সামাজিক যোগাযোগ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম পর্যন্ত স্মার্টফোন অথবা মুঠোফোনের ভূমিকা অপরিসীম । যে বিষয়টি না বললেই নয় , মার্কেটে থাকা জনপ্রিয় ব্রান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ব্রান্ড হল infinix । infinix কোম্পানির হাত ধরে গ্রাহকদের চাহিদা মেটানোর জন্য কোম্পানিটি মার্কেটে রিলিজ করলো তাদের নতুন মডেল infinix note 12 pro । পৃথিবীজুড়ে infinix কোম্পানি এর একটি বিশাল জনবহুল গ্রাহক রয়েছে যারা অধীর আগ্রহে বসে ছিল এই স্মার্টফোনটি রিলিজের জন্য । তাদের কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ে infinix এর নতুন মডেলটি মার্কেটে অবশেষে চলে আসলো । infinix লাভারদের জন্য এটি একটি খুবই আনন্দের সংবাদ । infinix এর জনপ্রিয় সিরিজ গুলোর এর পাশাপাশি এখন কোম্পানিটি রীতিমতো note সিরিজের উপর নজর দিয়েছে । গ্রাহকদের অপেক্ষার ফলশ্রুতি হিসেবে infinix কোম্পানি নতুন মডেলটিতে কেমন পারফরম্যান্স দিয়েছে চলুন এক নজরে তা সম্পূর্ণ রিভিউতে দেখে নেওয়া যাক ।
ক্যামেরা ফিচার
Infinix কোম্পানির প্রিভিয়াস মডেল গুলোতে আমরা ভালো মানের ক্যামেরা ফিচার পেয়েছি । সেই প্রিভিয়াস মডেল গুলো থেকে infinix note 12 pro ডিভাইসটিতে আপডেট কিছু পাওয়া যাবে কি ? ব্যাক ক্যামেরায় থাকছে চারটি ক্যামেরার মাধ্যমে ইমেজ তোলার সুবিধা । মেইন সেন্সরে থাকছে 108 মেগাপিক্সেল , আল্ট্রা ওয়াইড ফানশনে দেওয়া হয়েছে 8 মেগাপিক্সেল এবং এর পাশাপাশি থাকছে আরো দুটি ক্যামেরা ফাংশন । একটি স্মার্টফোন এর সাহায্যে ঠিক কেমন পিক্সেলে ইমেজ তোলা যাবে সেটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে ক্যামেরা অ্যালগোরিজমের উপর । আর যেটার পরিমাণ এখানে বেশ ভালই পাওয়া যাবে । প্রিভিয়াস ভার্শনে 64 মেগাপিক্সেল ব্যবহার করা হয়েছিল মেইন ক্যামেরায় তার থেকে এই হ্যান্ডসেটটিতে আমরা ভালো আপডেট পেয়েছি 108 মেগা পিক্সেল । সেলফি তোলার জন্য সামনের ক্যামেরায় 16 মেগাপিক্সেল এর পারফরম্যান্স না বললেই নয় । মেইন ক্যামেরা দিয়ে কালারফুল ছবি ক্যামেরাবন্দি করা গেলেও ধারাবাহিকভাবে ডাইনামিক রেঞ্জে কিছুটা পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে । প্রাইমারি ক্যামেরার সেন্সর গুলোকে গরিলা গ্লাস দিয়ে প্রোটেক্টেড করা হয়েছে যা আমরা অন্যান্য মডেলে খুব কম সময়েই দেখে থাকি ।
বডি ডেকোরেশন
স্মার্টফোনের ফুল বডি পলিকার্বনের সাহায্যে ঘেরা যার কারণে দেখতে অনেকটা আকর্ষণীয় । যদিও এখানে গ্লাসি ফিনিশিং দেওয়া হয়েছে বাট প্রথম দেখায় সেটা বুঝা বেশ কঠিন । গ্লাসি ফিনিশিংয়ের কারণ স্কেচ লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । Volcanic Grey, Tuscany Blue, Alpine White কালার ছাড়াও আরো ভেরিয়াস কিছু কালারে মার্কেটে এভেলেবেল এই মডেলটি । সাউন্ড সিস্টেম থেকে শুরু করে হেডফোন জ্যাক পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ফাংশনে পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ । 192 গ্রামের এই মডেলটি ওজনে অনেকটাই হালকা তার কারণ হলো ব্যাটারি সেট আপ এবং সুপার অ্যামোলেড প্লাস ডিসপ্লের জন্য । এখানে যদি আইপিএস এলসিডি প্যানেল ব্যবহার করা হতো তাহলে কিন্তু ডিভাইসটির ওজন অনেকটা বেড়ে যেতো । বডিতে রাখা হয়েছে এক নজর কাড়া ডিজাইন যা আমরা infinix এর প্রতিটি মডেলেই দেখতে পাই ।এই মোবাইল ফোনটির পুরো বডির দৈর্ঘ্য হল 7.8mm। মোবাইল ফোনের ডান সাইডে আমরা দেখতে পাব বরাবরের মতো পাওয়ার বাটন এবং ভলিউম কমানো বাড়ানো বাটনটি। এছাড়া নিচের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবো ফাস্ট চার্জিং এর জন্য USB টাইপ সি পোর্ট,3.5mm হেডফোন জ্যাক।
অপারেটিং সিস্টেম এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ
Infinix কোম্পানির ম্যাক্সিমাম স্মার্টফোনে আমরা গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন এর দেখা পাই । এখানেও তার ব্যাতিক্রম কিছু নয় । গুগলের সবচেয়ে লেটেস্ট ভার্সন অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড 12 এর দেখা মিলবে । কেবল মাত্র এখানেই শেষ নয় থাকছে অপারেটিং সিস্টেমকে আপডেট করার সুযোগ । অর্থাৎ গুগলের সবচেয়ে লেটেস্ট ভার্সন হল অ্যান্ড্রয়েড 12 যা এই মোবাইলে ব্যবহার করা হয়েছে । তবে গুগোল যখন তাদের অপারেটিং সিস্টেমকে আপডেট করবে তাদের সাথে সাথে আপনিও কিন্তু আপডেট করে সর্বোচ্চ এন্ড্রয়েড ভার্সন 13 উপভোগ করার সুযোগ পেয়ে যাবেন । বর্তমান সময়ে আমরা এই ফিচারটি অনেক মডেলের মধ্যেই দেখতে পেয়ে যাই । অপারেটিং সিস্টেমের আরো একটি জনপ্রিয় বিষয় হচ্ছে প্রসেসর । এখানে 6 ন্যানোমিটারের মাধ্যমে Mediatek MT 6877 মডেল এর প্রসেসর দেওয়া হয়েছে । মোট কথা হল এই স্মার্টফোনটিতে আমরা অন্যান্য দিক এর পাশাপাশি অপারেটিং সিস্টেমেও আপডেটের স্পর্শ দেখতে পাবো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন