একটা সময় ছিল যখন, Motorola কম্পানির, তখন তার নাম ছিল মোটো, ছিল স্মার্টফোনের সমার্থক। অনেকের জীবনের প্রথম ফোনই ছিল মোটোরোলা কোম্পানির ডিভাইস । কিন্তু স্মার্টফোনের বাজার বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোথাও যেন মোটোরোলা কোম্পানিটি হারিয়ে যেতে বসেছিল। প্রায় বেরিয়ে গিয়েছিল স্মার্টফোনের বাজার থেকে এমনটাই ধরা যায়। তবে বর্তমান সময়ে মোটোরোলা কোম্পানি এক চমৎকার লুকে এছএসএ বাজার গুলো তে। নানান ধরনের বাজেটের ফোন আর কতগুলো উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন স্মার্টফোন নিয়ে মোটোরোলা ফিরে এসেছে বাজারে। দ্য এজ, মোটোরোলার স্মার্টফোন তালিকার উপরের দিকের ফোনগুলো অন্যতম। তারই নতুন সদস্য হলো Motorola Moto G 31 মডেলের মোবাইল ফোন।মোটোরোলা কোম্পানির ডিভাইস ভাষায় বলতে গেলে, বিশ্বের সবচেয়ে মার্জিত শক্তি শালির ডিভাইসের ঠিকানা৷ সেটা যদিও আপনারা মানতে পারবেন সময়ের সাথে সাথে। তবে এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক Motorola Moto G 31এর কিছু বিশেষ গুণ:
বডি ডিজাইন এবং ব্যাটারি
বডি ডিজাইন লুকিং পার্সোনালি আমার কাছে একটু ভালোই লেগেছে এবং আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে বলে আমি আশাবাদী । সম্পূর্ণ বডি ডিজাইন Corning Gorilla glass দিয়ে প্রটেকটেড রয়েছে । ডিভাইসটি কালো এবং সাদা কালারসহ আরো বেশ কয়েকটি কালারে পাওয়া যাবে । 207 গ্রাম ওজনের এই মোবাইলটি প্লাস্টিকের ফ্রেমের ভিতরে বন্দী । বডির ডান পাশে থাকছে পাওয়ার বাটন এবং তার নিচে দেখা যাবে ভলিউম বাটন । সবমিলিয়ে এই স্মার্টফোনটির বডি ডিজাইন মিড রেঞ্জ হিসেবে মেনে নেওয়ার মতো । ব্যাটারি ব্যাকআপ এর দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যাবে এখানে রয়েছে 5000 মিলি এম্পিয়ার পাওয়ার এর ব্যাটারি এবং এর সাথে থাকছে 10 ওয়াটের ফাস্ট চার্জার । হাই কোয়ালিটি কোম্পানি গুলোর মতো এখানে আমরা মোটা মোটি ফাস্টেস্ট চার্জিং সিস্টেম দেখতে পেয়েছি । এটা কিন্তু একটি দারুন বিষয় ।
ডিসপ্লে এবং ক্যামেরা ফিচার
6.67 ইঞ্চি ডিসপ্লে সাইজের মডেলটিতে থাকছে 120 Hz রিফ্রেশ রেট । কেবলমাত্র এখানেই শেষ নয় ডিসপ্লেতে দেখতে পাওয়া যাবে ফুল এইচডি রেজুলেশন । সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে বিষয়টি সেটি হল স্মার্টফোনটির ক্যামেরা ফিচার । স্মার্টফোনটির মেইন ক্যামেরা সেন্সরে রয়েছে 200 মেগাপিক্সেল । এর পাশাপাশি 8 মেগাপিক্সেল এবং 2 মেগাপিক্সেলের আরো দুইটি সেন্সর রয়েছে । সেলফি তোলার সুবিধার জন্য সামনের ক্যামেরায় দেখতে পাওয়া যাবে 16 মেগাপিক্সেল । স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেমের দিকে তাকালে দেখতে পাওয়া যাবে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 12 এবং প্রসেসরে রয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও । ত্রিপল রেয়ার ক্যামেরা ফিচার এবং পারফরমেন্সের পাশাপাশি ডিজাইনেও অনেকটা নজর কাড়া লুক দেওয়া হয়েছে । এটা খুব সহজেই বলা যায় ক্যামেরা পারফরমেন্স যে কারো কাছেই মিড রেঞ্জ হিসেবে ভালো লাগতে পারে ।
মেমোরি এবং সিকিউরিটি সিস্টেম
দুর্দান্ত পারফরমেন্স এবং আকর্ষণীয় ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম আরো একটি ফিচার হচ্ছে এই ডিভাইসটির মেমোরি স্টোরেজ । ইন্টারনাল মেমোরিতে আমরা দেখতে পেয়ে যাব 1 টি ভেরিয়েন্ট । এখানে থাকছে 4 জিবি রেম । এছাড়াও এক্সটার্নাল মেমোরিতে আমরা 64 জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ দেখতে পেয়ে যাব । মিডেল প্রাইস এর স্মার্টফোন হিসেবে এই মোবাইল ফোনের মেমোরি পারফরম্যান্স আমার কাছে ঠিকঠাক বলেই মনে হয়েছে । ডিভাইসটির আন্ডার ডিসপ্লেতে সেট করা হয়েছে মাল্টিপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর । এছাড়াও সিকিউরিটি সিস্টেমে আমরা আরও বেশ কিছু অপশন দেখতে পেয়েছি । ডুয়েল সিম কার্ড চালু রেখেই এই স্মার্টফোনটির মাধ্যমে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক উপভোগ করা যাবে । এছাড়াও অন্যান্য যে নেটওয়ার্কিং সিস্টেমগুলো রয়েছে সেখানেও আমরা ভালো রেজাল্ট পাবো বলে ধারণা করা যাচ্ছে ।
Motorola Moto G 31 দাম
যে বিষয়টি জানার জন্য আমাদের মধ্যে অনেকেই অধীর আগ্রহে রয়েছে সেটি হলো এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে কি পরিমান টাকা খরচ করতে হতে পারে ? মার্কেটে যখন একটি নতুন স্মার্ট ফোন রিলিজ হয় স্বাভাবিকভাবেই কিন্তু সেই ডিভাইসটির দাম কিছুটা আপ থাকে । পরবর্তীতে দেখা যায় সেই ডিভাইসটির মূল্য ডে বাই ডে ডাউন হয় । এই স্মার্ট ফোনটির ক্ষেত্র কিন্তু আমরা অনেকটা সেম সিস্টেম দেখতে পারি । বর্তমান সময়ে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এই স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে 18,999 টাকা । আন্তর্জাতিক মার্কেটে এই স্মার্টফোনটির মূল্য নির্ধারণ রয়েছে 124.49$ । উপরের আলোচনায় আমরা স্মার্টফোনটির ফুল স্পেসিফিকেশন এবং প্রাইস সম্পর্কে জানতে পারলাম , এখন স্পেসিফিকেশন এবং প্রাইস এর সাথে কম্বিনেশন কেমন রয়েছে বা আপনাদের ব্যক্তিগত মতামত গুলো আমাকে জানাতে পারেন ছোট্ট একটি কমেন্টের মাধ্যমে।✓
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন