বর্তমানে স্পোর্টস বাইকের অতিরিক্ত চাহিদা থাকতে পারে, কিন্তু কিছু গ্রাহক আছেন যারা তাদের দৈনন্দিন চলাচলের জন্য লো- সিসি কমিউটার বাইককে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এই কথা মাথায় রেখে Hero একটি নতুন চমক নিয়ে এল ১১০ সিসি সেগমেন্টে এবং এই সেগমেন্টে প্রথম স্মার্ট মোটরসাইকেল হিসেবেও এই বাইকটিকে ধরে নেয়া যেতে পারে। বাইকের ডিজাইন এবং কমফোর্টের পাশাপাশি ফিউচার কনসার্ন ফিচারগুলো নিশ্চিত করে যে রাইডার জীবনের চলতি পথে কখনই পিছিয়ে না পড়ে। HERO এর মতে নতুন HERO Passion Xpro XTEC আসলেও একটি শো স্টপার এই সেগমেন্টে চুরি করতে প্রস্তুত। তো চলুন ফিচারগুলো দেখে নেওয়া যাক Digital Bangla reviews এর মাধ্যমে।
HERO Passion Xpro XTEC ফিচার
Hero Passion Xpro Xtec স্টাইলিশ এবং স্মার্টলি ডিজাইন করা হয়েছে, যা রাস্তায় যেকারো সাথে পথ চলতে যথেষ্ট আইকনিক। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো Hero একটি 110cc বাইকের জন্য ফিউচারিস্টিক বৈশিষ্ট্য, স্টাইলিশ ডিজাইন এবং ইউনিক ম্যাট কালারের দুর্দান্ত সমন্বয় তুলে এনেছে। এর ফলে এই মোটরসাইকেলটি একটি সত্যিকারের ‘স্টাইল আইকন’ হয়ে উঠেছে। আকর্ষণীয় ভাইসর কাউল সহ প্রজেকশন এলইডি হেড ল্যাম্প, স্টাইলিশ এবং এক্সোটিক এলইডি টেইল ল্যাম্প মিলিত হয়েছে ম্যাট ফিনিশ কালারের সাথে। কালারফুল লাইনার থাকার কারনে এই বাইকটি সব বয়সী কমিউটার প্রেমীদের জন্য বেশ স্টাইলিশ করে তুলেছে। অন্যদিকে, স্ট্রেইট রাইডিং এরগোনোমিক্সের সাথে মিলে থাকা পাইপ হ্যান্ডেল বার এই বাইকটিকে শুধু সহজই নয়, আরামের সাথে রাইড করার জন্যও রেডি করে তোলে। সবচেয়ে আকর্ষনীয় এডঅনের মধ্যে এর ফুয়েল ট্যাঙ্কের ডিজাইন রয়েছে। ফুয়েল ট্যাঙ্কটি উভয় পাশে দুটি নতুন ট্যাঙ্কের শ্রাউড রয়েছে। সামনে থেকে পিছন পর্যন্ত বাইকটিকে নতুন গ্রাফিক ডিজাইনে তৈরী করা হয়েছে, যার ফলে বাইকটি বেশ শার্প এবং স্পোর্টিয়ার দেখায়। সামগ্রিকভাবে, এই বাইকটি আরও আকর্ষণীয় এবং চোখে পড়ার মত হয়ে উঠেছে।নতুন Hero Passion Xpro Xtec-এর জন্য টিউবুলার ডাবল ক্র্যাডল টাইপ চ্যাসিস ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফ্রেমে হিরো পুরো বাইকের ফিটিংস ইনস্টল করেছে এবং প্যাকেজটিকে স্টাইলিশ এবং ব্যবহারের জন্য টেকসই করেছে। মোটরসাইকেলটির মোট দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা যথাক্রমে 1967, 768 এবং 1075। বাইকটির ওজন 121 কেজি এবং ফুয়েল ট্যাঙ্কে 1.3 লিটার রিজার্ভ ফুয়েল সহ 9.2 লিটার ফুয়েল রাখা যায়। বাইকটির হুইলবেস ছোটখাট যা 1249mm, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স প্রায় 165mm, যা বাংলাদেশের জন্য বেশ আদর্শ। রাইডারদের জন্য থাকছে 798 মিমি স্যাডল হাইট, যার ফলে যেকোনো উচ্চতার রাইডার ব্যাবহার করতে পারবে। মূলত, বাইকটি বেশ কমপ্যাক্ট এবং রাইড করা সহজ।Hero Passion Xpro Xtec 109.15cc এয়ার কুলড, 4-স্ট্রোক, সিঙ্গেল সিলিন্ডার, OHC ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। ইঞ্জিনটি 6.70kW(9.11Ps) @ 7500 rpm সর্বোচ্চ শক্তি এবং 0.92kgf-m (9.0N-m) @ 5500 rpm সর্বোচ্চ টর্ক সরবরাহ করতে পারে। Hero কোম্পানির মতে বাইকের অসাধারণ মাইলেজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইঞ্জিনটি একটি বেসিক ওয়েট মাল্টি-প্লেট ক্লাচ এবং 4-স্পীড গিয়ারবক্স সহ পাওয়া যাবে। i3s - Idle Stop Start System-এর সাথে যুক্ত ইঞ্জিনটিকে স্টার্ট করার জন্য বাইকটিতে সেলফ-স্টার্ট এবং কিক-স্টার্ট উভয় অপশনই থাকছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন