজি ভাবে একদিন ব্যবহার করতে পারব।
Samsung A 0 4 বর্তমান প্রাইস
samsung কোম্পানিটিকে আমরা সাধারণত সচরাচর দেখে থাকি তাদের বিচার পারফরম্যান্স গুলোর অনুযায়ী ডিভাইসগুলোর প্রাইস প্রায় কাছাকাছি থাকে। তবে আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা এই স্মার্টফোনের প্রাইস জানতে আগ্রহ অনেকই বেশি। তবে আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হলো স্মার্টফোনটি আমরা দুইটি স্টোরেজ ভেরিয়েন্টে পেয়ে যাব যেখানে থাকছে 4GB Ram /64GB Rom এবং 4GB Ram /128 GB Rom । তবে আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়া যাক স্মার্টফোনটি প্রাইসের দিকে। স্মার্টফোনটি যেমন আলাদা আলাদা তেমনি প্রাইস ও আলাদা আলাদা হবে । 4/64 ভেরিয়েটের স্মার্টফোনটি আমরা 16,999 টাকা বর্তমান বাংলাদেশ বাজার থেকে ক্রয় করতে পারব এবং 4/128 এর ভেরিয়েন্টটের স্মার্টফোনটি আমরা 18,999 টাকা হলে বর্তমান বাংলাদেশের যেকোনো বাজার থেকে ক্রয় করতে পারবো। তবে ইন্ডিয়ান মার্কেট প্লেসে আমরা এই স্মার্টফোনটি4/64 13,499€হলে ক্রয় করা সম্ভব হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন