Ads

 HP কোম্পানি একবার আমাদের সকলের মাঝে নিয়ে এলো 12 জেনারেশনের ল্যাপটপ।Hp কোম্পানির নতুন ল্যাপটপের মডেলটি হলো hp । তো দারুণ একটি বিষয় আমরা এখানে দেখতে পেয়েছি সেটি হলো hp Elitebook 640g9 সিরিজের মাধ্যমে Hp কোম্পানি এই নতুন ল্যাপটপটি মার্কেটে এনেছে। আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা মিনিমাল সাইজের ল্যাপটপ পছন্দ করে থাকেন বা ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য hp কোম্পানির নতুন এই মডেলের ল্যাপটপটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিতে চলেছে। এই ল্যাপটপের পুরো বডির চারপাশে স্মিম থাকার কারণে ল্যাপটপ টি ব্যবহার করতে আমাদের অনেকেই সুবিধা হবে। ল্যাপটপটি ল্স্মিম তা তো জানা গেল কিন্তু ল্যাপটপ আমাদেরকে কিরকম পারফরম্যান্স দিতে চলেছে সেটা হল আসল বিষয়। আর এই রিভিউতে আমরা জানতে পারবো ল্যাপটপ টির সম্পূর্ণ বিস্তারিত সম্পর্কে। এছাড়াও রিভিউতে আলোচনা করা হবে এই বাজেটের ভিতরে ল্যাপটপটি কিনলে আসলে আমাদের জিত হবে নাকি ঠক হবে।এই hp কোম্পানির প্রিমিয়াম লেভেলের ডিভাইস গুলোকে আমরা ভালো পারফরম্যান্সের দেখা পেয়েছি তবে এই ল্যাপটপ এর ক্ষেত্রে কি কি সুবিধাজনক বিষয় থাকসে তা আলোচনা করা হলো।


এইচপি এলিটবুক ৬৪০জি9 কারেন্ট ডিভাইস | hp elitebook 640g9 price in india

ডিসপ্লে এবং ব্যাটারি ফিচার 

hp Elitebook 640g9 মডেলের ল্যাপটপের ভিতরে আপনারা একি সুন্দর কালারফুল ডিসপ্লের দেখা পাবেন। যেখানে 15.6 ইঞ্চি সাইজের ডিসপ্লে দেখতে পাবেন যেটাকে আমরা সাধারণত মিডিয়াম সাইজের ডিসপ্লে ক্যাটাগরি বলতে পারি। মিডিয়াম সাইজের ডিসপ্লে আমাদের প্রায় অনেকেরই পছন্দের একটি সাইজ। এছাড়াও ডিসপ্লে তে রেজুলেশন সেকশনে কোয়ালিটির ব্যবহার করেছে যেটাকে আমরা (1920x1080) ফুল এইচডি রেজুলেশন বলতে পারি ।144Hz repress রেট এর দেখা পেয়ে যাবেন আপনারা মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে তে। যার ফলে ল্যাপটপটিকে ফোনে ডিসপ্লের টিকে চকচকে বলে মনে হতে পারে। এই ল্যাপটপটি ডিসপ্লে টি সাধারণত IPS এলডিসি প্যানেলের। যেটাকে আমরা প্রিমিয়াম ডিসপ্লে হিসেবে বলতে পারি। এছাড়াও ল্যাপটপের ব্যাটারি পাওয়ারে আমরা 3 cell Integrated কোয়ালিটি দেখতে পেয়েছি। যেটার ক্যাপাসিটি পাওয়ার হলো 53.5 Whr। যা অসাধারণ বিষয় বলে মনে করা যাচ্ছে। এছাড়াও এই ব্যাটারিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য এডাপ্টার পাওয়ার এ MSI কোম্পানি ব্যবহার করেছে 150W A C Adapter।বাজেট হিসেবে বলা যেতে পারে ল্যাপটপটির ডিসপ্লে ক্যাটাগরি ও ব্যাটারিতে আমরা বেস্ট পারফরম্যান্স খুজে পেয়েছি ।

বডি বিল্ডার

এই hp কোম্পানির নতুন মডেলের ল্যাপটপটি ব্যবহার করার সময় আপনাদের 2.25 kg পরিমাণ ওজন বলে মনে হবে। তবে hp কোম্পানী যেহেতু এই মডেলের ভিতরে এত কিছু দিয়েছে এই মডেলের ওজনটা আমাদের কাছে একটু বেশি বলে মনে হতে পারে। তবে যারা এই ল্যাপটপটি শুধু এক জায়গায় রেখে ব্যবহার করতে চান যেমন বাসায় , যে কোন দোকানে বা অফিসে  তাদের জন্য এই ল্যাপটপটি ওজন পারফেক্ট হতে চলেছে। এমএস আই কোম্পানি এই ডিভাইসটির ভিতরে শুধু কালা কালারি ইউজ করেছে। তবে এই কালারটি প্রায় আমাদের সকলেরই পছন্দের একটি কালার হতে পারে। এছাড়াও পুরো ল্যাপটপটি এম এস আই কোম্পানি প্লাস্টিকের বডি বিল্ডার হিসেবে তৈরি করেছে। এই ল্যাপটপের উপরের সাইটে hp কোম্পানির শ্যাডো বা ড্রাগন কোয়ালিটির লোগো রয়েছে যেটা হঠাৎ করে দেখার মাধ্যমে আমরা একটু হিমশিম খেয়ে যেতে পারি। এই ল্যাপটপটির লেফট সাইটে আপনারা দেখতে পাবেন USB 2 পোর্ট ,HDMR পোর্ট। আর ডান সাইডে রয়েছে ঠান্ডার পোর্ট, ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট, মাইক্রোফোন জ্যাক ও অডিও জ্যাক। এছাড়াও ল্যাপটপের কিবোর্ড এর কথা না বললেই নয় যেখানে আমরা হালকা টাইপের লাল কালারের ঝিলিক মারতে দেখেছি। যেটা একটি অসাধারণ বিষয়ে বলে মনে করা যায়। এছাড়াও টাচপেটটা আমরা মোটামুটি পারফেক্ট দেখতে পেয়েছি।

 প্রসেসর ফিচার

 ল্যাপটপের অপারেটিং সিস্টেমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা উইন্ডোজ ব্যবহার করতে দেখে থাকি । এই ল্যাপটপটির ক্ষেত্রও কিন্তু Windows 10 Home অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে । যে বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে সেটি হল উইন্ডোজ এর 10 ভার্সন ব্যবহার করেছে Hp কোম্পানিটি । এবার আমরা চলে আসি ল্যাপটপটির প্রসেসরে । সেখানে তাকালে আমরা দেখতে পারবো একটি উন্নত মানের processor AMD Ryzen ব্যবহার করা হয়েছে । যেটার গ্রাফিক্স ডিজাইনে রয়েছে Vega 11 Graphics । একটি ভালো মানের প্রসেসর ব্যবহার করার কারণে ল্যাপটপটির মাধ্যমে আমরা কিন্তু খুব সহজেই যে কোন ব্রাউজিং করে নিতে পারব ফাস্টেস্ট গতিতে । অপারেটিং সিস্টেম এবং প্রসেসর নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার মতো পারফরমেন্স কোম্পানিটি দিয়েছে বলেই মনে হয়েছে আমার কাছে। এই ল্যাপটপের প্রসেসর অনুযায়ী আমরা ল্যাপটপটি দিয়ে যেকোন হাই মানের গেমপ্লে গুরু করতে পারো খুব ইজি ভাবে সেখানে কোন সমস্যা দেবে না ল্যাপটপটির।

hp Elitebook 640g9 প্রাইস

এই ল্যাপটপটির  প্রাইস জানার আগে আমাদের সর্বপ্রথম জানতে হবে স্টোরেজ সম্পর্কে। এমএসআই কোম্পানি তাদের এই নতুন মডেলটির ভিতরে 8GB Ram / 512 GB Rom । তবে এখানে এক্সট্রা কোন মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে স্টোরেজ বাড়ানোর কোন সিস্টেম থাকছে না। তবে যাদের বেশি স্টোরেজের প্রয়োজন হয় না তাদের জন্য এই ল্যাপটপটি অসাধারণ একটি ডিভাইস হতে চলেছে। বর্তমান বাংলাদেশ বাজারে এই ল্যাপটপের মডেলটির প্রাইস 92,000 টাকা নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে।65,500€রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে বর্তমান ইন্ডিয়ার মার্কেটপ্লেস গুলোর ভিতরে। এছাড়াও আপনারা যারা বিশ্ব বাজার থেকে বার ডলারের মাধ্যমে এই ল্যাপটপটি ক্রয় করতে চাচ্ছেন তাদেরকে খরচ করতে হবে $689.99। এই ল্যাপটপটির প্রাইস অফিশিয়াল ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যার কারণে বেশি আপডাউন করার কোন চান্স নেই। তবে এতে শেষ নয় hp কোম্পানী আমাদের সকলের জন্য এবং সব সময়ের জন্য 3 বছরের ওয়ারেন্টি সুবিধা রেখেছে। এই রিভিউটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদের দেখার সুযোগ করে দিবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads