Hero Splendor Pro হল Hero Splendor বাইকের একটি আপডেট ভার্সন। এটি হিরো মোটরসের অন্যতম বেশি বিক্রিত মোটরসাইকেল। কমিউটার ক্যাটাগরিতে এই বাইক গ্ৰাহকদের মধ্যে অনেক আস্থা সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারকারীরা এই বাইকটি ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন। বাইকটির দুর্দান্ত ডিজাইন, ইউনিক এরোডাইনামিক স্টাইল যেকোনো বাইকারকে আকৃষ্ট করবে। ২০১০ সালে প্রথম এই বাইকটি বাজারে লঞ্চ করা হয়েছিল। তখন বাইকটি বাজারে একটি ক্রেজ তৈরী করে ফেলেছিলো। কমিউটার ক্যাটাগরিতে এটি এখনো বাইকারদের পছন্দের তালিকার শীর্ষের দিকেই আছে। বাইকটি ৮টি কালার ভেরিয়েন্টে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে – ব্ল্যাক মনোটোন, প্যালেস মেরুন, ক্যান্ডি ব্লেজিং রেড, ক্লাউড সিলভার, এক্সেলেন্ট ব্লু, হেভি গ্রে, গ্রানাইট ব্লু এবং ব্ল্যাক বেগুনি। এই ব্লগে Hero Splendor Pro – রিভিউ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে Digital Bangla reviews এর মাধ্যমে।
Hero Splendor Pro বাইকটি স্প্লেন্ডার বাইকের একটি আধুনিক সংস্করণ। এর ডিজাইন, গ্রাফিক্স, স্টাইল দুর্দান্ত, এবং আউটলুক মার্জিত। এই বাইকে ৯৭.২ সিসি ডিসপ্লেসমেন্ট ইঞ্জিন ক্ষমতা রয়েছে। এই ইঞ্জিন ৮.২৪ বিএইচপি (৭.৮ পিএস) সর্বোচ্চ শক্তি এবং ৮.০৫ এনএম সর্বোচ্চ টর্ক জেনারেট করতে পারে। ইঞ্জিনটি এয়ার-কুল্ড এবং ফোর-স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার দ্বারা চালিত।
এটি ৮৭ কিমি সর্বোচ্চ গতিতে চলতে পারে। এটি একটি উন্নত মানের কমিউটার বাইক তাই, এধরণের বাইকে খুব বেশি গতি থাকে না। এটি একটি জ্বালানি সাশ্রয়ী বাইক, এটি এই বাইকটির একটি বড় প্লাস পয়েন্ট। এটি ৯০ কিলোমিটারের বেশি মাইলেজ দেয়। তবে বাইকের মাইলেজ নির্ভর করে বাইকের অবস্থা এবং বাইকারের চালানোর অভ্যাসের উপর। বাইকের সাসপেনশন এবং ব্রেকিং সিস্টেমে বাইকাররা সন্তুষ্ট। বাইকের এডজাস্টেবল শক অ্যাবজর্বার এটিকে স্পিড ব্রেকার এবং ভাঙা বা গর্ত রাস্তার ধাক্কা অবসর্ব বা শুষে নেয়। তাই ভাঙা, গর্ত এবং উঁচু-নিচু রাস্তায় বাইকাররা কমফোর্ট ভাবেই বাইক চালাতে পারেন।Hero Splendor Pro হলো রেগুলার স্প্লেন্ডারের একটি কার্ভি ভার্সন, যা আধুনিক কিন্তু সিম্পল ডিজাইনের। হিরো একই আইকনিক ক্লাসিক ডিজাইন রেখেছে। এই বাইকে প্রয়োজনীয় সকল ইনস্ট্রুমেন্ট ইনস্টল করা আছে। ইন্সট্রুমেন্ট কনসোলে স্পিডোমিটার এবং ফুয়েল গেজ রয়েছে। বাইকের সামনে, টার্ন ইন্ডিকেটর সহ একটি বাঁকা আয়তক্ষেত্রাকার হেডল্যাম্প রয়েছে। যা বাইকে একটি দুর্দান্ত স্টাইল দিয়েছে। এটির সিলভার অ্যালয় হুইল এবং বডি গ্রাফিক্স এটিকে একটি স্ট্যান্ডার্ড লুক দেয়। বাইকের পিছনে একটি স্টপলাইট, টার্ন ইন্ডিকেটর এবং পিলিয়নের জন্য একটি সুন্দর গ্র্যাব হ্যান্ডেল রয়েছে। ফুয়েল ট্যাঙ্কের নীচে, বাইকারের জিনিসপত্র রাখার জন্য একটি ইউটিলিটি বক্স রয়েছে।সামনের ফুট-পেগ বাইকারদের আরো কমফোর্ট ভাবে বাইক চালাতে সাহায্য করে। সীটের উচ্চতা কম (৭৮৫ মিমি), তাই খাটো রাইডাররা ভালো ভাবেই বাইক কন্ট্রোল করতে পারেন। ফুট-পেগ যথেষ্ট, তাই লম্বা বাইকাররাও কমফোর্ট ভাবে বাইক চালাতে পারেন।এই বাইকের এভারেজ মাইলেজ প্রায় ৯০ কিঃমিঃ/লিঃ।
এই দুরন্ত বেগবান বাইকটির প্রাইজ বর্তমান মার্কেটপ্লেস এর ভিতরে অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল দোনুভাবেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে বর্তমান বাংলাদেশ মার্কেটপ্লেস এর ভিতরে অফিসিয়াল ভাবেই এই বাইকটির প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে 1,19,000 টাকা।49,575€ নির্ধারণ করা হয়েছে বর্তমান ইন্ডিয়ার মার্কেটপ্লেস এর ভিতরে অফিসিয়াল ভাবেই এই বাইকটির প্রাইস। আর 549$ ডলারের আসে পাশে পেয়ে যাব আমরা এই স্পোর্টস বাইকটি বিশ্ব বাজারে। তার কারণ হলো এই বাইকটির প্রাইস বিশ্ব বাজারে আনঅফিসিয়াল ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন