বডিবিল্ড এবং ডিজাইন
মোবাইলটির ফুল বডিতে পেয়ে যাব প্লাস্টিক ফ্রন্ট এবং প্লাস্টিক ব্যাক কভার এর আবরণ । স্মার্টফোনটিতে দেওয়া হয়নি কোন প্রটেকশন গ্লাস । যার কারণে ফোনটি পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে । যার কারণে আমার সাজেশন থাকতে যে একটি ব্র্যাক কাভার ইউস করার। মোবাইল ফোনটির ডান দিকে রয়েছে ভলিউম এবং পাওয়ার বাটন অপর প্রান্তে দেখা যায় মেমোরি এবং সিম কার্ড স্লট । মোবাইলটির নিচের দিকে উপস্থিত রয়েছে 3.5 এমএম হেডফোন জ্যাক এবং এর সাথে রয়েছে লাউডস্পিকার । 187 গ্রাম ওজনের এই মোবাইলটিকে সবুজ এবং নিল কালার সহ আরো অনেক কালারে পাওয়া যাবে । মডেলটি আকারে ততটা বড় নয় খুব সহজেই হাতের সাথে মানিয়ে নিয়ে ব্যবহার করা যাবে । তাছাড়া ডিভাইসটি আমরা সহজে পকেটে করেও রাখতে পারব। স্মার্টফোনটির বডি ডিজাইনের সবথকে বেশি যে বিষয়টি ভালো লেগেছে সেটি হচ্ছে একটি পিছনের দিকে রাখা হয়েছে পেটান যুক্ত ডিজাইন যে বিষয়টি সবার নজরে আসবে খুব সহজেই ।
ডিসপ্লে সাইজ এবং প্ল্যাটফর্ম
প্রথমেই বলে নেয়া যাক মডেলটিতে আইপিএস এলসিডি টাইপের প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে । এলসিডি প্যানেলটিতে 16.7 মিলিয়ন কালার সাপোর্ট করবে । এলসিডি ফিচারে রয়েছে মাল্টিটাচ ।যেটা আমরা সকল মোবাইল ফোনে দেখতে পাই। 6.56 ইঞ্চি সাইজের ডিসপ্লে ব্যবহার করার কারণে ফোনটি দিয়ে গেমিং পারফরম্যান্স এবং ভিডিও প্লেব্যাক খুব ভালোভাবে দেখা যাবে । এছাড়াও ডিসপ্লে কালেকশনে থাকছে এইচডি প্লাস রেজুলেশন 720×1600 । ব্যবহারকৃত রেজুলেশনে ভিডিও প্লেব্যাক দেখার সময় ফেটে যাওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা রয়েছে । অপারেটিং সিস্টেমে রাখা হয়েছে গুগলের উদ্ভাবিত ভার্সন অ্যান্ড্রয়েড 12। 1.3 গিগাহার্জের quad-core প্রসেসর এর পাশাপাশি গেমিং গ্রাফিক্সে থাকবে Mali TB20 । স্মার্টফোনটির সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং আপডেট এর জন্য অবশ্যই গুগোল ব্রাউজারকে ফলো রাখতে হবে । স্মার্টফোনটিতে পাওয়া যাবে ভালো মানের প্রসেসর এবং গেমিং গ্রাফিক্স।এটা আমরা খুব সহজেই বলতে পারি উপরের ফিচার সম্পর্কে ধারনা নিয়ে। কারণ আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছে যারা গেম খেলতে অনেক পছন্দ করে আবার গেমিং এর জন্য ভালই স্মার্টফোনও খুজতেছে তো তাদের জন্য এই মডেলের ফোনটির প্রসেসর হতে চলেছে সেরা।
ক্যামেরা এবং ব্যাটারি ফিচার
আন্ডার ডিসপ্লেতে প্রাইমারি ক্যামেরা ফাংশনে রয়েছে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ । প্রাইমারি ক্যামেরার ওয়াইড ফাংশনে থাকছে 8 মেগাপিক্সেল এর একটি ক্যামেরা , এর পাশাপাশি থাকছে 0.08 মেগা পিক্সেলের আরো একটি ক্যামেরা । সেলফি তোলার জন্য ফ্রন্ট ক্যামেরায় থাকছে 5 মেগাপিক্সেলের এর একটি রেয়ার ক্যামেরা । ক্যামেরা গুলো দিয়ে নাইট মোড সহকারে ফিল্টার , ডিসপ্লে ফোকাস , অটোজুম বিভিন্ন মোডে ছবি তোলা যাবে । যেকোন ভিডিও এইচডি 1080 পিক্সেলে রেকর্ডিং এবং দেখা যাবে । স্মার্টফোনটির প্রাইমারি ফাংশনের রয়েছে ডুয়াল এইচডি ক্যামেরা কালেকশন । ফ্রন্ট ক্যামেরা কাটাউটে থাকছে 5 মেগাপিক্সেল । যা দিয়ে খুবই ভালো মানের এইচডি পিকচার ধারণ করা যাবে এবং এর পাশাপাশি ভিডিও । স্মার্টফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরা পুরুষার্থ আমর পেয়ে যাব এলইডি ফ্ল্যাশ লাইট এর সুবিধা । স্মার্টফোনটির রেজুলেশন ততটা খারাপ নয় , ফুল এইচডি কনটেন্টগুলো দেখতে কিছুটা ঝামেলা হতে পারে । এছাড়াও এখানে আমরা পেয়ে যাব 5,000MAH পাওয়ারের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি। এটাকে আমরা বর্তমান সময়ে মিড রেঞ্জের বাজেগুলোর ভিতরে প্রায় সকল ফোনের ভিতরে দেখতে পাই। তবে এই মোবাইলের এডাপ্টারে পাওয়া যাবে 33, ওয়ার্ড। যার মাধ্যমে মোবাইল ফোন কি চার্জ হতে সময় নিয়ে যায় 70 মনিরের কাছাকাছি।
Oppo A77s কারেন্ট প্রাইস
মোবাইল ফোনটি আমরা শুধুমাত্র একটি স্টোরেজে দেখতে পেয়েছি। যেখানে থাকছে 8Gb Ram / 128 GB Rom । তবে আমাদের যাদের এই স্টোরেজে হয়ে যাবে তাদের জন্য এই মোবাইল ফোনটি হতে চলেছে সেরা। দেশের বাজারে মোবাইলটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে 24,990 টাকা । স্মার্টফোনটির প্রাইস দেখেই আমরা বুঝতে পারি এই স্মার্টফোনটির মূল্য মোটামুটি লো কোয়ালিটির ভিতরে থাকায় আমরা অনেকে এখনও গননা করতে পারি যে এই স্মার্টফোনটিকে ভালোভাবে ব্যবহার করা যাবে না দ্রুত গতির সাথে । এমনটা মনে করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয় তবে অন্যান্য মডেল গুলোর মত এই স্মার্টফোনটির বেকাপ ফ্রিকোয়েন্সি অনেকটাই ভালো । যদি আমরা এই স্মার্টফোনটিকে অন্যান্য দেশগুলো থেকে ক্রয় করতে চাই তাহলে আমাদেরকে কিছুটা কম খরচ করতে হতে পারে । কারণ বিভিন্ন দেশে কারেন্সি এর মাধ্যমে স্মার্টফোন গুলোর মূল্য নির্ধারণ করা হয় সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী স্মার্টফোনটির মূল্য কম বেশি হয়ে থাকে ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন