Ads

ল্যাপটপ হল আমাদের নজরকার একটি ডিভাইস। যাকে ব্যবহার করার কমবেশি আগ্রহ আমাদের সকলের ভিতরে রয়েছে ।বর্তমান সময়ের ল্যাপটপ রিলিজ করার ক্ষেত্রে এসআর কোম্পানির ভূমিকা অনেক রয়েছে যার ফলে।Acer কোম্পানিটির জনপ্রিয়তা বর্তমান বিভিন্ন উন্নত মানের দেশগুলোর সাথে  বাংলাদেশ মার্কেটপ্লেযে একটু বেশি দেখতে পাই। যার ফলে এই Acer ব্র্যান্ড টিকে বর্তমান মার্কেটে প্লে যে আকর্ষণীয় ডিভাইস লঞ্চ করতে হয়। তবে তার ভিন্ন কিছু ঘটেনি এই ব্র্যান্ডটিতে Acer aspire 3 a315 - 58 ল্যাপটপটিতে। এই আকর্ষণীয় মডেলটি Acer aspire 3 a315 - 58 ল্যাপটপটি লঞ্চ করে এই কোম্পানিটি প্রায় সকল গ্রাহকের নজর কেড়ে নিয়েছে বললেই চলে। এই কোম্পানির ডিভাইস গুলোতে আমরা সচরাচর দেখতে পাই ফিচারগুলো অনুযায়ী মূল্য বা প্রাইজ অনেকাংশেই কম দেখতে পাই। যার কারনে হয়তো বর্তমান আন্তর্জাতিক দেশগুলোর সাথে  বাংলাদেশ মার্কেটপ্লে যে তাদের ডিভাইস গুলোর দিকে গ্রাহকের নজর অনেকাংশেই বেশি। তো এবার দেখা যাক Acer aspire 3 a315 - 58  এই মডেলটির ল্যাপটপটিতে কিরকম ফিচার এনেছে এই কোম্পানিটি। যদি আপনার আর এই ল্যাপটপের স্পেসিফিকেশন জানার আগ্রহ থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য থাকছে।


এসার এসপায়ার ৩ এ ৩১৫-৫৮ বাংলা রিভিউস | acer aspire 3 a315-58g price in global


অসাধারণ বডি ডিজাইন 

এই ল্যাপটপটির কোম্পানিটিকে তাদের যেকোন ডিভাইস গুলোর বডি ডিজাইনের দিকে একটু বেশি কেয়ার দিয়ে থাকে। যেমন এই মডেলের ল্যাপটপটির বডি চারপাশে অ্যালুমিনিয়ামের  ফ্রেম ব্যবহার করেছে। যার জন্য ল্যাপটপটিকে আরো একটু চকচকে দেখা যাবে। তবে এই ল্যাপটপটি কে আমরা বর্তমান বাংলাদেশ মার্কেটপ্লেযে একটি কালার এই পেয়ে যাব black বা কালো কালারে। যেখানে হয়তো আপনি আপনার পছন্দের কালার টি বেছে নিতে পারবেন না তবে আপনার যদি এই কালো কালার পছন্দ হয়ে থাকেন কিংবা চয়েজ ফুল কালার হয়ে থাকে তাহলে এই ল্যাপটপের কালার টি আপনার জন্য থাকছে। এই ল্যাপটপটির ফুল বডির ওজন হলো 1.80 kg বা কেজি। যা হয়তো আমাদের পারফেক্ট ওজনের ল্যাপটপ বলে মনে হতে পারে। এই ল্যাপটপটির বডির বাম পাস কর্নার বরাবর মাঝখানে Acer ব্র্যান্ডটির লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। যা মূলত সাদা কালারের ব্যবহার করেছে। এছাড়া এই ল্যাপটপটির বডির কিবোর্ড সাইডে পেয়ে যাব আমরা একটি ফুল সাইজের কিবোর্ড তার সাথে কিছুটা নিচে পেয়ে যাব টাচ পেটের দেখা। যেখানে টাচপেটটি পেয়ে যাব আমরা সিলিকনের। যা একটি অসাধারণ বিষয় বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এই ল্যাপটপটির ডান সাইডে রয়েছে টাইপ USB c পোর্ট চার্জিং সিস্টেম,USB A 1.2 পোর্ট এবং 3.5mm হেডফোন জেক। বাম পাশে পেয়ে যাব USB টাইপ A পোর্ট দুইটা। যা আমার কাছে পারফেক্ট বলে মনে হচ্ছে।

ডিসপ্লে সাইজ এবং প্রসেসর ফিচার 

এই আকর্ষণীয় ল্যাপটপটিতে ডিসপ্লে সাইডে পেয়ে যাব আমরা 15.6 ইঞ্চির ডিসপ্লে। যা আমরা মূলত বলতে পারি ফুল সাইজের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে এই ডিভাইসটিতে। এছাড়া এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লে তে আমরা পেয়ে যাব 60Hz রিফ্রেশ রেট । এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটির ডিসপ্লে তে আমরা আরও পেয়ে যাব 300 নিটস ব্রাইটনেস। যা আমরা খুব সহজে বলতে পারি এই ডিভাইসটি ইনডোর কিংবা আউটডোরে ব্যবহার করতে আমাদের কোন সমস্যা হবে না। এই ল্যাপটপটি ডিসপ্লে তে থাকছে 1080×1920 মেগাপিক্সেল। যা খুব সহজেই বলাই যেতে পারে এই ল্যাপটপটি ডিসপ্লে তে ফুল এইচডি রেজুলেশনের টাইপের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এই ডিভাইসের ডিসপ্লেতে আমরা টাচ স্ক্রিন সিস্টেমটা পাচ্ছি না । তাছাড়া এই ল্যাপটপটির অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে Windows 10। যা আমরা সচরাচর ল্যাপটপগুলোতে দেখতে পেয়ে থাকি। এছাড়াও এই ডিভাইসটির প্রসেসর কি হলো ইন্টেল টাইপের। যেটাকে আমরা হাইভাবে ইউজ করলেও তেমন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া দেখতে পেয়েছি core i5 কোয়ালিটি যেটা থেকে আমরা  ভালো পারফরমেন্স পাবো এমনটা আশা করা যায়।

স্টোরেজ এবং ব্যাটারি ফিচার 

তো এবার চলে আসি আমরা এই ডিভাইসটির স্টোরেজের দিকে। যেখানে আমরা ইন্টারনাল মেমোরি কার্ড হিসেবে পেয়ে যাব 8GB Ram এবং এক্সটার্নাল হিসেবে পেয়ে যাব 512 GB Rom । ডিভাইসটির ইস্টোরেজে আমরা চমৎকার পারফরম্যান্স পেয়ে যাব । এটা খুব সহজে বলা যেতে পারে আমরা যারা দৈনন্দিন কাজের জন্য এই ডিভাইসটি ব্যবহার করব তাদের জন্য পারফেক্ট স্টোরেজ রয়েছে । এছাড়া এই ল্যাপটপটির ব্যাটারিতে পেয়ে যাব আমরা 2-cell 37wh টাইপের ব্যাটারি। যার মাধ্যমে আমরা যারা ফটো ইডিটিং কিংবা ভিডিও এডিটিং করে থাকি তাদের এই ডিভাইসটির ব্যাটারি সর্বোচ্চ সাত থেকে আট ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়ে থাকবে। আজ যারা অফিসিয়াল কাজ গুলো করতে চান এই ডিভাইসটি দিয়ে তারা সর্বোচ্চ পেয়ে যাবেন চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ। এছাড়াও এই ল্যাপটপের ভিতরে যে অ্যাডাপ্টার রয়েছে সেটিকে আমরা দেখতে পেয়েছি plug সিস্টেমের বা থ্রি পিনের। যেটা থেকে ল্যাপটপটি দ্রুত চার্জ হতে সক্ষম হবে।

অফিশিয়াল বর্তমান প্রাইস

আমাদের মধ্যে অনেকের কাছে প্রশ্ন থাকতে পারে যে ল্যাপটপটি ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে কি পরিমান টাকা ব্যয় করতে হতে পারে? এই ল্যাপটপটির কোম্পানি মোটামুটি মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে এই ল্যাপটপের মডেলটি লঞ্চ করেছে। এই ল্যাপটপটি আমার বর্তমান বাংলাদেশ মার্কেট প্লেসে পেয়ে যাব59,500 টাকায় । তার সাথে আরও একটি অফার করছে এই কোম্পানিটি, যেটি হলো সব সময়ের জন্য দুই বছরের ওয়ারেন্টি জারি রেখেছে। আরে ল্যাপটপটি আমরা যদি ইন্ডিয়ান বর্তমান মার্কেটপ্লেস থেকে ক্রয় করতে চাই তাহলে আমাদের খরচ করতে হবে €48,390 রুপি । আর এই ল্যাপটপটি আন্তর্জাতিক বর্তমান মার্কেটপ্লেসে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে $ 329.99. । আমার কাছে এই ডিভাইসটির ফিচারগুলো অনুযায়ী প্রাইস টা মোটামুটি কাছাকাছি বলে মনে হয়েছে। আপনাদের কাছে ডিভাইসটির ফিচারগুলো এবং প্রাইস কিরকম লেগেছে তা অবশ্যই আমাদেরকে আপনাদের মূল্যবান একটি কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আর যদি আপনি ভাল থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads