স্প্লেন্ডার মানেই দেশের বাইক-প্রেমীদের মনে একটা ইমোশনাল কানেকশন। এই একটা গাড়ির নাম শুনলে যেন তরুণ থেকে বয়স্ক – প্রায় সমস্ত বয়সের বাইকপ্রেমীরা খুব সহজে কানেক্ট হতে চায়। দেশের প্রচুর প্রজন্ম এবং অগুনতি পরিবারের গ্যারাজের পাকাপাকি সদস্য হয়ে গিয়েছে হিরো স্প্লেন্ডার (Hero Splendor)। আর তার একমাত্র কারণ হল, মধ্যবিত্তের সর্বক্ষণের সঙ্গী হওয়ার প্রায় গুণাবলীই রয়েছে স্প্লেন্ডার বাইকটিতে। প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের বাইক মার্কেটে রীতিমতো দাপট দেখিয়ে এসেছে হিরো স্প্লেন্ডার। আজও তার জনপ্রিয়তা এক ফোঁটাও কম হয়নি, বরং বেড়ে গিয়েছে। ১৯৯০ সালের দিকে স্প্লেন্ডারের প্রথম মডেলটি লঞ্চ হওয়ার পর এ যাবৎ একাধিক ইঞ্জিনের স্প্লেন্ডার এসেছে মার্কেটে। সেগুলিও আলাদা আলাদা ভাবে জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছে, যাদের মধ্যে সুপার স্প্লেন্ডার এবং স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট-এর নাম না বললেই নয়। এবার দেশে একটি নতুন স্প্লেন্ডার লঞ্চ হল, যার নাম ২০২২ হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক (Hero Splendor Plus XTEC)। এই লেটেস্ট বাইকের দাম ও ফিচার্স সংক্রান্ত সব তথ্য এক নজরে দেখে নেওয়া যাক Digital Bangla reviews এর মাধ্যমে।
Hero Splendor Plus ফিচার
এটিই স্প্লেন্ডারের লেটেস্ট মডেল, যাতে এক্সটেক টেকনোলজি আম্ব্রেলা ব্যবহৃত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এক্সটেক টেকনোলজি আম্ব্রেলা এর আগে হিরো গ্ল্যামার ১২৫, প্লেজ়ার+ ১১০ এবং ডেস্টিনি ১২৫ – এই তিনটি বাইকেই দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রতিটি বাইকেরই এক্সটেক মডেলগুলি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়।২০২২ স্প্লেন্ডার এক্সটেক বাইকে একাধিক নতুন কালার অপশন রয়েছে ও তার সঙ্গে ফাঙ্কি বডি গ্রাফিক্স। চারটি নতুন কালার স্কিমের মধ্যে রয়েছে স্পার্কলিং বিটা ব্লু, ক্যানভাস ব্ল্যাক, টর্নেডো গ্রে এবং পার্ল হোয়াইট। এই লেটেস্ট স্প্লেন্ডার এক্সটেক বাইকে রয়েছে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কন্সোল যাতে ব্লুটুথ এনাবলড রয়েছে, টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন সিস্টেম, নোটিফিকেশন অ্যালার্ট, ওয়েদার আপডেট, একটি সাইড স্ট্যান্ড ইঞ্জিন কাট-অফ ফাংশন এবং একটি ইউএসবি চার্জার রয়েছে।স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক বাইকে সেগমেন্ট ফার্স্ট ফুল ডিজিটাল মিটার ও তার সঙ্গে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি দেওয়া হয়েছে। এই ডিজিটাল মিটার চালকদের সর্বাধিক ফাংশনালিটি এবং তথ্য দিতে পারবে। ফুল ডিজিটাল ডিসপ্লে প্র্যাক্টিক্যাল এবং ইউজার-ফ্রেন্ডলি ফাংশনও অফার করে। তার মধ্যেই উল্লেখযোগ্য হল, ইনকামিং এবং মিসড কল অ্যালার্ট, নতুন মেসেজ অ্যালার্ট, টু ট্রিপ মিটার ও তার সঙ্গে আরটিএমআই (রিয়্যাল টাইম মাইলেজ ইন্ডিকেটর) এবং লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর রয়েছে। পাশাপাশি এটি ইন্টিগ্রেটেড ইউএসবি চার্জিং পোর্টও পেয়েছে।স্প্লেন্ডার প্লাস এক্সটেক বাইকটিতে পাওয়ারের জন্য থাকছে ৯৭.২সিসি, সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ার কুলড ইঞ্জিন, যা ৭.৯বিএইচপি পাওয়ার ৮,০০০আরপিএম এবং ৮.০৫এনএম পিক টর্ক দিতে পারে ৬,০০০আরপিএমে। এই ইউনিট পেয়ার করা রয়েছে ফোর স্পিডের গিয়ারবক্সের সঙ্গে। বাইকটির সাসপেনশন ডিউটির জন্য আপফ্রন্টে রয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং রিয়ারে রয়েছে একটি মনো-শক। বাইকের ব্রেকিংয়ের দায়িত্বভার সামলাতে দুই প্রান্তেই রয়েছে ড্রাম ব্রেক।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন