Ads

এক ভরপুর পারফরম্যান্সের সাথে আমাদের মাঝে উদয় হলো Realme কোম্পানিটি । স্বল্প বাজেটের মধ্যে যে কোম্পানিগুলো মার্কেটে স্মার্টফোন রিলিজ করে থাকে সেগুলোর মধ্যে বর্তমান সময়ের  জনপ্রিয় একটি ব্রান্ড হলো  Realme। মোটামুটি অ্যাভারেজ বাজেটের মধ্যে Realme কোম্পানিটি আমাদেরকে বেস্ট পারফরমেন্স অফার করেছে Realme 10 মডেলটির মধ্য দিয়ে । বেস্ট পারফরমেন্স বলতে গেলে ডিসপ্লেতে আমরা 90 Hz দেখতে পাবো এবং ব্যাটারি ক্যাপাসিটিতে থাকছে 5,000 মিলিঅ্যাম্পিয়ার পাওয়ার । এটা কিন্তু দেখার মতো একটি বিষয় । তবে বাংলাতে একটি প্রবাদ রয়েছে  যে চকচক করলেই সোনা হয় না , এখন আমরা দেখে নেবো এই পারফরমেন্স গুলো ব্যবহার করার সময় আমাদের কতটা অ্যাডভান্টেজ এবং ডিসঅ্যাডভান্টেজ দিবে । তবে যাই হোক Realme কিন্তু এখানে ইম্প্রেসমেন্ট বা এরেঞ্জমেন্ট এর কোনো ঘাটতি রাখেনি ।Realme কোম্পানির লাভারদের জন্য এটা কিন্তু একটি সুসংবাদ হতে পারে । তবে আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়া যায় নতুন মডেলের স্মার্টফোনটির সম্পূর্ণ বিস্তারিত সম্পর্কে আলোচনায়।


Realme 10 ফুল বাংলা রিভিউ এবং স্পেসিফিকেশন  | realme 10 price in global


চকচকে ডিসপ্লে এবং প্রসেস 


Realme কোম্পানির যে বিশেষ দিক গুলো রয়েছে  রয়েছে তা লুকিয়ে রেখেছে ডিসপ্লের ভেতরে।যেখানে realme কোম্পানি তাদের এই মডেলটির ভিতরে ডিসপ্লে তে ব্যবহার করেছে সুপার এমোলেড টাইপের সিস্টেমের। যেটাকে আমরা জোস বা অসাধারণ ডিসপ্লে টাইপ বলতে পারি। যেখানে realme কোম্পানি 1080 x 2400 পিকচেল যা ফুল এইচডি রেজুলেশন ব্যবহার করেছে নতুন মডেলটির ভেতরে। যার মাধ্যমে realme কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের কে রেজুলেশনের কোন অভাব দেখা দেবে না এমনটাই তাদের সংস্থার দাবি। এই সম্পূর্ণ ডিসপ্লে টিকে প্রটেক্ট করার জন্য Realme কোম্পানি এই মডেলের ফোনের ডিসপ্লে তে ব্যবহার করেছে কর্নিং গরিলা গ্লাস 5। তা অসাধারণ দিক বলে আখ্যায়িত করা যায়। এছাড়াও আপনারা মোবাইল ফোনের ডিসপ্লে তে 16 বিলিয়ন কালার এর সাপোর্টেড দেখতে পেয়ে যাবেন। অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন 12 ব্যবহার করতে দেখেছি মোবাইল ফোনের অপারেটিং সিস্টেমকে রান করার জন্য। এটাকে আমরা মোটামুটি নতুন মানের ভার্সন বলতে পারি। এছাড়াও আমরা মোবাইল ফোনের প্রসেসরে MediaTek MT কোয়ালিটির এবং সেটা মূলত হেলিও টাইপের চিপসেট। তো বুঝতেই পারছেন বন্ধুরা রিয়েল মি কোম্পানি এই মডেলের ফোনের ডিসপ্লে এবং প্রসেসরে কতটা খেয়াল রেখেছে।

বডি ডিজাইন এবং নেটওয়ার্ক স্পিরিট


যদি ডিজাইনের কথা বলি তাহলে Realme এখানে চমৎকার একটি বডি ডিজাইন দিয়েছে । সুন্দর লুকিং একটি বডি ডিজাইন এখানে আমরা দেখতে পেয়েছি । পিছনের দিকটা দেখতে আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে তার কারণ হলো যে ক্যামেরা মডিউল দেওয়া হয়েছে সেটি কিন্তু এটাচ অবস্থায় রয়েছে । স্মার্টফোনটি একটু বড়োসড়ো হলেও দেখতে অনেকটাই স্লিম। এই মোবাইলে সম্পূর্ণ ওজন হল 178 গ্রাম যা খুব সহজেই ব্যবহারযোগ্য বলে মনে করা যায়।নীল আর সাদা এই দুইটি কালারে বর্তমান মার্কেটে আমরা মোবাইল ফোনটি দেখতে পেয়েছি। এছাড়াও realme কোম্পানি বরাবরের মতনই এই মোবাইল ফোনের রেখেছে ভলিউম বাটন এবং পাওয়ার বাটন। তবে এখানে একটি সুবিধা মূলক দিক হলো গুগল বাটনের সাথে এড করা হয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর যেটাকে আমরা খুব দ্রুত বা ভালো মানের পারফরম্যান্স  দিতে দেখেছি। আর মোবাইল ফোনের নিচে 3.5mm হেডফোন জ্যাক, অডিও জ্যাক, স্পিকার গিরিল দেখতে পাবেন এবং মোবাইল ফোনের উপরে চার্জ দেওয়ার জন্য ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট রয়েছে। আর বাম সাইডটা পুরোপুরি ভাবে আমরা পরিষ্কার দেখতে পেয়েছি। এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা সর্বোচ্চ 4g পর্যন্ত নেটওয়ার্ক সিস্টেম সাপোর্ট পেয়ে যাব। আর GPRS ব্যবহার করা হয়েছে ফোনে নেটওয়ার্কিং স্পিডে যেটা থেকে আমরা ভালো মানের নেটওয়ার্কিং স্পিড পেয়ে যাব।

চমৎকার ক্যামেরায় এবং ব্যাটারি ফিচার


এই মোবাইল ফোনের ভিতরে আমরা সর্বোচ্চ তিনটি ক্যামেরা দেখতে পেয়েছি। যেখানে দুইটি পিছনে সাইটে এবং একটি সামনের সাইটে। এ মোবাইল ফোনের ব্যাকসাইডের যে দুইটি ক্যামেরা রয়েছে সেইখানে আমরা দুটি গোল আইকন এর মতো  ফ্রেম এর ভিতরে দেখতে পেয়েছি। যেখানে মেইন ক্যামেরা সেন্টার হিসেবে 50 মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেন্সর ও 2 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা সেন্সর আর সামনের সাইডে রয়েছে সেলফি তোলার জন্য যে ক্যামেরা ওইটার ভিতরে ক্যামেরা সেন্সর রয়েছে  16 মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। তবে এখানে আলট্রা হোয়াইট ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহার হয়নি। তবে ব্যবহার করা হলে হয়তো এই মোবাইলের তোলা ছবিগুলো আমাদেরকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভালো মানের পারফরম্যান্স দিতে পারতো তবে এখনো মোটামুটি মানের ভালো পারফরমেন্স আমাদেরকে দিতে পারবে এমনটা আশা করা যায়। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে যে কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হয় আর এই  প্ররি পক্ষেই হলো এখানে মেইন ক্যামেরা সেন্সর আর একটু কমিয়ে দিয়ে আলট্রা হোয়াইট ক্যামেরা সেন্সর বসিয়ে দিলে ভালো হতো পার্সোনালি আমার কাছে এমনটা মনে হয়েছে। তো আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাওয়া যাক এবার মোবাইল ফোনের ব্যাটারি ফিচারের দিকে। যেখানে realme কোম্পানি  ক্যাপাসিটি তে ব্যবহার করেছে 
5,000 MAH। আর এই ব্যাটারিকে সতেজ রাখতে ফাস্ট চার্জিং কেবলে পাওয়ার দিয়েছে 33w। যেটা দিয়ে মোবাইল ফোনটি প্রায় এক ঘন্টা সময় হলে পরিপূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে।

Realme 10 বর্তমান মূল্য 


realme কোম্পানি তাদের গ্রাহকদেরকে এই মডেলের মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র একটি স্টোরেজ অফার করছে যেখানে আমরা দেখতে পেয়েছি 8 GB Rom এবং 256 GB Rom তবে এইখানে আমরা বেশি বা এক্সট্রা কোন মেমোরি কার্ড ব্যবহার করতে পারব না। বর্তমান বাংলাদেশের যে কোন বাজারে এই মডেলের মোবাইল ফোনটির প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে 25,000 টাকা।আর 14,290€নির্ধারণ করেছে বর্তমান ইন্ডিয়ার যে কোন বাজারে। আর বিশ্ব বাজার থেকে এই মডেলের ফোনটি ক্রয় করতে হলে আমাদের ব্যয় করতে হবে 149.99$। তবে এই মোবাইল ফোনের ফিচার পারফরম্যান্সের ধারণা পেয়ে এটা খুব সহজেই আমি বলতে পারতেছি যে মোবাইল ফোন টির ফিচারগুলো অনুযায়ী প্রাইস বেশ কমই রয়েছে । তবে যেহেতু realme কোম্পানি এই মোবাইল ফোনের প্রাইস টা আনঅফিসিয়াল ভাবে নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক মার্কেটে সুতরাং প্রাইসটা একটু আপ ডাউন হতে পারে বর্তমান মার্কেট গুলোর ভিতরে। তবে যখন কমবে তখনই আমরা  ক্রয় করার চেষ্টা করব। তবে কারা কারা এই মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করতে আগ্রহি হয়েছে এবং কোন দেশ থেকে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তা অবশ্যই আমাদেরকে আপনার ছোট্ট একটি সুন্দর আঙ্গুলের মাধ্যমে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads