রীতিমতো আমাদের সামনে অন্যান্য কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি বাজার সিগমেন্টে ল্যাপটপ রিলিজ করে যাচ্ছে MI কোম্পানি। নিত্য নতুন ল্যাপটপ রিলিজে কোম্পানিটির বেশ ভালই নাম কাম রয়েছে। MI কোম্পানির হাত ধরে মার্কেটপ্লেসে আমাদের মাঝে নতুন আরো একটি অফিসিয়াল ল্যাপটপ চলে আসলো আর সেই মডেলটির নাম হলো Mi Redmibook pro 15। কোম্পানিটি Redmibook সিরিজের মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ রিলিজ করেছিল তবে এই নতুন ডিভাইসটির মধ্য দিয়ে তাদের পথযাত্রা আরো অনেকটা এগিয়ে গেল। মার্কেটে এই ল্যাপটপ রিলিজ হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় মেতে উঠেছে গ্রাহকরা। আজকের এ Mi কোম্পানির নতুন এই ডিভাইসটি সম্পর্কে আপনাদের মাঝে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো। এই ল্যাপটপের ফুল ফিচার তুলে ধরা হলো যাতে করে আপনারা বুঝে নিতে পারেন ডিভাইসটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা থাকছে।
ডিজাইন এবং নেটওয়ার্ক
আকর্ষণীয় মানের বডি ডিজাইন এবং বডি ডিজাইনে ওভারলুক দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে Mi কোম্পানির জনপ্রিয় একটি কোম্পানি। বডি ডিজাইনে Mi কোম্পানিটি এই ডিভাইসটি চমৎকার একটি ডিজাইন নিয়ে মার্কেটে এসেছে। 1.8 কেজির এই ল্যাপটপটি ভিন্ন কয়েকটি কালারে রিলিজ হয়েছে। আরো একটি আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এই ল্যাপটপটিতে আমরা দুইটি স্পিকারের দেখা পেয়ে যাব। ল্যাপটপটির ডান পাশে e বাটন এবং নিচের দিকে স্পিকার সেট করা হয়েছে। ল্যাপটপটির সম্পূর্ণ বডি ডিজাইন প্লাস্টিকের ফ্রেমে আবদ্ধ যদিও সামনের দিকে গ্লাস রয়েছে। বডি ডিজাইনের ক্ষেত্রে আমরা মোটামুটি বাজেট হিসেবে ভালো পারফরমেন্সের ছোঁয়া পেয়েছি। এছাড়াও কী-বোর্ড সেকশনে আমরা দেখতে পেয়েছি ফুল সাইজের কিবোর্ড। যেখানে mi কোম্পানি তাদের গ্রাহকদেরকে বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে। এছাড়াও আমরা বরাবরের মতনই ল্যাপটপের কিবোর্ডের মাঝখানে দেখতে পেয়েছি। এবার নেটওয়ার্ক সিস্টেমের কথা যদি বলি তাহলে এখানে উন্নত মানের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ও ডিভাইসটিতে আমরা ওয়ারলেস সিস্টেম হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পাবো ওয়াইফাই হটস্পট , ব্লুটুথ, এনএফসি, এফএম রেডিও এছাড়াও ইত্যাদি ইত্যাদি।
মেমোরি এবং অপারেটিং সিস্টেম
ল্যাপটপটির মেমোরি পারফরম্যান্সের ইন্টারনাল স্টোরেজে দেওয়া হয়েছে ,8 জিবি রেম এবং অন্যাদিকে স্টোরেজ হিসেবে থাকছে 512 জিবি রোম। যেটি মূলত SSD কোয়ালিটির মানে ডিভাইসটির ভিতরে আমরা আলাদা করে কোন মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারব না। বাজেট হিসেবে মেমোরি পারফরম্যান্স আমরা মোটামুটি ভালো মানিয়ে নিতে পারি। ল্যাপটপের অন্যতম আরো একটি জনপ্রিয় বিষয় হলো এর অপারেটিং সিস্টেম। গুগলের লেটেস্ট ভার্সন অ্যান্ড্রয়েড 12 ব্যবহার করা হয়েছে অপারেটিং সিস্টেমে। Color Os 12.1 ভার্ষনের অপারেটিং সিস্টেম দেখতে পেয়েছি। মিডিয়াটেক হেলিও G35 প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে প্রসেসর হিসেবে এটি কিন্তু অনেক পুরনো একটি প্রসেসর। এখানে ডেভেলপমেন্টের কিছুটা হলেও প্রয়োজন ছিল আসলে এমনটা আমার কাছে মনে হয়েছে। প্রসেসরটি মূলত 11 ন্যানো মিটারে তৈরি। গেমিং গ্রাফিক্সের জন্য এখানে দেওয়া হয়েছে PowerVR GE8320। তবে আমরা যারা অনলাইন গ্রাফিক্সের গেম গুলো প্লে করার জন্য এই ডিভাইসটিকে বেছে নিতে চাচ্ছি তাদের জন্য এটি কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল দিতে অনেকটাই ব্যর্থ হতে পারে। তবে টুকটাক গেম প্লে করার জন্য আপনারা ব্যক্তিগতভাবে সিলেক্ট করতে পারেন।
ডিসপ্লে এবং ব্যাটারি ফিচার
15.6 ইঞ্চি ডিসপ্লে ব্যবহার করেছে এই মডেলের ভিতরে mi কোম্পানি। এটা কি আমরা মিডিয়াম সাইজের একটি ডিসপ্লে বলতে পারি । এছাড়া ল্যাপটপটির ডিসপ্লের টি মূলত ips কোয়ালিটির । আর এইটা থেকে আমরা ভালো মানের পারফরমেন্সের আশা করতে পারি খুব সহজে। কারণ এর আগেও আমরা আইপিএস কোয়ালিটির ডিসপ্লের ল্যাপটপ থেকে ভালো মানের পারফরম্যান্স পেয়েছি সেই পরিপ্রেক্ষিতে এমনটা বলা যাচ্ছে। তবে এই ল্যাপটপের ভিতরে টাচ স্ক্রিন অপশনটি থাকছে না। তবে এই বাজেটের ভিতরে আমরা এর বেশি কিছু আশা করতে পারি না। এছাড়াও রেজুলেশনে আমরা দেখতে পেয়েছি ল্যাপটপের যেখানে রয়েছে (1920 x 1080) যেটাকে আমরা পরিপূর্ণ রেজুলেশন বলতে পারি। এছাড়া ডিভাইসের ডিসপ্লে তে ব্রাইটনেস রয়েছে 300 নিটস ব্রাইটনেস। যেটা থেকে আমরা ইনডোরে খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারলেও আউটডোরে কিছুটা ঝামেলা হতে পারে। এছাড়াও ল্যাপটপের ব্যাটারি কি মূলত 4 cell টাইপের যেটা থেকেও আমরা ভালো মানের পারফরমেন্সের আশা করতে পারি। আর এই ল্যাপটপের ব্যাটারির ক্যাপাসিটি তে পাওয়ার রয়েছে 46 w। তার সাথে এই ল্যাপটপের এডাপ্টারের পাওয়ার রয়েছে 65w। যার মাধ্যমে এটা খুব সহজে বলা যাচ্ছে যে mi কোম্পানির নতুন মডেলের ল্যাপটপটি আমরা ইজি ভাবে 10 ঘন্টা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবে নরমাল ইউজারা।
Mi Redmibook pro 15 দাম
এবার আমরা আলোচনা করব ল্যাপটপটির মূল আকর্ষণ নিয়ে যেটা জানার জন্য আপনারা অনেকেই অধীর আগ্রহে বসে ছিলেন। ল্যাপটপটির মূল্য কত রয়েছে ? সেটা জানার আগ্রহ মোটামুটি সবার মধ্যেই রয়েছে। বাংলাদেশের মার্কেটে ল্যাপটপটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 62,500 টাকা। ইন্ডিয়ান মার্কেটপ্লেসে এই ল্যাপটপটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে 49,990রুপি। আমরা যদি এখন আন্তর্জাতিক মার্কেটের দিকে একটু লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পারবো সেখানে এই ল্যাপটপটির মূল্য রয়েছে 699.99 ডলার। উপরে আমরা ল্যাপটপটির ফুল স্পেসিফিকেশন এবং ফিচারগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি এবং সেখানে দেখতে পেয়েছি বেশ কিছু জায়গায় ল্যাপটপটির ভালো পারফরম্যান্স অফার করলেও কিছু কিছু জায়গায় এই ল্যাপটপটির আপডেট প্রয়োজন ছিল। তো যাই হোক পার্সোনালি আপনাদের কার কি মতবাদ রয়েছে এই ল্যাপটপটির সম্পর্কে সেটা কমেন্ট বক্সে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন