বর্তমান বিশ্ব বাজারে স্মার্ট ফোন রিলিজ করার জন্য oneplus কোম্পানি টি উন্নত মানের অন্যতম ১০ টি কোম্পানির মধ্যে একটি কোম্পানি হিসেবে গণনা করা যায়। যার কারণ হলো ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি বেশ কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের আকর্ষণীয় ইস্মার্ট ফোনগুলো বিশ্ববাজারে লঞ্চ করেই যাচ্ছে। যার মধ্যে একটি অন্যতম মডেল হল oneplus 9 Pro। ওয়ান প্লাস কোম্পানিতে তাদের এই নতুন রিলিজ হওয়া স্মার্টফোনটির ভেতরে GSM টেকনোলজি ব্যবহার করেছে যার মাধ্যমে স্মার্ট ফোনটির নেটওয়ার্ক খুব ফাস্ট কাজ করবে এমনটা জানা গেছে তাদের সংস্থা থেকে। এই নতুন লঞ্চেও ফোনটির ভিতরে আমরা পেয়ে যাব নেটওয়ার্কিং সিস্টেমের জন্য 2G,3G,4G, এবং5G পর্যন্ত সাপোর্টে। যা আমরা স্মার্টফোনটি অন্যতম একটি সুবিধা জনক বিষয় হিসেবে গণনা করতে পারি। ওয়ান প্লাস কম্পানিটিকে সাধারণত দেখা যায় তাদের ডিভাইসগুলোতে ভালো মানের ফিচারগুলো এনে থাকে তবে দেখা যাক এই নতুন মোবাইল ফোনটিকে ফিচারগুলো কিরকম এনেছে । আর আপনাদের যদি এ বিষয়টি জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই রিভিউটি একবার মনোযোগ সহকারে পড়ে যাবেন।
আমাদের মাঝে প্রায় অনেকেই রয়েছে যারা মিডিয়াম সাইজের ডিসপ্লে ওয়ালা স্মার্টফোন ব্যবহার করতে চাচ্ছেন বা পছন্দ করেন। তাদের কথা মাথায় রেখে ওয়ান প্লাস কোম্পানিটি নিউ স্মার্টফোনটির ডিসপ্লের সাইজে ব্যবহার করেছে 6.7 ইঞ্চি। স্মার্টফোনটি ডিসপ্লে মূলত AMOLED টাইপের ডিসপ্লে। এটাকে আমরা উন্নত মানের ডিসপ্লে বলতে পারি। তাছাড়া ডিসপ্লেতে আরো ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস 5। যেটাকে মূলত স্মার্টফোনটি পড়ে যেয়ে ভেঙে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রটেক্ট করার জন্য ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি ব্যবহার করেছে। তাছাড়া 120 Hz রিফ্রেশ রেট ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্টফোনটির ডিসপ্লেতে।
মোবাইল ফোনটির ডিসপ্লে তে আরেকটি আকর্ষণীয় বিষয় হলো 1440 x 3216 পিক্সেল ব্যবহার করা হয়েছে যেটাকে আমরা উন্নতমানের রেজুলেশন এর পিক্সেল বলতে পারি খুব সহজেই ।1300 নিটস ব্রাইটনেস পেয়ে যাব আমরা এই স্মার্টফোনটি ডিসপ্লে তে । যার ফলে মোবাইল ফোনটি আমরা ইনডোর আউটডোর কিংবা পুরোপুরি রোদে গেলেও স্মার্টফোনটির ব্রাইটনেসের কোন অভাব দেখতে পাবো না । এ বিষয়টি আমার কাছে একটি দারুন বিষয় বলে মনে হয়েছে। তাছাড়া স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমকে রান করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে Android 11 ভার্সন। তবে আমরা চাইলে দুটি আপডেটের মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেমকে নিয়ে যেতে পারবো Android 13 ভার্সন পর্যন্ত। যা একটি অত্যন্ত ভালো দিক বলে মনে করা যায়।
এই ডিভাইসটির ব্যাক সাইডে প্লাস্টিকের বদলে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করেছে ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি। যার ফলে স্মার্টফোনটির ব্যাক সাইডের লুকিং আরো বেশি সৌন্দর্যময় করে গড়ে উঠি এছে বলে মনে করা যায়। এই মোবাইল ফোনটির আরো একটি অন্যতম দিক হলো এই মোবাইলটির ব্যাকসাইডেও কর্নিং গ্লাস ব্যবহার করেছে। এটা মূলত স্মার্টফোনটির ব্যাকসাইডকে প্রোটেক্ট করার জন্য ব্যবহার করেছে ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি। এ মোবাইল ফোনটির পুরো বডির ওজন হল 197 গ্রাম। যার সাথে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত। এই মোবাইল ফোনটির উচ্চতা হল 8.7 মিলিমিটার। যার মাধ্যমে মোবাইল ফোনটি ব্যবহারের সময় আমাদের তেমন কোন আনইজি ফিল হবে না বলে আশা করা যায়। তাছাড়া এই স্মার্টফোনটির বডি নিজের সাইডে আমরা পেয়ে যাব দ্রুত চার্জিং সিস্টেমের জন্য USB টাইপ C পোর্ট চার্জিং সিস্টেম,3.5 mm হেডফোন জ্যাক এবং অডিও জ্যাক। এবং বাম সাইডে আমরা পেয়ে যাব সিম কার্ড যেখানে আমরা দুটি সিম ব্যবহার করতে পারব। আর মোবাইল ফোনটির ডান সাইডে আমরা পেয়ে যাব ভলিউম আপডাউন বাটন এবং পাওয়ার বাটন। তবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার এড করা হয়েছে ডিসপ্লের সঙ্গে। যায় একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক বিষয় বলে আশা করা যায়।
ক্যামেরা ফিচার উন্নত মানের হওয়া যে কোন মোবাইল ফোনে উন্নত মানের হওয়ার অন্যতম ১ টি দিক। তবে দেখে নেয়া যাক ওয়ান প্লাস কম্পানি তাদের নিউ স্মার্টফোনটিতে কিরকম ক্যামেরা পারফরম্যান্স দিয়েছে তাদের গ্রাহকদের জন্য। ৫০ মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা সেন্সর, 8 মেগাপিক্সেলের আলট্রা ওয়েট সেন্সর, ম্যাক্রো ক্যামেরা হিসেবে আমরা পেয়ে যাব 2 মেগাপিক্সেল এর সেন্সর। এবং ডিসপ্লের উপরে সাইডে ব্যবহার করা হয়েছে 48 মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা সেন্সর। যেটি মূলত গ্রাহকদের সেলফি তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এটা বলা যায় যে এই স্মার্টফোনের তোলা ছবিগুলো উন্নত মানের ডিএসএলআর এর তোলা ছবির সাথে প্রায় টক্কর দিতে চলেছে বললেই চলে। এবার চলে যাই আমরা ব্যাটারির ফিচারের দিকে। এই মোবাইল ফোনটির ব্যাটারির ক্যাপাসিটি তে 4,500 MAH পাওয়ারের ব্যাটারি ব্যবহার করেছে ওয়ানপ্লাস কোম্পানিটি। যেটা মূলত non removable lipo টাইপের ব্যাটারি। আর এটা কে আমরা উন্নত ভাল মানের একটি ব্যাটারি টাইপ বলতে পারি খুব সহজ ভাবেই। তার সাথে দ্রুত চার্জিং এর জন্য কেবলের পাওয়ার দেওয়া হয়েছে 65w। প্রায় 40 মিনিট সময়ের কাছাকাছি লাগবে মোবাইল ফোনটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে। যার জন্য হয়তো আমাদের আর ব্যাটারির জন্য দুশ্চিন্তা করতে হবে না এমনটা আশা করা যায়।
এবার একটু মোবাইল ফোনটির স্টোরেজের দিকে লক্ষ্য করা যায় । এই মোবাইল ফোনটির ভিতরে আমরা স্টোরেজ হিসেবে পেয়ে যাব 2 টি ভাগে । যেখানেই থাকছে 8 GB Ram / 128 GB Rom , 12 GB Ram / 256GB Rom । আমরা প্রায় সকলেই জানি স্টোরে যেহেতু ভিন্ন ভিন্ন হবে সেহেতু প্রাইসটাও ওয়ানপ্লাস কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন রাখবে। 8 GB Ram / 128 GB Rom মডেলের ফোনটি বর্তমান বাংলাদেশ বাজারের মূল্য 54,500 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 70,000 টাকা ব্যয় করলে আমরা 12 GB Ram / 256GB Rom মডেলের মোবাইল ফোনটি ক্রয় করতে সক্ষম হবে বর্তমান বাংলাদেশের যেকোন মার্কেট থেকে।51990€ব্যয় করার ফলে আমরা বর্তমান ইন্ডিয়া থেকে 8 GB Ram / 128 GB Rom মডেলের ফোনটি ক্রয় করতে সক্ষম হবে এবং 12 GB Ram / 256GB Rom মডেলটির ফোন বর্তমানে ইন্ডিয়ার মার্কেটে 53499€নির্ধারণ করা হয়েছে। আমার কাছে ফিচারগুলো অনুযায়ী প্রাইজ বা মূল্যটা বেশ কাছাকাছি বলে মনে হয়েছে। তবে আপনাদের কাছে কি রকম লেগেছে বা আপনারা কোন স্টোরেজের মডেলটি ক্রয় করতে চাচ্ছেন তা কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দেবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন