বডি ডিজাইন
এই ল্যাপটপটির কোম্পানিটিকে তাদের যেকোন ডিভাইস গুলোর বডি ডিজাইনের দিকে একটু বেশি কেয়ার দিয়ে থাকে। যেমন এই মডেলের ল্যাপটপটির বডি চারপাশে প্লাস্টিকের ফ্রেম ব্যবহার করেছে। যার জন্য ল্যাপটপটিকে আরো একটু চকচকে দেখা যাবে। তবে এই ল্যাপটপটি কে আমরা বর্তমান বাংলাদেশ মার্কেটপ্লেযে একটি কালার এই পেয়ে যাব black বা কালো কালারে। যেখানে হয়তো আপনি আপনার পছন্দের কালার টি বেছে নিতে পারবেন না তবে আপনার যদি এই কালো কালার পছন্দ হয়ে থাকেন কিংবা চয়েজ ফুল কালার হয়ে থাকে তাহলে এই ল্যাপটপের কালার টি আপনার জন্য থাকছে। এই ল্যাপটপটির ফুল বডির ওজন হলো 1.80 kg বা কেজি। যা হয়তো আমাদের পারফেক্ট বলে মনে হতে পারে। এই ল্যাপটপটির বডির বাম পাস কর্নার বরাবর মাঝখানে Asus ব্র্যান্ডটির লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। যা মূলত সাদা কালারের ব্যবহার করেছে। এছাড়া এই ল্যাপটপটির বডির কিবোর্ড সাইডে পেয়ে যাব আমরা একটি ফুল সাইজের কিবোর্ড তার সাথে কিছুটা নিচে পেয়ে যাব টাচ পেটের দেখা। যেখানে টাচপেটটি পেয়ে যাব আমরা সিলিকনের। যা একটি অসাধারণ বিষয় বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এই ল্যাপটপটির ডান সাইডে রয়েছে টাইপ USB c পোর্ট চার্জিং সিস্টেম,USB A 1.2 পোর্ট এবং 3.5mm হেডফোন জেক। বাম পাশে পেয়ে যাব USB টাইপ A পোর্ট দুইটা। যা আমার কাছে পারফেক্ট বলে মনে হচ্ছে।
ডিসপ্লে সাইজ এবং প্রসেসর
এই আকর্ষণীয় ল্যাপটপটিতে ডিসপ্লে সাইডে পেয়ে যাব আমরা 15.6 ইঞ্চির ডিসপ্লে। যা আমরা মূলত বলতে পারি ফুল সাইজের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে এই ডিভাইসটিতে। এছাড়া এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লে তে আমরা পেয়ে যাব 60Hz রিফ্রেশ রেট। এই আকর্ষণীয় ডিভাইসটির ডিসপ্লে তে আমরা আরও পেয়ে যাব 300 নিটস ব্রাইটনেস। যা আমরা খুব সহজে বলতে পারি এই ডিভাইসটি ইনডোর কিংবা আউটডোরে ব্যবহার করতে আমাদের কোন সমস্যা হবে না। এই ল্যাপটপটি ডিসপ্লে তে থাকছে 1080×1920 মেগাপিক্সেল। যা খুব সহজেই বলাই যেতে পারে এই ল্যাপটপটি ডিসপ্লে তে ফুল এইচডি রেজুলেশনের টাইপের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়া এই ল্যাপটপটির অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে Windows 11 ভার্সন । যা আমরা সচরাচর ল্যাপটপগুলোতে দেখতে পেয়ে থাকি। এই ল্যাপটপটির এডাপ্টার এ ব্যবহার করা হয়েছে Plug টাইপের। যা আমরা খুব সহজে বলতে পারি যে মোটামুটি মানের এডাপটার ব্যবহার করা হয়েছে ল্যাপটপটিতে। এছাড়াও প্রসেসরে রয়েছে ইন্টেল টাইপের প্রসেসর। যেটা কিনা আবার 10th জেনারেশনের কোর সিস্টেমের। যেটা থেকো আমরা বুঝতে পারি ভালো পারফরমেন্সের আশা পেয়ে যাব।
স্টোরেজ এবং ব্যাটারি ও নেটওয়ার্ক সিস্টেম
তো এবার চলে আসি আমরা এই ডিভাইসটির স্টোরেজের দিকে। যেখানে আমরা ইন্টারনাল মেমোরি কার্ড হিসেবে পেয়ে যাব 8GB Ram এবং এক্সটার্নাল হিসেবে পেয়ে যাব 512 GB Rom । ডিভাইসটির ইস্টোরেজে আমরা চমৎকার
পারফরম্যান্স পেয়ে যাব । এটা খুব সহজে বলা যেতে পারে আমরা যারা দৈনন্দিন কাজের জন্য এই ডিভাইসটি ব্যবহার করব তাদের জন্য পারফেক্ট স্টোরেজ রয়েছে । এছাড়া এই ল্যাপটপটির ব্যাটারিতে পেয়ে যাব আমরা
2-cell 37wh টাইপের ব্যাটারি। যার মাধ্যমে আমরা যারা ফটো ইডিটিং কিংবা ভিডিও এডিটিং করে থাকি তাদের এই ডিভাইসটির ব্যাটারি সর্বোচ্চ সাত থেকে আট ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়ে থাকবে। আর যারা অফিসিয়াল কাজ গুলো করতে চান এই ডিভাইসটি দিয়ে তারা সর্বোচ্চ পেয়ে যাবেন চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ। এছাড়াও নেটওয়ার্ক ডিভাইসে আমরা ফুল ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে দেখতে পাবো এবং ব্লুটুথে দেখতে পাবো Bluetooth 4.1 যেটা থেকে আমরা ব্লুটুথ এর কোন ঘাটতি কিংবা ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের কোন ঘাটতি দেখতে পাবো না এমনটা আশা করা যায়।
কারেন্ট প্রাইস
Asus ব্র্যান্ডের সাধারণত তাদের ডিভাইস গুলো আমরা বাজারে অন্যান্য কোম্পানির ডিভাইস গুলো চেয়ে বেশ কমই পেয়ে যাই।46,500 টাকা হলে বর্তমান বাংলাদেশ বাজার থেকে ক্রয় করতে পারব। আর 30,499€হলে আমরা বর্তমান ইন্ডিয়ান মার্কেট থেকে ক্রয় করতে সক্ষম হবো। তাছাড়া বর্তমান বিশ্ববাজারে এই স্মার্টফোনটির রেট নির্ধারণ করা হয়েছে 449 $। তাছাড়া এই Asus কোম্পানিটি সব সময় জন্য আমাদেরকে দুই বছরের ওয়ারেন্টি দিচ্ছে। যায় একটি আকর্ষণীয় দিক বলে মনে হয়েছে। তাছাড়া ল্যাপটপ টির স্পিফিকেশন ও ফিচারগুলো অনুযায়ী প্রাইস বা মূল্যটা ফ্রেন্ডলি বলে মনে হয়েছে আমার কাছে তবে আপনাদের কাছে কিরকম লেগেছে তা ছোট্ট একটি কমিটির মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন