OnePlus যখন মার্কেটে এন্ট্রি নেয় তখন একে Flagship Killer বলা হয়েছিল । ফ্ল্যাগশিপ কিলার হয়ে ওঠার আসল কারণ ছিল যেসব শক্তিশালী স্পেসিফিকেশনের মোবাইল ফোন গুলো মোটামুটি বাজেটের টাকা বা তার বেশি বাজেটে আসত, সেই একই স্পেসিফিকেশন এবং ফিচারের ফোন গুলো এই কোম্পানিটি কম খরচে নিয়ে এসেছিল। দুর্দান্ত বিল্ড কোয়ালিটি এবং শক্তিশালী ফিচার স্পেসিফিকেশনে সজ্জিত, OnePlus মোবাইল মার্কেটে আসার সাথে সাথেই হিট হয়ে ওঠে এবং আজ এই ব্র্যান্ডের ফ্যান ফলোয়িংও খুব ভালো। কম দামে OnePlus স্মার্টফোনে ব্যয়বহুল এবং উন্নত ফিচার পাওয়া যায়। যারা OnePlus মোবাইল ফোন কেনার কথা ভাবছেন তারা ক্রয় করতে পারে তবে ভালো পারফরম্যান্স দেখে। তবে ওয়ানপ্লাস কোম্পানি লাভারদের জন্য একটি খবর রয়েছে। oneplus কোম্পানি এবার বিশ্ব বাজার মাতাতে নিয়ে এলো আরো একটি দুর্দান্ত মানে মোবাইল ফোন । যেখানে আমরা মডেলটি দেখতে পেয়েছি oneplus Ace pro। তবে এই উল্লেখিত কোম্পানিকে আমরা সচরাচর দেখে থাকি যে তাদের ভালো মানে ডিভাইস গুলো তার ACE সিরিজে হাত ধরে নিয়ে আনে বিশ্ববাজারে। তো দেখা যাক নতুন মডেলের ভিতরে কি রকম পরিমাণ ফিচারগুলো দিয়েছে । জানতে হলে অবশ্যই চোখ রাখুন রিভিউ জুড়ে।
ক্যামেরা এবং নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স
oneplus Ace pro মডেলের স্মার্টফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরা ফাংশনে 50 মেগাপিক্সেলের ওয়াইড সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে । প্রাইমারি ফাংশনের যে বিষয়টির জন্য শাওমিকে অবশ্যই একটি ধন্যবাদ জানাতে হয় আর সেটি হল প্রাইমারি ক্যামেরা ফাংশনে 8 মেগাপিক্সেলের একটি আল্ট্রা ওয়াইড ফাংশন দেওয়া হয়েছে । প্রাইমারি ক্যামেরার ডিজাইনের ডুয়েল সেন্সর সেটআপ আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে । এছাড়াও সেলফি তোলার জন্য থাকছে ফ্রন্ট ক্যামেরায় 16 মেগা পিক্সেলের একটি মানসম্মত সেলফি ক্যামেরা । প্রাইমারি এবং সেলফি ক্যামেরার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফিচার পেয়ে যাব ডিজিটাল জোম , এইচডি আর , পানোরামা সহ আরো অনেক । 1080 পিক্সেলে যে কোন ভিডিও ধারণ করার ক্ষমতা থাকছে ক্যামেরা গুলোর । উপরের আলোচনায় আমরা জানতে পেরেছি স্মার্টফোনটির মাধ্যমে সর্বোচ্চ ফাইভ জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যাবে । এছাড়াও ফোরজি এবং থ্রিজি নেটওয়ার্ক অপশনে বিভিন্ন ভার্সন রয়েছে । তারবিহীন যে নেটওয়ার্কগুলো রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন অনায়াসেই ।
ডিসপ্লে এবং প্রটেকশন ফিচার
আইপিএস এলসিডি টাইপের ডিসপ্লেগুলো সচরাচর oneplus কোম্পানিটি কিছুটা বেশি ব্যবহার করে থাকে । এই মডেলটির ক্ষেত্রেও আমরা আইপিএস এলসিডি দেখতে পাব । ডিসপ্লেটিতে থাকছে 90 Hz রিফ্রেশ রেট সাপোর্টেড । 6.7 ইঞ্চি সাইজের ফুল এইচডি রেজুলেশন এর ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে এখানে । যে বিষয়গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে বলেই আমার ধারণা । ডিসপ্লেতে থাকছে 399 পিপিআই পিক্সেল ডেনসিটি । এছাড়াও ডিসপ্লেটিকে কর্ণিং গরিলা গ্লাস 5 এর মাধ্যমে প্রটেকশন করে রাখা হয়েছে । নীল , হলুদ কালারসহ আরো বেশ কিছু কালার রয়েছে যেগুলোকে ডিসপ্লেটি ব্রাইট করে ধরতে পারে এছাড়াও এক বিলিয়ন কালার সাপোর্টে করবে । এমনিতেও ডিসপ্লেটি যথেষ্ট পরিমাণ নজর কারা । ডিসপ্লের যে সাইজ দেওয়া হয়েছে সেটা মূলত একটি সুইটেবল সাইজ যা সবার কাছে ভালো লাগবে বলে ধারণা করা যায় । এই মোবাইল ফোনের ভিতরে আমরা ৫০০ নিটস ব্রাইটনেসের দেখা পেয়েছি। ফিজিক্যাল স্ক্যানার হিসেবে স্মার্টফোনটির সাইড মাউন্টেডে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর সেট করা হয়েছে । শুধুমাত্র স্ক্যানার হিসেবে নয় ব্যবহার ক্ষেত্রেও এটাকে খুব ভালোভাবে ইউজ করা যাবে ।
বডি এবং অপারেটিং সিস্টেম
স্মার্টফোনটির চারদিকে অ্যালুমিনিয়ামের আবরণ দিয়ে তৈরি । বডির ডান পাশে ভলিউম বাটন এবং পাওয়ার বাটন রয়েছে । আর ভালো খবর হচ্ছে এখানে পাওয়ার বাটন হিসেবে যেটা থাকছে সেটাকেই আপনারা ফিজিক্যাল স্ক্যানার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন । বডির নিচের দিকে টাইপ সি ক্যাবল এবং স্পিকার দেওয়া হয়েছে । বাম পাশে থাকছে মেমোরি কার্ড ব্যবহারের জন্য মেমোরি কার্ড স্লট । স্মার্টফোনটির ওজন 203 গ্রাম হওয়ার কারণে এটাকে খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবে যে কেউ । অপারেটিং সিস্টেমে স্মার্টফোনটিতে ব্যবহার করেছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড 12। গুগলের miui12.5 ভার্সন ব্যবহার করা হয়েছে । প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক ডিমেনসিটি , যেটা 6 ন্যানোমিটারে তৈরি হলেও , পুরনো একটি প্রসেসর । যেটা একটি অক্টা-কোর প্রসেসর । সিপিইউতে থাকছে G-57 MC2 । প্রসেসরের সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও এখানে যদি মিডিয়াটেক হেলিও থাকতো তাহলে বিষয়টি আরো ভালো হতে পারতো ।
oneplus Ace pro দাম
এই মোবাইলটির ভিতরে আমরা রেম হিসেবে পেয়ে যাব 12 জিবি রেম এবং রোম হিসেবে পেয়ে যাব 256 জিবি রোম। এই স্মার্টফোনটির ফুল ফিচার এবং স্পেসিফিকেশনের সম্পর্কে আমরা উপরের আলোচনায় জানতে পেরেছি প্রায় সকলেই। এবার আমরা জেনে নিব স্মার্টফোনটির ব্যবহার করতে হলে আমাদের কি পরিমাণ টাকা গুনতে হবে ? বাংলাদেশের মার্কেট প্লেস থেকে স্মার্টফোনটি পার পিস পতি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে খরচ করতে হবে 61,000 টাকা। আর যদি আপনি ইন্ডিয়ান মার্কেটপ্লেস থেকে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করতে চান তাহলে আপনাকে খরচ করতে হবে 47,990€ (রুপি) স্মার্টফোনটির স্পেসিফিকেশন ও বাজেট আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সে বিষয়টি আমাদেরকে অবশ্যই জানাতে পারেন কমেন্টের মাধ্যমে। আর নিত্যনতুন স্মার্ট ফোন গুলোর ফিচার এবং বাজেট জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।✓
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন