বর্তমান আধুনিক যুগের ডিভাইস গুলোর মধ্যে ট্যাবলেট একটি অন্যতম ডিভাইস। এই ট্যাবলেটের মাধ্যমে আমরা অফিসিয়াল কাজগুলো খুব সহজেই করতে পারব। এই আধুনিক ডিভাইস গুলো আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ZTE কোম্পানিকে বিশ্ব বাজারে নিয়ে আসতে দেখেছি। তবে এবার বাংলাদেশ বাজারে সর্বপ্রথম বারের মতো ZTE কোম্পানি নিয়ে এলো এক চমৎকার ট্যাবলেট। যেখানে টেবলেট টির মডেল আমরা দেখতে ZTE Nubia pad। আপনারা এই ট্যাবলেট টি দিয়ে উন্নতমান যে গেমগুলো রয়েছে সেগুলো খুব সুন্দর ভাবে খেলতে পারবেন বা ভালো পারফরমেন্স দিতে পারবে আমাদেরকে ট্যাবলেটটি। এছাড়াও এই টেবলেট টির আকর্ষণীয় বিষয় হলো এই মডেলের ট্যাবলেট টির ভিতরে আমরা বেশ কয়েকটি স্টোরেজ দেখতে পেয়েছি। তবে এই ট্যাবলেটের আমাদেরকে শুধু এই ফিচার গুলি অফার করছে নাকি তার সাথে আরো ভালো কিছু পারফরমেন্স এর সাথে ফিচার গুলো এনেছে চলুন একবার চোখ বুলিয়ে রিভিউতে জেনে নেয়া যাক।
এই ট্যাবলেট এর পিছনের সাইডে অ্যালুমিনিয়ামের গ্লাস ফ্রন্ট ব্যবহার করেছে ZTE কোম্পানি। যার ফলে ট্যাবলেট টি আমরা হাতে নেওয়ার সময় প্রিমিয়াম লেভেলের ট্যাবলেট এরকমটা মনে হতে পারে। তবে ট্যাবলেটের ব্যাকসাইডে আমরা শুধু গ্রে কালারই দেখতে পেয়েছি। যেটাকে আমরা সাধারণত স্ট্যান্ডার কিংবা ডিপ কালার বলে চিহ্নিত করতে পারি। টিপলে টি আমরা হাতে নেওয়ার ফলে মোটামুটি ওয়েটের একটি ট্যাবলেট বলতে পারব। যেটা কিনা আমাদের ব্যবহারযোগ্য বলে মনে করা যায়। এছাড়া ট্যাবলেট এর ভেতরে বডির ডান পাশে ZTE কোম্পানি ব্যবহার করেছে ভলিউম বাড়ানো কমানো বাটন এবং গুগল বাটন। তবে এইখানে আমরা ভলিউম কমানো বাড়ানো বাটনটা দুইটা এক্সট্রা ফ্রেমে দেখতে পেয়েছি। অনেক সময় আমরা ভলিউম বাড়াতে গিয়ে কমিয়ে ফেলি আবার কমাতে গিয়ে বাড়িয়ে ফেলি তবে এই ট্যাবলেট টির ভেতরে আমাদের এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না এমনটা খুব সহজেই বলা যাচ্ছে। তাছাড়াও google বাটন এর ভিতরে এড করা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যেটা থেকে আমরা খুব দ্রুত বা ভালো পারফরমেন্সের আশা করতে পারি। তবে এই ট্যাবলেটের ভেতরে আমরা একটি সুবিধার অফার মিস করব সেটি হল 3.5mm হেডফোন জেক থাকছে না। তবে ল্যাপটপের বডির ভিতরে আমরা দুটি স্পিকার এর দেখা পাব যেটা থেকে আমরা স্পষ্ট আওয়াজ শুনতে পেয়েছি। তাছাড়াও চার্জ সিস্টেমের ভিতরে থাকছে USB টাইপ সি পোর্ট। তবে বুঝতে পারতাছেন বডি বিল্ডারের দিকে ZTE কোম্পানি কতটা খেয়াল রেখেছ।
এই ট্যাবলেট টির ডিসপ্লের ভিতরে আমরা 3D সাপোর্টেড পেয়ে যাব। যা একটু চমৎকার বিষয় বলে মনে করা যাচ্ছে কারণ 3D সাপোর্টের ডিসপ্লে থেকে আমরা প্রায় বাস্তবতার কাছাকাছি যে কোন ছবি বা ভিডিও গুলো দেখতে সক্ষম হতে পারব। এই ট্যাবলেট টির ডিসপ্লে মূলত IPS LDS কোয়ালিটি যেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি 120Hz এর সাপোর্টের রয়েছে। যেখানে আমরা ডিসপ্লে টিকে আর চকচকে বলে মনে হতে পারে। এছাড়াও ট্যাবলেট টির ডিসপ্লের ভেতরে আমরা উন্নত ভালো মানের রেজুলেশনে দেখা পেয়েছি যেখানে থাকছে 1600 x 2560 pixels। এছাড়াও টেবলেট টির ডিসপ্লের ভিতরে মাল্টি টাচ ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে টেবলেট টির ডিসপ্লে আমাদের পুরো মন জয় করে নিতে পারবে।টেবলেট টির ডিসপ্লের দৈর্ঘ্য হচ্ছে 12.4।এই সাইজ টি একটি মোবাইলের দ্বিগুণ বলে মনে হতে পারে। তবে ট্যাবলেট হিসেবে সাইজ টি পারফেট বলে মনে হয়েছে । ট্যাবলেটের অপারেটিং সিস্টেমে রান করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ১২ ভার্সন। যে ভাষণটিকে আমরা ট্যাবলেট নতুন ভার্সন বলে গণনা করতে পারি।
এই ট্যাবলেটের ব্যাক সাইডে দুইটি ক্যামেরা সেট করা হয়েছে যেখানে একটি বরাবর আরেকটি নিচে দুইটি ক্যামেরা ফ্রেম দেখা গেছে। তবে এখানে আমরা দুটি ক্যামেরার সেন্সরের ভিতরে 16 মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা হিসেবে একটি, আরেকটি হলো 16 মেগাপিক্সেলের আলট্রা হোয়াইট ক্যামেরা সেন্স।আরো একটি ক্যামেরার সেন্সরের দেখা পাব ট্যাবলেট কি ডিসপ্লের উপরে সাইডে যেখানে 8 মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা সেন্সর। তবে টেবলেট টির ক্যামেরা সেন্সরের ভিতরে মেট্রো ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহার করা হয়নি। এই ট্যাবলেটের ব্যাটারিতে আমরা non removable lipo কোয়ালিটির ব্যাটারি দেখতে পেয়েছি যেখানে ক্যাপাসিটিতে পাওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে 9070 MAH পাওয়ারের । যেটা থেকে আমরা লম্বা সময়ের ব্যাটারি ব্যাকআপ পেয়ে যাব। তবে টেবলেট টির ব্যাটারি কে সতেজ রাখতে কেবলের ভিতরে পাওয়ার দিয়েছে 33W। যার মাধ্যমে ট্যাবলেট কি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় নেবে প্রায় এক ঘণ্টার কাছাকাছি সময়। যা এই ট্যাবলেট বিশেষ দিনগুলোর ভিতরে অন্যতম আরো ১টি দিক আমরা খুঁজে পেয়েছি এমনটাই বলা যাচ্ছে।
8GB Ram / 256GB Rom আমরা বর্তমান এই ট্যাবলেট কি দেখতে পেয়েছি। তবে আমার কাছে ট্যাবলেট হিসেবে স্টোরেজের পরিমাণ অনেক বেশি লেগেছে। তবে আপনাদের যাদের বেশি স্টোরেজের প্রয়োজন আপনারা এই ট্যাবলেটের স্টোরেজ বেছে নিতে পারেন। যেহেতু টেবলেটের ভিতরে আমরা বেশ ভালো পারফরমেন্সে এর দেখা পেয়েছি তবে এবার প্রাইস টা দেখার পালা।
118,500 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে ট্যাবলেট টির বর্তমান বাংলাদেশ বাজার গুলোর ভিতরে। আর ইন্ডিয়ান বর্তমান বাজারগুলোর ভিতরে আমরা এই ট্যাবলেট কি প্রাইস নির্ধারণ করতে দেখেছি 83,323€। আর আমরা যারা এই ট্যাবলেট টি গ্লোবাল মার্কেট থেকে কল করতে চাচ্ছি তাদের ব্যয় করতে হবে 1999.99$। তবে এই ট্যাবলেটটির সাথে ZTE কোম্পানি দুই বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছে সব সময়ের জন্য। যা তাদের গ্রাহকদের জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট হিসেবে রেখেছে ZTE কোম্পানি। তবে এই ট্যাবলেটটির প্রাইস অফিসিয়াল ভাবে নির্ধারণ করায় ট্যাবলেটটির দাম বা মূল্য আপডাউন করার সুযোগ খুব ই কম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন