টেকনো বাংলাদেশের বাজারে অনেক বড় একটি মার্কেট ক্যাপচার করেছি ইতিমধ্যেই। টেকনো বাংলাদেশের কম দামের মধ্যে ভালো কিছু প্রোডাক্ট কাস্টমারদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। টেকনো কোম্পানি বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় বড় সুপারস্টারদের কে স্পন্সর করেছে তাদের ফোনকে স্পন্সরশিপ হিসেবে নেওয়ার জন্য। টেকনো কোম্পানি ডিভাইস গুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে টেকনো কোম্পানি কম দামের মধ্যে ভালো ভালো কনফিগারেশন এর ফোন বাজারে নিয়ে আসে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই টেকনো কোম্পানি বাজারে বিস্তার এবং প্রভাব সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে এক প্রকার টেকনো ফ্যান বেইস রয়েছে। তোর তাদের জন্য টেকনো কোম্পানি এবার Tecno phantom X 2 pro নতুন মডেলটি। টেকনো কোম্পানি কাজের নতুন মডেলের ভেতরে নেটওয়ার্ক স্পীডে ব্যবহার করেছে HSPA, LTE যার ফলে আমাদের এই ডিভাইসটি ব্যবহার করার সময় নেটওয়ার্কের কোন প্রবলেম হবে না তার সাথে আমরা 5G পর্যন্ত নেটওয়ার্কিং সিস্টেম দেখতে পেয়েছি এই স্মার্টফোনটি ভিতরে। তবে আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব টেকনো কোম্পানির নতুন ডিভাইসের বিস্তারিত সম্পর্কে। যদি আপনাদের টেকনো কোম্পানির নতুন মডেলের স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে অবশ্যই রিভিউটি একবার মনোযোগ সহকারে পড়ে যাবেন।
ডিসপ্লে এবং প্রসেসর সেটাআপ
আমরা প্রায় সকলেই চাই মিডিয়াম সাইজের ডিসপ্লে ওয়ালা একটি স্মার্টফোন। যার কারণ হলো আমাদের ব্যবহার করার সময় এই সাইজটিকে অসুবিধা বলে মনে হয় না। 6.8 ইঞ্চি সাইজের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে চমৎকার এই মোবাইল ফোনটিতে। যেটাকে আমরা HDR টাইপের ডিসপ্লে বলতে পারি খুব সহজে। তাছাড়া আরও ব্যবহার করা হয়েছে স্মার্টফোনটি ডিসপ্লেতে করনিং গরিলা গ্লাস 3। যা এই মোবাইল ফোনটি কে ভেগে যাওয়ার হাত থেকে সুরক্ষা করতে পারে। এই মোবাইল ফোন কি ডিসপ্লে তে ব্যবহার করা হয়েছে ফুল এইচডি রেজুলেশন যেখানে থাকছে 1080×2400 পিক্সেল।387 ppi ডেনসিটি ব্যবহার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আমরা যেকোন ভিডিও দেখার সময় ঘোলা ঘোলা দেখতে পাবো না। তাছাড়া এই মোবাইল ফোনটির অপারেটিং সিস্টেমে রান করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে Android 12, ভার্সন। তবে কিছুদিন পরে আপডেটের ফলে অফারেটিং সিস্টেম চলে যাবে Android 13 ভাষণে। যা একটি ভালো মানের দিক বলে মনে হয়েছে। তাছাড়া এই স্মার্টফোনটির প্রসেসরে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিউ টাইপের প্রসেসর।
বডি বিল্ড
এই ডিভাইসটির ব্যাক সাইডে প্লাস্টিকের বদলে অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে স্মার্টফোনটির ব্যাকসাইড এর সৌন্দর্য আরো একটু বাড়িয়েছে । স্মার্টফোনটির ফুল বডির ওজন হল 201 গ্রাম। এই ওয়েটের ফোনগুলোর সাথে আমরা প্রায় সকলে পরিচিত হয়েছি। গ্রে এবং কমলা এই কালারগুলোতে আমরা বর্তমান মার্কেটে পেয়ে যাব এই স্মার্টফোনটি। যেখানে হয়তো আপনি আপনার পছন্দের কালার টি বেছে নিতে পারেন। স্মার্টফোনটির ডান পাশে আমরা পেয়ে যাব ভলিউম আপ ডাউন বাটন এবং পাওয়ার বাটন এর দেখা। তাছাড়া স্মার্টফোনটির নিচে আমরা পেয়ে যাব ফার্স্ট চার্জিং সিস্টেমের জন্য USB টাইপ C পোর্ট,3.5mm হেডফোন জেক এবং সিম কার্ড ট্রে স্লট। যেখানে আমরা দুটি সিম খুব ইজি ভাবে ব্যবহার করতে পারব। তাছাড়া স্মার্টফোনটির লেফট সাইডে এবং উপরে সাইডে আমরা প্লেনই দেখতে পেয়েছি। এই স্মার্টফোনটি ডিমেন সিএসনে ব্যবহার করা হয়েছে 8.9 মিলিমিটারের। এই স্মার্টফোনটিতে আমরা ওয়াটার প্রুফ ফোন না বলতে পারলেও তার কাছাকাছি কিছু বলতে পারব কারণ এই স্মার্টফোনটি পানির নিচে 30 মিনিট বা আধা ঘন্টা পর্যন্ত থাকলে কোন সমস্যা দেখা দেবে না। এই বিষয়টি আমার কাছে দুর্দান্ত দিক বলে মনে হয়েছে।
ক্যামেরা এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ
আমরা যে কোন নতুন স্মার্টফোন ক্রয় করার সময় ওই স্মার্ট ফোনটির ক্যামেরার distant-এর দিকে একটু বেশি লক্ষ্য করে থাকি। তবে এই স্মার্টফোনটির ব্যাকসাইডে ডুয়েল ক্যামেরা সেটআপ ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে থাকছে 50 মেগাপিক্সেলের মেইন ক্যামেরা সেন্সর এবং 50 মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো ক্যামেরা লেন্স। এবং সামনের সাইডের ক্যামেরায় হিসেবে আমরা পেয়ে যাব 13 মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা। তাছাড়া এই স্মার্টফোনটির ক্যামেরা ভিডিও ধারণ ক্ষমতা রাখছে 1080 পর্যন্ত। এবং মিড ক্যামেরার সঙ্গে এলইডি ফ্ল্যাশের দেখা পেয়ে যাব আমরা। তবে এটা খুব সহজে বলা যেতে পারে যে স্মার্টফোনটির দিয়ে তোলা ছবিগুলো আমরা যেকোনো ইন্টারনেটের ওয়েবসাইট গুলোতে ব্যবহার করতে পারব। কারণ এই স্মার্টফোনটি দিয়ে তোলা ছবিগুলো আকর্ষণীয়ময় দেখায়। তাছাড়া এই মোবাইল ফোনটির ব্যাটারির ক্যাপাসিটি তে ব্যবহার করা হয়েছে 5160 MAH পাওয়ারের ব্যাটারি। যার সাথে থাকছে 45 W এর ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম। যার ফলে এই স্মার্টফোনটি ফুল চার্জ হতে সময় নেবে প্রায় 40 মিনিটের কাছাকাছি সময়। যা স্মার্টফোনটি ব্যাটারি মূলত Lipo টাইপের ব্যাটারি। যেটা থেকে আমরা ভালো কিছু আশা করতে পারি খুব সহজে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন